রায়হান গার্লফ্রেন্ড নিয়ে ঘুরতে আসছে। এখন রাত থাকতে হবে।
একটা রিসোর্টে আছে এখানে রাত থাকা যায়। রায়হান গিয়ে রুম ভাড়া জিজ্ঞেস করল, সিঙ্গেল রুম দুহাজার। আর কাপল রুম ছয় হাজার টাকা।
রায়হান ভাবল কী দরকার কাপল রুম নিয়ে ছয় হাজার টাকা খরচ করার। একটা সিঙ্গেল রুম নিয়ে গার্লফ্রেন্ড কে উঠিয়ে দিবে। রাতে কোন একসময় টুপ করে ওর রুমে ঢুকে গেলেই হবে।
চার হাজার টাকা বেঁচে যাবে।
রায়হানের গার্লফ্রেন্ড একটা সিঙ্গেল রুম নিয়ে উঠে গেল। সারাদিন এদিক-সেদিক ঘুরে সময় কাটাল।
রাতে রায়হান টুপ করে গার্লফ্রেন্ডের রুমে ঢুকে পড়ল। না, রিসোর্টের কেউ মনে হয় টের পায়নি।
আরাম করে দুইজনে রাত কাটাল।
সকালে রায়হান বেরিয়ে গেল। বাইরে থেকে গেস্ট হিসাবে গার্লফ্রেন্ডের সাথে দেখা করতে আসল।
চেক আউট করার জন্য রায়হান কাউন্টারে গেল। রুমের ভাড়ার দুইহাজার টাকা দিলো।
ম্যানেজার একটা ভাউচার দিলো।
রায়হান চলে আসবে এ সময় ম্যানেজার ডাকল,” স্যার আরেকটা বিল বাকি আছে।”
অবাক হয়ে রায়হান বলল,” কীসের বিল!”
স্যার রুমের বিল দুইহাজার ঠিক আছে। রুমের ভিতরে শুটিং হয়েছে তার বিল দশহাজার টাকা। দশ হাজার দিয়ে ক্যাসেটটা নিয়ে যান স্যার।”
“আপনারা রুমের মধ্যে ক্যামেরা লাগান!”
“শুধুমাত্র সিঙ্গেল রুমে থাকে স্যার।”
রায়হান দশহাজার টাকা দিয়ে ক্যাসেটটা নিলো।
“ম্যানেজার হালকা হেসে বলল, কোনো চিন্তা করবেন না স্যার। আমরা শতভাগ বিশ্বস্ত।”
রায়হান কিছু না বলে চলে আসল।
গার্লফ্রেন্ড কে কিছু বলল না। রায়হানের এ সব চালাকি এমনিতেই ওর পছন্দ না।বললে আবার অযথা দুশ্চিন্তা করবে।
বাসায় এসে দরজা জানালা বন্ধ করে ক্যাসেটটা ল্যাপটপে দেখা শুরু করল। এ কী ক্যাসেট তো শাহরুখ খানের ছাইয়া ছাইয়া গানের ভিডিও।
রায়হান ম্যানেজার কে কল দিলো, “আপনি আমাকে ভুল ক্যাসেট দিয়েছেন কেন?”
“ভুল না স্যার। ক্যাসেট ঠিকই আছে। কোনো রিসোর্টে রুমের ভিতরে ক্যামেরা থাকে না! “
© Nabil Mahmud