#ফ্যানিপোস্ট
এক দেশে ছিলো এক টিকটিকি আর এক তেলাপোকা।
.
টিকটিকিটি ছিল গরীব। বাড়ির দেয়ালে দেয়ালে ঘুরে পোকামাকড় খুঁজে নিজের খাবার জোগার করে। ঠিক মত খাবার না পাওয়ায় সে অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। . অপরদিকে, তেলাপোকা আবার বিরাট বড়লোক।দেখতেও রিষ্টপুষ্ট। খাবারের সন্ধানে তার বের হতে হয় না।এই বাড়ি ঐ বাড়ি ঘুরে বেড়ায়।
.
একদিন তেলাপোকা ঘুরতে বের হয়ে টিকটিকি কে দেখলো। মরামরা অবস্থায় পরে আছে। ভীষন জ্বর। তাড়াতাড়ি করে তাকে খাবার দিলো। জ্বরের ঔষধ দিলো। . তেলাপোকার আন্তরিক সেবায় খুব তাড়াতাড়ি টিকটিকি সুস্থ হয়ে উঠলো। ওদের সম্পর্ক ভালো বন্ধুত্বে রুপান্তরিত হলো। . প্রতিদিন তেলাপোকা এসে টিকটিকির সাথে গল্প করে, তাকে খাবার খুঁজতে সাহায্য করে। এভাবে অনেকদিন কেটে গেলো।
.
একসময় তেলাপোকা বুঝলো ও টিকটিকির প্রেমে পরে গেছে।
.
তখন সে গান গায়,,,,,,,,,
“ও আমার টিকটিকি গো
চির সাথী পথ চলার।
তোমারই জন্য গড়েছি আমি মঞ্জিল ভালোবাসার। “
.
অন্যদিকে, টিকটিকিরও কিছু ভালো লাগেনা। সবসময় তেলাপোকাকে নিয়ে ভাবে। . আর গান গায়,,,,
” প্রেমে পরেছে মন প্রেমে পরেছে হ্যান্ডসাম এক তেলাপোকা, আমায় পাগল করেছে।”
.
.
সাহস করে একদিন তেলাপোকা টিকটিকি কে তার মনের কথা বলে দিলো। টিকটিকিও মুচকি হেসে রাজি হয়ে গেলো। শুরু হলো প্রেম কাহিনী।
.
(ব্যাকগ্রাউন্ডেডুয়েট গান আর এক সাথে নাচানাচি হবে।)
.
.
.
সব প্রেম কাহিনীতে একজন ভিলেন থাকে। এদেরও আছে।
একদিন মশা রক্ত খেতে এসে ঘুমন্ত টিকটিকিকে দেখে তার প্রেমে পরে যায়। সে আর রক্ত না খেয়ে পলকহীন ভাবে তার দিকে তাকিয়ে থাকে।
.
টিকটিকি ঘুমালে তাকে পাহারা দেয়, যেন অন্য মশা এসে তাকে কামড়াতে না পারে। . হঠাৎ একদিন মশা টিকটিকিকে বলে তাকে বিয়ে করবে।
টিকটিকি রাজি না।
.
সে তেলাপোকাকে ভালোবাসে। এসব শুনে রেগে মশা তার সঙ্গপঙ্গ নিয়ে টিকটিকিকে তুলে নিয়ে গেলো তাদের আস্তানায়। . টিকটিকি বলে, “ছেড়ে দে শয়তান, তুই আমার মন কখনো পাাবি না।”
.
.
মশা অট্টহাসি দিয়ে বলে, ” তোর মন দিয়ে কি আমি ফুচকা রান্না করে খাবো?!” . .
ইতিমধ্যে নায়ক তেলাপোকা রকেটের বেগে উড়ে চলে এসেছে।
.
শয়তান, তুই কি জানিস? টিকটিকি আমার জানের জান, আমার প্রাণ,আমার সব
.
আমার টিকটিকির গায়ে একটা হুঁল বসালে, তোর হুঁল টেনে ছিঁড়ে আমি আগুনে পুড়াবো। . .
.
.
এতো সহজে তোর টিকটিকিকে তুই পাবি না। . ঐ কে কই আছিস হুঁল বসিয়ে তেলাপোকার শরীরের সব রক্ত খেয়ে ফেল।
.
.
বাকি মশারা তাদের হুঁল নিয়ে আগে থেকেই প্রস্তুত ছিলো। সবাই একসাথে তেলাপোকার দিকে ছুটে আসলো।
.
.
শুরু হয়ে গেলো ঢিসুম ,,,,, ঢুসুমমম,,,, . নায়ক একাই একশো। কোনো সিনেমায় দেখছেন কি নায়ককে মরতে? so এখানেও মরবে নাহ।
.
একাই সবাইরে খতম করবে। মারামারির শেষ পর্যায়ে পুলিশ ফড়িং চলে আসলো। তার চিরচেনা সেই ডায়ালগ নিয়ে,,, .
.
” হ্যান্ডসআপ।।। আইন নিজের হাতে তুলে নিবেন না।”
.
পুলিশ তার দলবল নিয়ে আধ-মরা মশা গুলাকে তুলে নিয়ে গেলো।
.
.
.
.
অতঃপর,,,,,,
তেলাপোকা আর টিকটিকি সুখে শান্তিতে বসবাস করতে লাগলো।