ক্লাসে বাংলা স্যার “তিমির হননের কবি” সম্পর্কে পড়াচ্ছেন। প্রথমেই তিনি জানতে চাইলেন,
– তিমির হনন মানে কী? কে বলতে পারবি?
আমি দাঁড়িয়ে বললাম, আমি পারবো স্যার।
– তাহলে বল “তিমির হনন” মানে কী?
– স্যার, হনন মানে হত্যা করা। তিমির মানে তিমি মাছ! তাই বলা যায়, তিমি মাছ হত্যা বা শিকার করাকে তিমির হনন বলে।
– বলিস কী!
– জী স্যার, এটাই তিমির হননের শাব্দিক অর্থ।
– তাহলে তিমির রাত্রি মানে কী?
– স্যার, যে রাতে তিমি মাছ আকাশে উড়ে সে রাতকে তিমির রাত্রি বলে।
– গাঁধা, তিমির মানে তিমি মাছ না।
– ইউ আর রাইট স্যার, তিমি একটি স্তন্যপায়ী প্রাণী এটা আসলে মাছ না।
– এটাও জানিস, তাহলে বলতো তিমিকে কেন স্তন্যপায়ী প্রাণী বলা হয়?
– স্যার, তিমিরা রাতে আকাশে উড়ে উড়ে ক্লান্ত হলে দলবেধে স্থলে নেমে হাঁটাহাঁটি করে ! এজন্যই তিমিকে স্তন্যপায়ী প্রাণী বলা হয়।
– এসব কোথায় পাইছিস?
– বই পুস্তকে আছে স্যার।
– তাহলে তিমির হননের কবি কে?
– স্যার, জীবনানন্দ দাসকে তিমির হননের কবি বলা হয়। কারণ কবিদের মধ্যে তিনিই প্রথম তিমি হনন বা হত্যা করেন।
আমার সিকোয়েন্স এ্যান্সার শুনে বাংলা স্যার ক্লাস ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। আমি স্যারকে পিছন থেকে ডেকে বললাম,
– কোথায় যাচ্ছেন স্যার?
– আত্নহনন করতে যাচ্ছি, আমার বেঁচে থাকার সাধ মিটে গেছে।
– সাবধানে যাবেন স্যার, রাস্তাঘাটের যা অবস্থা
তিমির হনন