বিয়ের আসর থেকে বরের জুতা চুরি হয় শুনেছি। কিন্তু বরের বন্ধুর চশমা চুরি হয়ে যাবে এটা কেমন কথা!
ক্লোজ ফ্রেন্ড আবিদের বিয়েতে এসে আমার চশমা চুরি হয়ে গেছে। চশমা ছাড়া আমি অসহায় আন্ধা।
আবিদের দুর্ধর্ষ শালিকা গ্যাং এই চৌর্যবৃত্তির সাথে জড়িত মর্মে প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে। রিসিপশন গেইটে ফিতা কাটা নিয়ে দরদাম করতে গিয়ে শালিকা সিন্ডিকেটের বিরাগভাজন হয়েছি।
চাচাত মামাত মিলিয়ে আবিদের ডজন খানেক শালিকা। সবগুলোই ভয়ংকর সুন্দরী। এর মধ্যে একটা আছে চকলেট কালারের। দুই গালে ভ্যানিলা মেকআপ ঠোঁটে আবার স্ট্রবেরী কালার লিপস্টিক। দেখতে অনেকটা পোলার আইচক্রিমের মতো । এবছর ইন্টারে অটোপাশ করে পাখনা গজিয়েছে। সারা বাড়িতে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে।
এই শালিটাই চোর সিন্ডিকেটের মূল হোতা। এর নেতৃত্বে রিসিপশন গেইট থেকে শুরু করে বিয়ের মঞ্চ পর্যন্ত সবগুলো পয়েন্টে বেশুমার চাঁদাবাজি সংঘটিত হয়েছে। এমন চাঁদাবাজ মেয়ে আর জীবনে দেখিনাই।
চুন্নিগুলো আবিদের জুতা চুরি করে ১২ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেছিল কিন্তু আমি নিজ উদ্যোগে তা প্রতিহত করেছি।
৮’শ টাকার জুতা ১২ হাজার টাকা দিয়ে উদ্বারের কোনো মানে হয়না। তাই আগেই সেইম ডিজাইনের এক জোড়া এক্সট্রা জুতা সাথে নিয়ে আসছিলাম।
জুতা চুরি করে ধান্ধা করতে না পারায় শালিকাগুষ্টি আমার উপর ক্ষেপে গেছে। বড়মাপের চাঁদাবাজির প্লান নস্যাৎ করায় প্রতিশোধ পরায়ণ হয়ে আমার চশমা মেরে দিছে।
চশমা হারিয়ে আমি নিরুপায়। এক অচেনা বয়োবৃদ্ধ দাদির হাত ধরে বিয়ে বাড়ির এক কোনায় বসে আছি।
বিয়েবাড়িতে সবাই ব্যস্ত আমার খবর কেউ নিচ্ছে না। একটু পরেই আবিদের শুভদৃষ্টি, আমার অদৃষ্টি খারাপ। বাড়ি ভর্তি সুন্দরী মেয়ে কিন্তু আমি কাউকেই দেখতে পাচ্ছি না
এ জীবন কেন এতো কষ্টের