আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমকে কান ধরিয়ে ওঠবস করানোর পর মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বর্তমানে তিনি বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
গুগল নিউজে ফলো করুন আরটিভি অনলাইন
রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে বগুড়া চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, হিরো আলম বগুড়া চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা করতে গিয়েছিলেন। তিন দফায় জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সময় তাকে মারধর এবং ২০২৩ সালে বগুড়া-৪ আসনে তাকে ষড়যন্ত্র করে হারানো অভিযোগ এনে মামলা করেন হিরো আলম।
হিরো আলম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি মামলা করে নিচে আসার পরে বিএনপির একটা দল আমার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। আমাকে কান ধরিয়ে উঠ-বস করায়। এরপরে আমাকে কিল-ঘুষি মেরেছে মুখে ও মাথায়। বুকে ও শরীরের অন্য জায়গায়ও মারে। তাদের অভিযোগ, আমি নাকি কোন বক্তব্যে তারেক জিয়াকে গালিগালাজ করেছি।’
এর আগে তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি কোনোদিন তারেক রহমানের বিরুদ্ধে খারাপ কিছু বলিনি। কেউ ফুটেজ দেখাতে পারলে গলায় জুতার মালা পরে শহর ঘুরব।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা মনে করেছিলাম, ২০২৪ সালে দেশ স্বাধীন হয়েছে। স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারকে সরিয়েছি, এখন স্বাধীনভাবে চলাফেরা করব; কিন্তু দেশ স্বাধীন হয়নি। বিএনপির লোকজন আজকে যে হামলা করলো তাতে কি মনে করেন দেশ স্বাধীন হয়েছে?’
হামলাকারীদের উদ্দেশে হিরো আলম বলেন, ‘বিএনপির লোকজনকে বলি আমাকে মেরে ফেলবেন মারেন, কোনও অসুবিধা নেই। আমি হিরো আলম মৃত্যুকে ভয় পাই না; পারলে মেরে ফেলেন। একজন হিরো আলম মরলে শত হিরো আলমের জন্ম হবে। বিনা অপরাধে আমাকে হত্যার চেষ্টা করেছে। সবার চেহারা দেখেছি; সবার বিরুদ্ধে মামলা করবো। বিএনপির লোকজন ক্ষমতায় না আসতেই তাদের পাওয়ার বেড়ে গেছে।’
তিনি দাবি করেন, ‘বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভীর বিরুদ্ধে জীবনে একটা মামলা করেছিলেন। আর ডিবি হারুন তাকে ও তার পরিবারকে ট্র্যাপে ফেলে সেই মামলা করতে বাধ্য করেছিলেন। যা আমি আগেই বলেছি। বিএনপির লোকজন কীভাবে আমার ওপর হামলা চালিয়ে মারধর করলো সেটি আপনারা ভিডিওতে দেখবেন। বিএনপি ক্ষমতায় না আসতেই আমাদের ওপর পাওয়ার দেখালো, তারা ক্ষমতায় এলে দিনের বেলায় মানুষকে জবাই করবে। বিএনপির লোকজন এখনই ভাববেন না আপনারা প্রধানমন্ত্রী হয়ে গেছেন। মারধরের বিচার একদিন বাংলার মাটিতে হবে। যারা মারধর করেছেন, তাদের একজনও বাঁচতে পারবে না। আমি হিরো আলম মারা যাবো কিন্তু মাথানত করবো না।’
হিরো আলম আরও বলেন, ‘প্রিয় দেশবাসী আপনারা ভিডিও ফুটেজ দেখেছেন, বিএনপির লোকজন আজকে আমার ওপর হামলা করেছে। একটা স্বৈরাচারকে দেশ থেকে তাড়িয়েছি; আরেকটা স্বৈরাচার আসছে। এটি তার প্রমাণ।