কালো বউ পর্ব ২২
Kobitor.com এর সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ
writer_মেঘ_কন্যা_তিলোত্তমা
part_22
#collected Md. Nurul Hakim
(আকাশ চুপচাপ হাসপাতাল থেকে বেড়িয়ে গেলো)
আকাশঃ পাশের মসজিদে চলে গেলাম। ওজু করতে গিয়ে চোখে পড়লো হাতে লেগে থাকা মেঘলার শুকিয়ে যাওয়া রক্ত । চোখ ভরে ওঠলো পানিতে,,, তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ে নিলাম। নামাজ শেষে মোনাজাত তোললাম। হে আল্লাহ আমি তোমার এক পাপী বান্দা। তোমার দরবারে হাত তুলেছি খালি হাতে ফিরিয়ে দিয়ো না। সবসময় চেষ্টা করেছি সৎ পথে থাকার। চেষ্টা করেছি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করার। কিন্তু কখনো তোমার কাছে কিছু চাইনি কারণ চাওয়ার আগেই তুমি আমাকে সব দিয়েছো। আজ প্রথমবার তোমার কাছে কিছু চাইছি আমার মেঘপরীকে ঠিক করে দাও। আমার জীবনের বিনিময়ে হলেও ওকে সুস্থ করে দাও। ওর কিছু হলে আমি বেঁচে থেকেও মরে যাবো। ঠিক করে দাও ওকে,,,, আমিন,, কান্নায় ভেঙে পড়লাম।
,,,,,,কী হয়েছে তোমার??
আকাশঃ আপনি,,,??
,,,,,,,,,আমি এই মসজিদের ইমাম। মসজিদেই বেশি থাকি। কিন্তু তোমার কী হয়েছে?? এভাবে কাঁদছো কেন??
আকাশঃ আমার স্ত্রী অসুস্থ,,,,,,,,,,
,,,,,,,,,জন্ম মৃত্যু সব আল্লাহ তাআলার হাতে। তোমার স্ত্রীর যদি আল্লাহ হায়াত রেখে থাকে তাহলে অবশ্যই সুস্থ হয়ে যাবে। দোয়া করবো তোমার স্ত্রী যাতে তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যায়। এখন তুমি তোমার স্ত্রীর কাছে যাও।
আকাশঃ হুম,,,,,,,,(হাসপাতালের দিকে গেলাম। পা চলতে চাইছে না। কী অপেক্ষা করছে আমার জন্য??)
চাঁদঃ ভাইয়া,,,,,,,,,, ঐ তো ভাইয়া। কোথায় গিয়েছিলি ভাইয়া??
রুপঃ(তুমি তো মেঘমনিকে নিজের থেকে বেশী ভালোবেসে ফেলেছো আকাশ। তোমার এমন বিধস্ত চেহারা আমি আগে কখনো দেখিনি। তোমাকে বলেছিলাম,,,, দেখো আমার দূর্বল জায়গা যেন তোমার সব থেকে বড় দূর্বলতা না হয়ে দাঁড়ায়। আজ নিজের দিকে তাকিয়ে দেখো আমার থেকে বেশী তুমি বিধস্ত। মেঘমনির কিছু হলে সেই অপরাধবোধ হয়তো সারাজীবন আমাকে কুড়ে কুড়ে খাবে কিন্তু ওর কিছু হলে তুমি বেঁচে থেকেও মরে যাবে। কী অদ্ভুত ব্যাপার দেখেছো?? যে তোমার কাছে শুধু প্রতিশোধের একটা মাধ্যম ছিলো মাত্র আজ সে তোমার জীবন হয়ে দাঁড়িয়ে।)
মাঃ কোথায় গিয়েছিলি তুই আকাশ??
আকাশঃ মসজিদে,,,,,, (মাকে একটা সিটে বসিয়ে মার কোলে মাথা রেখে ফ্লোরে বসে পড়লাম। চোখ থেকে আপনাআপনি পানি পড়ছে।)
মাঃ মেঘলার মা অসুস্থ হয়ে পড়েছে তাকেও একটা কেবিনে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছে। মেঘলার কেবিন থেকে ডক্টর এখনো বের হয়নি।
আকাশঃ,,,,,,,,,,,,
ক্রিংক্রিংক্রিং
রুপঃ হ্যালো,,,,,,
রবিনঃ কোথায় তুমি??
রুপঃ হাসপাতালে,,,,,, মেঘলার কাছে।
রবিনঃ হাসপাতালে নাকি পুরনো প্রেমিকের কাছে??
রুপঃ রবিন ভদ্রভাবে কথা বলো।
রবিনঃ গলা নিচে তোর কত বড় সাহস আমার সাথে উচু গলায় কথা বলিস। আমি এখনই তোকে বাসায় দেখতে চাই।
রুপঃ কেন ইরা আজ তোমার চাহিদা মেটাতে পারেনি??
রবিনঃ তোর বড্ড সাহস বেড়েছে। বাসায় আয় তোর সাহস কীভাবে কমাতে হয় আমার খুব ভালো করে জানা আছে।
রুপঃ কী আর করবে?? বড় জোর গায়ের আঘাতের চিহ্নগুলো শুকানোর আগেই আবার তাজা করে তুলবে।
রবিনঃ তুই কিন্তু খুব বেশি বলছিস। এর ফল ভালো হবে না বলে দিলাম।
রুপঃ রবিন প্লিজ আমার বোনটা জীবন মৃত্যুর সাথে লড়ছে আমাকে একটু রেহাই দাও।
রবিনঃ তোর কপালে খারাপ আছে।
রুপঃ কেটে দিলো ফোন। আর কী খারাপ করবে আমার রবিন। যার স্বামী বাসর রাতে বলে সে তাকে না অন্যকাউকে ভালোবাসে,, তার সাথে শুধু অভিনয় করেছে। বাসর রাতে স্ত্রীর সামনে অন্য মেয়ের সাথে বাসর করে বলে,, সে শুধু সমাজের চোখে তার স্ত্রী তার কাছে না। আবার নেশা করে তার ওপরই অধিকার ফলায়।সেই স্ত্রীর আর কী খারাপ করবে তুমি?? আমিতো সেদিনই মরে গেছি শুধু বডিটা বেঁচে আছে। সেটাও হয়তো বেশি দিন নয়। আকাশ তুমি আমার ওপর কী প্রতিশোধ নেবে?? চরম প্রতিশোধ প্রকৃতি আমার থেকে নিয়েছে। বাবার থেকে ক্ষমা পাওয়াটা বাকি ছিলো,, পেয়ে গেছি এখন মরে গেলেও দুঃখ নেই।)
চাঁদঃ আপু,,,,,???
রুপঃ হুম,,,,
চাঁদঃ কিছু হয়েছে??
রুপঃ না,,,, কিছু হয়নি।
চাঁদঃ আপু ডক্টর,,,,
আকাশঃ ড,,,,,ডক্টর আমার মেঘপরী কেমন আছে??
ডক্টরঃ আমরা আমাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি। আমাদের কাজ শেষ কখন আল্লাহকে ডাকুন। মেডিসিনগুলো এখানে আসার অনেকটা সময় আগে খেয়েছে। এর জন্য রোগীর অনেকটা ক্ষতি হয়ে গেছে। এখন ৭২ ঘন্টার আগে জ্ঞান না ফিরলে আমাদের কিছু করার নেই। রোগী এখনো রেসপন্স করছে না।
আকাশঃ মেঘপরী,,,,,,,,
মাঃ নিজেকে শক্ত কর কিছু হবে না।
আকাশঃ আমি কী ওর সাথে দেখা করতে পারি??
ডক্টরঃ হুম কিন্তু কোন শব্দ করা যাবে না। আর বেশীক্ষণ থাকবেন না।
আকাশঃ ধীর পায়ে আইসিইউতে গেলাম। একদম নিস্তেজ হয়ে শুয়ে আছে আমার মেঘপরীটা। মুখে অক্সিজেন মাস্ক, হাতে ব্যান্ডেজ, স্যালাইন , রক্ত চলছে। ওকে এভাবে দেখতে হবে কখনো ভাবিনি। ওর হাতটা সাবধানে আমার দু’হাতের মুঠোয় নিলাম। এই মেঘপরী এমন কেন করলে?? একটাবার আমার কথাটা শুনতে পারতে। তুমি জানো এই আকাশ তোমাকে নিজের থেকেও বেশি ভালোবাসে। তুমি এত বোকা কেন বলতো?? এভাবে হার মেনে গেলে। তোমাকে মা বলেছিলো না সবসময় অধিকার নিজে থেকে পাওয়া যায় না আদায় করে নিতে হয়। আর তুমি সেটা না করে ভীতুর মতো পালিয়ে যেতে চাইলে?? তোমার থেকে এটা আশা করিনি আমি। শুরু একবার জোর খাটিয়ে দেখতে,,, শুধু একবার নিজের অধিকার দাবি করতে। তুমি একবার চেষ্টা করতে আপন করে নেওয়ার। বিশ্বাস করো আমি হার মেনে যেতাম তোমার কাছে৷ তোমাকে দেখলে যে আমি সব ভুলে যেতাম। সেসব থাক এখন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠো। আমি তোমাকে শেখাবো কীভাবে অধিকার আদায় করতে হয়?? এখন যে তোমার কাছে আসাও আমার জন্য কষ্টকর হয়ে পড়বে। তোমার বাবা, ভাই, মামা সব ভিলেন হয়ে যাবে তোমার এই কাজের জন্য দেখে নিয়ো। ব্যাপার না সহজে পেয়ে গেলে আমাদের নাতি নাতনিকে গল্প শুনাবো কীভাবে?? এখন তাড়াতাড়ি ঠিক হয়ে ওঠো। হাতে একটা কিস করলাম। তারপর ওঠে কপালে একটা কিস করে বের হয়ে গেলাম। মেঘলার বাবা আর মাহিন অনেক রক্ত দিয়েছে তাই তাদের রেস্টে রাখা হয়েছে। মেঘলার মা অসুস্থ হয়ে গেছে তাই তাকেও ভর্তি করানো হয়েছে। সেখানে মেঘলার মামা আছেন। মা আর চাঁদ সিটে হেলান দিয়ে বসে চোখ বন্ধ করে আছে। ঘুমিয়েছে কি না বুঝা যাচ্ছে না। রুপ কোনদিকে তাকিয়ে বসে আছে বুঝতে পারছি না। আমি চুপচাপ বারান্দায় গিয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে আল্লাহর কাছে আমার মেঘপরীর জীবন ভিক্ষা চাইছি। আজ ঐ আকাশেও কোন মেঘ নেই। চাঁদ তারা জ্বলজ্বল করছে। কিন্তু এই আকাশ যে মৃত্যুর আগে পর্যন্ত মেঘে ঢেকে থাকতে চায়।)
,,,,,,,,
চাঁদঃ ভাইয়া,,,,
আকাশঃ,,,,,,,,,
চাঁদঃ এই ভাইয়া,,,,
আকাশঃ হুম বল কী হয়েছে?? মেঘলা ঠিক আছে তো?? ওর কিছু হয়নিতো??(অস্থির হয়ে)
চাঁদঃ আরে ভয় পাস না ভাবির কিছু হয়নি। ফজরের আযান দিছে নামাজ পড়ে আয়।
আকাশঃ ওহ্ আযান দিয়ে দিয়েছে??
চাঁদঃ হুম
আকাশঃ (কখন সকাল হয়েছে টেরই পাইনি। আকাশের দিকে তাকিয়ে রাত কেটে গেছে। মসজিদের দিকে গেলাম আবার। মামা, বাবা আর মাহিনও গেলো। কেউ কথা বলছে না আমার সাথে। নামাজ শেষে আল্লাহর কাছে একই দোয়া চাইলাম।
মেঘলাঃ(আমি নড়তে পারছি না কেন?? আমি কোথায়?? প্রচন্ড দূর্বল লাগছে। আস্তে আস্তে চোখ খোলে তাকালাম। চারপাশে চোখ বুলিয়ে বুঝতে বাকি রইলো না এটা হাসপাতাল। আর গতরাতের সব কথা মনে পড়ে গেলো। আমি এখনো বেঁচে আছি। কিন্তু আমিতো এই জীবন থেকে মুক্তি চাই। ওঠে বসে পড়লাম,, মাথা ঘুরছে।
নার্সঃ ও মাই গড,,, আপনার এতো তাড়াতাড়ি জ্ঞান ফিরে এসেছে। আপনি শুয়ে পড়ুন আমি ডক্টরকে ডেকে আনছি।
মেঘলাঃ হাতের ব্যান্ডেজ, স্যালাইন, রক্ত সব খোলার চেষ্টা করছি।
নার্সঃ আরে এসব আপনি কী করছেন?? ডক্টর,,,,,,
ডক্টরঃ কী হয়েছে??
নার্সঃ ডক্টর ০২ নাম্বার আইসিইউ কেবিনের রোগীর জ্ঞান ফিরেছে কিন্তু রোগী পাগলামি করছে। সব খোলে ফেলতে চাইছে।
ডক্টরঃ ও মাই গড,,, তাড়াতাড়ি চলুন
রুপঃ ডক্টর আর নার্সের কথা শুনে দাড়িয়ে গেলাম। ঐ কেবিনেতো মেঘমনি আছে।
মেঘলাঃ ছ,,,ছাড়ুন আমাকে,,,,,
নার্সঃ আপনি আগে শান্ত হন,,,, আপনি যা বলবেন তাই হবে।
ডক্টরঃ যেভাবেই হোক উনাকে শান্ত করতে হবে। এখন ঘুমের ইনজেকশন দিলে আবার জ্ঞান ফিরাতে রিস্ক হয়ে যাবে।
আকাশঃ( হাসপাতালে এসে ভয় পেয়ে গেলাম। মা, চাঁদ, রুপ সবাই কাঁদছে। দৌড়ে মেঘলার কেবিনের কাছে গেলাম। মেঘপরী এমন পাগলামি করছে কেন? হাতের সব খোলে ফেলতে চাইছে। কেবিনে যেতে চাইলে কেউ হাত টেনে ধরে) মাহিন,,,,,, মেঘপরী পাগলামি করছে,,,
মাহিনঃ আপনাকে দেখলে আরো পাগলামি করবে। আমি আর কোন ক্ষতি চাই না আমার বোনের। আপনি ওর সামনে যাবেন না দয়া করে।
আকাশঃ মাহিন আমার কথাটা শুনো,,,,
মাহিনঃ আমার বোনের আর কোন ক্ষতি হতে আমি দেবো না। মেঘ বোন আমার কথার শোন।(মেঘলার কাছে গিয়ে। কারো কথাই শুনছে না)
ঠাসসসসসস
মাহিনঃ (আর কোন উপায় না পেয়ে থাপ্পড় লাগিয়ে দিলাম গালে)
মেঘলাঃ ভাই,,,,,,,,(জড়িয়ে ধরলাম)
মাহিনঃ আমাদের ভালোবাসার কোন দাম নেই তোর কাছে। আশেপাশে মানুষ কে কী বললো সেটা তোর কাছে বড়?? এত বছর বুকে আগলে যারা বড় করলো তাদের কথা একবার ভাবলি না। যে মা এত কষ্ট করে জন্ম দিলো তার কথা ভাবলি না। ২০ টা বছর হাতে তুলে খাইয়ে বড় করেছে একবার সেগুলো মনে পড়লো না তোর। এতটা স্বার্থপর কী করে হলি বোন?? মা তোর চিন্তায় অসুস্থ হয়ে গেছে। তোর কিছু হলে আব্বা যে মরেই যাবে সেটা তুই জানিস না?? তুই যে আব্বার জীবন, আমার কলিজা। কবে বুজবি তুই আমাদের কাছে কতটা মূল্যবান।
মেঘলাঃ (এবার সত্যি মনে হচ্ছে আমি ভুল করেছি। এত ভালোবাসা থাকতে আমি মরীচিকা পিছনে দৌড়ে ক্লান্ত হয়ে জীবন দিতে চেয়েছি। যাদের কাছে আমার কোন মূল্য নেই তাদের জন্য আমার আপনজনদের কষ্ট দিয়েছি।) আমাকে মাফ করে দে ভাই। এমন ভুল আর কখনো করবো না।
মাহিনঃ এইতো আমার লক্ষি বোনের মতো কথা। আমি জানি আমার বোন অনেক সাহসী। আর কখনো হার মেনে পালিয়ে যেতে চাইবি না। প্রতিকুলতার সাথে লড়াই করে বাঁচার নামই জীবন। আজ থেকে সব কথা আমার সাথে শেয়ার করবি। কখনো একা একা কষ্ট চেপে রেখে এমন ভুল ডিসিশন নিবি না। এখন লক্ষি মেয়ের মতো একটু রেস্ট নে।
মেঘলাঃ হুম,,,,,
আকাশঃ মেঘলা,,,,,
মেঘলাঃ উনি এখানে কী করছে ভাই?? উনাকে যেতে বল ভাই প্লিজ।
মাহিনঃ তুই শান্ত হ প্লিজ আমি দেখছি।
মেঘলাঃ চলে যেতে বল উনাকে,,,,
আকাশঃ (তুমি আমাকে সয্যও করতে পারছো না মেঘপরী। এবার বুঝি আমার চোখের পানি ফেলার পালা। চোখ থেকে কখন পানি গড়িয়ে গেছে বুঝতেই পারিনি)
মাহিনঃ আপনি দয়া করে বাইরে যান আমি হাত জোর করছি।
আকাশঃ চোখ মুছে বেড়িয়ে এলাম।
মাহিনঃ এবার তুই রেস্ট নে,,,, আমি একটু আসছি।
মেঘলাঃ হুম (এই জীবনে আর আপনার ছায়া চাইনা আমি)
আকাশঃ (ভেতরটা দুমড়ে মুচড়ে যাচ্ছে। মেঘলা আমাকে সয্য করতে পারছে না। অবহেলা বুঝি এমনই কষ্টকর)
মাহিনঃ আপনাকে ভাইয়া বলতে ইচ্ছে করছে না। আর ভাইয়া বলে সম্মান দিয়েছি বলে এখন অসম্মানও করতে পারছি না। আপনি চলে যান এখান থেকে। আমার বোনের জীবনে আপনার ছায়াও আর পড়তে দিবো না। আর ভয় পাবেন না পুলিশের কাছে যাবো না। কিন্তু আমার বোনের আশেপাশেও যেন আপনাকে না দেখি। ও একটু সুস্থ হক ডিভোর্স পেপার পাঠানোর ব্যবস্থা করবো।
আকাশঃ ডিভোর্স পেপার,,,,,,???
মাহিনঃ হ্যা ডিভোর্স পেপার। তারপর আপনি আপনার যোগ্য কাউকে বিয়ে করে নিয়েন। আপনার কাছে আমার বোন মূল্যহীন,, অযোগ্য হতে পারে কিন্তু আমার কাছে অমূল্য।
চলবে,,,,,,,
.