কালো বউ পর্ব ২৭
Kobitor.com এর সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ
লেখিকাঃ Tahmina Toma
.
মেঘলাঃ (আকাশ এখানে কী করছে?? রাস্তার অন্যপাশে দাঁড়িয়ে আছে গাড়ির সাথে হেলান দিয়ে দু’হাত বুকে ভাজ করে। এদিকে তাকিয়ে আছে ঠোঁটের কোনে হাসি। ও মোর আল্লাহ পাশে সেই পিচ্চি ছেলেটাও আছে। তারমানে এটা উনি দিয়েছেন। তাহলে তো জীবনেও নিবো না এটা। উনাকে দেখিয়ে বক্সটা জানালা দিয়ে ফেলে দিলাম।)
রুপঃ কী রে ফেলে দিলি কেন??
মেঘলাঃ কে না কে দিয়েছে আমি কেন নিবো??
রুপঃ তাই বলে ফেলে,,,,,,,
মেঘলাঃ বাদ দাও না আপু,,,,,,,,(উনার মুখের হাসি উড়ে গেছে। মেঘে ডেকে গেছে মুখটা।)
আকাশঃ(বক্সটা ফেলে দিবে ভাবতেও পারিনি। বক্সের মধ্যে আমার পছন্দের একটা নীল শাড়ী, ব্লাউজ, পেটিকোট, হালকা কিছু জুয়েলারি আর অনেকগুলো চকলেট ছিলো। একটা চিরকুটে লিখে দিয়েছিলাম রাতে সব পড়ে রেডি থাকতে )
মেঘলাঃ ( এখন দেখুন কেমন লাগে,,,, অপমান হতে। মামা গাড়ি নিয়ে বাড়ির দিকে যেতে লাগলো।)
আকাশঃ (ওরা চলে যেতেই বক্সটা তোলে হাতে নিলাম। এই শাড়ি তোমাকে পড়িয়ে ছাড়াবো আমি। তাও আজ রাতে নিজের হাতে পড়াবো কথা দিলাম।। আবার অফিসে চলে গেলাম)
,,,,,,,,,,
রবিনঃ (অফিস থেকে এসে রুপকে কোথাও দেখলাম না। প্রতিদিনতো রুমেই থাকে। চাওয়ার আগেই সব গুছিয়ে দেয়। আজ গেলো কোথায়?? গতকাল রাতে বাড়ি ফিরিনি মা অনেক বার ফোন দিয়েছিলো রিসিভ করে শুধু বলেছি বিজি আছি পড়ে কথা বলবো। সত্যি নতুন প্রজেক্ট নিয়ে একটু বেশি ব্যস্ত আছি তাই আর ফোন করাই হয়ে উঠেনি। ফ্রেস হয়ে ডাইনিং টেবিলে গেলাম সেখানেও নেই।)
(রবিনের মা ফোন করে বেবির কথা বলেছেন ঠিকই কিন্তু রবিন পুরো কথা না শুনে কেটে দিয়েছে। রবিনের মা মনে করেছেন রবিন শুনেছে। রবিন রুপের হাসপাতাল যাওয়া,,, বেবি এসব কিছুই জানে না)
রবিনঃ মা রুপ কোথায়?? (খেতে খেতে)
রবিনের মাঃ সেটা দিয়ে তোর কী দরকার??
রবিনের বাবাঃ ওর কী দরকার মানে?? রুপ ওর স্ত্রী।
রবিনের মাঃ ও মা তাই,,,, আমিতো জানতামই না রুপ ওর স্ত্রী। তা স্ত্রী যখন জ্ঞান হয়ে ফ্লোরে পড়ে ছিলো তখন তুমি কোথায় ছিলে বাবা??
রবিনঃ মানে,,,,,,??
রবিনের মাঃ সে যখন দুদিন হাসপাতালে ছিলো তখন কোথায় ছিলে??
রবিনঃ এসব কী বলছো মা?? রুপ হাসপাতালে??
রবিনের বাবাঃ হেয়ালি না করে ক্লিয়ার করে বলো।
সজীবঃ আমি বলছি,,,,,,, ভাবি জ্ঞান হয়ে বেলকনিতে পড়ে ছিলো মা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। তারপর জানা যায় তিনি প্রেগনেন্ট। তিনি দুদিন হাসপাতালেই ছিলেন।
রবিনঃ প,,,,,,,,প্রেগনেন্ট,,,,,।
রবিনের বাবাঃ এটা সহজ ভাবে বললেই হতো। এমনভাবে বললে যেন মরে টরে গিয়েছে।
রবিনের মাঃ হ্যা মেয়েটা মরে গেলেতো তোমরা শান্তি পাও।
রবিনঃ রুপ এখন কোথায়??
রবিনের মাঃ ওকে ওর বাবা-মা নিয়ে গেছে। এখানে কার ভরসায় রাখবো আমি।
রবিনের বাবাঃ এমনভাবে বলছো যেন এখানে তাকে কেউ খুন করে দিবে। বাচ্চা যেন আর কারো হয়না তোমার বৌমার প্রথম হচ্ছে।
রবিনের মাঃ তোমরা ওকে খুনও করতে পারো আমি বিশ্বাস করি না তোমাদের। বিশেষ করে তোমার ছেলেকে,,,,,, কাঁচ নিয়ে পড়ে আছিস রবিন। হিরার কদর বুঝলি না। হারিয়ে যেন কাঁদিস না।
রবিনের বাবাঃ রাবিস (উঠে চলে এলাম খাবার রেখে। ইরাকে ফোন দিলাম) হ্যালো ইরা মামুনি,,,
ইরাঃ হ্যা আঙ্কেল বলুন,,,,
রবিনের বাবাঃ আপদটা বিদায় হয়েছে। এখনই সময় রবিনে বুঝিয়ে বিয়ের জন্য রাজি করাও।
ইরাঃ হ্যা আঙ্কেল আমি চেষ্টা করছি।
রবিনের বাবাঃ ওকে এখন তাহলে রাখছি,,বাই
ইরাঃ বাই,,,,,
রবিনঃ রুমে চলে এলাম,,, (আকাশ আর আমি বন্ধু ছিলাম। আকাশের সাথে সেদিন আমিও রুপকে প্রথম দেখেছিলাম। প্রথম দেখেই ভালোবেসে ফেলেছিলাম। কিন্তু রুপ আকাশকে দেখছিলো মুগ্ধ হয়ে। তারপর ওদের মধ্যে রিলেশন হয়। যখনই রুপ আমাদের সামনে আসতো শুধু আকাশকে দেখতো আর আমি ভেতরে ভেতরে রাগে জ্বলতাম। কিন্তু আকাশ রুপের ব্যাপারে বেশি সিরিয়াস ছিলো না। সেই দূর্বল জায়গাকে কাজে লাগিয়ে রুপকে নিজের করে নেই। কিন্তু রুপ আমার সামনে আসলেই মনে হয় ও আমাকে না আকাশকে ভালোবাসে। তাই নিজের কষ্ট কমাতে ওকে কষ্ট দেই। আমি এতো মহান প্রেমিক না নিজের ভালোবাসা অন্যকে দিয়ে বলবো ও সুখে থাকলেই আমি খুশি। আমার ভালবাসা আমার কাছেই থাকবে সুখে থাক আর দুঃখে। ইরার সাথে বাবা বিয়ে ঠিক করেছিলো,,, আমি ওকে বুঝিয়ে না করে দেই। ইরা বলেছিলো বন্ধু হয়ে কী থাকতে পারে না?? তাই ও আমার বন্ধু হয়েই আছে। ইরার সাথে আমার কোন রিলেশন নেই। রুপকে কষ্ট দেওয়ার প্লানগুলো ইরারই ছিলো। তাই বলে কী নিজের সন্তানের খবরটাও রুপ দিবে না আমাকে। না বলে চলে যাবে বাবার সাথে। এর জন্য তোমাকে শাস্তি পেতে হবে। তবে এটাই শেষ তারপর আমি আর কখনো তোমাকে কষ্ট দিবো না। গেছো তো না বলে বাবার সাথে ঠিক আছে আমিও ফোন দিবো না তোমাকে। থাকো কিছুদিন একা। তারপর বাবা ছেলে দুজনে মিলে জালিয়ে মারবো। এই যা বাবা ছেলে বললাম কেন?? বাবা মেয়েওতো হতে পারে। সে যাই হোক। একটা সার্ভেন্ট পাঠাতে হবে সবসময় ওর সাথে থাকার জন্য আর আমিও ওর খবর পাবো। কালই মায়ের নাম করে একটা সার্ভেন্ট পাঠিয়ে দেবো।
,,,,,,,
আকাশঃ অফিস শেষে বাসায় গিয়ে ফ্রেস হয়ে একটা ব্লু টি-শার্ট আর একটা ব্লাক জিন্স আর কেডস পড়ে বের হলাম। বক্সটা গাড়িতেই রেখেছি।
মাঃ এখন রেডি হয়ে কোথায় যাচ্ছিস??
আকাশঃ ফ্রেন্ডদের সাথে লং-ড্রাইভে যাচ্ছি সকালে ফিরবো।
মাঃ বউ রাগ করে বাপের বাড়ি গিয়ে বসে আছে আর উনি যাচ্ছে ফ্রেন্ডদের সাথে লং-ড্রাইভে। কোথায় বউয়ের রাগ ভাঙাবে তা না।
আকাশঃ প্রথমতো সে বাপের বাড়ি যায়নি মামার বাড়ি গেছে আর দ্বিতীয়তো সময় হলে ঠিক চলে আসবে।
মাঃ যা ইচ্ছে কর,,,,,,,,
আকাশঃ (মা রাগ করে রুমে চলে গেলো। আর আমি গুণগুণ করে গান গাইতে গাইতে বেড়িয়ে এলাম। আবার বাউন্ডারি টপকে ভেতরে ঢুকলাম। বক্সটা একটা দড়ি দিয়ে বেঁধে দড়ির একপ্রান্ত ধরে পাইপ বেয়ে বেলকনিতে উঠলাম। তারপর দড়ি ধরে টেনে বক্সটা উঠালাম। আবিদ খান সরি মামাকে বলতে হবে গার্ডগুলোকে চেঞ্জ করতে। এগুলো কী ডিউটি করে??? দুদিন আসলাম ধরতেই পারলো না। শত্রু চলে এলেও টের পাবে না। থাক সেটা পড়ে করা যাবে। আগে আমার মেঘপরীকে দেখে নেই। রুমে গিয়ে দেখি কেউ নেই। হয়তো বাইরে আছে। আরাম করে বিছানায় শুয়ে পড়লাম। রুমটা হয়তো আমার শাশুড়ি মায়ের ছিলো। উনার আগের অনেক ছবি লাগানো। সুন্দরী ছিলেন আমার শাশুড়ি মা এখনো কম না। মেঘমনির সাথে ওর মায়ের কোন মিল নেই। অনেকটা ওর বাবার মতো হয়েছে। গায়ের রং কার মতো হয়েছে জানি না। ওর বাবা শ্যামবর্ণ কিন্তু ও কালো। আমার কালো গোলাপ,,, মেঘপরী। কিন্তু কোথায় সে??)
মেঘলাঃ (খেয়ে আপুকে তার রুমে দিয়ে রুমে এলাম। দরজা লাগিয়ে পিছনে তাকাতেই আমার চোখ কপালে। চিৎকার করতে গিয়ে পরলাম না)
আকাশঃ (ও চিৎকার করার আগেই মুখ চেপে ধরলাম) কী হয়েছে চিংকার করতে নিচ্ছিলে কেন??
মেঘলাঃ উমমমম
আকাশঃ (মুখ ছেড়ে দিলাম) নাও এবার বলো।
মেঘলাঃ আপনি এখানে কী করছেন??
আকাশঃ লং-ড্রাইভে যাবো,,, তোমাকে নিতে এসেছি।
মেঘলাঃ অসম্ভব,,,,,,,,,,, আপনার সাথে আমি কোথাও যাবো না।
আকাশঃ তুমি যাবে নাকি,,,, আমি নিয়ে যাবো। (প্যাকেট থেকে ব্লাউজ আর পেটিকোট বের করে মেঘলার হাতে দিলাম।) যাও পরে এসো।
মেঘলাঃ কখনো না,,,,,
আকাশঃ যাবে নাকি আমি নিজেই পড়িয়ে দিবো।
মেঘলাঃ এ্যা,,,,,,
আকাশঃ এ্যা নয় হ্যা,,,,,,,
মেঘলাঃ আমি পরবো না,,,,, দাড়ান মামাকে ডাকছি,,,,
আকাশঃ চেষ্টা করো কীভাবে আটকাতে হয় তুমি ভুলে গেলেও আমার মনে আছে।
মেঘলাঃ আপনি একটা অসভ্য সেটা জানেন??
আকাশঃ ভালো করেই জানি,,, এখন যাও।
মেঘলাঃ শুধু এগুলো পড়বো,,,, শাড়ি কোথায়??
আকাশঃ সেটা আমি পড়িয়ে দিবো।
মেঘলাঃ কিহ্ ,,,,,,,
আকাশঃ কি না জি,,,,,,,,,,,, তখন যদি বক্সটা ফেলে না আসতে তাহলে এই শাস্তি দিতাম না। এখন যাবে নাকি সব আমি করে নিবো। আমার কিন্তু প্রবলেম নেই।
মেঘলাঃ অসভ্য, বেহায়া, নির্লজ্জ ফালতু লোক কোথাকার।
আকাশঃ যাবে নাকি আমি,,,,,,
মেঘলাঃ (তাড়াতাড়ি ওয়াশরুমে চলে এলাম। ব্লাউজ পেটিকোট পড়ে দাঁড়িয়ে আছি আয়নার সামনে। এভাবে জীবনেও উনার সামনে যেতে পারবো না আমি। কী করবো এখন??)
আকাশঃ ঘুমিয়ে পড়লে নাকি ওয়াশরুমে। বের হবে নাকি দরজা ভাঙবো??
মেঘলাঃ(কী করবো এখন?? ওড়নাটা ভালো করে গায়ে জড়িয়ে নিলাম। আস্তে করে বের হলাম ওয়াশরুম থেকে।)
আকাশঃ (মেঘলার চারপাশে ঘুরে দেখলাম) এটা কোন দেশের ড্রেস মেঘপরী?? আমিতো এমন ড্রেস দেখিনি কোথাও। শাড়ি পড়াবো কোথায়??
মেঘলাঃ পড়াতে হবে না আপনি জান এখান থেকে।
আকাশঃ সেটা কী করে করি বলোতো?? এত কষ্ট করে এলাম। যার জন্য এসেছি সেটা না করে কী করে যাই?(গায়ে জড়ানো ওড়নাটা এক টানে খোলে দিলাম)
মেঘলাঃ(হঠাৎ এমন করায় দুহাত বুকের ওপর ক্রস করে রেখে চোখমুখ খিঁচে বন্ধ করে ফেললাম)
আকাশঃ (সত্যি তুমি মেঘপরী) You are so hot,,,,,(কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিসফিস করে বললাম)
মেঘলাঃ (চোখ বড়বড় করে তাকালাম। উনার থেকে সরে আসতে গেলে হাত টান দিয়ে উনার বুকে নিয়ে ফেললো)
আকাশঃ ভয় নেই এখন কিছু করবো না (ফিসফিস করে) বাট আমার কাজে বাঁধা দিলে কী করবো জানি না।
মেঘলাঃ(বরফের মুর্তির মতো দাঁড়িয়ে আছি। কোন কথা বের হচ্ছে না মুখ দিয়ে)
আকাশঃ(শাড়ির এক প্রান্ত পেটে গুঁজে দিতেই কেঁপে ওঠে আমার হাত খামচে ধরলো মেঘলা।) আমাকে পাগল করে দিয়ো না,,,,, তাহলে কন্ট্রোল করতে পারবো না নিজেকে। তখন আমার দোষ দিয়ো না।
মেঘলাঃ(তাড়াতাড়ি হাত সরিয়ে নিলাম। কিন্তু আমি কীভাবে এমন স্পর্শ সয্য করবো সেটা একবার ভাবছেন না উনি। দম বন্ধ হয়ে আসছে আমার।)
আকাশঃ(শাড়ি পেচিয়ে নিলাম চারপাশে। ব্লাউজের গলা একটু বড়। পিঠের অনেকটা বেড়িয়ে আছে। একটা কিস করলাম। আবার কেঁপে ওঠলো মেঘপরী।)
মেঘলাঃ(হাত শক্ত করে মুঠো করে আছি। কী শুরু করেছেন উনি??)
আকাশঃ(লজ্জাবতী পাতার মতো স্পর্শ করতেই গুটিয়ে যাচ্ছে বারবার। ওর মুখের দিকে তাকিয়ে শাড়ির কুচি দিচ্ছি। চোখ খিঁচে বন্ধ করে আছে। মনে হচ্ছে চোখ খুললেই মরে যাবে ও। কুচি পেটে গুঁজে দিতেই আবার হাত খামচে ধরলো আমার। হয়তো রক্ত বের হয়ে গেছে। কিন্তু ব্যাথা করছে না কারণ তার থেকে অনেক বেশি ব্যাথা বুকের বা পাশে করছে। এত কাছে থেকেও নিজের করতে পারছি না ওকে। কারণ ও এখনো মাফ করেনি আমাকে। এখন ওকে কাছে টেনে আরো অপরাধী হতে চাই না ওর কাছে)
মেঘলাঃ(এ কেমন যন্ত্রণা?? না সয্য হচ্ছে আর না অসয্য লাগছে। না সয্য করতে পারছি আর না মানা করতে পারছি।)
আকাশঃ(কুচি গুঁজে দিয়ে ফ্লোরে হাঁটু গেড়ে বসলাম কুচি ঠিক করতে। পেটের ডানপাশে একটা কুচকুচে কালো তিলে চোখ আটকে গেলো। এই প্রথম দেখলাম তিলটা,,,,,অসম্ভব সুন্দর,,,,, গভীর একটা চুমু একে দিলাম তিলটাতে। মেঘলা আমার চুল খামচে ধরলো)
মেঘলাঃ(আর সয্য করে পারছি না। দম নিতে পারছি না আমি। মনে হচ্ছে এখনই মরে যাবো)
আকাশঃ (ওঠে দাঁড়িয়ে আচলটা ঠিক করে দিয়ে মেঘলার মুখের দিকে তাকালাম। লজ্জায় মুখ লাল হয়ে গেছে। প্রতিটা স্পর্শে কেঁপে ওঠেছে। চোখ বন্ধ করে ঘনঘন নিশ্বাস নিচ্ছে। আমারও একই অবস্থা।)
মেঘলাঃ (অনেকক্ষণ কোন স্পর্শ না পেয়ে পিটপিট করে তাকালাম। আকাশ তাকিয়ে আছে আমার দিকে কেমন নেশা ধরা চোখে।)
চলবে,,,,,,,,,