কালো বউ পর্ব ৩০
Kobitor.com এর সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ
.
লেখিকাঃ Tahmina Toma
.
চাঁদঃ(আপনাকে চোখের সামনে অন্যকারো হতে কীভাবে দেখবো আমি?? পারবো না,,,কিছুতেই পারবো না)
মাঃ কী হয়েছে চাঁদ?? বেশি খারাপ লাগছে??
চাঁদঃ না মা ঠিক আছি আমি,,,(গাড়ি থেকে নেমে দৌড়ে রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দিলাম)
মাঃ এই মেয়ের আবার কী হলো??
চাঁদঃ(কী করবো আমি?? মাহিনকে ফোন দিলাম,,,, কয়েকবার রিং হওয়ার পর রিসিভ করে)
মাহিনঃ কী হয়েছে বারবার কল দিচ্ছো কেন??(সরি চাঁদ তোমার সাথে বাজে বিহেভ করলে হয়তো আমার ওপর তোমার ঘৃণা তৈরি হবে)
চাঁদঃ প্লিজ মাহিন বিয়েটা করবেন না। আমি সত্যি আপনাকে অনেক বেশি ভালোবাসি। আপনাকে ছাড়া আমি বাঁচতে পারবো না।
মাহিনঃ দেখো চাঁদ ছেলেমানুষীর করার একটা লিমিট আছে। মানছি তুমি এখনো ছোট কিন্তু এতটাও ছোট না বাস্তবতা বুঝতে পারবে না। এগুলো সব তোমার আবেগ দুদিন পর সব ভুলে যাবে। বুঝার চেষ্টা করো,,, দেখো এখন বিয়েও ঠিক হয়ে গেছে। আর কোন ঝামেলা করো না প্লিজ। ফোন দিয়ো না আর,,, আমি চাইনা তোমার ছেলেমানুষীর জন্য আমার বোনের সংসারে অশান্তি হোক (কেটে দিলাম,,, ওর কান্না জড়ানো কণ্ঠ আমি সয্য করতে পারবো না। কিন্তু নিজের বোনের জীবন কীভাবে নষ্ট করবো আমি?? ছেলেদের নাকি কাঁদতে নেই আজ চিৎকার করে কাঁদতে ইচ্ছে করছে। একদিকে ভালোবাসা অন্যদিকে নিজের বোনের সংসার)
চাঁদঃ (আবার কল দিলাম রিসিভ করছে না। আরো অনেকবার দিলাম রিসিভ করছে না। এবার অফ বলছে) এখন কী করবো আমি?? দম বন্ধ হয়ে আসছে। খোলা বাতাসের প্রয়োজন,,, ছাদে চলে এলাম। আলো ভালো লাগছে না তাই ছাদের সব লাইট অফ করে এক কর্নারে দাড়িয়ে আকাশ দেখতে লাগলাম। কিন্তু কিছুতেই শান্তি হচ্ছে না,,,, কী করবো,,,,???
,,,,,,,,,,,
আকাশঃ কী হয়েছে আমার মেঘপরীর??(মেঘলা বেলকনিতে মন খারাপ করে দাড়িয়ে ছিলো তাই পেছন থেকে জড়িয়ে ধরলাম)
মেঘলাঃ আপনি এখন চলে যাবেন??
আকাশঃ হুম যেতে হবে,,, চাঁদের হঠাৎ করে কী হলো বুঝতে পারছি না। গিয়ে দেখি আবার অসুস্থ হলো নাকি।
মেঘলাঃ আচ্ছা,,,,,
আকাশঃ(মেঘলাকে আমার দিকে ঘুরিয়ে কপালে একটা কিস করলাম।) এবার আসছি গিয়ে কল দেবো।
মেঘলাঃ আল্লাহ হাফেজ,,,
আকাশঃ আল্লাহ হাফেজ ,,,, (সবাই ড্রয়িংরুমে বসে আছে। সবাইকে বলে বের হয়ে আসলাম। তাড়াতাড়ি বাড়ি যেতে হবে। চাঁদ অসুস্থ হয়ে গেলে মা একা কী করবে?? দ্রুত বাসায় পৌঁছালাম) মা,,,,,,,,
মাঃ হ্যা বল কী হয়েছে???
আকাশঃ চাঁদ কোথায়,,,, ঠিক আছে এখন??
মাঃ জানি না বাসায় আসতেই দৌড়ে রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দিয়েছে। আমি ডাকলাম বললো ঘুমাবে তাই আমিও রুমে চলে এসেছি।
আকাশঃ ঠিক আছে,,, তুমি শুয়ে পড়ো আমি দেখছি।
মাঃ এদের ভাইবোনের কখন কী হয় আল্লাহ জানে।
আকাশঃ(চাঁদের রুমের সামনে গিয়ে দেখি দরজা খোলা।) চাঁদ,,,,,, তুই কী রুমে আছিস চাঁদ?? ভেতরে আসবো??(কোন সাড়াশব্দ নেই,,, রুমে এসে দেখি চাঁদ নেই। রুমের সব জায়গা, ওয়াশরুম, বেলকনি কোথাও নেই। গেলো কোথায়,,, ও তো অন্ধকারে ভয় পায় কোথায় যাবে?? সারা বাড়ি খোঁজেও পেলাম না। ছাদে যায়নি তো?? কিন্তু ও যে ভীতু এই রাতের বেলায় ছাদে যাবে?? দেখে আছি তাও। দৌড়ে ছাদে এলাম,,,,কিন্তু ছাদ অন্ধকার কেন?? সন্ধ্যার পরেই ছাদে লাইট দেওয়া হয় তাহলে অন্ধকার কেন?? সব লাইট জ্বালিয়ে সামনে তাকাতেই ভয়ে আত্মা উড়ে গেছে। চাঁদ ছাদের রেলিং এর ওপর দাঁড়িয়ে আছে। একটু এদিক ওদিক হলেই সোজা নিচে গিয়ে পরবে। পরে গেলে ওকে আর বাঁচানো যাবে না।)
চাঁদঃ আপনার পাশে অন্যকাউকে দেখার আগে মরে যাওয়াই ভালো। দেখো না পাপা তোমার প্রিন্সেস কত কষ্ট পাচ্ছে। তুমি থাকলে পেতে দিতে তোমার প্রিন্সেসকে এতো কষ্ট। কেউ ভালোবাসে না আমাকে,,,,তুমি আমাকে অনেক ভালোবাসো তাই না পাপা। তাই তোমার কাছেই চলে যাবো আমি,,,,, ওয়েট পাপা আমি আসছি,,,
আকাশঃ(এসব কী বলছে চাঁদ???) চাঁদ,,,,,,,
চাঁদঃ (পেছনে তাকিয়ে দেখি ভাইয়া দাড়িয়ে আছে) আমার কাছে আসবে না,,,,,
আকাশঃ কী হয়েছে বোন আমাকে বল?? আগে তুই নিচে নাম তারপর আমি সব শুনবো প্লিজ নিচে নেমে আয়।
চাঁদঃ না,,,, নামবো না আমি(কান্নার জন্য কথাও বলতে পারছে না) কেউ ভালোবাসে না আমাকে। আমি পাপার কাছে চলে যাবো। আমি এই দম বন্ধ করা কষ্ট সয্য করতে পারছি না। এর থেকে মুক্তি চাই আমার।
আকাশঃ(ওকে কথার তালে রেখে আস্তে আস্তে ওর দিকে আগাচ্ছি) কী হয়েছে বল আমাকে?? কে কষ্ট দিয়েছে তোকে?? না বললে বুঝবো কীভাবে?? একবার তার নাম বল এখনই তোর সামনে হাজির করবো?? তারপর তোর যা শাস্তি দিতে মনে চাই তাই দিবি। আগে তুই নিচে নাম। পা পিছলে গেলে পড়ে যাবি বোন,,,প্লিজ নাম,,,,
চাঁদঃ তুমি তাকে কিছুই বলবে না আমি জানি,,, তার থেকে আমি মরে যাই সব ঠিক হয়ে যাবে,,,,
আকাশঃ তুই জানিস বোন আমি তোকে কত ভালোবাসি। তুই একবার তার নাম বলে দেখ। তোর যা চাই তাই এনে দিবো তুই নেমে আয় আগে।
চাঁদঃ না,,,,,তুমি কিছুই করবে না আমি জানি,,,, আমি এখনই লাফ দিবো,,,,,
আকাশঃ(লাফ দেওয়ার আগেই হাত ধরে টান দিয়ে নিচে নামিয়ে আনলাম) ঠাসসসসসস,,,, কী করছিলি এখনই। এখান থেকে পড়লে তোকে বাঁচাতে পারবো????
চাঁদঃ বাঁচতে চায় কে??? আমি চাই না বাঁচাতে,,,,,
আকাশঃ (চাঁদকে বুকে জড়িয়ে নিলাম) কী হয়েছে বোন?? কেন এমন করছিস বল আমাকে??
চাঁদঃ আমি চোখের সামনে উনার বিয়ে দেখতে পারবো না। উনার পাশে অন্যকাউকে সয্য করতে পারবো না। উনার পাশে অন্যকাউকে দেখার আগে মরে যাওয়াই ভালো।
আকাশঃ কে,,,,,,,???
চাঁদঃ মাহিন,,,,,,,,,
আকাশঃ মাহিন(অবাক হয়ে),,, ভালোবাসিস,,,,,???
চাঁদঃ নিজের থেকেও বেশি,,,
আকাশঃ(এখন কী করবো আমি?? বাবা যে ওর বিয়ে অনেক আগেই ঠিক করে গেছে। মাহিনের সাথে ওর বিয়ে দিলে বাবার কথার খেলাপ হবে। এ কোন পরিক্ষায় ফেললে খোদা?? একদিকে বোনের জীবন অন্যদিকে মৃত বাবার শেষ ইচ্ছে আর তার দেওয়া ওয়াদা। কী করবো এখন আমি??)
,,,,,,,,,,
রুপঃ আজ দুদিন হয়ে গেলো এবাড়িতে এসেছি। একটা ফোন মেসেজ কিছুই করেনি। ওর মনে কী আমার জন্য একটুও জায়গা নেই? বাড়িতে একটা কুকুর পুষলেও তার জন্য মায়া হয়। আর আমি একজন মানুষ আমার সাথে ৩ বছর সংসার করে একবিন্দু মায়া তৈরী হয়নি তোমার মনে রবিন?? এমন যেন না হয় রবিন,,, যে ভালোবাসা পাওয়ার জন্য তৃষ্ণার্ত পথিকের মতো আজ তাকিয়ে আছি,, সেই ভালোবাসার ডালি সাজিয়ে বসে থাকলে আর দেখার জন্য আমিই থাকলাম না।
রবিনঃ(অনেকক্ষণ ধরে হাতে ফোন নিয়ে বসে আছি। রুপকে কল দিবো কী দিবো না বুঝতে পারছি না। কখনো ওর সাথে ভালো করে কথা বলে দেখিনি। কী বলবো কল দিয়ে?? আজ বুঝতে পারছি অনেক অন্যায় করে ফেলেছি। আমাদের সম্পর্কটাকে এমন জায়গায় এনে দাঁড় করিয়েছি এখন ওর সাথে ভালো করে কথা বলতে আমার আনইজি ফিল হচ্ছে। আমার অন্যায় পাহাড় সমান হয়ে গেছে। রুপ কী আমাকে মাফ করবে?? কোন মুখ নিয়ে ক্ষমা চাইবো ওর কাছে। নিজের সাথে যুদ্ধ করে ফোন দিলাম রুপকে)
রুপঃ(ফোনের দিকে তাকিয়ে আছি। স্বপ্ন দেখছি নাতো ?? রবিন কল দিয়েছে। বাজতে বাজতে কেটে গেলো। আবার বাজতেই রিসিভ করলাম। দুজনের চুপ করে আছি)
রবিনঃ কেমন আছো ???
রুপঃ(চোখ বন্ধ করতেই এক ফোঁটা পানি গড়িয়ে পড়লো গাল বেয়ে। ৩ বছরের সংসার জীবনে এই কথাটা প্রথম শুনলাম)
রবিনঃ বললে না যে কেমন আছো?? আর আমাদের বেবি কেমন আছে??
রুপঃ সেটা কী তুমি জানা প্রয়োজন মনে করো??(কোথায় যেন অভিমান জমে আছে পাহাড় সমান। ভালোভাবে উত্তরটা দিতে পারলাম না।)
রবিনঃ রেগে আছো আমার ওপর???
রুপঃ কেন রাগ করবো?? ৩ বছর সংসার করার পর আজ তোমার মনে হলো জিজ্ঞেস করা উচিত আমি কেমন আছি?? তাই বললাম সেটা কী তুমি জানার প্রয়োজন মনে করো??
রবিনঃ(অভিমান আর অভিযোগের পাহাড় জমে আছে তোমার বুকে। থাকারই কথা,,, অপরাধ যখন করেছি তার ফল ভুগতে তো হবেই। তোমার দু’দিনের অনুপস্থিতি আমাকে বুঝিয়েছে তোমাকে ছাড়া আমি অচল। বাবা আর ইরা এদের আর কোন জায়গা নেই আমার জীবনে। দিনের পর দিন এরা আমাকে ভুল বুঝিয়েছে তোমার বিরুদ্ধে। নিজের বাবাকে কীভাবে অবিশ্বাস করতাম?? তোমার প্রতি রাগ এরা প্রতিশোধে পরিণত করেছে। কিন্তু সেদিন বাবা আর ইরা কথা বলার সময় রুমে আসছিলাম আমি সব শুনতে পেয়েছি। ইরাকে বন্ধু হওয়ার সুযোগ দিয়েছিলাম কিন্তু সে তোমার জায়গা নিতে চাইছে।)
রুপঃ কথা শেষ তোমার?? শেষ হলে রেখে দাও চুপ করে আছো কেন??
রবিনঃ আগামীকাল নিতে আসবো তোমায়,,, রেডি থেকো।
রুপঃ আমি যাবো না কোথাও??
রবিনঃ সে কাল দেখা যাবে। এখন ঘুমিয়ে পড়ো আমার বেবির কষ্ট হচ্ছে তো রাত জাগতে।
রুপঃ(ওহ্ আমার কদর নেই বেবির কথা শুনে দরদ উতলে পড়ছে। তাও ভালো নিজের সন্তানের কদর অন্তত করতে শিখেছে)
রবিনঃ গুড নাইট,,,,
রুপঃ,,,,,,,,,,(ফোন রেখে দিয়ে নানা চিন্তা করে ঘুমিয়ে পড়লাম)
,,,,,,,,,
আকাশঃ তুই রুমে যা আমি দেখছি কী করা যায়।
চাঁদঃ তুমি কিছু করবে না জানি তার থেকে আমাকে মরতে দাও,,,,
আকাশঃ চাঁদ,,,,,,, বললাম তো আমি দেখছি,,, রুমে যা,,,
চাঁদঃ(আর কিছু না বলে রুমে চলে এলাম। আমার কাজ শেষ। হুম এতোক্ষণ যা করেছি সব নাটক। আপনার বিয়ের আগের দিন পর্যন্ত সবরকম চেষ্টা করবো আমি। যদি না পারি সত্যি সত্যি সুইসাইড করে নিবো। ফোনে মাহিনের ছবির দিকে তাকিয়ে আছি।)
আকাশঃ(কী করবো কিছুই বুঝতে পারছি না। চাঁদ আমার প্রায় ১০ বছরের ছোট। আমার পরে আর কোন ভাইবোন হচ্ছিল না। অনেক চিকিৎসা করেছে বাবা-মা কিন্তু কাজ হয়নি। বাবার বন্ধু ডক্টর আশফাক আঙ্কেলের থেকে চিকিৎসার পর চাঁদের জন্ম হয়। আশফাক আঙ্কেলই অপারেশন করেছিলো। সেদিন আমার সামনেই আশফাক আঙ্কেল বাবাকে বলেছিলো)
আশফাক আঙ্কেলঃ এই মেয়ের জন্য অনেক কষ্ট করিয়েছিস আমাকে। মেয়ে বড় হলে আমার ছেলের সাথে বিয়ে দিবি। তোর মেয়ের হাতে চা খেয়ে শোধ তুলবো।
বাবাঃ যা কথা দিলাম আমার মেয়ের সাথে তোর ছেলেরই বিয়ে দেবো। শুধু দোয়া কর মেয়েটা যেন সুস্থ থাকে।
আশফাক আঙ্কেলঃ অবশ্যই,,,,
আকাশঃ(বাবা নেই,,, তাই বলে কী তার কথার খেলাপ হবে?? এদিকে চাঁদ মাহিনকে না পেলে সুইসাইড করতে একবার ভাববে না। চাঁদকে খুব ভালোভাবে চিনি আমি। বাবা ওকে অতিরিক্ত আদরে বড় করেছে। যেটা চেয়েছে একবেলা যাওয়ার আগে পেয়ে গেছে। তাই ও জেদি তৈরি হয়েছে। যেটা ওর চাই সেটা পাওয়ার জন্য যা খুশি করতে পারে। বাবা চলে যাওয়ার পর আমিই ওর সব চাওয়া পূরণ করেছি। কিন্তু এই চাওয়া কীভাবে পূরণ করবো আমি?? কোনদিকে যাবো এখন?? বাবা কখনো নিজের কথার খেলাপ করেনি। ভাবতে পারছি না আমি মাথা ফেটে যাচ্ছে। ছাঁদের দোলনায় শুয়ে দূরে আকাশের তারা দেখছি। কী করবো আমি বাবা তুমি বলে দাও।)
,,,,,,,,,
মেঘলাঃ উনার ফোনের আশায় ফোন হাতে বসে আছি। বলে গিয়েছিলো কল দিবে। গেছে ২ ঘন্টার বেশি হয়ে গেছে। আমি দেবো,,,?? চাঁদের কিছু হলো না তো,,,,যদি ঘুমিয়ে গিয়ে থাকে?? আবার কল দিলে যদি রাগ করে?? থাক দেখি দেয় নাকি।
,,,,,
রিয়াদঃ(মেঘলার কাছে লিজার ফোন নাম্বার চাইলে জানতে পারি ওর বিয়ে ঠিক করা। এই মাসের ২০ তারিখ পাকা দেখা। কী করবো বুঝতে পারছিলাম না?? রুপের মতো লিজাকে হারাতে পারবো না। তাই লিজার বাবার সাথে দেখা করি। তাকে বুঝিয়ে বলি লিজাকে আমি ভালোবাসি। আমি একজন ডক্টর রিজেক্ট করার কারণ নেই। তাই তিনি মেনে গেলেন। লিজা কিছু জানে না। আগামীকাল ওর রিয়াকশন কেমন হবে দেখার জন্য অস্থির হয়ে আছি।)
,,,,,,,
মাহিনঃ কিছুতেই শান্তি পাচ্ছি না। না চাঁদকে আপন করতে পারছি আর না ওকে এক মুহুর্তের জন্য ভুলতে পারছি। তানহাকে চাঁদের জায়গায় কল্পনাও করতে পারছি না। এ কেমন দু-টানা??
চলবে,,,,,,,