কবিতা- অবহেলা, ঈশ্বর ও সহধর্মিণী
আমার ভীষণ অদ্ভুত একটা নেশা রয়েছে ;
অবহেলা সঞ্চয় করে বেড়াই!
খুচরো খুচরো অবহেলা, আস্ত অবহেলা ;
সাদা কালো রঙিন সব ধরনের অবহেলার
বিশাল একটা কালেকশন আছে আমার!
সেদিন,
ঈশ্বর আমায় ডেকে বললেন —
আয় তোর সাথে একটা জীবন বদল করি ;
এক জীবনে এতটা ভালোবাসা
কাউকে পেতে দেখিনি! হিংসা হয় আমার।
শুনে আমি হেঁসে উঠি!
অথচ —
অহেলার সব পাহাড় গুলো একমাত্র আমার ;
ভালোবাসার দামে পাওয়া ।
শুধু সহধর্মিণীর চোখ যায় না সেদিকে।
শুনেছি — পুরুষের না-কি হৃদয় নেই!
তারা স্বেচ্ছায় নির্বাসন নিয়ে উড়ে বেড়ায়।
ঈশ্বর সাক্ষী,
ভালোবাসার অপরাধেই
পৃথিবী মানুষের বিচরণ ভূমি হয়ে উঠেছিল।
স্বেচ্ছায় নির্বাসন নিয়ে নয়!
পুরুষেরও মন থাকে, মন ভাঙ্গে।
ঈশ্বর ও সহধর্মিণী তা বুঝতে চায় না।
তাই তো পুরুষ গৃহত্যাগী সন্ন্যাসী হয়ে উঠে।
ক্রমশ, অবহেলার সঞ্চয় বাড়ে।
ভালোবাসার দামে কেনা অবহেলা
পূনরায় বিক্রি করা যায় না ।
“পুরুষ “
নিরাশ্রয়ী পাখিদের মত
আকাশের বক্ষঃস্থলে ভেসে ভেসে
শূন্যতাকে উপভোগ করে
মহাশূন্যের দংশন বুকে নিয়ে।
S.I ZITU