কলমে :#ফারহানা_কবীর_মানাল
পার্ট -৭
ফজরের আজান দিয়েছে বেশ কিছুক্ষণ। চারদিকে দিনের আলো ফুটতে শুরু করেছে। সোহাগ ঘুমে বিভোর, দেখে মনে হয় এই লোকটার কোন চিন্তা নেই। যেন সে পৃথিবীর সব থেকে সুখী মানুষ। কাল রাতের কথাগুলো বেশ ভাবাচ্ছে। সোহাগের যুক্তিগুলো খাপছাড়া এলোমেলো, বন্ধু বলেছে আর চৈতীর সঙ্গে ভাব জমিয়ে ফেলেছে। খুব সহজ যুক্তি! এসব যুক্তি দিয়ে বাচ্চা ভোলানো যায়।
বালিশের পাশ থেকে সোহাগের মোবাইল নিয়ে ওয়াশরুম চলে গেলাম। ওয়াশরুমের দরজা লাগিয়ে মোবাইল চেক করতে লাগলাম। রাতুলের সাথে যেসব কথা বলছে তাঁর কোন না কোন প্রমাণ নিশ্চয়ই থাকবে। সোহাগের মোবাইল লক করা। আগে তো লক ছিল না।
” পিয়াসী, ওয়াশরুমের নাকি তুমি?”
” হ্যাঁ, কিছু বলবে?’
” একটু বাইরে যাচ্ছি, তুমি সকালের নাস্তা তৈরি করে রেখো। “
” আচ্ছা। “
হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম। মোবাইল নিয়ে সন্দেহ করেনি, ওকে কিছু বুঝতে দিলে চলবে না। মোমেনার মা সেদিন ওকে চৈতীর ঘরে যেতে দেখেছিল। মিথ্যা বলে উনার কি লাভ
ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে মোবাইলটা জায়গামতো রেখে দিলাম। সকালের নাস্তা বানাতে হবে।
রান্না প্রায় শেষের দিকে, খুব বেশি কিছু তৈরি করতে যাইনি। গরম ভাত, সবজি আর ডাল। ঘরে ডিম নেই, থাকলে ডিম ভাজা যেত। সহজ রান্না!
“পিয়াসী খেতে দাও, অনেক বেলা হয়েছে। “
” রান্না শেষ। কখন থেকে বসে আছি, তোমারই তো খোঁজ নেই। “
” কাজে আটকে গেছিলাম। এখন আবার থানায় যেতে হবে। রাতুল অপেক্ষা করছে। “
” আচ্ছা। “
খাওয়া শেষে সোহাগ রাতুলের সাথে বেরিয়ে গেল। কিছু ভালো লাগছে না, কোন উপায় খুঁজে পাচ্ছি না। চৈতীর খু’নিকে ধরতে হবে, যদিও এটা পুলিশের কাজ।
ভাবনা এলোমেলো হয়ে গেছে। গল্পের বই পড়লে হয়তো চিন্তা দূর হতো। বুকশেলফ থেকে গল্পের বই বের করে পড়তে আরম্ভ করলাম। গোয়েন্দা গল্প।
বই পড়তে পড়তে মাথায় এলো চৈতীর ঘর তল্লাশির কথা। হ্যাঁ, ঠিকই তো। ঘর খুঁজলে কিছু না কিছু পাওয়া যাবে।
ভাবনা অনুযায়ী পা টিপে টিপে চৈতীর ঘরের দিকে হাঁটা ধরলাম। ঘর তালা দেওয়া, এটা নিশ্চয়ই পুলিশের কাজ। আশাহত হয়ে ঘরে ফিরে এলাম। বই পড়তে ইচ্ছে করছে না। মোবাইল হাত নিয়ে সোহিনীকে কল দিলাম। দু’বার রিং হওয়ার পরে কল রিসিভ করলো।
” কি খবর ভাবী?”
” আর খবর! তুমি যাওয়ার পরে অনেক কিছু ঘটে গেছে। পাশের বাসার এক ভাবীর খু’ ন হয়েছে। পুলিশ আমাদের সন্দেহ করছে। বিরাট ঝামেলা। ”
” জানি, ভাইয়া বলেছে। তার আগে তোমার কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। তোমার সাথে একটা অন্যায় করে ফেলেছি। “
” আমার সাথে আবার কি অন্যায় করলে?”
” তোমার কি’ড’ন্যা’প। সরি ভাবি। “
” মানে কি?”
” সে বিশাল কাহিনী। তুমি তো জানো, কতদিন ধরে মৃদুলের সাথে রিলেশনে আছি। কিন্তু ও আমায় ধোঁকা দিয়েছে। আমায় ছেড়ে মা-বাবার পছন্দের মেয়েকে বিয়ে করেছে। “
” বুঝতে পারছি অনেকটা। “
” ঠিক ধরেছো। মৃদুল আমায় কিডন্যাপ করার প্লান করেছিলো। ওর কাছের বন্ধু সুজন আমায় কথাটা জানিয়েছিল। “
” সুজন ওর বন্ধুকে রেখে তোমায় সাহায্য করলো কেন?”
” কারণ মৃদুলের পাত্রী সুজনের গার্লফ্রেন্ড। বেশ কয়েক বছরের রিলেশন কিন্তু মেয়েটা টাকার জন্য ছেলেটাকে ধোঁকা দিয়েছে। সে-ই রাগ থেকে সুজন আমায় সাহায্য করেছে। সুজনের উদ্দেশ্য ছিল মৃদুলের বিয়ে ভেঙে দেওয়া। “
” তারপর?”
” অনেক ভেবে পরিকল্পনা করলাম আমার পরিবর্তে তোমায় কিডন্যাপ করাবো। সেজন্য ওইদিন তোমাদের বাড়িতে আসি। কথা ছিল পরেরদিন ফিরে যাব। মৃদুলও এ কথা জানতো। তারপর তো বুঝতেই পারছো। “
” হ্যাঁ বুঝলাম। তবে যে ছেলে তোমায় এভাবে ধোঁকা দিয়েছে তার জন্য এতোকিছু করতে গেলে কেন?”
” শিক্ষা দিতে, আমি কখনো ওকে বিয়ে করতাম না। “
” মজার ব্যাপার কি জানো? সুজন ওই মেয়েকে নিয়ে মৃদুলের বাড়িতে গিয়েছিল। মেয়ের পরিচয় দিয়েছিলো খালাতো বোন। আর এখন হা হা।”
” সুজন কেন ওই মেয়েকে নিয়ে মৃদুলের বাড়িতে যাবে?”
” মৃদুল ওকে দাওয়াত করেছিলো। গার্লফ্রেন্ড নিয়ে ফাও খেতে গিয়ে ঝামেলা হয়ে গেছে। “
” মৃদুল সুজনের প্রেমের ব্যাপারে কিছু জানতো না?”
” হয়তো জানে না, আর জানলেও গুরুত্ব দেয়নি। মেয়ের রূপে পাগল হয়ে গিয়েছে বোধহয়। “
” আমাকে বলে নিলেই পারতে, ওইদিন যদি আমি না যেতাম তাহলে কি হতো?”
” জানি না। ভাইয়াকে বলেছিলাম তোমায় বাপের বাড়ি পাঠাতে। পরিকল্পনা সফল হয়েছে এতেই খুশি। অতো আটঘাট বেঁধে পরিকল্পনা করিনি বাপু। “
” মৃদুলের কি খবর?”
” বেচারা মা-বাবার চাপে আছে। বেশ ভালো লাগছে। কয়েক মিনিট আগে কল দিয়েছিল, রিসিভ করিনি। “
” আচ্ছা, পরে কথা হবে। এখন রাখছি। “
সোহিনী কল কেটে দিলো। কি সা’ঙ্ঘা’তি’ক মেয়ে রে বাবা! এজন্য ও-ই দিন বাড়ি ফিরে যাওয়ার জন্য ওতো ব্যস্ততা দেখালো। মৃদুল নিজেকে যতটা বুদ্ধিমান মনে করে আসলে ততোটাই বলদ।
গ্যালারি ঘেঁটে পুরনো ছবি দেখতে লাগলাম। সোহাগের সাথে কত সুন্দর সময় কাটিয়েছি। মুহুর্তগুলো ফ্রেম বন্দী হয়ে আছে। ছবিগুলো দেখলে সেই সময়ের কথা মনে পড়ে, সে-ই হাসির মুহুর্তগুলো। নিজের অজান্তেই ঠোঁটে কোণে হাসি ফুটে উঠলো। খুশি মনে ছবি দেখতে লাগলাম। হঠাৎ একটা ছবিতে চোখ আটকে গেল। সোহাগের ফেসবুক আইডির পাসওয়ার্ড! লগইন করার সময় স্ক্রিনশট নিয়ে রেখেছিল। বারবার পাসওয়ার্ড ভুলে যেত বিধায় এ বুদ্ধি করেছিল। পরে আবার কি মনে করে আমার আইডিতে সেন্ড করে রেখেছিল। বছর খানেক আগের কথা, তখন দু’জনের মাঝে লুকোচুরি ছিল না। ভালোবাসার মাঝে অদৃশ্য দেওয়াল তৈরি হয়নি।
দেরি না করে আইডি লগইন করলাম, একটু ভয় হতে লাগলো যদি বুঝে ফেলে। কিন্তু কিছু করার নেই। অনেক খুঁজে রাতুলের আইডির পেলাম। দু’জনের মাঝে অনেক কথা হয়েছে। বেশিরভাগ কথা হয়েছে ভয়েস ম্যাসেজ এ, ভিডিও কলে, টেক্সট নেই বললে চলে। ভয়েস ম্যাসেজগুলে শুনতে আরম্ভ করলাম। নানা রকমের কথা বলেছে দু’জনে।
শেষ পর্যন্ত কাজের কিছু পেলাম।
রাতুল সোহাগকে বলছে, ” দোস্ত তুই জাস্ট প্রেমের অভিনয় করবি। ও আমায় ভালোবাসে কি-না জানতে হবে। বুঝতেই তো পারছিস কত টাকার ব্যাপার। “
” দেখ পিয়াসী জানলে অনেক প্রবলেম হবে। তাছাড়া তুই নিজেও তো চৈতীর সাথে কথা বলতে পারিস।”
” বিষয়টা বুঝতে পারছিস না। আচ্ছা এর জন্য তোকে পারিশ্রমিক দেবো। “
” কি বলিস?”
” হ্যাঁ। সম্পূর্ণ কাজ করতে পারলে তোকে এক লাখ টাকা দেবো। “
” না রে, কাজটা ঠিক হবে না। “
” দেখ ভাই। বিয়ের পরেই বিদেশে চলে এসেছি। চৈতীর উপর ভালোবাসা দেখাতে গিয়ে সমস্ত উপার্জনের অর্থ চৈতীর নামে ব্যাংকে জমা করেছি। একটা বাড়ি কিনেছি তা-ও চৈতীর নামে। ও আমায় ভালোবাসলে সমস্যা ছিল না। কিন্তু আজ-কাল ওর হাবভাব বদলে গেছে। আগের মতো কথা বলছে না, কল দিলে ব্যস্ত। সবকিছু মিলিয়ে পা’গ’ল হয়ে যাব। “
” তবুও কাজটা কি ঠিক হবে?”
” দেখ চৈতী আমায় ভালোবাসলে তোর ডাকে সাড়া দিবে না। কখনোই রাজি হবে না। আমি শুধু এটুকু জানতে চাই। তুই ছোট বেলার বন্ধু, তোকে বিশ্বাস করি বিধায় বললাম। “
” ভেবে বলবো। মন সাড়া দিচ্ছে না। “
এরপর তেমন ভয়েস ম্যাসেজ নেই। যা আছে সেগুলো সাধারণ কথা। যা কথা হয়েছে ভিডিও কলে। সোহাগ টাকার লোভে চৈতীর সঙ্গে প্রেমের অভিনয় করতে গেছিলো। অবশ্য শুধুমাত্র টাকা বা বন্ধুর কথায় এমন করেনি। চৈতীর মতো সুন্দরী মেয়ে কাছাকাছি থাকতে পারবে। এদিকে আমি সন্দেহ করলে রাতুলের অযুহাত দিবে। সবকিছু মিলে সোহাগের বেশ লাভ হয়েছে।
তবে সোহাগ মিথ্যা কথা বলেনি, রাতুল ওকে চৈতীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়াতে বলেছিল। সোহাগের চৈতীর উপর দূর্বলতা ছিল না জানার উপায় নেই।ওর কাছে জানতে চাইলে নিশ্চয়ই অস্বীকার করবে। চৈতীর সঙ্গে যেসব কথা হয়েছে সবকিছু ডিলেট করে দিয়েছে, থাকলে বুঝতে পারতাম কি কথা হতো দু’জনের। গল্প পড়ে একটা বুদ্ধি মাথায় এসেছে।
রান্নাঘরে গিয়ে যত্নসহকারে নুডলস রান্না করলাম। একটা বাটিতে সুন্দরভাবে পরিবেশন করে নিলাম। বাড়িওয়ালার কাছে যাব, লোকটার হাবভাব ভালো লাগছে না। পুলিশের সাথে মিলে কোন কারসাজি করছে নাকি জানতে হবে।
পিয়াস সাহেব দোতলার ফ্লাটে থাকে, নিজের জন্য বাড়ির সব থেকে ভালো ফ্লাটটা রেখেছেন। ঘরের দক্ষিণ দিকে জানালা, বেশি উপরে হলে সিঁড়ি বেয়ে উঠতে কষ্ট হবে।
” কাকু ঘরে আছেন?”
” হ্যাঁ, কে এসেছে? “
” আমি পিয়াসী, সোহাগের বউ। “
” আমার কাছে কি দরকার?”
” কথা ছিল, দরজাটা একটু খুলবেন?”
মিনিট পাঁচেক পর দরজা খুলে দিল। উনার দিকে নুডলসের বাটিটা এগিয়ে দিয়ে বললাম, ” আপনার জন্য বানিয়ে আনলাম। “
” আচ্ছা, ধন্যবাদ। “
” কাকু খবর জানেন? পুলিশ নাকি চৈতীর ঘরে আপনার ঘড়ি পেয়েছে। সোহাগ থানায় গেছিলো ও-ই বললো। “
” আমার হাতের দিকে তাকিয়ে দেখো তো, চোখ দু’টো দিয়ে একটু তাকিয়ে দেখো। যত্তসব বাজে কথা। চৈতীর ঘরে মাসের ভিতর একবারই যেতাম তাও ভাড়া আনতে। “
” কি জানি অন্য কারো ঘড়ি হবে হয়তো!”
” শোনো মেয়ে এসব বাজে কথা অন্য কাউকে বলবে, আমায় এসব শোনাতে আসবে না। আমার হয়েছে যত্ত জ্বালা! এখন বিদায় হও দেখি। “
” আহা রেগে যাচ্ছেন কেন? মজা করলাম। “
” তোমার স্বামীর সঙ্গে চৈতীর ল’ট’রপ’ট’র ছিল। বাড়ির অন্য ভাড়াটিয়ারা সাক্ষী আছে। দেখো গিয়ে সে-ই খু’ন করেছে। “
” দেখছেন কাকু আমার কপালডা কেমন! স্বামী অন্য মেয়ের সাথে… ছি ছি ছি….! বলতে গেলেও ম’রে যেতে ইচ্ছে করে। “
” এতো ঢং করতে হবে না। তুমিও খু’ন করতে পারো। আজকালকার লোকজন বিশ্বাস করা খুব কঠিন কাজ। “
মুখ বেঁকিয়ে চলে এলাম। লোকটা কেমন ঝাঁঝালো টাইপ, খিটখিটে স্বভাব। উনাকে কথার জালে ফাঁসিয়ে চাবি হাসিল করা সহজ ব্যাপার না। পুলিশ ঘরে তালা দিয়ে গেলেও উনার কাছে চাবি থাকতে পারতো। ওসি সাহেবের সাথে উনার কত্ত ভাব, একদম গলায় গলায়!
দুপুর হতে চললো সোহাগ এখনও ফেরেনি। একবার কল দিয়ে খবর নিলে ভালো হতো। যেই ভাবা সেই কাজ। মোবাইল নিয়ে সোহাগকে কল দিলাম। প্রথমবার কল কেটে গেল। দ্বিতীয়বার কল রিসিভ করে বললো,
” এইতো প্রায় চলে এসেছি। দুশ্চিন্তা করতে হবে না। “
” আচ্ছা। তাড়াতাড়ি আসো। “
” আসছি। “
আমার চোখের পাতা ভারী হয়ে আসছে। খুব ঘুম পাচ্ছে। বিছানায় পিঠ এলিয়ে দিলাম।
” ভর দুপুরে পড়ে পড়ে ঘুমাচ্ছ কেন?”
” কি জানি হঠাৎ ঘুম চলে এসেছিল। থানায় কি হলো? ওসি সাহেব কি বললেন?”
” তেমন কিছু না, এক কাপ চা খাইয়ে ঘন্টা দুয়েক বসিয়ে রাখলো। তারপর রাতুলের পাসপোর্ট, ভিসা এসব দেখতে চাইলো। “
” তারপর?”
” তারপর আর কি! রাতুল খু’নের রাতে কোথায় ছিল, কেন সকালে দেশে ফেরার পরেও স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে আসেনি। রাতুলের আসার খবর চৈতী জানতো কিনা, এসব। “
” তোমাকে কিছু জিজ্ঞেস করেনি?”
” ওই আমাদের ভিতর সম্পর্ক কেমন ছিল, শারিরীক সম্পর্ক হয়েছে কিনা ইত্যাদি ইত্যাদি। বিরক্তিকর প্রশ্ন! ওইদিন সোহিনী সঙ্গে মা-বাবার কাছে গেলেই বেশি ভালো হতো। “
” তোমাকে তো বলাই হয়নি, আমার কিডন্যাপ সোহিনীর করিয়েছিল। “
” মানে কি?”
সোহাগকে সবকিছু খুলে বললাম। সবকিছু শুনপ হো হো করে হেসে উঠলো। হাসতে হাসতে বললো, ” এজন্য বারবার বলছিল ভাবী যেন কালকেই উনার মা-বাবার সাথে দেখা করতে যায়। সকাল সকাল পাঠাবি, ভাবিকে বোরকা হিজাব পরতে বলবি। কত কি!”
” তোমার বোনের মাথায় এতো বুদ্ধি! “
” দেখতে হবে না বোনটা কার! সবকিছু এমনভাবে পরিকল্পনা করবে যেন সাপও ম”রে আর লাঠিও না ভাঙে। মাঝখান থেকে খেলা মাত করে দিবে। কেউ চাইলেও কিছু বুঝতে পারবে না।”
শান্ত চোখে ওর দিকে তাকিয়ে রইলাম। চৈতীর খু”ন ওর কোন হাত নেই তো?
চলবে