মেঘের দেশে প্রেমের বাড়ি
লেখনীতে- নৌশিন আহমেদ রোদেলা
|৮|
সকালে তরুর ঘুম ভাঙলো সরবের উচ্চস্বরে পড়ার আওয়াজে। সরব তারস্বরে বাংলা সাহিত্য আওড়াচ্ছে। সে আওয়াজ ঝিম ধরা বাড়িতে ভোর ভোর সুগন্ধি ছড়িয়ে তরুর বন্ধ ঘরের দরজায় এসে কড়া নাড়ছে। সরব পড়ছে, ‘কিন্তু সেজন্য তাহার শাশুড়ীকে সম্পূর্ণ দোষ দেওয়া যায় না। শরীরের প্রতি সে অত্যন্ত অবহেলা করিতো। কার্তিক মাসের হিমের সময় সমস্ত রাত মাথার দরজা খোলা। শীতে গায়ে কাপড় নাই।’
তরু কান খাঁড়া করে শুনছিলো। সরব একটু থামতেই রান্নাঘর থেকে শাশুড়ী মায়ের উচ্চ কণ্ঠে তাড়া এলো। শাসন এলো। তরু চোখ ফিরিয়ে মাথার কাছের জানালার দিকে চাইলো। সরবের নিরুপমার মতো তরুও মাথার কাছের জানালাটা খোলে রেখেছিলো সারাটা রাত। মাহবুব সেটা হুড়কো তুলে বন্ধ করে দিয়েছে। কখন বন্ধ করেছে তরু জানে না। হয়তো ভোর বেলায়। তরু বন্ধ জানালার দিকেই স্থির চেয়ে রইলো। কাঠের জানালার সূক্ষ্ম ফাঁক গলে সরু রোদের রেখা আসছে। তরু হাত বাড়িয়ে রোদ ছুঁলো। তার জীবনটাও কী কাঠের জানালার মতোই হুড়কো তোলে বন্ধ করে দিলো কেউ? বিয়ে মানে কী বন্ধ জানালা? যে জানালায় সরু রৌদ্র রেখা মানেই স্বামী, সন্তান। বাকি সব অন্ধকার, অন্ধকার, অন্ধকার? তরু বিছানায় পা ঝুলিয়ে বসে। অবিন্যস্ত লম্বা চুল ছড়িয়ে থাকে পুরো বিছানাজুড়ে। তরু টের পায় গায়ে তার নতুন ব্যথা। হোক ব্যথা। তরু শরীরকে পরোয়া করে না। শরীর তো নিছক ছায়া মাত্র। আসল ব্যাপারটা তো মন। মাহবুব শরীর ছুঁয়ে গেলো, যাক। শরীর দিয়ে কী হয়; যদি মন না ছোঁয়া যায়? এই পৃথিবীতে তরুর কারো প্রতিই অভিমান নেই। রাগ নেই। তার সকল অভিমান টোপলা বেঁধে ধরিয়ে দিয়েছে মাহবুবের কাঁধে। তার এই জনমের সকল অভিমান কেবল মাহবুবের প্রতি। এই অভিমান তরু বয়ে বেড়াবে নিজের মতোন। যতদিন মাহবুব নিজ থেকে না আসবে। সেই তুলোর মতো মেঘের দেশ পেরিয়ে প্রেমের বাড়ির স্তব্ধ কড়া না নাড়বে। ততদিন তরু থাকবে দেওয়ালের ওপারে। তরুকে পাওয়া কী এতোই সহজ? পেলেই কী পাওয়া হয়? পাওয়ার পরও পাওয়া আছে। সব পাওয়া তো পাওয়া নয়।
‘ আমার ভাঙ্গা ঘরে ভাঙ্গা চালা ভাঙ্গা বেড়ার ফাঁকে,
অবাক জোছনা ঢুইকা পরে হাত বাড়াইয়া ডাকে।
হাত ইশারায় ডাকে কিন্তু মুখে বলে না,
আমার কাছে আইলে বন্ধু আমারে পাইবা না।’
মাহবুবদের আঙিনায় ছায়া ছায়া রোদ্দুর। তরু তার ভেজা দীর্ঘ চুল পিঠে এলিয়ে আঙিনায় এসে দাঁড়ালো। হাতে ঝকঝকে চায়ের কাপ। মেহেদী গাছের ডালে এক ঝাঁক বুলবুলি রব তুলেছে। কিচকিচ শব্দে ঝুমঝুম করছে নিঝুম বাড়ির হাওয়া। তরু গাছের তলায় দাঁড়িয়ে পাখি দেখছিলো। হঠাৎ কোথা থেকে উল্টো এক মাথা এসে নামলো তরুর সামনে। শুধালো,
‘ ভাবী, পেয়ারা খাবা?’
তরু চমকালো না। বরং অবাক হয়ে বললো,
‘ তুমি এখনও হিমালয়ে যাওনি? আমি তো ভাবলাম এতোক্ষণে ময়মনসিংহের বর্ডার ক্রস।’
সরব মাথা উঠিয়ে গাছের ডালে পা ঝুলিয়ে বসলো। বিমর্ষ কণ্ঠে বললো,
‘ যাবো কী করে? সকালে ঘুম থেকেই উঠেছি আম্মুর থাপ্পড় খেয়ে। কাল রাতে ঘুমিয়েই হয়েছে বিপদ। না ঘুমোলেই একটা না একটা ব্যবস্থা হয়ে যেতো। সকালে উঠে দেখতে সরব নাই। ফুসসস!’
তরু চোখ-মুখ গম্ভীর করে দুঃখ প্রকাশ করলো,
‘ অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা।’
সরব গাছের ডাল থেকে মাথা ঝুঁকিয়ে ফিসফিসিয়ে শুধালো,
‘ ভাবী তোমাদের প্রেমের কী খবর? প্রেম হয়েছে?’
তরু দীর্ঘশ্বাস ফেললো। ঝকঝকে চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে বললো,
‘ ধুর বোকা! প্রেম কী এতোই সোজা?’
সরব গাছের ডালে থুতনি ঠেকিয়ে হতাশ কণ্ঠে বললো,
‘ তোমার এত্তো লম্বা চুল। তবু ভাইয়া তোমার প্রেমে পড়লো না?’
‘ লম্বা চুল থাকলেই যে প্রেম হয়ে যাবে এমন কোনো ব্যাপার নেই। প্রেম হলো কাব্যিক বিষয়। তোমার ভাইয়ার মতো গরু টাইপ মানুষের মধ্যে কাব্য টাব্য ঢুকানো কঠিন।’
সরব উৎসুক হয়ে বললো,
‘ তাহলে ভাইয়ার মধ্যে কাব্য ঢুকানোর ব্যবস্থা করা যাক। কাব্য ঢুকানোর প্রথম ব্যবস্থা হলো, চিঠি। ছোটবেলায় দেখেছি বড়ো বড়ো ছেলেরা চিঠি লিখে আমাদের দিয়ে চিঠি পাঠাতো। তুমিও চিঠি লেখো। ভাইয়ার কাছে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব আমার।’
ঠিক তখনই ভারী গেট খুলে ভেতরে এলো ঘর্মাক্ত মাহবুব। হাতে বাজারের ব্যাগ। গায়ের হালকা গোলাপী শার্টটা জবজব করছে ঘামে। মাহবুবের গায়ের শার্টটা দেখেই তীক্ষ্ণ চোখে চাইলো তরু। এই বেত্তমিজ পুরুষ সব রেখে তরুর গায়ের শার্টটাই পরেছে। তরু জানে, তরুকে খোঁচাতে ইচ্ছে করেই পরেছে। তরু দীর্ঘশ্বাস ফেললো। গেটের দিকে একবার চেয়ে বললো,
‘ তোমার ভাই ওসব চিঠি ফিটির স্টেজ টপকে একেবারে আপার স্টেজে উঠে বসে আছে। তৃণভোজী বাঘ মাংসাশী হতে পারে। কিন্তু মাংসাশী বাঘ তৃণভোজী হতে পারে না। তোমার ভাইয়ার হয়েছে সেই দশা। সে এখন মাংসাশী লেভেলে আছে। তার কাছে এসব চিঠিপত্র লাগবে ঘাসের মতোন। চিঠিপত্র দিয়ে তাকে প্রেম ফেলা যাবে না।’
তরু- সরব দু’জনেই হতাশ চোখে বাজারের ব্যাগ হাতে এগিয়ে আসা মাহবুবের দিকে চেয়ে রইলো। মাহবুবের ঘেমে নেয়ে যাওয়া মায়া মায়া মুখটির দিকে চেয়ে তরুর প্রেম প্রেম মনটা প্রেমের সাগরে ডুবে গেলো। ইশ, তার পুরুষটা! তরুর ইচ্ছে হলো ওড়নার আঁচল দিয়ে মাহবুবের কপালের ঘাম মুছে দিতে। কিন্তু তরু এখন দেওয়ালের ওপারের মানুষ। মাহবুব নিজ চেষ্টায় সে দেওয়াল পেরুতে না পারলে এসব হাবুডুবু ডুবুহাবু কোনটাই সম্ভব না। তরু চায়ের কাপ হাতে চোখ-মুখ গম্ভীর করে দাঁড়িয়ে রইলো। মাহবুব পেয়ারা গাছের কাছাকাছি এসে ভ্রু কুঁচকে সরবের দিকে চাইলো,
‘ কী ব্যাপার? আজ তোর স্কুল নেই? স্কুলে যাসনি কেন?’
সরব ভাইয়ের প্রশ্ন শোনামাত্র তরতর করে মগডালে উঠে গেলো। মুখ ভার করে বললো,
‘ ভাবী এসেছে। আজ স্কুলে যাবো না।’
তরু মুগ্ধ চোখে মাহবুবের দিকে চেয়ে আছে। মাহবুবের থেকেও সুপুরুষ তরুর বন্ধুমহলে আছে। কবি কবি ছেলে থেকে শুরু করে উশৃঙ্খল প্রেমিক কে নেই তার পরিচিত মহলে? তবুও সবাইকে ছাপিয়ে তরুর এই ঘর্মাক্ত পুরুষটাকেই ভালো লাগছে। তার দিকে তাকিয়ে থাকতে ভালো লাগছে। অথচ এই পুরুষটাকে দেখো! মাহবুব হাতের ব্যাগটা তরুর দিকে এগিয়ে দিয়ে বললো,
‘ ভাবীর সাথে স্কুলের কী সম্পর্ক?’
সরব উত্তর না দিয়ে মুখ ভার করে চেয়ে রইলো। মাহবুব বললো,
‘ তোর ভাবী সারাজীবনই এখানে থাকবে। তারমানে তুই সারাজীবনই স্কুল, কলেজে যাবি না?’
সরব ভাইয়ের কথার উত্তর দিলো না। সে ভাবীর দিকে চেয়ে বললো,
‘ ভাবী আজ স্কুলে যাবো না।’
সরব বুদ্ধিমান। সে এটুকু বুঝেছে, ভাবির থেকে সম্মতিবাক্য নেওয়া গেলে ভাইয়ার থেকে চড়-থাপ্পড় খাওয়ার সম্ভবনা কম। ভাইয়া কিছু বলবে না। মাহবুব তরুর দিকে চাইলো। একদম সাধারণ চাহনি। অথচ তরু মনে মনে চমকে উঠলো৷ বুকের ভেতরে অসীমে গিয়ে ঠেকা সেই পুরনো ভূমিকম্প। মাহবুব হাত বাড়িয়ে তরুর হাতের চায়ের কাপটা নিয়ে বললো,
‘ তোর ভাবীরই তো ক্লাস আছে। তুমি আজ ভার্সিটি যাবে না, তরু?’
‘তরু’, কী স্নিগ্ধ ডাক মাহবুবের। এই স্নিগ্ধ ডাক আর এতো এতো অভিমানের দেওয়াল উপেক্ষা করে তরু কী করে বলবে? আজ তার বর এসেছে। বর রেখে ভার্সিটি যেতে ইচ্ছে করছে না? তরু তীক্ষ্ণ চোখে মাহবুবের দিকে চাইলো। মাহবুব চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে নিষ্পাপ চোখে তার দিকে চেয়ে আছে। এইযে, একটু আগে যেভাবে তাকালো! উফ! তরুর প্রেমের পারদে দাউদাউ করে আগুন লেগে যাচ্ছে। তরু মাহবুবকে মনে মনে সহস্রবার গরু বলে ভর্ৎসনা করে ব্যাগ হাতে আঙিনা পেরিয়ে ঘরে ঢুকে গেলো। শাশুড়ী মাকে ভার্সিটির কথা বলতেই তিনি ব্যস্ত হয়ে বললেন,
‘ সেকি! আমার তো খেয়ালই ছিলো না। দেরি হয়ে গেলো বোধহয়। যাও যাও তৈরী হয়ে নাও। মাহবুব মোটরসাইকেল করে দিয়ে এলে বেশি সময় লাগবে না।’
মাহবুবের সাথে তরুর দ্বিতীয়বারের মতো দেখা হলো ড্রেসিং টেবিলের সামনে। তরু তার ভেজা লম্বা চুল নিয়ে বিপদে পড়েছে। মাহবুব তার পেছনে দাঁড়িয়েই ঘড়ি পরছে। তরু চুলে চিরুনি চালাতে চালাতে গুনগুন করলো,
‘ রূপ দেখিলাম রে নয়নে,
আপনার রূপ দেখিলাম রে।
চন্দ্র সূর্য নাহি হয় রে
ঐ রূপের সমান।
সেই রূপ দেখিয়া আমার
বাঁচেনা পরান…’
স্পষ্ট মাহবুবকে খোঁচা মারার চেষ্টা। মাহবুব ঘড়ি পরতে পরতেই আড়চোখে চাইলো। তরু পুরো ব্যাপারটাকে না বুঝার ভান করে কাঁধ বেয়ে নেমে যাওয়া চুলগুলোকে ছুঁড়ে দিলো পেছনে। মাহবুব তৎক্ষনাৎ মাথা উঁচু করে দাঁড়ালেও মুখ, গলা ভিজে গেলো ভেজা চুলের ছোঁয়ায়। তরু বাঁকা চোখে চেয়ে বললো,
‘ এইযে ভদ্রলোক? ফ্রীতে তো করে ফেললে বিয়ে। এতোই যদি হেয়ার ড্রায়ার কিনে দেওয়ার ভয়। তবে খুঁজে খুঁজে লম্বা চুলের মেয়ে বিয়ে করার ব্যাপারটা কী?’
মাহবুব উত্তর দিলো না। তরুর ওড়নার আঁচল দিয়ে মুখ, গলা মুছে আয়নায় তাকালো। বললো,
‘ তোমার হাইটটা দারুণ। ৫’৬”?’
তরুর মেজাজ খারাপ হয়ে গেলো। হাসি হাসিমুখে মাহবুবের দিকে চেয়ে রইলো,
‘ শুধু হাইট? আর কিছু দারুণ না?’
‘ কালকের শার্টটা খুলে রেখেছি তোমার জন্য। তুমি রাতে সেটা আবারও পরতে পারো।’
অত্যন্ত নরম, ভদ্র ও বিনয়ী কণ্ঠে কথাটা শেষ করলো মাহবুব। এতো বিনয়ী স্বরে পৃথিবীর সবথেকে ফালতু কথা শুনে তরুর ঠোঁটের হাসি বিস্তৃত হলো। তরু কখনো রেগে যায় না। কিন্তু আজ তার রাগে-দুঃখে সজলের মাথা কেটে ছাগলকে খাওয়াতে ইচ্ছে হলো। সজল এমন এক লোককে কী করে সহজ-সরল, ভদ্র বাচ্চাটা বলতে পারলো? বেয়াদব!
বাইকে মাহবুবের পেছনে খুব গম্ভীর হয়ে বসলো তরু। সে এইমাত্র সিদ্ধান্ত নিয়েছে মাহবুবের সাথে সে কোনোরকম কথাবার্তা বলবে না। বিয়ের পর থেকে তার মাথা কেমন এলোমেলো হয়ে গিয়েছে। নিজের ক্যারেক্টারকেই সে চিনে উঠতে পারছে না। বিয়ের সাইডএফেক্ট এতো ভয়াবহ হবে জানলে সে কক্ষনো মাহবুবকে বিয়ে করতো না। চোখ-মুখ শক্ত করে বসে থাকা তরু মাহবুবের কাঁধেও হাত রাখলো না। মাহবুব বললো,
‘ চুল ঠিক করে বসো, চাকায় ঢুকে যাবে।’
‘ পারবো না।’
মাহবুব কোনো প্রত্যুত্তর করলো না। গাড়ি থামিয়ে নিজেই চুলগুলো টেনে তরুর কোলের উপর রাখলো। নিজের হ্যালমেটটা তরুর মাথায় পরিয়ে দিয়ে বাইক স্টার্ট দিলো। একেবারে তরুর ডিপার্টমেন্টের সামনে গিয়ে বাইক থামালো মাহবুব।
সুন্দরী মেয়েদের পুরুষ বন্ধুরা সর্বদাই একটা প্রেমিক প্রেমিক আবহ নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। তাদের চোখে-মুখে দেবদাস দেবদাস লক্ষ্মণ থাকে। তাদের কথায় কাজে সেই প্রেম গলে গলে পড়ে। তরুর ক্ষেত্রে সেই পরিসরটা আরো একটু বৃহৎ। তরু লাস্যময়ী রমণী। চালচলনে সপ্রতিভ। সিনিয়র, জুনিয়র থেকে শুরু করে সকল পুরুষই তাকে মন দিতে আগ্রহী। তরুর জন্য প্রেমে গদগদ তাদের হৃদয়। তরু তাদের হাতে ধরা না দিলেও, প্রেমে ডুবে যাওয়া প্রত্যেক পুরুষের দিকেই মোহনিয়া চোখে তাকায়। সেই মোহনিয়া তরু কোনো এক পুরুষের পেছনে বসে ডিপার্টমেন্টে এসেছে তা চৈত্রের দুপুরে ঘটে যাওয়া সবথেকে মর্মান্তিক ঘটনা। তরু পুরুষ জাতির হৃদয় দলিত করে বাইক থেকে নেমে দাঁড়ালো। মাহবুব শুধালো,
‘ তোমার ক্লাস কয়টায় শেষ?’
‘ আমার আজ ক্লাস নেই।’
মাহবুব এবার সত্যি সত্যিই অবাক হলো। হতভম্ব চোখে চেয়ে রইলো অনেকটাক্ষণ,
‘ তাহলে আসলে কেনো?’
তরু উদাস কণ্ঠে বললো,
‘ স্বামী দেখাতে এনেছি। বিয়েটা যেহেতু ফ্রী। স্বামী দেখানোও ফ্রী ফ্রী।’
তরু হাসি হাসি মুখে গুনগুন করলো,
‘ ও স্বামী, ও আমার স্বামী গো
ভালোবেসে দিলাম এই মন।
তুমি আমার প্রাণের স্বামী
আমি তোমার অর্ধাঙ্গিনী।
তুমি আমার জীবনের জীবন।’
মাহবুব হতভম্ব চোখে চেয়ে রইলো। সে বিশ্বাস করতে পারছে না, তার বউ তাকে সত্যি সত্যিই এই ঢপটা দিলো!
#চলবে….