একটা মুভি বউ ডাউনলোড দিতে বললো। মুভির নাম ছাইয়ারা।
প্রথমে ভাবলাম, মোশারফ করিমের ছাইয়া ছাইয়া নাটকের কাহিনীর মতো কিছু হবে।
বউ বললো, নাহ। এটা হিন্দি মুভি। খুবই নাকি ইমোশনাল।
মুভির শুরুতে নায়িকা বিয়া করার জন্য কোর্টে অপেক্ষা করে। প্রেমিক বলে, তুমি রাস্তা মাপো।
সেই থেকে মাইয়া কান্দে। খাতায় কবিতা লেখে।
নতুন একটা নায়ক আসে। এটাই মেইন হিরো। খুব হ্যানসাম। কাউরে গোনায় ধরে না। গায়ক হতে চায়।
দুজনের সাথে দেখা হয়। প্রেম হয়। সেগস হয়। মাইয়া গান লেখে। পোলা গান গায়।
এর ভিত্রে মাইয়া অজ্ঞান হইয়া যায়। ডাক্তার বলে :
আপনার গাজনি ২.০ রোগ হইছে। আস্তে আস্তে আপনি সবাইকে ভুলে যাবেন। কাউকেই মনে থাকবে না।
কোন সিনেমায় যেন জিত আর শ্রাবন্তীর এরকম কাহিনী ছিলো। মেহজাবিন নিশোরো এমন কী যেন আছে।
এদিকে নায়কের বড় একটা কনসার্টে গান গাওয়ার কথা। নায়িকাও আসে। কিন্তু এই কনসার্টে নায়িকা তার এক্স বফকে দেখে সব ভুলে যায়। এক্স বফকে বলে, লাভ ইউ। এক্স বফ বলে, চলো সেগস করি। ওকে।
ঠিক এই সময়ে নায়ক হাজির হয়। এক্স বফকে মেরে হোতাইয়া ফেলে। নাক মুখ দিয়ে অক্ত বের হয়ে যায়। নায়িকা ছুরি দিয়া নায়ককে কোপ দিয়া বলে, তোর এত বড় সাহস। আমার জানকে মারিস। ভাগ ইহাছে।
এই সিনটা চেনাচেনা লাগছে।
মনে পড়ছে: রিলসে দেখেছিলাম। হল ভর্তি মানুষ টিস্যু হাতে নিয়ে এই দৃশ্য দেখে কানতেছে।
এরপর কী যেন হলো! ওহ। নায়িকা বরফের দেশে চলে যায়। খুঁজে পাওয়া যায় না। নায়ক বড় গায়ক হয়। একদিন নায়িকার সন্ধান পায়। বরফের দেশে গিয়ে নায়িকারে চেষ্টা করে স্মৃতি ফেরানোর। নায়িকা এক সময় চিনতে পারে।
।হ্যাপি এন্ডিং।
এই রোমান্টিক সিনেমা কোটি ভক্তকে কাঁদিয়ে নাকি ২০০ কোটির বেশী কামিয়েছে।
মুভি শেষে, আমি বউকে বললাম, এসব মুভি আমাকে কখনও সাজেস্ট করবা না। আমার সময়ের দাম আছে।