৩৬
#WriterঃMousumi_Akter
বেলকনিতে দাঁড়িতে ডানহাতের তর্জনি কপালে ঘষতে ঘষতে সিগারেট টানছে প্রান্তিক। চোখ দু’টো স্থির হয়ে আছে রজনির দিকে। নাক দিয়ে গলগল করে সিগারেট ধোঁয়া ছাড়ছে আর রজনির দিকে তাকিয়ে আছে। রজনি শুভ্ররঙা শাড়ি পরছে রুমের ভেতর। কিন্তু একা একা শাড়ির কুচি ঠিক করতে পারছেনা।এতদিন যতবার ই শাড়ি পরেছে প্রিয়তা শাড়ির কুঁচি ঠিক করে দিয়েছে। কিন্তু আজ প্রিয়তা নেই শাড়ির কুচি ও ঠিক করতে পারছেনা। প্রান্তিক সিগারেট ফেলে দিয়ে হাত দিয়ে ধোঁয়া সরালো সামনে থেকে।থ্রি কোয়ার্টার এর পকেট থেকে কি একটা চকলেট মুখে পুরে রুমের ভেতর প্রবেশ করল। রুমে প্রবেশ করেই রজনীর সামনে বসে পড়ল হাঁটু গেড়ে।নিজ থেকেই শাড়ির কুঁচি গুলো ধরতে ধরতে বলল,
” ৫ হাত মানুষ এই ১২ হাত শাড়ি পরার দরকার কি?”
“মা বলেছে পুরুষদের সৌন্দর্য্য দিয়ে আটকাতে হয়। শাড়ি পরলে মেয়েদের ভাল দেখা যায়। পুরুষ মানুষ মুগ্ধ হয়। তাই শাড়ি পরছি।”
“আমিতো এমনিই ফিদা তোমার প্রতি। মাথাটা পুরাই নষ্ট করে দিতে চাও নাকি? “
রজনি লজ্জা পেল। চোখে মুখে লাজুকতার ছড়াছড়ি।প্রান্তিক শাড়ির কুচি ঠিক করে উঠে দাঁড়াল।রজনির লজ্জারাঙা মুখের দিকে তাকিয়ে এলেমেলো হয়ে গেল।প্রান্তিক যতবার ই রজনির দিকে তাকায় ততবার ই হারিয়ে যায় অন্য কোনো জগৎ এ। রজনির চোখের দিকে তাকিয়ে প্রান্তিক উঠে দাঁড়াল।হঠাৎ রজনির পেটের প্রান্তিকের হাতের স্পর্শ পেতেই রজনির শরীর শিউরে উঠল।সে কেঁপে উঠল।খেয়াল করল প্রান্তিকের হাত তার পেটে।রজনি প্রান্তিকের হাত ধরে জড়ানো কন্ঠে বলল, ” কি করছেন?”
প্রান্তিক রজনির চোখে চোখ রেখে বলল,
“শাড়ির কুচি গুজে দিই।”
“না, আমি গুজে নিচ্ছি।ছাড়ুন।”
প্রান্তিক শাড়ির কুচি রজনির হাতে ছেড়ে দিয়ে রজনির মুখের দিকে ঝুঁকে গিয়ে বলল,
” তুমি চাইলে আমি এখনি তোমার বেবির বাবা হতে রাজি আছি। আর তুমি কীনা এখনো এত লজ্জা পাও। “
রজনি শাড়ির কুচি ঠিক করে নিয়ে বলল, ” অসভ্য কথা।”
“শোনো হানিমুন থেকে ফিরে কিন্তু সবাইকে সুসংবাদ দিতে চাই। ওখানে গিয়ে কোনো লজ্জা আমি শুনব না।”
প্রান্তিকের কথা শুনে রজনি আরো বেশী লজ্জা পেয়ে গেল।খুব বেশী লজ্জা পেয়ে কি বলবে বুঝতে না পেরে বলল,
” আমি কিন্তু তাহলে যাব না এসব বললে।”
“তোমাকে কষ্ট করে যেতে হবেনা।আমি নিয়ে যাবো।আর শোনো পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে যাও কিন্তু।”
“কীসের?”
“যা বললাম। “
“আবার ওইসব বলছেন।”
“হানিমুনে মানুষ কেনো যায়। নিশ্চয়ই রোমান্স করতে যায়। আমিতো আর কোনো আনরোমান্টিক ছেলে নই যে হানিমুনে গিয়ে সমুদ্রের নোনা পানিতে গোসল করে চলে আসব।”
রজনি চোখে কাজল লাগাতে লাগাতে বলল,
“মনে হচ্ছে আপনি একাই হানিমুনে যাচ্ছেন।এর আগে কেউ যায়নি। আমরা যাচ্ছি প্রিয়তার মন ভাল করতে। নিজেরা রোমান্স করতে নয়।”
প্রান্তিক রজনির হাত থেকে কাজল টা নিয়ে বলল,
“এই চোখ আমি না সাজালে সাজ অপূর্ণ থেকে যাবে রজনিগন্ধা।এই চোখের নেশায় আমি হারিয়ে যায় বারেবার।”
মুহুর্তের মাঝে প্রান্তিক কথার টপিক্স ঘুরিয়ে দিল।খুব মনযোগ দিয়ে রজনির চোখে কাজল পরিয়ে দিচ্ছে।রজনি প্রান্তিকের দুই কাধে হাত রেখে প্রান্তিকের মুখের দিকে তাকিয়ে আছে।ছেলে মানুষ কাউকে ভালবাসলে তার সব বিষয়ে কত বেশী যত্নবান হয় সেটা প্রান্তিক কে দেখলেই বোঝা যায়। প্রেয়সীর চোখের কাজল থেকে শাড়ির কুচি সব জায়গা যত্নের কমতি নেই। কাজল পরানো শেষ করে প্রান্তিক রজনির চোখে মুখ দিয়ে হালকা ফু দিয়ে বলল,
“আমি তোমার চোখের কাজল হতে চাই প্রিয়তমা।সারাক্ষণ ওই নেশা ভরা চোখে লেগে থাকতে চাই।”
রজনি আবার ও লজ্জা পেল। প্রান্তিকের বুকে মুখ লুকালো।কোনো কথা বললনা।শক্তভাবে প্রান্তিক কে জড়িয়ে ধরল।মাঝে মাঝে কথা না বলেও নিজের সমস্ত অনুভূতি প্রকাশ করা যায়।প্রান্তিক রজনির মাথায় চুমু দিয়ে বলল, ” এভাবে হাগ দিলে বেসামাল হয়ে যাবো তো রজনীগন্ধ্যা।”
“আপনি আমার এত কাছে আছেন তবুও কেনো এত পরাণ পুড়ছে বলুনতো।”
“এইযে রাগ করে কথা না বলে ছিলে এইজন্য।প্রিয় মানুষের থেকে যতটা দূরে থাকবা তার থেকে দ্বীগুন কাছে আসার টান বাড়ে বুঝলে।এইজন্য মাঝে মাঝে দূরত্ত্বর প্রয়োজন আছে।” কথাটা বলতে বলতেই প্রান্তিকের কাশি শুরু হল।কাশতে কাশতে বুক চেপে ধরল।বুক কেমন ভেঙে চুরে যাচ্ছে প্রান্তিকের।বুকে তীব্র ব্যাথা হচ্ছে।বুক চেপে ধরে বসে পড়ল।প্রান্তিক কে এভাবে অসুস্থ হতে দেখে রজনি ভয় পেয়ে গেল।খুব অস্থির হয়ে উঠল।অস্থির কন্ঠে বার বার জিজ্ঞেস করছে, ” কি হয়েছে আপনার?কোথায় কষ্ট হচ্ছে! বুকে কষ্ট হচ্ছে। পানি দিবো।”
প্রান্তিক হাত ইশারা দিয়া বোঝালো না পানি দিতে হবেনা।রজনি কাদো কাদো কন্ঠে বলল, ” তাহলে আমি কি করব এখন। কি করলে ভাল লাগবে আপনার। আপনার কি খুব কষ্ট হচ্ছে।”
প্রান্তিক কোনোরকম উচ্চারণ করল, ” ইনহেলার।”
রজনি দ্রুত ইনহেলার নিয়ে এল।প্রান্তিক ইনহেলার মুখে দিয়ে কিছুক্ষণ পর স্বাভাবিক হল।রজনি প্রান্তিক কে আচমকা জড়িয়ে ধরে কেদে দিয়ে বলল, ” আমি খুব ভয় পেয়ে গেছিলাম। হঠাৎ কি হল আপনার।”
প্রান্তিক মৃদু হেসে বলল, “তুমি আমার মেডিসিন। যে পাশে থাকলে সব সমস্যা ঠিক হয়ে যায় আমার।”
“আপনি এখনি ডাক্তারের কাছে চলুন।”
“শান্ত হও।ডাক্তার আগে দেখিয়েছি অনেকবার।ডাক্তার দেখাতে ভাল লাগেনা।”
“কেনো?”
“কারণ ওরা সিগারেট খেতে নিষেধ করে।যা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।”
“কেনো সম্ভব নয়।যা আপনার ক্ষতি করে তা কেনো সম্ভব নয়?”
“বিকজ সিগারেট আমার প্রিয়। তাই ছাড়তে পারব না।”
“সিগারেট কি আমার চেয়েও বেশী প্রিয় আপনার।”
“তুমি আমার প্রাণের চেয়ে প্রিয়।তোমার চেয়ে প্রিয় অন্য কিছু কীভাবে হবে?”
“তাহলে বলুন আর সিগারেট খাবেন না।”
“কথা দিতে পারব না। কারণ একবারে ছাড়তে পারব না।”
এরই মাঝে প্রান্তিকের ফোন বেজে উঠল।প্রান্তিক পকেট থেকে ফোন বের করে দেখল অন্তর নাম্বার।
ফোন রিসিভ করে কানে দিতেই অন্ত বলল, ” ভাই আমরা রেডি। আপনারা কোথায়?”
“আসছি, পাঁচ মিনিট।” প্রান্তিক ফোন কেটে রজনিকে বলল, ” ওরা রেডি। চলো বের হই।”
“আপনি রেডি হবেন না।”
“আমি তো রেডি ই।”
” এই থ্রি কোয়ার্টার পরে যাবেন?”
“হ্যাঁ, আমিতো এর আগে যতবার গিয়েছি থ্রি কোয়ার্টার পরেই গিয়েছি।”
প্রান্তিক আর রজনি ব্যাগ নিয়ে দুজনে বাসা থেকে বের হল।বের হতেই গেটের সামনে একজন বেলকনিতে দাঁড়িতে ডানহাতের তর্জনি কপালে ঘষতে ঘষতে সিগারেট টানছে প্রান্তিক। চোখ দু’টো স্থির হয়ে আছে রজনির দিকে। নাক দিয়ে গলগল করে সিগারেট ধোঁয়া ছাড়ছে আর রজনির দিকে তাকিয়ে আছে। রজনি শুভ্ররঙা শাড়ি পরছে রুমের ভেতর। কিন্তু একা একা শাড়ির কুচি ঠিক করতে পারছেনা।এতদিন যতবার ই শাড়ি পরেছে প্রিয়তা শাড়ির কুঁচি ঠিক করে দিয়েছে। কিন্তু আজ প্রিয়তা নেই শাড়ির কুচি ও ঠিক করতে পারছেনা। প্রান্তিক সিগারেট ফেলে দিয়ে হাত দিয়ে ধোঁয়া সরালো সামনে থেকে।থ্রি কোয়ার্টার এর পকেট থেকে কি একটা চকলেট মুখে পুরে রুমের ভেতর প্রবেশ করল। রুমে প্রবেশ করেই রজনীর সামনে বসে পড়ল হাঁটু গেড়ে।নিজ থেকেই শাড়ির কুঁচি গুলো ধরতে ধরতে বলল,
” ৫ হাত মানুষ এই ১২ হাত শাড়ি পরার দরকার কি?”
“মা বলেছে পুরুষদের সৌন্দর্য্য দিয়ে আটকাতে হয়। শাড়ি পরলে মেয়েদের ভাল দেখা যায়। পুরুষ মানুষ মুগ্ধ হয়। তাই শাড়ি পরছি।”
“আমিতো এমনিই ফিদা তোমার প্রতি। মাথাটা পুরাই নষ্ট করে দিতে চাও নাকি? “
রজনি লজ্জা পেল। চোখে মুখে লাজুকতার ছড়াছড়ি।প্রান্তিক শাড়ির কুচি ঠিক করে উঠে দাঁড়াল।রজনির লজ্জারাঙা মুখের দিকে তাকিয়ে এলেমেলো হয়ে গেল।প্রান্তিক যতবার ই রজনির দিকে তাকায় ততবার ই হারিয়ে যায় অন্য কোনো জগৎ এ। রজনির চোখের দিকে তাকিয়ে প্রান্তিক উঠে দাঁড়াল।হঠাৎ রজনির পেটের প্রান্তিকের হাতের স্পর্শ পেতেই রজনির শরীর শিউরে উঠল।সে কেঁপে উঠল।খেয়াল করল প্রান্তিকের হাত তার পেটে।রজনি প্রান্তিকের হাত ধরে জড়ানো কন্ঠে বলল, ” কি করছেন?”
প্রান্তিক রজনির চোখে চোখ রেখে বলল,
“শাড়ির কুচি গুজে দিই।”
“না, আমি গুজে নিচ্ছি।ছাড়ুন।”
প্রান্তিক শাড়ির কুচি রজনির হাতে ছেড়ে দিয়ে রজনির মুখের দিকে ঝুঁকে গিয়ে বলল,
” তুমি চাইলে আমি এখনি তোমার বেবির বাবা হতে রাজি আছি। আর তুমি কীনা এখনো এত লজ্জা পাও। “
রজনি শাড়ির কুচি ঠিক করে নিয়ে বলল, ” অসভ্য কথা।”
“শোনো হানিমুন থেকে ফিরে কিন্তু সবাইকে সুসংবাদ দিতে চাই। ওখানে গিয়ে কোনো লজ্জা আমি শুনব না।”
প্রান্তিকের কথা শুনে রজনি আরো বেশী লজ্জা পেয়ে গেল।খুব বেশী লজ্জা পেয়ে কি বলবে বুঝতে না পেরে বলল,
” আমি কিন্তু তাহলে যাব না এসব বললে।”
“তোমাকে কষ্ট করে যেতে হবেনা।আমি নিয়ে যাবো।আর শোনো পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে যাও কিন্তু।”
“কীসের?”
“যা বললাম। “
“আবার ওইসব বলছেন।”
“হানিমুনে মানুষ কেনো যায়। নিশ্চয়ই রোমান্স করতে যায়। আমিতো আর কোনো আনরোমান্টিক ছেলে নই যে হানিমুনে গিয়ে সমুদ্রের নোনা পানিতে গোসল করে চলে আসব।”
রজনি চোখে কাজল লাগাতে লাগাতে বলল,
“মনে হচ্ছে আপনি একাই হানিমুনে যাচ্ছেন।এর আগে কেউ যায়নি। আমরা যাচ্ছি প্রিয়তার মন ভাল করতে। নিজেরা রোমান্স করতে নয়।”
প্রান্তিক রজনির হাত থেকে কাজল টা নিয়ে বলল,
“এই চোখ আমি না সাজালে সাজ অপূর্ণ থেকে যাবে রজনিগন্ধা।এই চোখের নেশায় আমি হারিয়ে যায় বারেবার।”
মুহুর্তের মাঝে প্রান্তিক কথার টপিক্স ঘুরিয়ে দিল।খুব মনযোগ দিয়ে রজনির চোখে কাজল পরিয়ে দিচ্ছে।রজনি প্রান্তিকের দুই কাধে হাত রেখে প্রান্তিকের মুখের দিকে তাকিয়ে আছে।ছেলে মানুষ কাউকে ভালবাসলে তার সব বিষয়ে কত বেশী যত্নবান হয় সেটা প্রান্তিক কে দেখলেই বোঝা যায়। প্রেয়সীর চোখের কাজল থেকে শাড়ির কুচি সব জায়গা যত্নের কমতি নেই। কাজল পরানো শেষ করে প্রান্তিক রজনির চোখে মুখ দিয়ে হালকা ফু দিয়ে বলল,
“আমি তোমার চোখের কাজল হতে চাই প্রিয়তমা।সারাক্ষণ ওই নেশা ভরা চোখে লেগে থাকতে চাই।”
রজনি আবার ও লজ্জা পেল। প্রান্তিকের বুকে মুখ লুকালো।কোনো কথা বললনা।শক্তভাবে প্রান্তিক কে জড়িয়ে ধরল।মাঝে মাঝে কথা না বলেও নিজের সমস্ত অনুভূতি প্রকাশ করা যায়।প্রান্তিক রজনির মাথায় চুমু দিয়ে বলল, ” এভাবে হাগ দিলে বেসামাল হয়ে যাবো তো রজনীগন্ধ্যা।”
“আপনি আমার এত কাছে আছেন তবুও কেনো এত পরাণ পুড়ছে বলুনতো।”
“এইযে রাগ করে কথা না বলে ছিলে এইজন্য।প্রিয় মানুষের থেকে যতটা দূরে থাকবা তার থেকে দ্বীগুন কাছে আসার টান বাড়ে বুঝলে।এইজন্য মাঝে মাঝে দূরত্ত্বর প্রয়োজন আছে।” কথাটা বলতে বলতেই প্রান্তিকের কাশি শুরু হল।কাশতে কাশতে বুক চেপে ধরল।বুক কেমন ভেঙে চুরে যাচ্ছে প্রান্তিকের।বুকে তীব্র ব্যাথা হচ্ছে।বুক চেপে ধরে বসে পড়ল।প্রান্তিক কে এভাবে অসুস্থ হতে দেখে রজনি ভয় পেয়ে গেল।খুব অস্থির হয়ে উঠল।অস্থির কন্ঠে বার বার জিজ্ঞেস করছে, ” কি হয়েছে আপনার?কোথায় কষ্ট হচ্ছে! বুকে কষ্ট হচ্ছে। পানি দিবো।”
প্রান্তিক হাত ইশারা দিয়া বোঝালো না পানি দিতে হবেনা।রজনি কাদো কাদো কন্ঠে বলল, ” তাহলে আমি কি করব এখন। কি করলে ভাল লাগবে আপনার। আপনার কি খুব কষ্ট হচ্ছে।”
প্রান্তিক কোনোরকম উচ্চারণ করল, ” ইনহেলার।”
রজনি দ্রুত ইনহেলার নিয়ে এল।প্রান্তিক ইনহেলার মুখে দিয়ে কিছুক্ষণ পর স্বাভাবিক হল।রজনি প্রান্তিক কে আচমকা জড়িয়ে ধরে কেদে দিয়ে বলল, ” আমি খুব ভয় পেয়ে গেছিলাম। হঠাৎ কি হল আপনার।”
প্রান্তিক মৃদু হেসে বলল, “তুমি আমার মেডিসিন। যে পাশে থাকলে সব সমস্যা ঠিক হয়ে যায় আমার।”
“আপনি এখনি ডাক্তারের কাছে চলুন।”
“শান্ত হও।ডাক্তার আগে দেখিয়েছি অনেকবার।ডাক্তার দেখাতে ভাল লাগেনা।”
“কেনো?”
“কারণ ওরা সিগারেট খেতে নিষেধ করে।যা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।”
“কেনো সম্ভব নয়।যা আপনার ক্ষতি করে তা কেনো সম্ভব নয়?”
“বিকজ সিগারেট আমার প্রিয়। তাই ছাড়তে পারব না।”
“সিগারেট কি আমার চেয়েও বেশী প্রিয় আপনার।”
“তুমি আমার প্রাণের চেয়ে প্রিয়।তোমার চেয়ে প্রিয় অন্য কিছু কীভাবে হবে?”
“তাহলে বলুন আর সিগারেট খাবেন না।”
“কথা দিতে পারব না। কারণ একবারে ছাড়তে পারব না।”
এরই মাঝে প্রান্তিকের ফোন বেজে উঠল।প্রান্তিক পকেট থেকে ফোন বের করে দেখল অন্তর নাম্বার।
ফোন রিসিভ করে কানে দিতেই অন্ত বলল, ” ভাই আমরা রেডি। আপনারা কোথায়?”
“আসছি, পাঁচ মিনিট।” প্রান্তিক ফোন কেটে রজনিকে বলল, ” ওরা রেডি। চলো বের হই।”
“আপনি রেডি হবেন না।”
“আমি তো রেডি ই।”
” এই থ্রি কোয়ার্টার পরে যাবেন?”
“হ্যাঁ, আমিতো এর আগে যতবার গিয়েছি থ্রি কোয়ার্টার পরেই গিয়েছি।”
রজনি আর প্রান্তিক ব্যাগ গুছিয়ে রুম থেকে বের হল।গেটের সামনে যেতেই পাগড়ি পরা একজন মধ্যবয়সী লোক হাতে খাবারের প্লেট নিয়ে এগিয়ে এল।প্রান্তিক কে বলল,
“খাবার খেতে চাইছে না ও।”
প্রান্তিক বলল, ” না খেলে মানুষ ম*রে না। যাও।”
লোকটা চলে যেতেই রজনি প্রান্তিক কে বলল, ” উনি কে? আর কে খাবার খেতে চাইছে না।”
“তুমি ওসব বুঝবে না। “
চলবে?…