Mousumi_Akter
কেটে গিয়েছে দু’মাস।শহরে শীত চলে এসেছে। শুভ্ররঙা মেঘের ছড়াছড়ি আকাশের দিকে তাকিয়ে একটা দীর্ঘশ্বাস নিল রজনি। সকাল থেকেই মন খারাপ,ভীষণ মন খারাপ তার। বিষন্ন মনে বসে রয়েছে ছাদে। ছাদের নয়নতারা ফুলগুলোর দিকে এক দৃষ্টিনিক্ষেপ করে তাকিয়ে আছে।ডাক্তার বলেছিল একটা বাচ্চা নিতে। একটা বাচ্চা হলে প্রান্তিক সেদিকে মন দিতে পারবে। আজেবাজে চিন্তা আসবেনা।বাচ্চাকে সময় দিতে দিতে খারাপ চিন্তা মাথায় আসবেনা।রজনি তখন থেকে চেষ্টা করেই যাচ্ছে অথচ কোনভাবেই সে কনসিভ করছেনা।প্রান্তিক আধাঘন্টা ধরে খোজাখুজি করছে কিন্তু কোথাও পাচ্ছেনা।ফুল বাগান,কিচেন,ওয়াশরুম সব জায়গা খুজেছে অথচ কোথাও নেই রজনি।
অন্ত বাইরে যাচ্ছে। প্রিয়তা অন্তকে কিছু একটা বলতে বলতে অন্তর সাথে গেট পর্যন্ত এগিয়ে গেল।এখন প্রিয়তা রেগুলার ই এটা করে। অন্ত বাইরে যাওয়ার সময় সে গেট পর্যন্ত এগিয়ে যায়।যতক্ষণ অন্তকে দেখা যায় সে তাকিয়ে থাকে।ধীরে ধীরে অন্ত তার অভ্যাসে পরিণত হয়ে গিয়েছে।প্রিয়তা নিজেও জানেনা অন্ত কি তার অভ্যাস নাকি ভালবাসা?এসব নিয়ে সে কিছুই ভাবেনা।অন্ত পাশে থাকলে তার ভাল লাগে।ম্যাজিকের মত প্রিয়তার ভাল লাগে।তার মনের বাজে ক্ষত গুলো অন্তর জন্য মুছে গিয়েছে।তাই আর কোনো কিছুই জানার চেষ্টা ও করেনা।অন্ত বেরিয়ে গেলে প্রান্তিক প্রিয়তাকে বলল,
“তোর ভাবিকে দেখেছিস? “
প্রিয়তা প্রান্তিকের চোখে মুখে চিন্তিত ভাব দেখে বলল,
“তোমাকে এমন লাগছে কেন ভাইয়া?ঝ-গ-ড়া হয়েছে কিছু নিয়ে?”
প্রান্তিক মৃদু হেসে বলল, ” তোর ভাবির সাথে আমার ঝ গ ড়া হয়না কখনো। দেখছিনা কোথাও? তাই চিন্তা হচ্ছে।”
“ছাদের দিকে গিয়েছে।”
প্রান্তিক ছাদের দিকে পা বাড়াল।প্রিয়তা প্রান্তিকের দিকে তাকিয়ে মনে মনে বলল, “তুই সত্যি অনেক ভাগ্যবতী রে রজনি। একটু সময় চোখের সামনে নেই আমার ভাইয়া তোর জন্য কেমন অস্থির হয়ে উঠেছে।ভালবাসা বুঝি একেই বলে।সত্যিকারের ভালবাসা পাওয়া সত্যি ভাগ্যোর ব্যাপার।”
পশ্চিম দিকে মুখ করে রজনি বসে আছে। গায়ে সাদা রঙের পাতলা চাঁদর।প্রান্তিক ধীর পায়ে রজনির পেছনে গিয়ে দাঁড়াল।রজনির কাঁধে হাত রাখল। রজনি ঘাড় ঘুরিয়ে দেখল লম্বা ফর্সা মানুষটা ক্লান্ত চোখে তার দিকে তাকিয়ে আছে।রজনি একবার তাকিয়ে আবার চোখ নামিয়ে অন্যদিকে তাকাল।প্রান্তিক রজনির পাশে বসে পড়ল।শান্ত কন্ঠে বলল,
“রাগ করেছো রজনিগন্ধ্যা?”
“না।”
“তুমি তো জানো তোমার মিথ্যা আমি ধরতে পারি।কেন মিথ্যা বলছো?”
“আমি রে’গে থাকলে কি আপনার কোনো সমস্যা আছে? নেইতো! তাহলে যান এখান থেকে।”
“তুমি রেগে থাকলে আমার পুরোটায় লস। “
“আমি একটা কথাও শুনতে চাইনা। প্লিজ যান এখান থেকে।”
“এত রাগ! মানুষের বউরা রাগ করে শপিং করে না দিলে,সিনেমা দেখাতে না নিলে, ঘুরতে না নিলে। আর তুমি?”
“আমার তো এসব চাইনা। আমার বেবি চাই। “
“বাচ্চা যেদিন হবার হবে।তুমি এত রাগ করছো কেন? তাছাড়া তোমার কি এখন বাচ্চা পালার বয়স।বাচ্চার জন্য এত উতলা হচ্ছো।লেখাপড়া শেষ করো।”
“আমার যদি বিয়ের বয়স হয়ে থাকে তাহলে বাচ্চা পালার বয়স ও হয়েছে ক্লিয়ার! কোনো ফ্যামিলি প্ল্যানিং নেই তবুও আমি কেন কনসিভ করছি না। আজ সকালেও ইউরিন টেস্ট করালাম রেজাল্ট আগের মতই।কিন্তু কেন?”
“এসব নিয়ে কি কেউ রাগারাগি করে।”
“আপনি আমাকে ডাক্তার দেখাচ্ছেন না কেন? কেনো দেখাচ্ছেন না তাই বলুন।ডাক্তার দেখালেই তো বোঝা যাবে কোনো সমস্যা কীনা!”
প্রান্তিক রজনির খোপা করা চুল হাত দিয়ে খুলে দিল।সাথে সাথে চুলগুলো এলোমেলো হয়ে পিঠের উপর ছড়িয়ে পড়ল।মুখের উপর এসে পড়া চুলগুলো কানের নিচে গুজে দিল।পাশ থেকে একটা নয়নতারা ফুল ছিড়ে রজনির কানে গুজে দিতে দিতে বলল,
“তোমাকে সবরুপেই ভয়ংকর সুন্দর লাগে। আমার তুমি হলেই চলবে রজনীগন্ধ্যা।অন্য কিছুতে আমি আকৃষ্ট নই প্রেয়সী।”
“এসব তো আবেগের কথা। আমার তো বেবি চাই। আমি চাই আমাদের বেবি হোক। আমি সংসার করতে চাই মন দিয়ে।আপনার আর আমার জীবনে ছোট্ট একটা বেবি আসুক।আমাদের আনন্দ আরো বহুগুন বেড়ে যাক।এইটুকু কি আমি চাইতে পারিনা।”
“ডাক্তার যদি বলে প্রান্তিক চৌধুরী কখনো বাবা হতে পারবেনা।তখন কি করবে?”
” তাহলে আর কোনদিন বেবির নাম মুখেই আনব না।”
“কেন?”
“আমাদের বেবি আসুক আমি এটা চাই।তার মানে এই নয় আপনাকে আঘাত দিয়ে বেবি চাই।আপনার কোনো সমস্যা থাকলে আমার কোনো অভিযোগ থাকবেনা।আমি ভুলেও বেবির নাম মুখে আনব না।কিন্তু ডাক্তার যদি বলে আমার সমস্যা তাহলে কি হবে?”
প্রান্তিক রজনিকে বুকের সাথে মিশিয়ে নিয়ে বলল, “তাহলে কিছুই হবেনা।বেবি নিয়ে আমার কোনো মাথা ব্যাথা নেই। আল্লাহ দিলে হবে না দিলে না হবে।আমার জীবন টা তোমার সাথে কাটাতে পারলেই আমি হ্যাপি। “
“তাহলে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবেন তো আমাকে?”
“আচ্ছা নিয়ে যাবো।এইবার তো হাসো একটু।”
রজনি মৃদু হেসে বলল, ” লুকিয়ে লুকিয়ে কখনো আবার সিগারেট খাচ্ছেন নাতো।”
“সিগারেট ছাড়া কষ্ট হচ্ছে, কিন্তু বউ ছাড়া থাকতে বেশী কষ্ট হবে।তাই সিগারেট একদম ই বাদ।”
“বউ পা-গ -ল মানুষ। “
“ইয়েস আই আম বউ পা*গ*ল মানুষ ম্যাডাম।”
গল্পগুচ্ছ সমগ্র
ছাদের দিকে কেউ আসছে।কারো পায়ের শব্দ শোনা যাচ্ছে।প্রান্তিক রজনিকে ছেড়ে স্বাভাবিক ভাবে বসল।প্রিয়তা ছাদে এল।প্রিয়তা রজনিকে দেখে হেসে দিয়ে বলল, ” তুই এখানে এসে ঘাপটি মেরেছিস কেন?ভাইয়া তখন থেকে খুজছে।”
প্রান্তিক প্রিয়তাকে বলল, ” দু’জনে গল্প কর।আমি একটু বাহিরে যাচ্ছি।”
প্রান্তিক চলে গেলে প্রিয়তা রজনিকে বলল, “কি নিয়ে রাগ করেছিস?”
“পঁয়তাল্লিস দিন অভার হয়েছে। কেমন সন্দেহ হচ্ছে। আমি ইউরিন টেস্ট করলাম খুশিতে। কিন্তু কিচ্ছুই হয়নি। তোর ভাইয়া ডাক্তারের কাছেই যাচ্ছেনা।”
হঠাৎ প্রিয়তা কি যেন ভাবল।হঠাৎ মুখটা থমথমে হয়ে গেল।রজনিকে বলল, ”ইউরিন টেস্ট করলে কি এসব বোঝা যায়?”
“হুম যায়।”
রজনি প্রিয়তার সাথে বিভিন্ন গল্প করেই যাচ্ছে।অথচ প্রিয়তা অন্যমনস্ক।কোনো কিছুতেই মন নেই তার।ছাদ থেকে রুমে এল সন্ধ্যার পর।রুমে এসে গম্ভীরভাবে বসে রইলো।রাত এগারোটা বেজে গিয়েছে অন্ত বাসায় ফেরেনি।প্রিয়তার কেমন যেন চিন্তা হচ্ছে।আধাঘন্টা পর পর ফোন দিচ্ছে কিন্তু ফোন তুলছে না অন্ত।জীবনে প্রথমবার প্রিয়তা অন্তকে এতবার ফোন দিচ্ছে। অন্তর চিন্তায় অস্থির হয়ে যাচ্ছে।সারারাত অন্ত বাসায় আসেনি। প্রিয়তা অস্থির হয়ে খুজছে অন্তকে।অন্তকে একশবার ফোন দিয়েছে কমপক্ষে।অন্ত ফোন তোলেনি।সারারাত না ঘুমিয়ে পা*গ*ল প্রায় প্রিয়তা।অন্তর হঠাৎ কি হল।নিজের অজান্তে প্রথমবার অন্তর নামে চোখের পানি পড়ল।চোখ দু’টো র*ক্ত জবার মত লাল হয়ে আছে। সকালে ভোরে অন্ত বাসায় ফিরল। ঢুলতে ঢুলতে রুমে প্রবেশ করল।রুমে প্রবেশ করে দেখল প্রিয়তা ফ্লোরে খাট হেলান দিয়ে বসে আছে।প্রিয়তাকে এমন দেখে অন্ত ভ্রু কুঁচকালো।প্রিয়তা কি সারারাত এখানে বসে ছিল।অন্ত কিছু বলার আগেই প্রিয়তা বলল, “কোথায় ছিলেন সারারাত?”
“শ্রাবণের সাথে।”
“কেন?”
“ওর মন শরীর কোনটায় ভাল নেই।তোমাদের দু’জনের বিয়ে নিয়ে ডিসকাস করতে গিয়েছিলাম।”
“রাতে খেয়েছেন।”
“শ্রাবন কিছুই খায়নি।”
“আপনার কথা জিজ্ঞেস করেছি।”
“হুম।”
“আমার ফোন তোলেন নি কেন?”
“তুমি আমায় ফোন দিয়েছিলে?”
“এত অবাক হচ্ছেন কেন?”
“তুমি তো কখনো ফোন দাওণা।”
“কাল রাতে একশ বারের বেশী ফোন দিয়েছি।”
“আমি কি স্বপ্ন দেখছি। তুমি আমায় এত বার ফোন দিয়েছো।”
“ফোন তোলেন নি কেন?”
“সাইলেন্ট ছিল।”
“কেন?”
“ব্যস্ত ছিলাম।”
“কি জন্য?”
“আমি শ্রাবনের সাথে ছিলাম।আমি চাইনি ওই সময়ে ফোন ইউজ করতে।গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় ছিলাম।আজ অনেক রিল্যাক্স লাগছে।দীর্ঘদিন পর শ্রাবণ আজ অনেক হ্যাপি।”
“কেন হ্যাপি কেন?”
“হারানো ভালবাসা ফিরে পাবার আনন্দ কি সেটা তুমিও জানো।শ্রাবণের লাইফে ব্যাক যাচ্ছো তুমি।নিশ্চয়ই পৃথিবীর শ্রেষ্ট খুশির দিনটা তোমার সামনে আসছে।সেইম খুশি তো শ্রাবণ ও।”
“আপনি জানেন আপনার জন্য সারারাত কত চিন্তা হচ্ছিলো আমার।আর একটু হলে পা*গ*ল হয়ে যাচ্ছিলাম আমি।আমাকে না জানিয়ে এভাবে বাইরে থেকে আপনি মোটেও ঠিক করেন নি।”
“তুমি না শ্রাবনের সাথে কথা বলতে চাইছিলে? তুমিতো ওকে ভালবাসো।প্রতিটা দিন ওর জন্য কষ্ট পেয়েছো।আমি নিজে তার সাক্ষী।তোমার কষ্টের দিন শেষ প্রিয়তা।বিলিভ মি তুমি হ্যাপি থাকবে ভেবে আমার অনেক আনন্দ হচ্ছে।”
“কীভাবে কষ্টের দিন শেষ?”
“আজ থেকে আমি তোমায় মুক্তি দিলাম।এখন চাইলে ডিভোর্স দিতে পারবা।এতদিন তো সম্ভব হচ্ছিলো না।তাই চুপ ছিলাম।বিয়ের তিন মাস না হলে তো ডিভোর্স দেওয়া যায়না।তাছাড়া পারিবারিক একটা ব্যাপার ও ছিল।শ্রাবণ সব ঠিক করে ফেলেছে। তোমাকে নিয়ে বিদেশ চলে যাবে।”
“ডিভোর্স? “
“হুম। ডিভোর্স ছাড়া কীভাবে যাবে? “
“আপনাকে এত খুশী লাগছে যে অন্ত।”
“তোমার খুশী ফিরিয়ে দিতে পারছি এর চেয়ে খুশি আর কি হতে পারে।”
“আমার খুশি কী আদেও জানেন?”
“শ্রাবণ ছাড়া তোমার জীবনে খুশির কারণ আর কি হতে পারে।আমি তো তোমাকে খুব কাছে থেকে দেখেছি তাই জানি।শ্রাবণ ছাড়া তোমাকে মানায় না প্রিয়তা।আজ সন্ধ্যায় ওর সাথে দেখা করো। ও দীর্ঘদিন অপেক্ষা করছে তোমার জন্য।”
“কোথায়?”
“সন্ধ্যায় নদীর পাড়ে যেও।”
“আমি একা?”
“শ্রাবণ থাকবে, একা কোথায়?”
“ফ্রেশ হয়ে আসুন আমি খাবার দিচ্ছি।”
“খুদা নেই।”
“ফ্রেশ হয়ে আসুন আগে।”
অন্ত সাওয়ার থেকে বেরিয়ে দেখল বিছানায় প্রিয়তা খাবার নিয়ে বসে আছে।অন্ত খাবারের দিকে তাকিয়ে বলল,
“বললাম না খুদা নেই।”
প্রিয়তা অন্তর হাত ধরে বিছানায় বসিয়ে দিয়ে নিজ হাতে খাবার অন্তর মুখে দিয়ে বলল, “না খেলে এত বড় দায়িত্ব কীভাবে পালন করবেন।আপনার বউ এর বিয়ে দিচ্ছেন না খেলে কীভাবে হবে?”
অন্তর বুকের মাঝে ভীষণ ব্যাথা হচ্ছে কিন্তু প্রিয়তাকে বুঝতে দিচ্ছেনা।স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করছে।একবার খাবার মুখে নিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে গেল।সে প্রিয়তার থেকে পালাতে চাইছে।হৃদয়ের মাঝে সৃষ্টি হওয়া ক্ষত ক্রমে বাড়ছে।এই যন্ত্রণা থেকে মৃ*ত্যু ছাড়া কেউ তাকে পরিত্রাণ দিতে পারবে না।
শভ্ররঙা শাড়িতে আজ প্রিয়তাকে ভীষণ সুন্দর দেখাচ্ছে।নিজের থেকে বেশী ভালবাসত যে মানুষটাকে আজ সেই মানুষটার সাথে দেখা হবে।যার জন্য প্রতিনিয়ত কাঁন্নাকাটি করেছে।নিজেকে আজ মনের মত করে সাজিয়েছে।গোধুলি সন্ধ্যায় অন্তর সাথে প্রিয়তা হাঁটছে।প্রিয়তাকে আজ খুব হাসিখুশি দেখাচ্ছে।অন্ত খেয়াল করছে প্রিয়তা আজ অন্যদিনের তুলনায় একটু বেশী খুশী।অন্তকে ছেড়ে যাবার জন্য বিন্দুমাত্র খারাপ লাগা নেই।অন্ত বলেই ফেলল, ” আজ অনেক দিন পর তোমাকে এত খুশি দেখাচ্ছে।”
প্রিয়তা একগাল হেসে বলল, ” আজ আমার ভালবাসা ফিরে পাবার দিন।আজ যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবার দিন। আজকের দিনটা আমার। আজকের দিনটা নতুন করে লিখব ভালবাসার রং তুলিতে।”
চলবে?…
সবাই বেশি বেশি লাইক কমেন্ট শেয়ার করবেন।
নতুন গল্প পেতে হলে পেজে দেওয়া হবে ফলো করে রাখলে পেয়ে যাবেন প্লিজ ফলো গল্পগুচ্ছ সমগ্র
গ্রুপঃ গল্পগুচ্ছ সমগ্র (গল্প,গল্পের লিংক,রিভিউ, আলোচনা)