#লেখনীতে_আরিশা_জান্নাত_আদ্রা
‘পড়ন্ত বিকেল,চারপাশে রোদের ঝাঁঝালো রশ্মি কমে গিয়ে মেঘের গুড়ুম গুড়ুম ডাক শোনা যাচ্ছে।হয়তো অচিরেই বৃষ্টি শুরু হবে।তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হওয়া লোকজন এখন ঠান্ডা আবহাওয়া’তে ঘুরে বেড়াচ্ছে। যেনো প্রচুর শান্তি এসে ধরা দিয়েছে।
‘আরিমা বাইক থেকে নেমে নিশাত’কে ইশারা করলো যাতে করে সে বাইক টা লুকিয়ে রাখে কোথাও।নিশাত’ও তাই করলো।
‘এরপর আরিমা বললো,,
-তুই এখানেই কোথাও লুকিয়ে থাক,আমার কাছে ব্লুটুথ আছে,বাহিরের সব আপডেট দিবি।আর কি কি বলেছি মনে থাকে যেনো।সঠিক টাইমে এ’ন্ট্রি না নিতে পারলে……
-আরে,নো চান্স।আমি পারবো,দেখিস তুই।সাবধানে যা।আর পারলে ইয়ার রিং টা চুল দিয়ে ঢেকে রাখিস,যদি বুঝে যায় ওটা ব্লুটুথ?
‘আরিমা ভ্রু নাচিয়ে বললো,,
-তুই বুঝেছিলিস?
-আব…না।
-তুই একটা গোয়েন্দা হয়ে যেহেতু বুঝিস নি,ওই মাথা মোটা ক্রি’মি’নাল’টাও বুঝবে না।থাক আমি গেলাম।
‘আরিমা আস্তে আস্তে গ্যারেজের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে,আর মনে মনে তুখোড় গালি দিচ্ছে ফায়ান’কে।
-বে’ক্ক’ল নেতা সাহেব, কতো করে বললাম,আমি যাই আমি যাই।না,উনি তো আমার কথা ধরবেন না।না জানি কতো কষ্ট দিচ্ছে আমার নেতা সাহেব’কে।আমি গেলে কি হতো।
বলে কি’না,আমার বউয়ের এত বড় রি’স্কি কাজ বর হিসেবে আমি গ্রাহ্য করতে পারি না।
আসছে আমার স্বাদের বর’মশাই।একটা চুমু দিতে গেলে দশ’বার ভাবে।
‘আরিমা কোনোমতে গ্যারেজের সামনে একটা মোটা গাছের পিছনে এসে দাঁড়ালো,কি করবে এখন,সামনে যে কয়েকটা মোটা বডিগার্ড দাঁড়িয়ে আছে,তাও ইয়া বড় বন্দুক হাতে নিয়ে।
‘আরিমা কিছুক্ষণ সেখানেই দাঁড়িয়ে থাকলো।ভাবছে সে,কীভাবে ভিতরে যাওয়া যায়।
‘সাডেন’লি তার বুদ্ধির দরজা খোলে গেলো।
মোট চারজন গার্ড সেখানে।আরিমা পা টিপে টিপে আরেকটু কাছে গেলো তাদের।
‘এখান থেকে খানিক উঁকি’ঝুকি দিয়ে গ্যারেজের দরজা দেখতে পেলো সে।ভাগ্যিস এখানে শুধু মোটা মোটা গাছ,নইলে কি করতো সে?
‘পায়ের কাছে থাকা একটা ইটের টুকরো নিয়ে ডান দিকে ছুঁড়ে মা’রলো আরিমা,ভারি ইট টা গিয়ে কিছুদূরে পরলো আর ঝপ করে একটা শব্দ হলো।এতে গার্ড গুলো সতর্ক হয়ে একে’অপরের দিকে তাকালো।তারপর কিছু একটা ইশারা করলো।
‘দুইজন এগিয়ে গেলো সেদিকে,বাকি দু’জন ডান দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে আছে,কোনো হেলদোল নেই এদিকে।আরিমা এটাকেই সুযোগ ভেবে ফুড়ুৎ করে ভিতরে ঢুকে গেলো।
গার্ড দুইটার মনে হলো বাতাসের গতিতে কেউ পিছন দিয়ে গেলো,কারণ স্বাভাবিকের তুলনায় একটু বেশিই বাতাস লাগছিলো।তবে তারা ভিতরে যেতে পারবে না,বসের অনুমতি নেই।
‘’আরিমা আস্তে আস্তে পা টিপে টিপে গ্যারেজের ভিতরে ঢুকে গেলো।দুইটা রুম এখানে।
একটাতে গাড়ির বিভিন্ন জিনিস’পাতি রাখা,আরেক’টাতে বসার জায়গা বানানো হয়েছে।সেখানেই আছে ফায়ান,নাদিম।
‘’আরিমা সেই রুমে ঢুকেই চমকে গেলো।এ’কি হাল তার নেতা সাহেবের?শরীরে দাগ বসে গেছে।ঠোঁট কে’টে রক্ত ঝরে শুকিয়ে গেছে।আরিমা দৌড়ে ফায়ানের কাছে গেলো।
‘এদিকে কারো অস্তিত্ব টের পেয়ে ফায়ান মাথা উপরে তুললো,,আরিমা’কে দেখে বক্ষ’স্থলে শান্তি অনুভব করলো যেনো সে।
-বউ এসেছো?দেখো তোমার এক্স আমার কি অবস্থা করেছে।
‘’অসহায় কন্ঠে কথা’টা বললো ফায়ান,কিন্তু আরিমা চটকে গেলো।
-আপনার মাথা, আপনি নেতা হলেন কীভাবে?
এরকম করে মা’রলো আর আপনি বসে বসে মা’র খাচ্ছিলেন?বাহ্
‘ফায়ান ঠোঁট উল্টে বাচ্চাদের মতো করে বললো,,
-তাহলে তো ওরা আমাদের প্ল্যান সম্পর্কে জেনে যেতো বউ।
‘ফায়ানের বার’বার বউ ডাক নিশাতের কাছে দারুণ লাগছে,সে ব্লুটুথের মাধ্যমে সব শুনতে পাচ্ছে।ওপাশ থেকে সে হেসে কুটি’কুটি।
-শাট আপ,বেয়া’দবের মতো হাসছিস কেনো?
‘আরিমার ধমকে নাদিম,ফায়ান একে অপরের দিকে চাওয়া-চাওয়ি করলো।ফায়ান ইশারা করতেই নাদিম ঠোঁট উল্টালো।সে কিছুই জানে না।
-আপনাদের হলো কি?আমি ব্লুটুথে কথা বলছি।
-কিন্তু তোমার কানে তো ব্লুটুথ নেই বউ।
‘আরিমা রেগে ফায়ানের গলা চেপে ধরলো,
-আবার বউ বউ করে জপ করতে থাকলে,এখানেই মে’রে রেখে যাবো বলে দিলাম।
-জলদি বাঁধন খুলো।
‘ফায়ানের গম্ভীর কন্ঠে আরিমা খানিক নড়ে’চড়ে দাঁড়ালো।তারপর এক এক করে দুজনের হাতে পায়ের বাঁধন ছুরি দিয়ে কে’টে ফেললো।হাত দিয়ে রশি খোলা অসম্ভব ছিলো।
‘ফায়ান ছাড়া পেতেই উঠে দাঁড়িয়ে আরিমা’কে আষ্টে’পৃষ্টে জড়িয়ে ধরলো,আরিমা নিস্তব্ধ পুতুলের মতো দাঁড়িয়ে আছে।নাদিম অন্য’দিকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।
-নির্লজ্জ,বেহায়া পুরুষ। ছাড়ুন,এখানে ঢং করা হচ্ছে?আশ্চর্য।
-উউহু,ছাড়বো না,কতক্ষণ বউ ছাড়া ছিলাম জানো?পুরো পাঁচ ঘন্টা হবে।আরেকটু হলে দম বন্ধ হয়ে মা’রা যেতাম। ভাগ্যিস ঠিক সময়ে এসেছো।
‘আরিমা ছাড়াতে চেষ্টা করেও পারছে না,এতো বড় জোয়ান মর্দা গরু’র থেকে ছাড়া পাওয়া কি চারটি’খানি কথা। ফায়ান যদি জানে আরিমা তাকে গরু বলেছে নির্ঘাত পি’টাবে।
‘আরিমাও জড়িয়ে ধরলো ফায়ান’কে।ফায়ান আরিমা’র গলায় মুখ গুঁজে’’ই বললো,,
-ওদিকে সব ঠিক তো?
‘বেচারি আরিমা কাঁপা’কাঁপা কন্ঠে উত্তর দিলো,,
-হ…হ্যাঁ।
‘ফায়ান আরিমার অবস্থা দেখে ফিক করে হেসে দিলো।কিন্তু তার হাসির সাথে অন্য’কারো হাসির শব্দ’ও শোনা গেলো।
-বাহ্,দুজনে এখানেই রোম্যান্স শুরু করে দিয়েছো?ভালো তো।
‘কথা গুলো বলতে বলতে রাজ রক্ত চক্ষু নিয়ে আরিমা আর ফায়ানের দিকে তাকালো।
‘আরিমা তা দেখে কুটিল হাসলো।
তারপর উঁচু হয়ে ফায়ানের গালে একটা চু’মু দিলো।
-তো?তাতে তোর প্রবলেম কি?
‘রাজ রাগে হিসহিস করছে।
-আমাকে ছাড়া তুই কাউকে স্পর্শ করতে পারিস না।এটা আমি হতে দিবো না।
‘রাজ যে’’ই আরিমা’র দিকে এগোতে যাবে,তখনই ফায়ান ছুটে গিয়ে একটা লা’থি মে’রে রাজ’কে ফেলে দিলো।তারপর কন্ঠে গম্ভীরতা এনে বুলি আওড়ালো,,
-নিজের লিমিটে থাক,ওটা ক্রস করা তোর জন্য খুব একটা সুখ’কর হবে না।
‘রাজ রেগে মেগে উঠে এসে ফায়ান’কে ঘুসি দিতে যাবে তার আগেই ফায়ান তার হাত মুচড়িয়ে ধরলো।
-ভেবেছিস কি?কাপুরুষের মতো অজ্ঞা’ন থাকা অবস্থায় আ’ঘাত করেছিস বলে নিজেকে বীর পুরুষ ভাবছিস?আহারে সোনা so sad……
‘ফায়ান এত জোরে রাজের হাত চেপে ধরেছে যে সে ব্যাথায় চিৎকার করে দিলো।
কিন্তু কোনো আওয়াজ বের হলো না মুখ দিয়ে।কারণ আরিমা তার মুখে কাপড় পুরে দিয়েছে।
-নাদিম ভাইয়া,জলদি জলদি রশি আনুন,পাশের রুমে আছে।
‘নাদিম দৌড়ে পাশের রুম থেকে রশি এনে দিলো আরিমা’র হাতে।তারপর তিনজন মিলে সুন্দর করে রাজ’কে বেঁধে ফেললো,,
‘তারপর সামনে থাকা টেবিলের উপর বসে পরলো ফায়ান আর আরিমা।
-আরে নাদিম দুলাব্রো,বসেন এখানে।
-ম…মানে?বুঝি’নি ভাবি।
-এখন না বুঝলেও চলবে,এই গা’ধাটার শরীরে শক্তি আছে বলতে হবে,নইলে এতো ছুটাছুটি কীভাবে করতে পারে?তিনজন মিলে বাঁধতে হিমশিম খাচ্ছিলাম।
-ওকে টাইট করার জন্য আমি এক সৌহার্দ্য ফায়ান খান-ই যথেষ্ট বউ।
‘নাদিম গলা খাঁকারি দিলো।ফায়ান সেদিকে তাকিয়ে বললো,,
-আমি জানি নাদিম,তুমি এখানে আছো।অযথা গলা খাঁকারি দিও না।
‘নাদিম হতাশ হলো ভীষণ রকম।নির্ঘাত ফায়ানের মাথায় সমস্যা হয়েছে,সে শিওর।
-কি ভেবেছিলিস রাজ?তুই নেতা সাহেব’কে এখানে এনেছিস?আরে পা’ঠা,রাম’ছাগল কোথাকার এটা আমাদের-ই প্ল্যান ছিলো।
‘কাল রাতে আমরা প্ল্যান করেছিলাম যে,ফারহা’কে মিথ্যে অসুখের নাম করে হসপিটালে নিয়ে যাবো।সেখানে ফায়ান অভিনয় করবে,সে দুর্বল হয়ে পরেছে ভীষণ ভাবে।চারপাশে খবর ছড়িয়ে যাবে,সৌহার্দ্য ফায়ান খানের বোনের অপারেশন হচ্ছে।এর মাঝে ফায়ান প্ল্যান অনুযায়ী নামাজ পরতে গেলো,আর তোর লোকেরা তাকে কিডন্যাপ করলো।
‘আসলে এসব’কিছু আমাদের প্ল্যান অনুযায়ী হয়েছে,তুই ছিলিস শুধু’মাত্র একটা গু’টি।
‘বলেই হাসলো আরিমা।রাজ রক্ত’চক্ষু নিয়ে তাকিয়ে আছে তাদের দিকে।যেনো চোখ দিয়েই ভস্ম করে দিবে।
‘আরিমা রাজের কাছে গেলো,তারপর তার পকেট হাতড়ে ফোনটা বের করলো।রাজ ভীষণ নড়া’চড়া করার চেষ্টা করছে বিধায় আরিমা ফোনের কর্নার দিয়ে তার মাথার এক কোণে বারি দিলো একটা।রাজ ব্যাথায় চোখ-মুখ খিঁচিয়ে নিয়েছে।
‘কাউকে ম্যাসেজ দিলো আরিমা,তারপর আবার টেবিলের উপর উঠে পা নাড়াতে নাড়াতে বললো,,
-আহারে,নিশান্ত রাজ শেখ।বাপের আদরের ঘরে দুলাল,কি ভেবেছিস আমি বুঝি আজও সেই বোকা ফুল?ফুলের মালিক’কে মে’রে তুই ফুল’টাকেই চালাক করে দিয়েছিস।তোর পাপের শাস্তি পাবি তুই।
-এতো এতো পাপ তোর,তুই আসলেই একটা কীট,নাহলে কেউ ভালোবাসার মানুষ’কে মা’রতে পারে?তাও আগুনে পুড়িয়ে?
‘বলতে গিয়ে আরিমা’র গলা ধরে আসছিলো।কিন্তু আজ তো দুর্বল হলে চলবে না।
‘হঠাৎ রুমে একজনের প্রবেশে নাদিম আঁৎকে উঠলো।নতুন করে আবার কোন বিপদ।
-এতো দেরী করলি কেনো?
-আরে তুই তো বলে দিয়েছিস আসতে,আমি আরেকটু চেক করে ভিতরে ঢুকলাম।এই নে।
‘বলেই আরিমার হাতে একটা ব্যাগ ধরিয়ে দিলো নিশাত।
-এবার যা,ওর শার্ট খুল।
‘ফায়ান আরিমার দিকে তাকালো,চাচ্ছে’টা কি এই মেয়ে।
-এই তুমি চাচ্ছো কি?অন্যের বডি কেনো দেখবে বউ?লাগলে আমার’টা দেখো।
‘নাদিম আর নিশাত ফিক করে হেসে দিলো।এদিকে আরিমা চোখ পাকিয়ে তাকালো ফায়ানের দিকে।কিন্তু ফায়ান সেদিকে তোয়াক্কা না করে বললো,,,
-বলছো না কেনো?
-আজকে আমি যা করবো তাতে নিষে’ধাজ্ঞা জারি করতে পারবেন না।চুপচাপ বাচ্চাদের মতো বসে থাকুন।
‘তারপর আরিমা ফায়ানের কানে ফিস’ফিস করে কিছু বললো।ফায়ান চমৎকার একটা হাসি দিলো।
যেনো সে প্রচুর খুশি হয়েছে।
-কি হলো ভাই,ভাবি আপনার কানে কি বললো যাতে করে এতো খুশী আপনি?
‘ফায়ান পা দুলাতে দুলাতে বললো,,
-বউ বলেছে বাসায় গিয়ে চু’মু দিবে।
‘নাদিম ছিঁটকে সেখান থেকে সরে এলো।ভাই চরম বে’হা’য়া হয়ে গেছে।নাহলে এই কথা আমাকে বলে দিতে হবে?
‘নিশাত ইতিমধ্যে রাজের শার্ট খুলে নিয়েছে।মানে ছুরি দিয়ে কে’টে ফেলেছে।
-বাহ্ দোস্ত,এর বডি তো জবরদস্ত।এই জন্যেই তো মেয়েরা হুমড়ি খেয়ে পরে এর উপর।
‘’আরিমা চোখ পাকিয়ে তাকালো নিশাতের দিকে,ফায়ান পিছন থেকে গম্ভীর কন্ঠে বলে উঠলো,,,
-অন্যের বডির দিকে নজর দিও না,নিজে দিচ্ছে তো দিচ্ছে-ই,আমার বউকেও দেয়া’চ্ছে।
আরেকবার এসব আলতু-ফালতু কথা বললে নিউ মার্কেটের রাস্তায় খালি গায়ে দাঁড় তরিয়ে আসবো তোমায়।
‘ফায়ানের কথায় নিশাতের কাঁশি উঠে গেলো।আরিমা ঠোঁট চেপে হাসছে।বেচারা নাদিম মুখ লুকিয়ে ওপাশ ফিরে হাসছে।
‘আরিমা হাতে নতুন,ধারালো,চকচকে ছুরি’টা নিলো।ছুরিটা ওপাশ-ওপাশ করে দেখতে লাগলো,নাহ্ চলবে মানে,দৌড়াবে!
‘আরিমা ছু’রিটা নিয়ে রাজের কাছে গেলো,তারপর সামনে রাখা চেয়ারে বসে পরলো।
ছুরিটা আস্তে আস্তে পেট থেকে ঘুরাতে ঘুরাতে গালে এসে থামালো,এক সেকেন্ড ছুরিটা সেখানে রেখে জোরে একটা টান দিলো গাল বরা’বর। সাথে সাথে কিছু রক্ত ছিটকে আরিমার মুখে এসে পরলো।
‘আরিমা পাগলের মতো শরীরে আঘাত করে যাচ্ছে রাজের,যেনো আজ ছুরি’র আঘাতেই শেষ করে ফেলবে সে রাজকে।
‘এদিকে সে নিজেই রাজের রক্তে র’ঞ্জি’ত হয়ে যাচ্ছে।তবুও থামার নাম নেই,সারা শরীরে ছুরি’র আ’ঘা’তে ক্ষত’বিক্ষ’ত করে ফেলেছে।
চলবে,,,