#লেখনীতে_আরিশা_জান্নাত_আদ্রা
(একটু রোমান্টিক পার্ট,কারো জ্বললে আমি দায়ী নই)
‘তুমি না… কিছুটা নেশার মত,
এই আসক্তি তো ছিল না আগে,
জানি তুমি মনের জন্য হানিকারক,
তারপরও খুব ভাল্লাগে। (উৎস)
‘আরিমা চমকে তাকালো ফায়ানের দিকে,মানুষ’টা আজ’কাল বড্ড রোমান্টিক মু’ডে থাকে।
কীভাবে তাকিয়ে থাকে নির্লজ্জের মতো,এতে বেশ লজ্জা পায় সে!তার নেতা সাহেব কি তা বুঝেন না?নাকি ইচ্ছে করে তাকে লজ্জায় ফেলে?
-আজকে আরহাম আমাদের সাথে ঘুমোক?অনেক দিন ধরে ছেলে’টার সাথে থাকা হয়না!
-প্রতিদিন বুঝি আমার সাথে থাকো?
-হ্যাঁ,থাকিই তো।
‘ফায়ান বেশ বুঝতে পারছে আরিমার কথা ঘুরানোর কারণ! আরিমা’কে আরেকটু ঘায়েল করার পদক্ষে’প নিলো ফায়ান!
‘আরিমার কাছে চলে এলো সে,আরিমা হঠাৎ এত কাছে ফায়ানের আগমনে হকচকিয়ে গেলো! নেতা সাহেব চাচ্ছে টা কি?
‘ফায়ান আরিমা’র পিঠে এক হাত রাখলো,তারপর টান দিয়ে নিজের সাথে মিশিয়ে নিলো।আরিমা ফ্যাল’ফ্যাল করে তাকিয়ে আছে ফায়ানের দিকে।
ফায়ানের এক হাত আরিমার কোমরে বিরাজ করছে,আরেক হাত পিঠে।ফায়ান আরিমা’র চোখের দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে,যা আরিমা’কে বিভ্রান্ত করার জন্য যথেষ্ট। সে দৃষ্টি নামিয়ে নিয়ে নরম কন্ঠে বললো,,
-ঘুম পাচ্ছে,একটু ছাড়বেন?
‘ফায়ান কিছুটা ভাবুক হলো,তারপর বললো,,
-কি যেনো বলেছিলে বউ?
‘আরিমা এক ভ্রু উঁচু করে ফায়ানের দিকে তাকালো,,
-এভাবে আমার দিকে তাকিও না,কতো’বার বলেছি কন্ট্রোল’লেস হয়ে যাই?বুঝো না কেনো বউ?
-আব…আমি কি করেছি?আপনি যে তাকান?
-তোমার তাকানো আর আমার তাকানো এক না বউ,তুমি লুইচ্চা ভঙ্গিতে তাকাও আর আমি আদরের ভঙ্গিতে তাকাই।
‘আরিমা কটমট দৃষ্টিতে তাকালো ফায়ানের দিকে।তা দেখে ফায়ান ফিক করে হেসে দিলো।
আরিমা অবাক হয়ে তাকিয়ে দেখলো,দু ঠোঁটের মাঝখান থেকে ঝকঝকে হালকা বের হওয়া দাঁতের হাসি।এতো সুন্দর কেনো তার নেতা সাহেব?
ফায়ান আরিমা’র দিকে তাকালো,
তারপর আরিমার কানের কাছে ঠোঁট দুটো নিয়ে গেলো।
-বলেছিলে না বাসায় এসে চু’মু দিবে?
‘তারপর আরিমা’র দিকে তাকালো ফায়ান,মেয়েটা চোখ খিঁচে বন্ধ করে রেখেছে।ফায়ানের মাথায় দুষ্টু বুদ্ধি খেলে গেলো।
‘সে আরিমা’কে আরেকটু কাছে টেনে নিলো,তাদের মাঝে আর এক ইঞ্চি জায়গা’ও খালি নেই।আরিমা দু হাতে ফায়ানের কাঁধ চেপে ধরলো,ফায়ান সেদিকে তাকিয়ে হাসলো।
তারপর আরিমার দিকে তাকালো,যে কি’না মাথা নিচু করে রেখেছে।
‘ফায়ান আরিমা’কে খানিক টা উপরে তোলে নিলো,আরিমা হকচকিয়ে গেলো!
-আরে,কি হলো,নামান বলছি,কি করছেন,পরে যাবো তো।
-হ্যাঁ পরে যাও,
-মানে?
-আমার প্রেমে পরে যাও।
‘আরিমা ফিক করে হেসে দিলো,তারপর দু হাত দুই দিকে মেলে দিলো,বাহির থেকে হুঁ হুঁ করে আসা বাতাস আরিমা’র শরীর ছুঁয়ে দিচ্ছে!
যার জন্য কেঁপে উঠছে আরিমা।
ছোটো ছোটো বেবি হেয়ার গুলো সারা মুখে লেপ্টে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে।মুখে কৃত্রিম হাসি ঝুলিয়ে রেখেছে সে।ফায়ান মুগ্ধ দৃষ্টি’তে আরিমা’কে দেখছে,তার বউ অনেক সুন্দরী।মায়াবতী,রূপবতী,খালি দেখতেই ইচ্ছে করে তার।মেয়েটা তার মায়া দিয়েই তাকে মে’রে ফেলবে।
‘ফায়ান আরিমা’কে নিচে নামিয়ে নিলো,আরিমা কিছুটা অবাক হলো!
‘ফায়ান এক দৃষ্টিতে আরিমার দিকে তাকিয়ে আছে,ফায়ানের নেশালো দৃষ্টি’র দিকে আরিমা বেশিক্ষণ তাকিয়ে থাকতে পারলো না,ঠোঁট কামড়ে দৃষ্টি নিচে নামিয়ে নিলো,ফায়ানের বুকে যেনো ঝড় বইছে।এই সুন্দর মেয়েটা তার,একমাত্র সৌহার্দ্য ফায়ান খানে’র!একান্তই তার।
‘ফায়ান আরিমা’র কপালে একটা চু’মু এঁকে দিলো।তারপর তার দুই গালে দুই হাত রেখে গুলু’মুলু গাল দুটো স্লাইভ করতে লাগলো।
বাহ্ তার বউয়ের গাল বেশ তুলতুলে! ফায়ান টুপ করে চুমু খেলো গালে।আরিমা চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে তার দিকে।
‘-বউ,চুমু দিই একটা?আমার ভীষণ চু’মু চু’মু পাচ্ছে।
‘আরিমা মাথা নিচু করে নিলো,এই নির্লজ্জ নেতা সাহেবকে সে একদিন না মে’রেই ফেলে।
‘ফায়ান হাসলো আরিমার ভাব’ভঙ্গি দেখে,তারপর তার দুই গাল হাতের মুঠোই নিলো,হালকা উঁচু করে বললো,,
-তুমি এতো সুন্দর কেনো?দেখলেই খালি প্রেম প্রেম পায়।
‘আরিমা চোখ বন্ধ করে আছে,ভীষণ লজ্জা লাগছে তার।গাল দুটো লজ্জায় রাঙা হয়ে গেছে।ফায়ানের দৃষ্টি আরিমা’র ঠোঁটের দিকে।
‘ফায়ান’কে টানছে যেনো তার বউয়ের কম্পিত উষ্ঠ’যুগল। ফায়ান আর দেরী না করে আরিমা’র তিঁর’তিঁর করে কাঁপা ঠোঁট দুটোই নিজের পুরুষালী ঠোঁট চেপে ধরলো।আরিমা খাঁমচে ধরলো ফায়ানের শার্ট।
‘ফায়ান আরিমা’র ঘাড়ে মুখ গুঁজে বললো,,
-ভালোবাসি বউ,বড্ড বেশিই ভালোবাসি।পৃথিবীর বুকে এমন কোনো শক্তি নেই যে কি’না সৌহার্দ্য ফায়ান খানের থেকে তার বউজান’কে আলাদা করতে পারে।
‘আরিমা,চমকালো,ভীষণ’ভাবে অবাক হলো সে,সঙ্গে এক ঝাঁক ভালোলাগা এসে শরীরে ঠাঁই পেলো,ঈষৎ কেঁপে উঠলো সে।ফায়ানের চুল খাঁমচে ধরে তার মুখ নিজের ঘাড়ে ঠেসে ধরলো।
তারপর মিন’মিন করে বললো,,
-ভালোবাসি নেতা সাহেব,আপনি শুধু একান্তই ‘আমার নেতা সাহেব!ছাড়বো না কখনো আপনাকে।
‘ফায়ান আরিমা’কে নিজের প্রশস্ত বুকের সাথে মিশিয়ে নিলো।মেয়েটাকে সে হারাতে পারবে না।এক সেকেন্ড দূরে থাকলেই দম বন্ধ লাগে।আশ্চর্য, জাদু করলো নাকি?
ভাবতেই ঠোঁট কামড়ে হাসলো ফায়ান।
***
‘সকাল সকাল সোনালী কেঁদে ভাসাচ্ছে খান ভীলা,তার কারণ একমাত্র তার ছোটো ছেলে।কিন্তু যার জন্য সে মেঝে’তে বসে কেঁদে বান ভাসাচ্ছে,উনি সোফায় আরাম’ করে আরহাম’কে কোলে নিয়ে টিভি দেখছে।শেষে বাধ্য হয়ে সোনালী উঠে এলেন ছেলের কাছে।
-তোকে যে আমি প্রশ্ন করছি,উত্তর কেনো দিলি না?
-কি প্রশ্ন করেছিলে?
‘টিভির দিকে দৃষ্টি রেখে কথা’টা বললো সাহিত্য।
-এতো বছর তোর খোঁজ ছিলো না কেনো?আবার হঠাৎ করে ফিরে এলি,এর কারণ কি?তোর সমস্যা টা কি বাপ,আমাকে একটু খোলাসা করে বল!
-উফফ মা,তুমি ভালো করেই জানো,আমি কেনো দেশ ছেড়ে ছিলাম।আর হঠাৎ এসেছি দেখে খুশী হওনি?চলে যাবো?আমার কোনো সমস্যা-ই নেই।হয়েছে?পেয়েছো উত্তর?এখন সরো সামনে থেকে,জাস্ট লিভ।
-মায়ের সাথে এরকম ব্যাবহার কেউ করে?
‘ফায়ানের গম্ভীর কন্ঠ শোনে সাহিত্য খানিক নড়েচড়ে বসলো,তারপর মিন’মিন করে বললো,,
-উফফ ভাইয়া,তুমি অন্তত এখন সাফাই গাইতে এসো না।যে বাসার কর্ত্রী একজন নারী, সেই বাসায় সুখ-ই বা কীভাবে টিকবে?তাই-তো আমি টিকি না।কারণ আমার সুখ উনার কস্মিনকালেও সহ্য হয় না।
-সাহিত্য,,,,
‘সাহিত্য সোফা ছেড়ে উঠে দাঁড়ালো,তারপর আরহাম’কে কোলে নিয়ে সদর দরজা দিয়ে বেরিয়ে গেলো।
‘সোনালী মুখে আঁচল চেপে কান্না আটকানোর প্রয়াস চালাচ্ছে।ফায়ান দীর্ঘশ্বাস ফেলে তার মায়ের দিকে তাকালো,তারপর কন্ঠে গম্ভীরতা এনে বললো,,
-আমার কিছু করার নেই আম্মু,ছেলের ধ্বংসের পিছনে তুমি দায়ী, আমি এখন কিছু করতে পারবো না।আমাকে গুরুত্ব দিয়ে যদি আগেই সব জানিয়ে দিতে,তাহলে কাহিনী আজ অন্যরকম হতো।
‘বলেই ফায়ান গটগট শব্দ তোলে বেরিয়ে গেলো।
তখনই আরিমা এগিয়ে এলো সোনালীর দিকে,,
-চিন্তা করো না আম্মু,আমি আছি তো,সব ঠিক করে দিবো।
‘সোনালী চমকে আরিমা’র দিকে তাকালো,তারপর তাকে জড়িয়ে ধরে হুঁ হুঁ করে কেঁদে উঠলো!
‘খুব বড় ভুল করে ফেলেছেন যে তিনি।এই ভুলের শাস্তি কি?আদৌও তার ছেলে তার বুকে ফিরবে?
বুক টা যে তার ছিঁড়ে যাচ্ছে।
ছেলেটা’কে যে সে নিজ হাতে শেষ করে দিয়েছে,শেষ করেছে তার সপ্ন!
***
‘ফায়ান অফিসে বসে কিছু ভাবছে,আর মিটিমিটি হাসছে,নাদিম আর রিফাত দাঁড়িয়ে আছে ফায়ানের সামনে,রিফাত একটু পর’পর ফায়ানের দিকে তাকাচ্ছে,কিন্তু হাসির কারণ বুঝতে পারছে না।সে নাদিম’কে বেশ কয়েকবার খোঁচা দিয়েছে কিন্তু কোনো লাভ হয়নি।তায় বাধ্য হয়ে নখ কামড়াচ্ছে।
-নাদিম,
-জ্বি ভাই!
-চলো,তোমার বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে খান ভীলায় যাই।সাবধান,সৌহার্দ্য ফায়ান খান কিন্তু ভীষণ রাগী।তার থেকে দুরত্ব বজায় রেখে চলবে,মনে থাকবে?
‘নাদিম ফ্যাল’ফ্যাল করে ফায়ানের দিকে তাকিয়ে আছে,নিশাত এসেছিলো ফায়ানের সাথে দেখা করতে,কিন্তু এসেই ফায়ানের কথা শোনে ফিক করে হেসে দিলো।হাসতে হাসতে সে যেনো মাটিতে গড়াগড়ি খাবে।
-আরে,ভীতু গোয়েন্দা যে,চলুন সবাই এক সাথেই যাই।
‘এবার নাদিম হো হো করে হাসতে লাগলো,বেচারা নিশাত কাচুমাচু হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।কিন্তু সবকিছু রিফাতের মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে।
***
‘কলিং বেলে’র আওয়াজ পেয়ে কাজের মেয়েটা এসে দরজা খোলে দিলো।তারপর কিছুক্ষণ হা করে দরজার দিকে তাকিয়ে থেকে জোরে একটা চিৎকার দিলো,,
-আম্মা গোওওওও,আপনার ছাওয়াল পাগলা হইয়া গেছে!পাগলা ভূত তার ঘাড়ে চেপেছে।
‘সাথে সাথে বাড়ির সবাই এসে জমা হয়ে গেলো।আরিমা হা করে ফায়ানের দিকে তাকিয়ে আছে,সোনালী আর মোহনা ড্যাবড্যাব করে ছেলের দিকে এক দৃষ্টিতে দেখছে।
সাহিত্য আর ফারহা মুখ টিপে হাসছে।কিছুক্ষণ পরেই সমস্বরে হাসতে লাগলো,সাথে দিশা,জিসান আর আরিমা।
‘ফায়ান চোখ থেকে সানগ্লাস’টা খুলে বাম পাশে পানের পিক ফেললো,তারপর আবার চশমা’টা পরে নিলো!
-কি ব্যাপার,শুনেছিলাম সৌহার্দ্য ফায়ান খানের বাড়ির লোকেরা যথেষ্ট ভদ্র।কিন্তু অতিথি’দের এভাবে বাহিরে দাঁড় করিয়ে রাখা কেমন ভদ্র’তা?
-বাবা তু….,
-আরে মহিলা,কে আপনার বাপ?আমি কারো বাপ নই।সবে বিয়ে করেছি,বউয়ের সাথে বাসর’টাও হলো না।সেখানে এক আন্টি মার্কা মহিলা আমার বাচ্চা?
‘বলেই আরিমাকে চোখ মা’রলো একটা,আরিমা রেগে বোম হয়ে আছে,বাকিদের হাসি থামছেই না।
‘তখনই বন্ধু’মহলের সবাই উপস্থিত হলো।ফায়ানের দিকে এক পলক তাকালো তারা,
সাদা শার্টের উপরের দুটো বোতাম খোলা,সাদা একটা লুঙ্গী,যার নিচের অংশ’টুকু হাত দিয়ে ধরে রেখেছে ফায়ান,চোখে কালো চশমা,মুখে পান।
পায়ে বুট পরে আছে।
পুরাই যেনো আধ’পাগলা মাফিয়া লুক।
-আপনারা কি হাসবেনই?আমরা একটা প্রস্তাব নিয়ে এসেছি।
‘নাদিম এক পলক ফারহা’র দিকে তাকিয়ে চোখ ফিরিয়ে নিলো,মেয়েটা তার দিকেই তাকিয়ে আছে।আচ্ছা সে কি রাজী হবে নাকি বিয়েটা ভেঙে দিবে?নাদিমের বুক ধুক’পুক করছে।
অজানা বিপদের আশংকায়।
-তা বসেন আপনারা,এই যা তো মেহমান’দের জন্য চা করে আন।ভাবী আপনিই নাহয় যান।
‘আরিমা’কে ঠেলে রান্না ঘরে পাঠিয়ে দিলো সাহিত্য। তারপর ফায়ানদের সামনের সোফায় বসে পরলো,।
ফায়ান চোখ ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে বাড়ি’টা দেখছে,এমন ভাব ধরেছে,যেনো সে এই বাড়িতে প্রথম।
‘আরিমা সবাইকে এক এক করে শরবত দিতে লাগলো,ফায়ান শরবত হাতে নিয়ে সোনালীকে আরিমার উদ্দেশ্যে বললো,,
-মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন আন্টি?
‘আরিমা যেনো শুঁকনো মাটিতে আছাড় খেলো।কি শুরু করেছে ফায়ান।সাহিত্য হাসতে হাসতে বললো,,
-জ্বি ভাই,উনি আমার বউ।আপনি আসল কথায় আসুন।
‘ফায়ান কটমট দৃষ্টিতে তাকালো সাহিত্যের দিকে।বাকিরা হেসে কুটি’কুটি,আরিমাও মুখ টিপে হাসছে।
-তা আপনার বড় ভাই নেই বাসায়?নতুন বিয়ে করেছেন আপনি?বাচ্চা নিবেন না?
‘সাহিত্য সবে একটু শরবত খাওয়ার জন্য মুখে গ্লাস’টা ধরেছে,সুড়ুৎ করে সব শরবত ফায়ানের শার্টে ফেলে দিলো।ফায়ান চেঁচিয়ে উঠলো।
-আরে ভাই আমরা আপনাদের অতিথি, একটু তো ভদ্রতা বজায় রাখুন।একটা প্রস্তাব নিয়ে এসেছি।
‘সাহিত্য কাঁশতে কাঁশতে ফায়ান’কে উদ্দেশ্য করে বললো,,
-কিসের প্রস্তাব?
-আপনাদের বাড়ির ছোটো মেয়ের সাথে এমপি সাহেবের পি’এ’র বিয়ের ব্যাপারে।
‘আরিমা মুচকি মুচকি হাসতে লাগলো,মোহনা আর সোনালী থম মে’রে দাঁড়িয়ে আছে,সবার এক অবস্থা! আফরিদ চেঁচিয়ে উঠলো,,
-কিইইইইই?এসব হচ্ছে’টা কি?
‘ফারহা দৌড়ে নিজের রুমে চলে গেলো,এক মুহুর্ত দেরী করলো না সে।আরিমাও পিছু পিছু ছুট লাগালো।না জানি কি করে বসে মেয়েটা।
নাদিমের মুখ চুপসে আছে।
‘ফায়ান সব-ই দেখে নিলো।তারপর বললো,,
-আপনারা বললে বিয়ের ব্যাপার’টা এগোতে পারি।
-আমার ছেলে’টা বাড়ি ফিরুক,তারপর আমরা মতামত জানাবো।
-জ্বি,আজ তাহলে উঠি আন্টি।এই সব বাজার সদাই ভিতরে দিয়ে যা।
‘সবাই উঠে চলে গেলো,আর হুড়মুড়িয়ে কয়েকজন ভিতরে ঢুকে বাজার সদাই রেখে চলে গেলো।
সাহিত্য এখনো হা করে ফায়ানের যাওয়ার পথে তাকিয়ে আছে।
***
‘আরিমা দৌড়ে ফারহা’র পিছু পিছু তার রুমে ঢুকে গেলো।
ফারহা’র দিকে তাকিয়েই সে চমকালো,ভড়কে গেলো।এ’কি অবস্থা এই মেয়ের।
চলবে,,,,,