নবনী পর্ব ৪
নবনীদের বাড়ি থেকে বের হয়ে বাজারে গেলাম। আমার খুব খারাপ লাগছে! মনে হচ্ছে একটা গুজব ছড়িয়ে পড়বে! ভাবতেই গা জ্বলে যাচ্ছে! বিয়ে করা বউয়ের হাত ধরে আমার এ অবস্থা! আমি কি এমন অপরাধ করলাম ঠিক বুঝতে পারছি না! মানুষ কি বউয়ের গায়ে হাত দেয় না?
ওর যদি এতই আপত্তি থাকত আমাকে বলতে পারত। আমি তো ওকে জোর করে কিছু করতাম না। কী করল! সবার কাছে আমাকে কতটা ছোটো করে দিলো!
ওদের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়ি থেকে সোজা রওয়ানা দিলাম সিলেট। হযরত শাহজালাল এর মাজার থেকে একটু ঘুরে আসি। এরচেয়ে বেশি দূরে এখন যাওয়া যাবে না।
বিশ্বরোড থেকে হানিফ বাসে চড়ে বসলাম সিলেট যাব বলে। বাসে উঠে বসেছি এর মধ্যেই ছোটো বোনটা কল দিয়েছে। উত্তেজনায় ভুলেই গিয়েছিল আমার সাথে ছোটো বোনও এসেছে! কল ধরার সাথে সাথে ও জিজ্ঞেস করছে, “ভাইয়া তুমি কোথায়?”
“আমি একটা জরুরি কাজে এসেছি। তোরা এককাজ কর নিজেদের মতো করে চলে যা কেমন।”
“কী বলো এ সব! এমন সময় তোমার কাজটা বড়ো হলো?”
ছোটো বোন কে তো আর বলা যায় না লজ্জায় পালিয়ে এসেছি!
“কী করবো বল। কাজটা খুব গুরুত্বপূর্ণ তাই এমন সময় আসতে হলো।” কলটা রেখে দিলাম।
সিলেটে এসে নুরজাহান নামে একটা হোটেলে উঠেছি। এটা শাহজালাল এর মাজারের সাথে। হোটেলের রুমে শুয়ে শুয়ে ভাবছি মানুষ বিয়ের পর হানিমুনে যায়। আমি এ কেমন হানিমুনে আসলাম!
সিলেটে এসে তো হোটেলে বসে থাকা যায় না। তাই ঘুরতে বের হতে হবে। হোটেলে জিজ্ঞেস করলাম,”কোথায় ঘুরতে যাওয়া যায় বলেন তো?”
“স্যার সিলেটে ঘুরার জায়গার অভাব নাই। আপনি এক কাজ করেন রাতাগুল আর সাদা পাথর দেখে আসেন।”
হোটেল থেকে বের হবো এমন সময় একটা মেয়ে পিছন থেকে ডাকল, ” এই যে ভাইয়া শুনেন।”
আমি তাকালাম না। আমাকে এখানে কোন মেয়ে ডাকতে যাবে! জীবনে কোনো আসেনি সিলেটে। ডাকতে ডাকতে মেয়েটা আমার সামনে এসে পথ রোধ করে দাঁড়াল! আমি খুব অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলাম। হালকা পাতলা গড়নের শ্যামলা একটা মেয়ে। বয়স মনে হয় পঁচিশ ছাব্বিশ হবে মনে হয়। অবশ্য মেয়েদের বয়স বুঝা খুব কঠিন কাজ।
“আমি আপন।”
জীবনে প্রথম কোনো মেয়ে সেচ্ছায় আমার সাথে পরিচিত হতে আসল। নিজেকে কেমন স্টার স্টার লাগছে!
“জি, আমি রুয়েল।”
“আপনি তো রাতারগুল যাবেন? “
“হ্যাঁ, কেন বলুন তো?”
“আমিও যাব ভাবছি। আমিও নুরজাহানে উঠেছি ৩০২ নাম্বার রুমে।”
“আচ্ছা চলুন।” যাত্রা পথে একজন সঙ্গী হলে খারাপ হয় না। আবার একটু ভয় লাগছে! কোনো ঝামেলায় পড়ব না তো? মেয়ে মানুষ বড়ো ভয়ংকর জিনিস! কী করে এড়ানো যায় বুঝতে পারছি না। ভাবলাম দেখা যাক কী হয়?
একটা কার ভাড়া করলাম সারাদিনের জন্য। প্রথমে রাতারগুল যাব ওখান থেকে ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর। মাঝে যদি কোনো দেখার মতো কিছু থাকে দেখব। এমন একটা পরিকল্পনা করে রওয়ানা দিলাম।
আমাদের গাড়ির ড্রাইভারটার বয়স খুব কম মনে হচ্ছে। বিশ-বাইশ বছরের একটা ছেলে। জিজ্ঞেস করলাম,” নাম কী তোমার? “
“আকাশ।”
গাড়ির পিছনে আপন বসল। আমি সামনে বসতে যাচ্ছিলাম আপন আমাকে পিছনে বসতে বলল। আমি পিছনে এসে আপনের পাশে বসলাম। আপন একটা জিন্স প্যান্ট আর টি-শার্ট পরেছে। চুলগুলো ছোটো করে ছাঁটা! প্রথম দেখলে ছেলে মনে হয়!
গাড়ি চলছে মৃদু গতিতে। আপন বেশি গতি পছন্দ করে না। খুব বেশি দূরের পথ না। আম্বর খানা থেকে রাতারগুল যেতে ঘন্টাখানিক সময় লাগে।
“আপনি কী একা একা ঘুরতে বের হন?”
আমার দিকে তাকিয়ে একটু হেসে বলল, “কেন মেয়ে বলে একা বের হওয়া যায় না?”
“যাবে না কেন। এখন তো মেয়েরা অনেকটা স্বাধীন বলা যায়। “
“একটা মেয়ে একা বের হলে কত ঝামেলা পোহাতে তা আপনারা বুঝবেন না। হোটেলে উঠতে কত যে সমস্যা! “
“হ্যাঁ, এটা ঠিক। এখনো মেয়েদের জন্য কয়টা শহর নিরাপদ বলেন।”
আমাদের গাড়ি সাহেব বাজার চলে এসেছে। ছোট একটা বাজার। বাজার থেকে কাছেই রাতারগুল। বাজার দেখে আপন গাড়ি থামাতে বলল।” চলেন চা খাই।”
একটা টিনের দোকানে চা খেতে গেলাম। এখানকার মানুষ আপনের দিকে গ্রামের মানুষের মতো অবাক হয়ে তাকাচ্ছে না। এমন প্যান্ট পরা মেয়ে দেখতে এরা অভ্যস্ত। দোকানী আমাদের দুই কাপ চা দিলো। এরা সিলেটি ভাষায় কথা বলে যার সামান্যই আমি বুঝতে পারলাম।
আপন বলল,” চাটা ভালো হয়েছে। আমাকে আরেক কাপ দেন তো।”
আমার কাছে চাটা খুব একটা ভালো লাগেনি! আপন কে আরেক কাপ চা দিলো। চায়ের দাম পরিশোধ করে আবার উঠে পড়লাম গাড়িতে।
রাতারগুল জায়গাটা দেখতে অসম্ভব সুন্দর! গাছে ঘেরা বিশাল একটা জায়গা। নৌকায় চড়ে জঙ্গলের মাঝে ঘুরতে দারুণ লাগছে! জঙ্গলের মধ্যে একটা টাওয়ার আছে এখানে দাঁড়িয়ে পুরো জঙলটা দেখা যায়।
টাওয়ারের উপরে দাঁড়িয়ে আছি এ সময় মায়ের ফোন আসল। কল ধরলাম,
“হ্যালো মা কেমন আছ?”
“তুই কোথায় রুয়েল?”
“মা আমি সিলেট আসছি একটা কাজে।”
মা রেগে আছে তার কন্ঠ শুনে বুঝতে পারছি। ” তুই নতুন বউ রেখে কাজে বের হয়েছিস!”
মা কে কী ঘটনা খুলে বলব। কেমন জানি লাগছে বলতে।” মা শোন কাজটা খুব জরুরি তাই আসতে হয়েছে। আমি বাড়িতে এসে তোমাকে সব খুলে বলব এখন রাখি।”
“কী মাকে খুব ভয় পান নাকি?” আপন মিটমিট করে হাসছে।
আসল ঘটবা জানলে মেয়েটা কী করবে? খিলখিল করে হাসবে না-কি দুঃখী দুঃখী ভাব করবে। বলে দেখব কি? না থাক। অপমানের কথা বলতে ভালো লাগে না!
আপন মেয়েটা অনেকটা বাচ্চাদের মতো। টাওয়ারে দাঁড়িয়ে খুশিতে নাচছে! এ বয়সের মেয়েরা এতটা আবেগী হওয়ার কথা না। তবে মেয়েটাকে ভালো লাগছে দেখতে।
রাতারগুল থেকে আবার সাহেব বাজার হয়ে ভোলাগঞ্জের দিকে রওয়ানা দিলাম। আকাশ বলল, “স্যার শহরে যাবেন? এখানে ভালো খাবার হোটেল নাই।”
“ভোলাগঞ্জ যাওয়ার জন্য কি শহর হয়ে যেতে হয়?”
“না স্যার। সাহেব বাজার থেকে বের হয়ে ধুপারগুল দিয়ে সোজা। শহর উল্টা দিকে।”
আপন বলল,” শহর গিয়ে কাজ নাই। আমরা রাস্তার পাশে কোনো হোটেলে লাঞ্চ করে নিবো।”
একটা ব্যাপার বড্ড খারাপ লাগছে! নবনীদের বাড়ি থেকে এমন করে চলে আসলাম। এতটা সময় কেটে গেছে। নবনী একবারও কল করেনি! এর সাথে সম্পর্ক জড়িয়ে বড়ে ভুল হয়ে গেছে! কী করে যে বের হবো বুঝতে পারছি না।
একটা হোটেলের সামনে গাড়িটা দাঁড় করাল আমাদের ড্রাইভার আকাশ। সে পিছনের দিকে তাকিয়ে বলল, “ম্যাডাম এ হোটেলে খাইতে পারেন। এখানকার খাবার ভালা!”
আমি ভাবছি এতটুকু ছেলেও বুঝে ফেলল মেয়ে মানুষের কথাই শেষ কথা! শুধু শুধু আমাকে কেন জিজ্ঞেস করবে তাই না?
আপন আকাশ কে গাড়ি রাখতে বলল। আমার দিকে তাকিয়ে বলল,” আপনার অসুবিধা হবে না তো?”
আমি ওর দিকে তাকিয়ে একটু হালকা হাসি দিয়ে গাড়ি থেকে নেমে পড়লাম। রাস্তার পাশে টিনসেড একটা বড়ো ঘর নিয়ে হোটেল। গুটিকয়েক টেবিল চেয়ার বসান। আমাদের দেখে ম্যানেজার হাঁক দিয়ে বললেন, “স্যারদের টেবিলটা ভালো করে পরিস্কার কর।”
একটা ছোটো ছেলে টেবিলটা মুছে দিলো। একটা প্লাস্টিকের জগে টিউবওয়েলের পানি এনে রাখল। তিনটা কাঁচের হালকা ময়লা গ্লাস সাথে মেলামাইনের প্লেট।
“স্যার কী খাবেন? “
“কী কী আছে এখন?”
আলু ভর্তা, বেগুন ভর্তা, শুটকি ভর্তা, ডিম ভর্তা, রুই মাছ, বোয়াল মাছ, গরু, মুরগী। একটানা কথাগুলো বলল।
আমি আপনের দিকে তাকিয়ে আছি।” আপন বলল, সব প্রকারের ভর্তা দাও আমি কোনো মাছ-টাছ খাব না। আপনারা বলেন কী খাবেন। “
ছোটো ছেলেটা আমার দিকে তাকিয়ে আছে।” কী রে মুরগী কি দেশি নাকি?”
“জে, দেশি মুরগী। “
“মুরগীই দে।”
পটাপট দশ পদের ভর্তা হাছির। সাথে দেশি মুরগী। চিকন চালে গরম ভাত ভর্তা দিয়ে খেতে কী যে ভালো লাগছে! না, আকাশ ছেলেটা সত্যিই বলেছে হোটেলের খাবারের স্বাদ ভালো! আপনও কী তৃপ্তি নিয়ে খেল।
সাদা পাথর জায়গা অসম্ভব সুন্দর! নৌকা চড়ে যেতে হয় ধলাই নদের মধ্যে দিয়ে। ওপারে মেঘালয় রাজ্যের উঁচু পাহাড় থেকে বইছে ঝর্ণার পানি। কী শীতল পরিস্কার পানি! দেখলেই গোসল করতে ইচ্ছে করে। শরীর স্পর্শ করলেই কেমন ঠান্ডা হয়ে যায়!
আপন তো ঝাপিয়ে পড়ল পানিতে। মানুষের খুশি দেখতে বড্ড ভালো লাগে! নিজের মধ্যেও কেমন খুশির একটা ঢেউ উঠে। আমি নেমে পড়লাম বরফ শীতল পানিতে। সাঁতার কাটতে ভালো লাগছে! অনেক সময় ধরে পানিতে থাকলাম আমরা। আকাশ ছেলেটা আসেনি ও গাড়িতে রয়ে গেছে। এ সব জায়গায় ওরা অনেকবার এসেছে তাই হয়ত ওদের টানে না!
ফিরতে ইচ্ছে করছিল না। এ সব জায়গায় এলে যেতে ইচ্ছে করে না! মনে হয় এখানেই একটা ঘর বানিয়ে বাকি জীবনটা কাটিয়ে দিতে পারতাম। ভারতের পাহাড়ে কিছু ঘর-বাড়ি দেখা যায়। মনে হয় ওরা কত ভাগ্যবান! এমন সুন্দর জায়গায় সব সময় থাকে!
হোটেলে ফিরতে সন্ধ্যা হয়ে গেল। মনটা তাজা থাকলেও দেহটা কেমন ক্লান্ত হয়ে গেছে। একটা ঘুম দেয়া দরকার। মনে হয় বিছানায় গেলেই দারুণ একটা ঘুম হবে।
রাতে হোটেলের ডাইনিংয়ে আপনের সাথে দেখা হলো। অনেকটা সময় একসাথে কাটালাম কিন্তু আপন সম্পর্কে তেমন কিছুই জানি না! মেয়েদের সাথে কথা বলতে কেমন একটা জড়তা কাজ করে! মনে হয় কী মনে করবে? অবশ্য আপন মেয়েটা অনেকটা খোলা মনের। এমন মেয়েরা সবার সাথে খুব সহজে মিশে যেতে পারে।
একটা টেবিলে মুখোমুখি বসেছি দুইজন। আপন বলল, “আগামীকাল কোথায় যাবেন?”
ওকে বলতে খারাপ লাগছে! আগামীকাল আমাকে চলে যেতে হবে। মা অনেকবার কল দিয়েছে। মেয়েটা এত আগ্রহ নিয়ে জানতে চাচ্ছে। আমার সাথে ঘুরতে ভালো লাগছে! না-কি ওর একজন সঙ্গী হলেই হলো?
“কাল আমি চলে যাব।”
“সে কি! এত তাড়াতাড়ি চলে যাবেন?” কেমন মনখারাপ করে ফেলল। দেখে খুব মায়া হচ্ছে। থেকে যেতে ইচ্ছে করছে এখন।
“হ্যাঁ, চলে যেতে হবে। আপনার নাম ছাড়া কিছুই জানা হলো না!”
“আর তো কিছু নেই আমার! নিজের বলতে শুধু নামটাই আছে।”
কী বলব ঠিক বুঝতে পারছি না। কেউ এমনভাবে কথা বললে খুব কষ্ট লাগে! ওর দিকে তাকিয়ে একটু হাসার চেষ্টা করলাম।
“নিজের না হলেও মানুষ হিসাবে আমাদের একটা ঠিকানা থাকে তা-ই না?”
“হ্যাঁ, আছে একটা। ধানমন্ডিতে বাবার একটা বাড়ি আছে কখনো কখনো আমিও সেখানে থাকি।”
বাড়িতে এসে দেখি নবনী আমাদের বাড়িতে। ঘটনা কী এ মেয়ে আবার আমাদের বাড়িতে চলে এসেছে! আমি ওকে বুঝতে পারছি না। এমন একটা কান্ড করে আবার ফিরে এসেছে!
আমায় দেখে কেমন করে হাসি দিলো। একে দেখেই তো কেমন জ্বলুনি শুরু হয়েছে! মায়ের সাথে মনে হয় ভালোই খাতির জমিয়ে ফেলেছ! মা আমাকে দেখে বলল, “কী রে তুই কো আক্কেলে এমন একটা কাজ করলি! নতুন বউ বাপের রেখে তুই চলে গেলি?”
আমি কিছু না বলে সোজা ঘরে চলে আসলাম। কী রাগ লাগছে! এ আবার কেমন বউ পেলাম আমি? একে তো তালাক তো দেয়া যাবে না! মা দিতে দিবে না। কী যে করব কিছুই বুঝতে পারছি না।
ছোটোবোন এসে বলল, “ভাইয়া তোমার কী এমন কাজ পড়ল আমাদের রেখে চলে গেলে?”
“ছিল জরুরি একটা কাজ। তা তোরা আসলি কবে?”
“তুমি চলে যাওয়ার পরপরই চলে এসেছি।”
“নবনী কি তোদের সাথেই আসছে?” জানার চেষ্টা করছি সেচ্ছায় এলো না-কি জোর করে পাঠিয়েছেন।
ভাবীই তো আমাকে বলল, “রুনু চলো তোমাদের বাড়ি যাই। তোমার ভাই চলে গেছে আমার এখানে থাকতে ভালো লাগছে না!”
কী মেয়ে রে বাপ! এত কঠিন জলের মাছ। একে ঘায়েল করা সহজ হবে বলে মনে হচ্ছে না।
“ঠিক আছে তুই যা।”
রাতে খাবারের সময় মা বলল, “বউ ভাতে কাদেরকে দাওয়াত দিবি এক লিস্ট করে ফেল।”
“মা এ সব অনুষ্ঠান করা আপাতত বন্ধ রাখ।”
মা আমার দিকে কঠিন চোখে তাকিয়ে বললেন, ” কেন? “
মা কে কী করে বলি কয়দিন পর যে বিয়ে ভাঙবে তা নিয়ে এত মাতামাতি করার দরকার নাই। ” আমার হাতে এখন টাকা পয়সা নাই!”
“তোর টাকা কে চেয়েছে? “
আমাদের কথা শুনে নবনী কেমন করে হাসছে! আমার মেজাজটা খারাপ হয়ে গেল। ” মা কোনো আয়োজন করব না ব্যস।” একটু রাগ করে বললাম। মায়ের সাথে কখনো আমি এমন করে কথা বলিনি! আমার এমন আচরণে মা কেমন চুপ হয়ে গেল। আমার খুব খারাপ লাগছে এখন। এ মেয়েটা সব অশান্তির মূল! একে যত তাড়াতাড়ি পারা যায় বিদায় করতে হবে।
চলবে —
® নাবিল মাহমুদ