নবনী পর্ব ৭
“আপনি কি আমায় কিছু বলতে চান?”
আমার দিকে তাকিয়ে হালকা একটু হাসি দিলো।
আমি আপনের চোখে চোখ রাখলাম। কেমন আনন্দিত লাগছে ওকে! মনে হয় কিছু বলতে চায়। মেয়েটা আমার অফিস খুঁজে বের করেছে। তাহলে তো আমার বিয়ের কথা অজানা থাকার কথা না!
“বললেন না তো? “
“কী বলবো বুঝতে পারছি না। আজ আমার খুব ভালো লাগছে! “
“কেন?”
“জানি না! জানতেও চাই না। ভালো লাগার কারণ খুঁজে কি হবে, ভালো লাগাটা অনুভব করছি।”
থাকুক না মেয়েটা খুশি নিজের মতো করে। আনন্দে আছে এই বড়ো কথা। সত্যিই তো আনন্দ থাকতে কারণ লাগবে কেন! মানুষের জন্মই হয়েছে আনন্দে থাকার জন্য। খারাপ লাগার কারণ থাকবে। মানুষ খারাপ লাগা কাটিয়ে আবার আনন্দে ফিরে আসবে।
আপন বলল, “চলেন নিচে খোলা মাঠে যাই। খুব সুন্দর লাগছে দেখতে।”
অনেকটা উঁচুতে রাস্তা পাহাড়ের মতো ঢালু জায়গাটা নামতে হলো ধীরে ধীরে। চারিদিকে সবুজে ঘেরা মাঠ।
আপন খোলা মাঠে বাচ্চাদের মতো ছুটাছুটি করতে লাগল! ওকে দেখে আমার কী যে ভালো লাগছে! ইচ্ছে করছে আমিও ওর মতো ছুটাছুটি করি। কিন্তু করতে পারছি না মানুষ দেখলে কী ভাববে। আমরা বেশিরভাগ ভালো লাগার কাজ করতে পারি না। মানুষের ভাবনার কথা চিন্তা করে।
অনেক সময় কেটে গেছে আমরা মাঠে এসেছি। এবার যেতে হবে। কেন জানি যেতে ইচ্ছে করছে না! খুব ভালো লাগছে! “এবার যাওয়া যাক কী বলেন?”
আপন আমার দিকে তাকিয়ে একটা হাসি দিলো। হাসিটা কেমন প্রানহীন মনে হচ্ছে! ওর কি আমার মতো যেতে ইচ্ছে করছে না! অনেকটা অনিচ্ছায় উঠে দাঁড়িয়ে বলল, “চলেন। দুপুরে আপনার খাওয়া হয়নি। খুব বেশি ক্ষুধা লেগেছে? “
“না ক্ষুধ তেমন লাগেনি। জায়গায় এত সুন্দর কেমন করে সময় কেটে গেল! “
রাস্তায় যখন উঠে এসেছি সূর্য অনেকটা পশ্চিম দিকে হেলে পড়েছে। এখন একটু একটু না অনেকটা ক্ষুধা লাগছে! এখানে তো খাওয়ার তেমন কিছু নাই। দুইটা মুদি দোকান দেখা যাচ্ছে। তাতে অবশ্য খাওয়ার যা আছে তা দিয়ে লাঞ্চ করা যায় না।
আমাদের রিকশাওয়ালা মুদি দোকানে বসেছিল। আমাদের উঠতে দেখে এগিয়ে এলেন। রিকশায় চড়ে আমরা আমরা বাসাব চলে এলাম। বাসাব তে একটা নতুন রেস্টুরেন্টে হয়েছে। দেখতে ছিমছাম সুন্দর।
আপনকে নিয়ে এখানে লাঞ্চ সারলাম। রিকশাওয়ালা চাচাও আমাদের সাথে লাঞ্চ করল। রিকশা নিয়ে আপন চলে গেল। আমি দাঁড়িয়ে আছি আপন কয়েকবার পিছনে ফিরে তাকাল!
অনেক বছর পর বিদেশ থেকে মামা এসেছেন। আমি বিয়ে করে ফেলেছি মামা বিশ্বাস করতে পারছেন না। আমাকে নাকি এতটুকু দেখে গেছেন। কত বছর আর কেটেছে এর মধ্যে আমি এত বড়ো হয়ে গেছি! নবনী কে মামার দারুণ পছন্দ হয়েছে!
মামা আমাকে দেখে বললেন, ” কেমন আছিস মামা?”
আমি হালকা একটু হাসি দিয়ে বললাম,” ভালো আছি মামা। আপনার কী খবর? “
“ভালো আছি রে মামা। তোকে দেখে তো নিজেকে বুড়া বুড়া লাগছে! কত বড়ো হয়ে গেছিস! আবার বিয়েই করে ফেলেছিস। “
আমার একটু লজ্জা লাগল মামার কথায়।
মামা হাসি দিয়ে বললেন, “লজ্জা পাচ্ছিস কেন রে বেটা। তুই তো দেখি পুরোপুরি বড়ো হইসনি! ছোটোবেলার মতো লাজুক আছিস। তবে বউমা কে আমার খুব পছন্দ হয়েছে! “
“মামা আবার কী বিদেশে যাওয়ার চিন্তা ভাবনা আছে নাকি।”
“তোর মা তো মনে হয় এবার ছাড়বে না বেটা।”
“আর কত পরদেশ পরে থাকবেন। এবার আমাদের সাথে কাটান বাকি জীবনটা। “
মামা বিয়ে করেনি। একটা মেয়ের সাথে প্রেম করেছিলেন। সেই মেয়ের অন্য জায়গায় বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর মামা বিদেশে চলে যান। এত বছরে একবারও দেশে আসেননি।
নবনী মামার ভালো সেবা যত্নে করছে। দেখলাম মামা নবনী কে বলছেন, ” মা রে তোমরা কী আমায় আঁটকে ফেলার পরিকল্পনা করছ? এমন সেবা করলে আমি তো তোমাদের ফেলে যেতে পারব না!”
“আপনাকে আমরা যেতেও দিবো না মামা।”
এ মেয়েকে তো আমার কেমন রহস্যময়ী মনে হচ্ছে! আমাকে আপন ভাবতে পারছে না! সব আত্মীয় স্বজন কে কেমন আপন করে নিচ্ছে!
আমি ভেবেছিলাম নবনী কে বলব, মামা এসেছেন এখন যদি দেখে আমরা আলাদা থাকি ব্যাপার ওনার ভালো লাগবে না। আপনি আমার রুমে ঘুমাবেন কেমন। কিন্তু বলা হয়নি। কেমন অস্বস্তি লাগছে বলতে। যাক পরে তো জানবেই।
রাতে দেখি নবনী আমার রুমে এসে বসে আছে। আমি ওকে বললাম, ” কিছু বলবেন? “
আমার দিকে তাকিয়ে বলছে, “আমি এখানে ঘুমাব।”
“কেন?” বলে মনে হলো। আমি একটু বেশি করছি না তো।” না ঠিক আছে। আপনি খাটে শুয়ে পড়েন।”
আমি বারান্দায় এসে ইজি চেয়ারটায় বসে রইলাম। দেখলাম নবনী বিছানা গুছিয়ে নিজের মতো করে শুয়ে পড়ল। আমি কোথায় ঘুমাব তা নিয়ে ওর কোনো মাথা ব্যথা নেই! মেয়েটাকে আমি ঠিক বুঝতে পারছি না!
অফিসে আজ অনেক কাজের চাপ। সবাই খুব ব্যস্ত। সকাল বেলায় বড়ো স্যার অফিসে উপস্থিত হয়েছেন। নতুন প্রোজেক্টের সব ফাইলগুলো স্যারের রুমে জমা দিয়ে এসেছি। উনি চেক করার পর আবার আমাকে দেখতে হবে। সাধারণত আমার করা কাজে উনি ভুল খুঁজে পান না। আমি খুব যত্ন করে প্রতিটা কাজ করি। তাই তো উনি আমাকে খুব পছন্দ করেন।
সবাই ব্যস্ত থাকলেও আমার হাতে তেমন কাজ নাই। আমি বসে বসে মোবাইল টিপছি। একবার ভেবেছিলাম অফিস থেকে বের হয়ে যাই। সবাই এত চাপে আছে আর আমি চলে যাচ্ছি। ওদের খুব খারাপ লাগবে!
রিসিপশন থেকে জানাল আমার সাথে একজন দেখা করতে এসেছেন। আজ আবার কে এলো আপন না তো? আপন আসলে খারাপ হয় না। ওর সাথে বেরিয়ে পড়া যাবে।
ওয়েটিং রুমে গিয়ে দেখলাম একজন লোক বসে আছে। চিনা লাগছে নাম মনে করতে পারছি না! আমায় দেখে হাসি দিয়ে বললেন, “কেমন আছেন? “
“জি, ভালো। আপনি?” এবার মনে পড়ে গেল। এ তো জয়নাল। আমার উকিল বন্ধু কায়েস যাকে নিয়োগ করেছে। নবনী সম্পর্কে খোঁজ খবর বের করার জন্য।
জয়নাল কে নিয়ে আমাদের ক্যান্টিনে চলে আসলাম। সিঙ্গাড়া আর চায়ের অর্ডার দিলাম। “তারপর কী খবর বলেন তো?”
“স্যার মোটামুটি খবর বের করেছি।”
“গুড। বলেন তো কী জানতে পারলেন? “
“স্যার নেয়েটির নাম নবনী। বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল থানায়।” মনে মনে হাসি পাচ্ছিল। কী সব খবর নিয়ে এসেছে এ লোক।
“হ্যাঁ, বলেন আর কী জানতে পারলেন।”
“একটা ব্যাপার স্যার। ওরা কিন্তু ব্রাহ্মণবাড়িয়ার স্থায়ী বাসিন্দা না। এর আগে রাজশাহী শহরে ছিল অনেক বছর। হঠাৎ করে রাজশাহীতে বাড়ি বিক্রি করে দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া চলে আসেন। এটা খুব বেশি আগের কথা নয় পনেরো বছর হবে।”
“কেন চলে এসেছেন? ” লোকটা মনে হয় অনেক খবর বের করেছেন!
“সম্ভবত মেয়েটিকে নিয়ে একটা সমস্যা হয়েছিল।”
“কী ধরনের সমস্যা? “
“নবনীর স্কুলে একটা ছেলের সাথে সম্পর্ক জড়িয়ে পড়েছিল এবং ছেলেটা হয়ত ওকে কিছু করতে চেয়েছিল। এটা নিয়ে স্কুলে জানাজানি হয়ে যায়। ছেলেটাকে স্কুল থেকে বের করে দেয়া হয়েছিল। “
স্কুলে পড়া একটা ছেলের সাথে সম্পর্ক ছিলো। এতদিন কি সেই সম্পর্ক ধরে রেখেছে নবনী!
“আচ্ছা ছেলেটার নাম ঠিকানা জানতে পেরেছেন?”
“ছেলেটার নাম রাজন। ছেলেরাও রাজশাহী শহর ছেড়ে চলে গেছে অনেক বছর আগে। এখন কোথায় থাকে জানতে পারিনি। আশা করি করি পেয়ে যাব।”
“আচ্ছা ঠিক আছে। ” জয়নাল কে পাঁচ হাজার টাকা দিলাম। মনের মাঝে কেমন করতে লাগল! স্কুলে পড়ার সময় প্রেম। এ সময় ছেলে-মেয়েরা খুব আবেগী হয়। আবেগে পড়ে অনেকের সম্পর্ক সৃষ্টি হয়। কিন্তু বেশিরভাগ সম্পর্ক টিকে না। নবনীর সাথে ছেলেটার যোগাযোগ আছে কি?
মামা সবাইকে নিয়ে ভ্রমনে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন। পুরো ফ্যামিলি নিয়ে কোথায় যাবেন এটা এখনো ঠিক হয়নি। খুব বেশি দূরে হবে কি-না বলতে পারছি না। ভ্রমনে যাওয়ার ব্যাপারে নবনীকে অনেক উৎসাহী মনে হচ্ছে!
আমার যাওয়ার সম্ভব না কম। অফিসে এ সময় কাজের অনেক চাপ। তাছাড়া যেতে ইচ্ছে করছে না! ঘুরতে যাওয়া মানে নবনীর সাথে থাকা নিয়ে একটা ঝামেলা! নবনীর স্কুলের ঘটনাটা জানার পর থেকে কেমন খারাপ লাগছে! মেয়েটাকে ছেড়েই দিব চিন্তা করেছিলাম তাহলে এখন খারাপ লাগছে কেন!
সকালে নাস্তা করার সময় মামা বললেন, “কী রে রুয়েল সবাই যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে তোর কোন সাড়াশব্দ নেই?” মা আসার পর সকালে সবাই একসাথে নাস্তা করি। মামা খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠেন।
“আমি তো যেতে পারব না মামা।”
আমার কথা শুনে মামা যেন আকাশ থেকে পড়লেন। আমার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে বললেন, “সে কি রে মামা তোকে ছাড়া যাব কী করে!”
আমার অফিসে এখন প্রচন্ড কাজের চাপ মামা একদম দম ফেলার সময় নেই। “আপনি সবাইকে নিয়ে ঘুরে আসুন না।”
নবনী আমার দিকে তাকিয়ে আছে চোখে বিস্ময় নিয়ে। মা কিছু বলছে না। আমি নাস্তা শেষ করে উঠে পড়লাম।
আজ অফিসে একটা উৎসব উৎসবভাব সবার মুখে কেমন হাসি লেগে আছে। মনে হয় কোনো ভালো খবর আছে। বড়ো স্যার কী এসেছেন? আমি আমার রুমে বসে রইলাম। রুমে ঢুকার সাথে সাথে কাজল এলো। এ মেয়েটা কি অপেক্ষায় থাকে নাকি আমি কখন আসব!
আজও কাজলের মুখ হাসি হাসি। তবে আজ হাসিটা খারাপ লাগছে না। আমিও একটু হেসে বললাম, “কী খবর কাজল?”
“খুব ভালো রুয়েল ভাই।”
“বড়ো স্যার অফিসে এসেছেন কাজল?”
“না রুয়েল ভাই স্যার এখনো আসেনি।”
“আজ আপনাকে অনেক খুশি খুশি লাগছে!”
“আজ অফিসের সবাই খুশি! আপনি এখনো খবরটা শুনেননি তা-ই না?” কাজল আমার দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে!
আমি দ্বিধায় পড়ে গেলাম। কোনো খবর কি আছে যা আমার জানার কথা? ঠিক মনে পড়ছে না!
“না তো! কী খবর বলেন তো?”
“নতুন প্রোজেক্টের কাজটা আমরা পেয়ে গেছি। আপনি প্রোজেক্টের সব কাজ করলেন। পার্টি আপনার কাজ খুব পছন্দ করেছেন রুয়েল ভাই।”
“তা-ই বুঝি। এত খুব ভালো খবর! “
“আপনি না রুয়েল কেমন জানি। কাজের সময় এত সিরিয়াস থাকেন আবার কেমন উদাস হয়ে যান!”
“আরে না আমি একটু পারিবারিকভাবে ব্যস্ত ছিলাম তাই খবর রাখা হয়নি।”
“তা ভাবি কেমন আছে ভাই?”
“আছে ভালোই। “
“ভাবির সাথে পরিচয় করাবেন না? অনুষ্ঠান তো করেননি শুনলাম। আমাদের বঞ্চিত করলেন ভাই!”
“চলে আসেন একদিন। আপনার ভাবির সাথে পরিচয় হবেন।”
“একা যাব ভাবছেন? সব দলবল নিয়ে হাজির হবো।”
“আসুন আসুন। আপনার ভাবি খাওয়াতে খুব ভালোবাসে সবাইকে পেলে খুশিই হবে!”
“এরমধ্যেই ভাবির ভালো লাগা মন্দ লাগা বুঝে গেছেন! খুব ভালো রুয়েল ভাই। আপনি ভাবি কে খুব ভালোবাসেন তা-ই না?”
আমি কিছু বললাম না। এ সব কথার পর কিছু বলতে হয় না। নীরব থেকে একটু হাসি দিতে হয়। এ হাসির মানে সামনের মানুষটা তার মতো করে বুঝে নিবে।
বড়ো স্যার এলেন এগোরটার সময়। এসে সবাইকে তিনি অভিনন্দন জানালেন। আমার ডাক পড়ল স্যারের রুমে। আজ স্যারের রুমে যেতে ভালো লাগছে! স্যারের রুমে ঢুকে দাঁড়িয়ে আছি। স্যার বাথরুমে গেছেন। ইচ্ছে করলে বসতে পারি। দাঁড়িয়ে থাকতে ভালো লাগছে!
স্যার আমাকে দেখে একটা মিষ্টি হাসি দিলেন৷ “বসো রুয়েল। দাঁড়িয়ে আছ কেন!”
আমি চেয়ারটা টেনে বসলাম। স্যারের মুখে এখনো হাসিটা লেগে আছে। মানুষ দুঃখ লুকাতে পারে হাসি দিয়ে কিন্তু আনন্দ লুকাতে পারে না! আনন্দে কাঁদলেও তা বুঝা যায়।
“আমি দারুণ খুশি হয়েছি রুয়েল! তুমি খুব ভালো কাজ করেছ। তুমি হয়ত জানো না। এ কাজটা না পেলে আমাদের অফিস বন্ধ করে দিতে হতো। খুব টেনে টেনে চলছিলাম। আমি তোমাকে বলিনি বললে কাজটা ভালো হত না। তুমি অতিরিক্ত চাপে থাকতে।”
আমি কিছু বললাম না। স্যারের দিকে তাকিয়ে রইলাম। স্যারের মুখের হাসিটা এখন নেই! কেমন একটু আঁধার নেমেছে! আমাদের সবার একটা নিজস্ব দুঃখ থাকে! কেউ কারোটা জানি না!
স্যার টেবিলের ড্রয়ার থেকে একটা খাম বের করলেন। “আমার দিকে খাম এগিয়ে দিয়ে বললেন, এটা আমার পক্ষ থেকে তোমার জন্য উপহার। “
আমি খামটা হাতে নিলাম। স্যারের মুখে আবার হাসিটা ফিরে এসেছে! ” এটা কী স্যার?”
“এটা আমাকে কেন জিজ্ঞেস করছ ইয়াংম্যান! জিনিসটা তোমার হাতে আছে খুললেই জানতে পারবে। তবে এখন খুলো না। বাসায় গিয়ে খুলবে।”
স্যার কেমন রহস্যময় হাসি দিচ্ছেন! আমি একটু হাসি দিয়ে উঠে দাঁড়ালাম।
চলবে–
® নাবিল মাহমুদ