- পদ্মজা উপন্যাস সারসংক্ষেপ।
- পদ্মজা উপন্যাস গল্প।
- পদ্মজা উপন্যাস উক্তি।
- আমি পদ্মজা উপন্যাসের মূলভাব।
- poddoja uponnash summary
সম্পূর্ন গল্পের লিংক শেষ অংশে
১।পদ্মজা উপন্যাস সারসংক্ষেপ
আমি পদ্মজা উপন্যাসের মূল কাহিনি ও বিষয়বস্তু কি? যারা যানেন না জেনে নিন
আমি পদ্মজা উপন্যাসের মূল কাহিনী হল একটি গ্রাম্য মেয়ের সামাজিক ও পারিবারিক প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে আত্মপ্রতিষ্ঠার সংগ্রাম। উপন্যাসের নায়িকা পদ্মজা একজন দরিদ্র কৃষক পরিবারের মেয়ে। তার বাবা একজন নিরীহ ও অসহায় মানুষ। মা মারা যাওয়ার পর পদ্মজা তার বাবা এবং ছোট ভাইবোনদের দেখাশোনা করতে হয়।
পদ্মজা একজন মেধাবী ও সাহসী মেয়ে। সে পড়াশোনা করতে চায়। কিন্তু তার বাবা তাকে পড়াশোনা করতে দিতে চায় না। সে চায় পদ্মজা বিয়ে করে সংসার করুক।
পদ্মজা তার বাবার ইচ্ছার বিরুদ্ধে পড়াশোনা চালিয়ে যায়। সে স্থানীয় স্কুল থেকে মেট্রিক পাশ করে ঢাকার একটি কলেজে ভর্তি হয়। কলেজ জীবনে পদ্মজা তার মেধা ও যোগ্যতার মাধ্যমে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
কলেজে পড়ার সময় পদ্মজা তার বাবার অসুস্থতায় আক্রান্ত হওয়ার কথা জানতে পারে। সে ছুটি নিয়ে গ্রামে ফিরে যায়। তার বাবার চিকিৎসার জন্য সে অনেক কষ্ট করে টাকা জোগাড় করে। কিন্তু তার বাবা শেষ পর্যন্ত মারা যায়।
বাবার মৃত্যুর পর পদ্মজা তার ভাইবোনদের দেখাশোনা করার দায়িত্ব নেয়। সে একটি স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করে। পাশাপাশি সে তার পড়াশোনা চালিয়ে যায়।
পদ্মজা তার অধ্যবসায় ও পরিশ্রমের মাধ্যমে সফলতা অর্জন করে। সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করে। তার গল্প বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
পদ্মজা তার জীবনের গল্পের মাধ্যমে সমাজে নারীর ক্ষমতায়নের বার্তা দেয়। সে প্রমাণ করে যে, নারীরা যেকোনো প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে নিজের লক্ষ্য অর্জন করতে পারে।
উপন্যাসের অন্যান্য চরিত্র
- পদ্মজার বাবা: একজন নিরীহ ও অসহায় মানুষ।
- পদ্মজার মা: একজন অসাধারণ নারী।
- পদ্মজার ছোট ভাইবোনেরা: দুষ্টুমি করেও পদ্মজাকে অনেক ভালোবাসে।
- পদ্মজার কলেজের বন্ধুরা: পদ্মজার সাফল্যের পথে সহায়তা করে।
- পদ্মজার স্বামী: একজন সৎ ও শিক্ষিত মানুষ।
উপন্যাসের মূল বিষয়বস্তু
- নারীর ক্ষমতায়ন
- সামাজিক ও পারিবারিক প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম
- শিক্ষার গুরুত্ব
- ভালোবাসার শক্তি
২.পদ্মজা উপন্যাস গল্প
#রিভিউপোস্ট
#পদ্মজা
#লেখিকা_ইলমা_বেহরোজ
#গল্প_ফ্যাক্ট
প্রথম পর্বগুলো পড়ে তেমন একটা ঘোর লাগে নি। কিন্তু মনে কৌতুহল তৈরি হয়েছিল পদ্মজা নামের মেয়েটাকে নিয়ে। নিজের মাকে এক পর্বে বিশ্বাস`ঘা`টক ডাকার পর থেকে এই উপন্যাসের প্রতি আগ্রহ বেড়ে যায়। হেমলতার মত নারী কিভাবে আখ্যা পেল?
প্রথমে লিখনকে নায়ক ভেবে পদ্মজার সাথে তাকে নানাভাবে কল্পনা করে ফেলি। ( ভাবারই কথা। কারণ তখন ইলমা আপুও লিখনকে নায়ক ভেবে লিখেছিল।) যার কারণে আমিরের সাথে বিয়ে দেওয়াতে একদম ভালো লাগে নি। তখন পূর্ণার মত আমিও মনে মনে বলতাম, ‘দূর! কি করল লেখিকা। এমন কালা চাঁদ পদ্মজার সাথে কোনো ভাবেই যায় না। এই চ্যাম`ড়ারে পূর্ণার সাথে মানাই তো। ধ্যাৎ!’ পদ্মজার বিয়ের আগের রাতে হেমলতার অতীত জেনে প্রথম বারের মত কোনো উপন্যাস পড়ে আমার গলা ধরে আসে। নিজের অজানতেই কেদেঁছি। পদ্মজা উপন্যাস এই মহীয়সী নারী ছাড়া অসম্পূর্ণ। আরও তীব্র আগ্রহ আর উৎসাহ নিয়ে পড়তে থাকি। বিয়ের প্রথম রাত থেকেই আস্তে আস্তে আমিরকে ভালো লাগতে শুরু করে। পদ্মজার প্রতি ওর ভালোবাসা, যত্ন, ব্যবহার সব কিছু কেমন যেন চম্বুকের মত আকর্ষণ করতে শুরু করে। অবশেষে ভ`য়ংক`র ভাবে আমিরের প্রেমে পড়তে বাধ্য হলাম। লেখিকা কেন লিখনকে বাদ দিয়ে এই শ্যাম পুরুষকে পদ্মজার জন্য বাচাই করলেন তা হাড়ে হাড়ে টের পেলাম।
আমির আর পদ্মজার মেয়ে পারিজা আসছে শুনতে শুনতে এসে চলেও গেল। এটা একটা ধাক্কার মত ছিল। এরপর হেমলতার মৃ/ত্যু দুটোতে প্রচুর কষ্ট লেগেছিল। পদ্মজার মত এই উপন্যাসের প্রতিটা পাঠক এই অংশে মুষড়ে পড়েছে। আমার মনে হয়, হেমলতা ম/রার সময় পদ্মজাকে তার ভিতরের ভ/য়ংক/র সত্তাটা উপহার স্বরূপ দিয়ে গেছে। যে অন্যায়ের বিরুদ্ধে খু/ন করতেও পিছু হাঁটে না।
আমিরের আসল রূপ সামনে আসার মুহূর্তটা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব না। পূর্ণার মৃ/ত্যু আর আমিরের এই রূপ একদম আশা করি নি। মৃদুলের পরিণতিতে প্রচুর পরিমানে ব্যথিত হয়েছি। আমির আর পদ্মজার দূরত্বের সময়টায় আমিরের প্রতিটা উক্তি একদম মন ছুঁয়ে গেছে।
আমাকে কিছু মোছার শক্তি দিলে আমি পদ্মজার শেষ দুটো পর্ব চিরতরে মুছে দিতাম। একদম পৃথিবীর প্রতিটি কোণ থেকে অদৃশ্য করে দিতাম! আমির যেমনই হোক পর সত্য না জেনে এবং জানার পরও পদ্মজা ওকে ভালোবেসেছে। মৃ/ত্যুর পরও পদ্মজা ওর স্বামীকে ভালোবাসে। আমারও একই অবস্থা কোনোভাবে আমিরের জায়গায় আর কাউকে বসানো সম্ভব হচ্ছে না। আমিরের কোনো ভুল আর চোখে পরছে না!
প্রথমে বলব আমার পড়া প্রথম বেস্ট উপন্যাস এটাই ছিল। কিন্তু যখন আস্তে আস্তে গল্প-উপন্যাস পড়ার সংখ্যা বাড়তে শুরু করল তখন বুঝতে পারলাম এর চেয়ে ভালো ভালো কাহিনী আর উন্নত মানের উপন্যাসও আছে। যার সংখ্যা হাজার-হাজার! কিন্তু পদ্নজার মত না কখনও কোন উপন্যাস এসেছে আর না কখনো আসবে। প্রথম ভালোবাসা যেমন ভুলা যায় না, পদ্মজা উপন্যাসও কখনো ভুলতে পারব না। এটা সাহিত্যের জগতে আমার প্রথম ভালোবাসা!
পদ্মমির
ইলমা_বেহরোজ
পদ্মজা প্রেমী হিসেবে আমির পদ্মজা কে দ্বিতীয় বার পড়তে পারার অনুভূতিটা অবর্ণনীয়, একদম অন্যরকম, ভ’য়ং’ক’র সুন্দর। এখনো বিশ্বাস হচ্ছে না আমি পদ্মমির পড়েছি, পদ্মজা আর আমিরের সংসার জীবনটা পড়েছি, পদ্মজা থেকে আমিরের পা’পকর্ম লুকানোর কাহিনী গুলো পড়েছি। ইশ্ পদ্মমির এতো সুন্দর কেন? ফাইনালি আমি পড়েছি পদ্মমির! ই-বুক টা পড়ার তীব্র আকাঙ্ক্ষা আমার পূর্ণ হয়েছে। অবশ্যই সকল ক্রেডিট গুঞ্জন চৈতি আপুর। সে গিফট করেছে বলেই এতো সুন্দর একটা ই-বুক পড়তে পেরেছি।
ভীষণ প্রিয় একটা উপন্যাস হওয়া সত্বেও কখনো “পদ্মজা” নিয়ে কোন অনুভূতি প্রকাশ করা হয়নি, রিভিউ দেওয়া হয় নি। এতো সুন্দর উপন্যাস এটা নিয়ে কিছু বলতে গেলেই শব্দভান্ডারে শব্দের অভাব পড়ে, গোছালো অনুভূতিগুলো অগোছালো হয়ে পড়ে। ঠিক সেরকম পদ্মমির নিয়েও কিছু বলতে পারছি না। সব এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে।
পদ্মমির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পুরোটাই মুগ্ধতায় পূর্ণ।আমির চরিত্রটা খা’রা’প ঘৃ’ণিত হলেও তার প্রেমিক সত্ত্বাটা মুগ্ধ করার মতো। পদ্মমির এ ফুঁটে ওঠেছে আমির পদ্মজার ভালোবাসাময় সুন্দর একটা সংসার চিত্র। আমির কিভাবে পদ্মজার থেকে তার অ’প’ক’র্ম গুলো লু’কিয়ে রেখেছিলো, শ’ত্রুদের থেকে পদ্মজাকে কিভাবে আগলে রেখেছিলো সেই সকল কাহিনী। পদ্মজা মানেই ভালোলাগার আরেক নাম আর পদ্মমির সেই ভালোলাগার প্রিয় একটা অংশ।
গল্পের ইন্ডিং জানা থাকলে সেই গল্পটা পড়ার আগ্রহ অনেকটাই কমে যায়।পদ্মমিরের ক্ষেত্রেও আমার সাথে তেমন হয়েছে একটু। সাথে আমির পদ্মজার কাছে ধরা পড়বে কি পড়বে না এটা জানার যে উদগ্রীবতা, উত্তেজনা হওয়ার কথা তা হয়নি একটুও কারণ জানতাম আমির ধরা পরবে না। সব ভালো লাগার মাঝে এই বিষয়টা একটু খারাপ লাগা ছিলো।
চরিত্র,
আমির হাওলাদার: খুব ঘৃ’ণিত আবার ভীষণ প্রিয় একটা চরিত্র। আমির হাওলাদার কে বিশ্লেষণ করতে গেলে আবেগ বিবেকের মাঝে অল্প বিস্তর দ্ব’ন্ধের সৃষ্টি হয়। দুটি সম্পূর্ণ ভিন্ন সত্তা বহন কারি একটা চরিত্র। পদ্মজার ভাষায় আমির হাওলাদার হলো,
“সুদর্শন। ঘন কালো চুল, অন্তর্ভেদী কালো চোখ, থুতনিতে কাটা দাগ, বলিষ্ঠ শরীর, ধবধবে সাদা দাগ আর ভীষণ রসিক–” পদ্মজা আমিরের গায়ের রংয়ের কথা বলে নি কেনো?
পদ্মজা: প্রিয় একটা নারী চরিত্র। পদ্মমিরের পুরোটা জুড়েই পদ্মজা ছিলো সহজ সরল আর প্রতিবাদী একটা চরিত্র। আমিরের বিশ্বস্ত যত্নশীল পত্নী। আর ছিলো সন্তান হারিয়ে সন্তানের আশায় হাহাকার করা এক মা।পদ্মজা একটা মাত্র চরিত্র যার অতিরিক্ত রুপের বর্ণনা শুনতে কখনো খারাপ লাগে না। আর সেটা আমির বর্ণনা করলে তো কথাই নেই।
রফিক, কুতুবউদ্দিন: আমিরে প্র’তি’দ্ব’ন্ধি হিসেবে ছিলো এই চরিত্র গুলো।পদ্মমির গল্পটার মূল ভিলেন। আমিরকে ভালোই দৌড়ের উপর রাখছে। শেষটায় তাদের পরিণতি আমির সহ আমাকেউ শান্তি দিয়েছে। তবে এটা কিন্তু ঠিক আমির আর তাদের মাঝে মিল অমিল দুটোই রয়েছে কারণ আমির তো আর দুধে ধোয়া তুলসী পাতা চরিত্র নয়। সব এক ক্যাটাগরির।
ভূবন: গল্পটার প্রিয় একটা চরিত্র ছিলো। পদ্মজা অন্ত প্রাণ। পদ্মজাকে বুবু বলে ডাকা একটু অন্যরকম অস্বাভাবিক চরিত্রের ভূবন চরিত্রটা আমার বেশ প্রিয়। পদ্মজাকে হারানোর ভয়ে তার করা কাজটা খারাপ ছিলো না। ভালোই ছিলো সাথে আমিরের একটু সাহায্যও হয়েছিলো।
তবে যাই হোক রেদোয়ান হাওলাদারকে মিস করেছি পুরো গল্পটায়। তার নাম ছিলো গল্পটায় দুই একবার কিন্তু সে ছিলো না। রেদওয়ানকেও রাখা উচিত ছিলো একটু আধটু।
প্রিয় কিছু লাইন,,
“”যেদিন তোমার চোখে ঘৃ’ণা দেখবো,সেদিন থেকে আমার বাঁচার কোন কারন থাকবে না।””
“”দেখো চাঁদের গায়েও দাগ আছে, তোমার গায়ে নেই।””
“”শালা আমার পিছুই ছাড়ে না, ঠা’ডা পড়ে ম’র।””
“”আমি সবসময় তোমাকেই চাই। তুমিই আমার উত্তরাধিকার।যেদিন তুমি থাকবে না সেদিন পৃথিবীতে আমার বলতে আর কিছু থাকবে না।””
“”তোমার জন্যই আমি পূর্ণ। তুমি কেন শুধু আমাকে নিয়ে পূর্ণ নও পদ্মাবতী।””
“”আমার লক্ষ্য আর গন্তব্য দুটোই তুমি। যেখানেই যাই তোমার কাছেই ফিরে আসবো।””
“”আমি যদি আগে মা’রা যাই, আমার আ’ত্মা থেকে যাবে। তোমাকে রেখে কোথাও যাবে না।””
প্রিয় একটা অংশ,,
~~ দুটো হাত পেছন থেকে ঝড়িয়ে ধরতেই আমির শান্ত হয়ে যায়। পদ্মজা ঘুমঘুম চোখে বলে, “কি করছেন?”
আমির না ফিরেই বললো, “তারা গুনছি।”
“কয়টা গুনলেন?” আমিরের পিঠে মাথা রেখে চোখ বুঝলো ও।
আমির বললো, “সত্তরটা।”
“কখন ফিরেছেন?”
“অনেক্ষণ আগে।”
আমিরের গায়ের ওম গভীর ভাবে অনুভব করার জন্য পদ্মজা আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো তাকে।
আমির আকাশের দিকে চোখ রেখে বললো, “মাঝে মাঝে কি ইচ্ছে করে জানো?”
“কী?”
“তোমাকে নিয়ে হাঁটতে বের হই। সারাজীবন পাশাপাশি হাঁটতে থাকি। কখনো যেন প্রবীন না হই, তৃষ্ণা না লাগে। হাতে হাত রেখে অনন্তকাল হেঁটে যাই।”
পদ্মজা হাসলো। বললো, “অ’ম’র’ত্ব চাইছেন?”
“জনম জনম তোমার সাথে থাকার জন্য অ’ম’র’ত্ব চাই। নশ্বর এ দুনিয়াতে অবিনশ্বর জীবন চাই।”
“আমরা জান্নাতে অনন্তকাল একসঙ্গে থাকবো ইনশাআল্লাহ।”
এ কথায় আমি থমকে যায় বুকে কিছু একটা বিঁ’ধে।
পদ্মজা তাড়া দেয়, বলুন, “ইনশাআল্লাহ।”
আমির বিড়বিড় করে, “ইনশাআল্লাহ।”……
অনেক কষ্টে লেখছি এই টুকু। ভুলত্রু’টি মা’র্জ’নী’য়
3.পদ্মজা উপন্যাস উক্তি
পদ্মমির(সিকুয়েল)
(পদ্মজা গল্পের অংশ)
পদ্মজা গল্প পুরাই একটা বিরক্তির
আর কু-সংস্কারে ভরপুর
তারপর ও কিছু মস্তিষ্ক বি*কৃ*ত*দে*র জন্য রিভিউ দিতে বাধ্য হলাম
যত বড় উপন্যাস এটার সবকিছু নিয়ে লিখতে বসলে আরও একটা গল্প হয়ে যাবে
তাই বেশি কিছু না বলি
এখন মেইন কথা হলো পদ্মজা গল্পের ভিতরের কিছু অংশ লেখিকা বিস্তারিত ভাবে উপস্থাপন করতেছে যেইটার নাম দিছে পদ্মমির
তো এই পদ্মমির গল্পটা পড়া শুরু করার প্রথমেই আমার মেজাজ গেলো বিগড়ে কারণ,
আমির কাকু কুয়েত গিয়েছে মা*দ*ক কারবারির ডিল করতে
যাইহোক যেহেতু এই বিষয়গুলই পদ্মমিরে তুলে ধরার কথা তাই মেনে নিলাম
তো আমিরের রুমে একটি মেয়ে আসে
দাড়ান দাড়ান ইনি শুধু মেয়ে না ইনি একজন ভগবান ইয়ে মানে ভগবানের মতো সুন্দরী
আর এখান থেকেই আসল কথা বলি,
পদ্মজা গল্পে পদ্মজা একেবারে ভুবন মোহিনী সুন্দরী ছিলো যেই সৌন্দর্য দেখে নায়ক সাহেবের মাথা ঘুরে গেছিলো
মানে সে এতটাই সুন্দরী যে একটা খ*বিস মার্কা না*রী পাচা*রকা*রীকেউ প্রেমে ফালাইছেসৌন্দর্যের এতটাই পাওয়ার
সেই আমির নাকি ফেসবুকের নারীদের ক্রাশ,কি রুচি নিয়ে এসব নারি একজন নারী ব্যাবসায়ীর মতো স্বামী কামনা করে?
আর ওই গল্পে প্রতিটা পদে পদে নায়িকার রুপের প্রশংসা করতো নায়ক
নায়িকার আর কোন গুণ আছে কিনা জানি না কারণ নায়ক সবসময় রুপেরই প্রশংসা করতো এটাই পড়েছি
তো কথা হইলো নায়কের বিবাহিত জীবনে প্রেম প্রকাশের আর কোন মাধ্যম নাই
তারা খায় না,ঘুমায় না, ঘুরতে যায় না, বাজারে(মার্কেটে) যায় না
অন্য কিছু করে প্রেম প্রকাশ করা যায় না সারাদিন শুধু রুপ আর রুপ
আর এই সেম ব্যাপারটাও এই গল্পেও দেখাইতেছে, একজন পতি*তা নাকি এতটাই সুন্দরী
যাই হোক,
মেয়েটা আমিরের ঘরে আসছে ও*ই*স*ব করতে
এরপর,নায়ক তো অন্য কোন মেয়েকে টাচ করবে না কারণ সবার থেকে সুন্দরী মেয়ে তার বউ পদ্মজা আছে
আর ওই প*তি*তা পদ্মজার সাথে দেখা করতে চাইলে নায়ক সরাসরি বললো তার সুন্দরী বউ পতি*তাদের ঘৃ*না করে
মানে কাহিনি হইছে কি গল্পের মেইন দুইটা চরিত্র যত অ*কা*ম-কু*কা*ম ই করুক না কেন অপজিট চরিত্রগুলা তাদের সম্মান দিয়েই কথা বলে আর অন্য কেউ কিছু করলে আমির আর পদ্মজা ডিরেক্ট শব্দ ইউজ করবে অনান্য চরিত্রকে নিচু করে দেখাচ্ছে
এই পোস্ট পড়ার পর যারা আমাকে ধুতে আসবে ওদের ডিটারজেন্ট ছাড়াই ধুয়ে দিবো
4.আমি পদ্মজা উপন্যাসের মূলভাব
#রিভিউ
#আমিপদ্মজা
#ইলমাবেহরোজ
আমি পদ্মজা গল্পটি কমবেশি সবাই পড়েছেন।
আমার পড়া সব গল্পের ভিতরে সবচেয়ে সুন্দর একটি গল্প হলো আমি পদ্মজা।২০২১সালে গল্প পরা শুরু করি।তখনি এই গল্পটি দেখছিলাম কিন্তু এটি স্যাড এন্ডিং গল্প বিধায় আমি এই গল্পটি পরার সাহস হারিয়ে ফেলি তাই উপন্যাসটি পড়ার চিন্তা বাদ দিয়ে দেই ।ওই যে বললাম সাহস নেই তাই পড়ি নি।২০২৪ সালে এসে হুট করে মনে অদম্য ইচ্ছা জাগলো যে এটা আমি পড়ব।তাই দুঃসাহস টা করেই ফেললাম।
প্রথম দিক পড়েই খুব ভালো লাগলো।প্রথমেই বলি পদ্মজার কথা সে এমন একটি চরিত্র যা বলে বোঝানো সম্ভব না। তার মধ্যে আমির সেও নিখুঁত একটি চরিত্র সব মিলিয়ে খুব ভাল লাগলো। তার পাশাপাশি হেমলতা, মৃদুল,প্রেমা,পূর্ণা,প্রান্ত,ফরিনা তাদের চরিত্রও খুবই সুন্দর।আমি খুবই আগ্রহের সাথে উপন্যাসটি পরছিলাম মাঝে রহস্য ঘেরা সবই ভালো লাগছিল।
কিন্তু গল্পের লাস্ট এ গিয়েই হলো কাজ। আমি ভাবতেও পারি নি যে আমি এত কান্না করব আমিরের মৃত্যুতে মূহুতেই চোখের পানিতে বিছানা ভিজে গেল সাথে ভিজে গেল বালিশ। পড়তে পড়তে রাত ২ টা বেজে গেল আরও বাকি সময় ছিলাম ঘোরে ওইদিন পুরো রাত আমি ঘুমাতে পারি নি। এই গল্পের ঘোর এখনো আমি কাটিয়ে উঠতে পারচ্ছি না।আমির এর লেখা চিঠি পরে আমি যে কতবার কেদেঁছি তা বলে বোঝানো সম্ভব না।টানা ৩দিন পড়ে এই উপন্যাসটি আমি শেষ করলাম। যাইহোক উপন্যাসটির লেখা বাচনভঙি অসাধারণ ছিল তবে আমার অবস্থা খারাপ হয়ে গিয়েছেল।এই উপন্যাসের কিছু লাইন আমার খুব প্রিয়।
“সারা অঙ্গ কলঙ্কে ঝলসে যাক
তুই বন্ধু শুধু আমার থাক।”
(আহা্ এই লাইনটা আমার হৃদয় স্পর্শ করতে সক্ষম হয়েছে )
“তুমি যদি আমার চোখ দিয়া নিজেরে দেখতে বুঝতে পারতা তুমি ঠিক কতোটা সুন্দর।”
(মৃদুলের এই কথাটি সবচেয়ে সুন্দর ছিল।আসলে যে ভালবাসে সেই বুঝে যে ভালবাসার মানুষ তার চোখে কতটা সুন্দর।)
“তুমি চাও বা না চাও,পরপারে দেখা হলে আবার তোমার পিছু নেব।”
(এটি পরে নিজের অজান্তে চোখে পানি চলে এসেছিল।আমি তখন নিজেই কল্পনা করছিলাম যে এইতো আমির মুচকি হেসে পদ্মজাকে এই মধুর বাক্যটি বলছে আর আমার চোখ থেকে পানি পরছে।)
“তোমাকে দেখার তৃষ্ণা আমার কখনোই মিটবে না,পদ্মবতী।”
( এই বাক্যটা অসম্ভব সুন্দর ছিল। আসলেই আমির এর পদ্মজাকে দেখার তৃষ্ণা কোনোদিনই মিটবে না।)
আমার মতে,, আমির যতই খারাপ হোক না কেন সে পদ্মজাকে সত্যিই ভালোবেসেছিল। পদ্মজা আমিরকে মারার আগে বলেছিল,,
“আমাকে কেন ভালোবাসলেন না”
কিন্তু সে বুঝতেই পারলো না আমিরই তাকে সবচেয়ে বেশি ভালবেসেছিল। উপন্যাসটি পড়ার পর বুঝলাম ভালোবাসা সত্যিই সুন্দর। কিন্তু কতজনই তার প্রিয় মানুষকে পায়। হয়তো বা পরিস্থিতি অথবা ভাগ্য তাদের আলাদা করে দেয়। ভালবাসা বড়ই অদ্ভুত কেউ সহজেই পেয়ে যায় কেউ পেয়েও পায় না রয়ে যায় অপূর্ণ। কতজনের ভাগ্যে ভালবাসা জুটে ভেবে দেখবেন একবার।
আমির যদি শুরুতেই পদ্মজাকে বলতো সে এসব থেকে বেরিয়ে আসতে চায় তবে হয়তোবা এটির সমাপ্ত অন্যরকম হতো । কিন্তু সে বড্ড দেরি করে ফেললো আর তার পরিনাম হলো মৃত্যু যা আমার জন্য অভাবনীয় এবং অকল্পনীয় ছিল।
(যাইহোক এটাই আমার প্রথম রিভিউ এর আগে আমি কোনো রিভিউ দেই নি তাই ভুলক্রটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন আসলে এর আগে কখনো এসব রিভিউ দেই নি তো তাই জানিনা কিভাবে সাজিয়ে লিখতে হবে,আমি আমার মতো সাজিয়ে লিখার যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি বাকিটা আপনারা দয়া করে একটু বুঝে নিবেন। ধন্যবাদ )
“বর্তমানে ইলমা বেহরোজ আপু আমার পছন্দের লেখিকার তালিকাদের মধ্যে অন্যতম একজন।”
5.poddoja uponnash summary
#রিভিউ
#আমি_পদ্মজা
#ইলমা_বেহরোজ
রিভিউ পোস্ট দেখে কেউ এরিয়ে যাবেন না।
আমি পদ্মজা গল্পের প্রতিটা চরিত্র রহস্যময়। পুরো গল্প জুড়ে রহস্যময়তা ছিলো। গল্পটা পড়ার পুরোটা সময় টানটান উত্তেজনা কাজ করেছে। প্রশ্নের পর প্রশ্ন মাথার ভিতরে ঝেকে বসেছে। কিছু পর্ব পড়তে গিয়ে কান্নার হিড়িক তুলেছি,চোখ ঝাপসা হয়ে এসেছে,উত্তেজনায় মনের ভিতর দিরিম দিরিম বেজেছে।এরপর কি হবে, এরপর কি হবে?
গল্পের প্রথমদিকে মা -মেয়ের ভালোবাসার দিকটা আমাকে সবচেয়ে বেশি আকৃষ্ট করেছে। মায়ের মতো মেয়ের সাহসী হওয়া, জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্রে মায়ের আর্দশ মেনে চলা, মায়ের অনুপস্থতিতে বোনদের জন্য মায়ের সমীক্ষক ভালোবাসা, বোনের প্রতি বোনের ভালোবাসা আমাকে ভিন্নভাবে আকর্ষণ করেছে।
গল্পের প্রধান চরিত্র আমির হাওলাদার, পদ্মজা। এক বিরূপ পরিস্থিতিতে পরিচিত হওয়া, সেই পরিস্থিতির রেশ ধরে বিয়ে,বিয়ের পর প্রণয়ের শুরু। আমির ছিলো প্রাচীরের মতে শক্ত,আর পদ্মজা হলো প্রখোর সাহসী।একজন ভালোবাসার মানুষকে ভালো রাখতে গিয়ে নিজ মৃত্যু কামনা করল,আরেকজন সত্যবাদিতা,ন্যায়নিষ্ঠা,পাপমোচন, সত্যর উন্মোচন করতে গিয়ে ভালোবাসার মানুষের বুকে চুরি দিল।কি অসম ভাললোবাসা।
গল্পের পার্শ্বচরিত্র পূর্ণা- মৃদুল।একে অপরকে অসম্ভব ভালোবেসেও অন্তীম মুহূর্তে এসে হারিয়ে যাওয়ার পর্বটা মর্মান্তিক ছিলো।মৃদুল যখন পূর্ণার লাশের সামনে এসে বলছিলো এই পূর্ণা ওঠো তোমার জন্য শাড়ি আনছি, আলতা আনছি তুমি পরবা না ওঠো।এই কালি তোমারে বকা দিছি গুসা করো, রাগ করো ওঠো।কথা গুলো হৃদয়ের গহীনে গিয়ে লেগেছে।
একপাক্ষিক ভালোবাসার মানুষ হলো লিখন শাহ্।লিখন শাহের ভালোবাসাকে নিয়ে বলবো এভাবেও ভালোবাসা যায়।
প্রিয় কিছু লাইন ————-
(পদ্মজা) আম্মা আমার জীবনের প্রথম শাড়িটা আপনি পড়িয়ে দিবেন।
আপনার বুকের হৃদয়ে আমি আজীবন রানী হয়ে থাকতে চেয়েছিলাম।সেই বুকে আমি কি করে আঘাত করব।
প্রিয়র চেয়েও প্রিয় পদ্মবতী
আমার পাপের রাজত্বে তোমার আগমন ছিলো ভূমিকম্পের মতো।যখনই দেখি তুমি দাঁড়িয়ে আছো আমার হৃৎপিণ্ড থমকে যায়।
আমি নিষ্ঠুর-তুমি মায়াবতী
আমি ধ্বংস -তুমি সৃষ্টি
আমি পাপ – তুমি পবিত্র
#ইলমা_বেহরোজ লেখিকার লেখনী অনবদ্য। আমি যতই বলি আপনি ভালো লিখেছেন ততই কম হবে।আপনার লেখার প্রশংসা করার দূর্বোধ্য শব্দ ভান্ডার আমার নেই। আমিতো শুধু ভাবি এই সময়ে দাঁড়িয়ে ১৯৯৯ সালের হাওলাদার বাড়ির অন্দরমহলের গল্প লেখিকার মাথায় কেমনে আসলো।
সুশীল শব্দ চয়ন, গল্পে নৈতিকতার প্রভাব গল্পকে অনেক বেশি মার্জিত করেছে।
………………………..
……………………………………..
পদ্মজা পড়ে এখনো ঘোর কাটাতে পারছি না। আমির,পূর্ণা,মৃদুল চরিত্র তিনটির শেষ পরিণতি তীব্র ভাবে মাথায় গেঁথে আছে । আমিরের চিঠির প্রতিটা বাক্য আমায় অবাক করেছে। মুগ্ধ করেছে পদ্মজা কে উদ্দেশ্য করে লেখা প্রথম লাইটা-
❝প্রিয়র চেয়েও প্রিয় পদ্মবতী❞
আমার পা*পের রাজত্বে তোমার আগমন ছিল ভূ*মিকম্পের মতো। যখনই দেখি তুমি দাঁড়িয়ে আছো,আমার হৃৎপিণ্ড থমকে যায়~
পদ্মজার আরো কিছু লাইন যেগুলো অদ্ভুত ভাবে মুগ্ধ করেছে,,,
❝সারা অ*ঙ্গ ক*লঙ্কে ঝ*লসে যাক
তুই বন্ধু শুধু আমার থাক❞ (আমির)
❝আমার আম্মাকে ক*ষ্ট দিও না মাটি।একটুও ক*ষ্ট দিও না।আমার আম্মাকে যত্নে রেখ। হীরের টুকরো তোমার বুকে ঘুমাতে যাচ্ছে। কষ্ট দিও না…কষ্ট দিও না❞
(পদ্মজা)
❝আম্মা ম*রা মানুষকে বিয়া করা যায় না? আমারে বিয়া দাও আম্মা। তারপর একলগে ক’বর দেও। আমি ওরে ছাড়া কেমনে থাকুম?❞ (মৃদুল)
❝আপা আসবে, পদ্মজা আসবে❞ পূর্ণার শেষমুহুর্তের অপেক্ষা…….
মুগ্ধ করেনি,, চোখ ভিজিয়েছে
❝আমি নি*ষ্ঠুর,তুমি মায়াবতী। আমি ধ্বংস,তুমি সৃষ্টি। আমি পা*প, তুমি পবিত্র। এত অমিলে কেন হলো মিলন, কেন কালো অন্তরে ছড়িয়ে ছিলে ফুলের সুবাস? আমাকে ধ্বংস করার জন্য কি অন্য কোন অ*স্ত্র ছিল না?❞ (আমির)
❝আমি কবুল কইছি না? অর্ধেক বিয়াতো হইয়া গেছে। হইছে না? আমারেও ক*বর দেন, পূর্ণার লগে আমারেও ক*বর দেন।❞ (মৃদুল)
❝তোমাকে দেখার তৃষ্ণা আমার কখনোই মিটবেনা পদ্মবতী❞ (আমির)
❝তুমি চাও বা না চাও পরপারে দেখা হলে,আমি আবার তোমার পিছু নেব❞ (আমির)
❝যেদিন আপনার মনে হবে, আপনার দ্বারা আর কারো ক্ষ*তি হবেনা। পা*প হবেনা। সেদিন আমাকে পদ্মবতী ডেকে জড়িয়ে ধরবেন❞ (পদ্মজা)
❝যখন তোমার কথা ভাবি, তখন আমার শরীরের সমস্ত শি’রা-উ’পশিরা বাজতে থাকে। আমাদের পথটা কি আর একটু দীর্ঘ হতে পারতো না?আমাদের ভালোবাসার জ্যোৎস্না রাতগুলো আরেকটু দীর্ঘ হলে কী এমন হতো?❞ (আমির)
❝মিথ্যে বলে যদি তোমাকে আরো একবার পাওয়া যেতো আমি মিথ্যে বলতাম❞ (আমির)
❝মুক্ত হবে তুমি, পাখির মতো উড়বে
শুধু আমি থাকবো না পাশে, আফসোস❞ (আমির)
❝বিশ্বাস করুন, আপনার বুকে ছু*রি চালাতে আমার খুব কষ্ট হবে❞ (পদ্মজা)
❝আপনার বুকের হৃদয়ে আমি আজীবন রাণী হয়ে থাকতে চেয়েছিলাম।সেই বুকে আমি কি করে আ*ঘাত করবো?❞
~ আমি পদ্মজা…… it’s an emotion
সম্পূর্ন গল্পের লিংক