. “পরকীয়া করার পরিণাম”
.নিজ স্ত্রী ব্যতীত অন্য নারীদের সাথে প্রেম করার পরিণাম।
.যে ব্যক্তি কোনো মহিলাকে কুমতলবের ইচ্ছা নিয়ে স্পর্শ করবে, কিয়ামতের দিন সে এমনভাবে আসবে যে তার হাত তার ঘাড়ের সাথে যুক্ত থাকবে। সে যদি কোনো নারীকে চুমু দিয়ে থাকে, তাহলে তার ঠোঁট দুটিকে আগুনের কাঁচি দিয়ে কাটা হবে। আর যদি তার সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত হয়ে থাকে তাহলে তার দুই উরু সাক্ষী দিবে, আমি অবৈধ কাজের জন্য আরোহণ করেছিলাম।
.তখন আল্লাহ তায়ালা তার দিকে ক্রুদ্ধ দৃষ্টিতে তাকাবেন
এবং এতে সে অপমান বোধ করে গোয়ার্তুমি করে বলবে আমি এ কাজ করিনি। তখন তার জিহ্বা তার বিরুদ্ধে সাক্ষী দিয়ে বলবে, ‘আমি অবৈধ বিষয়ে
কথা বলেছিলাম’। তার হাত সাক্ষী দিবে, ‘আমি অবৈধ
বস্তু ধরেছিলাম’। এরপর চক্ষু বলবে, ‘আমি অবৈধ
বস্তুর দিকে তাকাতাম’। তার দুখানা পা বলবে, ‘আমি
ব্যভিচার করেছি’। প্রহরী ফেরেশতারা বলবে, ‘আমি শুনেছি’। অন্য ফেরেশতা বলবে, ‘আর আমি লিখে রেখেছি’। আর আল্লাহ তায়ালা বলবেন, ‘আমি
জেনেছি এবং লুকিয়ে রেখেছি’। এরপর আল্লাহ তায়ালা
বলবেন, ‘হে ফেরেশতাগণ,,,!! একে পাকড়াও করে
আমার আযাব ভোগ করাও। কেননা যে ব্যক্তির
লজ্জা কমে যায় তার উপর আমার ক্রোধের অন্ত
নাই। পবিত্র হাদীসের সত্যতা নিম্নের আয়াত দ্বারা প্রমাণিত হয় যেদিন তাদের কৃতকর্মের বিরুদ্ধে তাদের জিহ্বা, তাদের হাত ও পা সাক্ষী দিবে।
(সূরা আন নূর – ২৪)
.অন্য হাদীসে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি কোনো বেগানা নারীর প্রতি লোলুপ দৃষ্টি নিক্ষেপ করবে, কিয়ামতের দিন তার চোখে উত্তপ্ত গলিত সীসা ঢেলে দেওয়া হবে।
(ফাতহুল কাদীর)
.এসব হারাম সম্পর্কগুলো সৃষ্টি হয় দৃষ্টির মাধ্যমে।
এজন্য পবিত্র হাদীসে দৃষ্টিকে শয়তানের তীর বলা
হয়েছে। বেগানা নারীর সৌন্দর্য উপভোগ করাকে
চোখের জিনা বলা হয়েছে। আল্লাহ তায়ালার ভয়ে মেয়েদের সৌন্দর্য উপভোগ করা, কুদৃষ্টি ও কামনার দৃষ্টি ত্যাগ করুন, আর অন্তরের মধ্য ইমানের মাধুরতা উপভোগ করুন। এটা পরীক্ষিত সত্য।
.আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে দৃষ্টির হেফাজত করার এবং প্রেম, পরকীয়া সহ সব ধরণের হারাম কাজ থেকে বেঁচে থাকার তৌফিক দান করুক।
(আল্লাহুম্মা আমিন,,,,,,,,)
collected,,,,,,,,