পরকীয়া নিয়ে কবিতা পর্ব ১
পরকীয়ায় মজেছো তুমি,
ভাবছো ‘আছি বেশ’
সবুর করো কয়েকটা দিন,
তারপরই সব শেষ৷
পরকীয়ার গোলকধাঁধায়,
যদি একবার যাও৷
ঢোকার পথ অনেক আছে,
বেরুবার পথ নাহি খুঁজে আর পাও৷
যেতে যেতে যদি সংসার কখনও ডাকে,
ফিরে আসতে চাইলে তুমি,
পড়বে গভীর খাদে৷
একপাশে সংসার তোমার, অন্যপাশে পরকীয়া৷
অপমান আর অপযশে যাবে যে ডুবিয়া৷
জীবন তখন কঠিন ভীষণ,
ভাববে মুক্তি মিলিবে একমাত্র মরিয়া৷
মরিয়াও তো শান্তি পেলে না,
ভালোবাসা কভু আর মেলে না৷
একাল গেলো পরকাল গেলো
সর্বনাশা পরকীয়ায়৷
পরকীয়া
জান্নাতুল জান্নাত
পরকীয়া নিয়ে কবিতা পর্ব ২
“পরকীয়া”
রাশেদুল ইসলাম
নিজের ঘরের পোলাও কোর্মা,
লাগে না ভালো মোটে,
পরের ঘরেই অমৃত মধু,
ডাল -ভাতও যদি জোটে।
অন্তরে বিষ, মুখেতে মধু,
নিয়মের তরে ঘর করা শুধু,
এক বিছানায়, তবু কেউ নয় কারো,
সব পেয়ে যেনো পেতে চাই আরো।
হাতে হাত রেখে বলেছিনু যা,
আজকে সকলে ভুলে গেছি তা,
চোখের দৃষ্টি চোখ খোঁজে নাকো,
বলে মন “কেনো মিছে কয়ে থাকো?”
পর হয়েছে তনু আমার, পর হয়েছে হিয়া,
মন গিলেছে নিষিদ্ধ জল- নষ্ট পরকীয়া।
দূর হয়েছে শৃঙ্খল -বাঁধা, উড়ন্ত এক পাখি,
ছোট্ট খাঁচায়- বিরাট আমায়, কেমনে বেঁধে রাখি?
মন মজেছে অন্য ফুলে,
ভোলাও তারে যায়না ভুলে,
প্রিয়ার জন্যে তোলা কদম,
মন দিতে চায় অন্য চুলে।
মরণ নেশা বিষের বেশি,
প্রেতাত্মা সেই এলোকেশী,
নিজ কাননে থেকেই নিজে,
আর কাননের পুষ্প চাষী।
পরকীয়া এখন ফ্যাশন,
অনেকের তো এটাই ভিশন,
ভুল মিশনের প্রান্তে এসে,
ভাবি ছিলো ভুল ডিসিশান।
কখনো কি ভাবি মোরা?
সংসার এক ফুলের তোড়া,
পরকীয়ায় ভেঙ্গে জোড়া,
সন্তান বাড়ে স্নেহ ছাড়া।
এক দিকেতে তিক্ত সত্যি,
অন্য প্রান্তে মিথ্যে ভক্তি,
অনেকেই এমন ঘোর বিপদে,
নিজের ভুলেই যায় শ্বাপদে।
এর পরিণাম হয় না ভালো,
দুই তীরেতেই আঁধার কালো।
মরণ বিষের নিজ পেয়ালায়,
নীল হয়ে যায় খুব অবেলায়।
পরকীয়ার ভয়াল থাবায়,
শান্ত সমাজ শুধুই কাঁপায়,
হারিয়ে মান, কুড়িয়ে দুর্নাম,
ভালোবাসার হয় বলিদান।
শপথ করি আজকে নিজে,
পরকীয়া করবো না যে,
মানুষ হয়ে, অমানুষের কাজ,
কখনো কি কভু সাজে?
.
পরকীয়া নিয়ে কবিতা পর্ব ৩
পরকীয়া
.
হায় পরকীয়া, উরাধুরা বাতাসের সুতাকাটা ঘুড়ি
উড়ছো শুন্যতায়
কোথায় নীলিমা, এ যে অসীম মরীচিকার
ডানাকাটা হাতছানি ।
অবৈধ উষ্ণতার সরোবরে ডুব সাঁতারে মত্ত,
ঘোলা জলে কি মেটে তৃষ্ণা
লোনা মেঘের স্বপ্ন ?
আজ হংকং কাল সিঙ্গাপুর, আকাশের ঠিকানায়
কত গোপন হানিমুন ? প্রতিশ্রুতি সে এক
রাংতা মোড়ানো বুদবুদ।
গোপন সুরঙ্গে বাধা স্বপ্নের খরকূটা, কোথায়
কুঁড়েঘরের সুশীতল রূপ
উড়নচণ্ডী ছোঁয়ায় কেবলি হাহাকার,
কেঁপে ওঠে উদ্বাস্তু মন ।
বালিয়াড়ির বুকে মুখ লুকিয়ে খোজো সুপেয় জল,
একফালি নীলাকাশের প্রত্যাশায় বেছে নাও এক
অমোঘ অন্ধত্ব, হায় বিভ্রান্তি
সে এক দাহ, এক চিতাগ্নি।
স্বপ্নের বসতি নীল নক্ষত্রলোকে, কল্পলোকের ডানায় ভর করে ওড়ে যে অন্ধ প্রজাপতি
গোপন রক্তক্ষরণেই তার মৃত্যু
তার রক্তাক্ত মুক্তি ।
——————————————————————–
সহযোগী অধ্যাপক, ইংরেজি , উত্তরা, ঢাকা ।