গল্প
প্রতারক ও প্রতারণা
************
আমার এই গল্পটা সতেরো বছর আগে থেকে শুরু করছি
আমার স্বামীর সাথে আমার তালাক হয়ে যাওয়ার প্রায় সাড়ে তিন মাসের মাথায় আমার প্রাক্তন শ্বশুর ইব্রাহীম খলীল আমার মালিবাগের বাসায় ভর দুপুরে এসে হাজির হলেন।
দরজা ধাক্কানোর শব্দ পেয়ে আমি রান্না ঘর থেকে বের হয়ে দরজা খুলেই দেখি উনি দরজায় দাঁড়ানো। আমি প্রচন্ড অবাক হলাম। এই বাসার ঠিকানা উনি কি ভাবে পেলেন। দেখলাম উনি দর দর করে ঘামছেন। আমি দরজা ধরে দাঁড়িয়ে রইলাম । এই মানুষটিকে ঘরের ভিতরে ঢুকতে দেওয়ার বিন্দু মাত্র ইচ্ছে আমার নেই ।
কিন্তু
কিছু বুঝে ওঠার আগেই উনি আমার সামনে হাত জোড় করে দাড়িয়ে হু হু করে কাঁদতে লাগলেন।
এটা ঠিক উনি এক সময় আমার শ্বশুর ছিলেন । যেহেতু ওনার ছেলের সাথে আমার তালাক হয়ে গিয়েছে এখন উনি আমার আর কেউ হন না । আমি কেন জানি ওনার হাত জোড় আর কান্না দেখে ভিতরে ভিতরে উল্লসিত হয়ে উঠলাম। এদিকে আমার দুই মেয়ে কোন সময় আমার পিছনে এসে দাঁড়িয়েছে টের পাইনি।
কে আসছে মা বলেই আমার মেয়ে দিপা চুপ করে যায় ।
চেহারা যথা সম্ভব স্বাভাবিক রেখে আমার মেয়েদের বললাম তোদের দাদুকে বসতে দে।
আজ যে আমি দুই মেয়েকে নিয়ে আমার তের বছরের শত ভালবাসায় তিলতিল করে গড়া সংসার ফেলে আজ এই জায়গায় তা জানার জন্যে পাঠকদের পিছনের গল্পটা ধৈর্য ধরে শুনতে হবে
ঘটনার সুত্রপাত
আমার বড় মেয়ে দিপা তখন ক্লাস ফাইভে আর ছোট মেয়ে নিতু আড়াই বছরের। শান্তিনগরের চামেলিবাগে আমার শ্বশুরের চার তলা বাড়ি ।
বিয়ের পর এই পরিবারে এসে আমি শাশুড়িকে পাইনি উনি আগেই মারা গিয়েছিলেন । তবে আমার বড় জায়ের কাছে শুনেছি উনি চুপচাপ ধরনের ছিলেন । বেশীর ভাগ সময় অসুস্থই থাকতেন । আমার স্বামীরা ছিল তিন ভাই এক বোন আমার হাসবেন্ড ইমরান ছিল মেজ। আমি এই বাড়িতে আসার বছরখানেক পর একমাত্র ননদের বিয়ে হয়ে যায় ।
আমার বর একটা সরকারি চাকুরি করতেন মাসে দুই একবার অডিটের কাজে তাকে বাইরে যেতে হত, আর ছিল ছোট দেবর সে বড় ভাইয়ের মানে আমার ভাসুরের সাথে ছোট খাট ব্যাবসা করত ।
আমরা বাড়ির নিচ তলায়টায় সবাই এক সাথেই থাকতাম । বাকি দোতলা তিন তলা আর চার তলা ভাড়া দেওয়া ছিল ।
আমার শ্বশুর নিজ হাতেই সব দেখা শোনা করতেন ।বাড়ি ভাড়ার টাকায় এই সংসার চলতো । উনি ছেলেদের কাছে থেকে টাকা পয়সা নিতেন না। পেনশন পেতেন। রাশভারী মানুষ ছিলেন । ছেলেরা মাঝে মাঝে বাবার হাতে হয়ত কিছু দিত তবে তা বাধ্যবাধকতা ছিল না ।
আমরা দুই জা মিলে সংসারের কাজ করা বাচ্চাদের স্কুলে আনা নেওয়া করতাম । একেবারে মধ্যবিত্ত টিপিক্যাল ফ্যামিলি যাকে বলে ।
একদিন আমার বড় মেয়েটাকে ওর ডে শিফটের স্কুলে দিয়ে হেঁটে হেঁটেই বাড়ি ফিরছিলাম হঠাৎ আকাশ কাল করে এমন ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামলো ! আমি পড়িমরি করে বেইলি রোডের একটা খাবারের দোকানে ঢুকে পড়লাম । খাবারের দোকানে শুধু শুধু তো আর বসা যায়না তাই একটা স্যান্ডউইচ এর অর্ডার দিয়ে কোনার দিকে এক জায়গায় বসে , আমি গালে হাত দিয়ে বৃষ্টি থামার অপেক্ষায় আছি। ছোট মেয়েটা আমার জায়ের কাছে রেখে এসেছি ।
ঠিক সেই সময় ই আমার অর্ডার করা স্যান্ডউইচ হাতে এমন একজন সামনে এলো যে তাকে দেখে আমি প্রায় হতভম্ভ । “ও আল্লাহ আসাদ তুই ” বলে প্রায় চিৎকার করে উঠলাম । আসাদকে দেখলাম কিছুটা বিব্রত । ওর পরনে এই দোকানের খাবার পরিবেশন কারিদের ড্রেস । ও তাই হয়ত লজ্জায় খানিকটা বিব্রত । তা ছাড়া ও বরাবরই মুখচোরা ।
আমি আসাদের হাত ধরি। আসলে ওর সাথে আমার সম্পর্ক টা এমন ই ছিল । আমি আর ও এক ই সাথে স্কুলে পড়েছি । আর্থিক অনাটনের কারনে এস এস সি র পর ও আর পড়তে পারেনি । আমরা সরিষাবাড়িতে একই পাড়ায় পাশাপাশি বাড়িতে বড় হয়েছি । সারাক্ষন ও আমাদের বাসায় পরে থাকত , আম্মাও অনেক স্নেহ করতেন । আমি শুনেছি ও জন্মাবার পর ওর মা অনেক অসুস্থ ছিল । সেই সময় আমি আম্মার বুকের দুধ খাই আম্মা নাকি ওকেও আমার সাথে ওকেও দুধ খাইয়েছেন । আমি ওর থেকে দুই আড়াই মাসের বড় ।
আসাদ কে আমার বাসার ঠিকানা দিয়ে পই পই করে বলি যেন বাসায় আসে । শুনলাম বিয়েও করেনি। আহারে আসাদের মলিন মুখটা দেখে কি যে কষ্ট লাগছে ।
এর মধ্যে বৃষ্টি থেমে যায় আমি ওর থেকে বিদায় নিয়ে বাসায় ফিরি।
এর পরের ব্যাপারগুলো খুব ই স্বাভাবিক । আসাদ একদিন এসে আমার শ্বশুর বাড়িতে হাজির হয় এবংদিনেদিনে যথারীতি সে এই পরিবারের একজন সদস্যে পরিনত হয় । এরপর থেকে কোন কিছুর দরকার পরলেই আসাদ ।
আগেই বলেছি আমার বর ইমরান অডিটের কাজে বাইরে যেত । সেবার ইমরান অডিটের কাজে এক সপ্তাহের জন্যে শেরপুর গেল ।
সেদিন বাসায় শুধু আমি , আর আমার ছোট মেয়েটাকে নিয়ে বারান্দায় কাজের ছোট্ট মেয়েটা খেলছে । দিপা স্কুলে । আমার জা ও বাসায় নেই। মাইগ্রেনের ব্যাথায় আমি ঘর অন্ধকার করে শুয়ে আছি । সেই সময় আসাদ এলো। দেখলাম ও হাপাচ্ছে ।আমি কোন রকমে চোখ খুলে বিছানায় বসতে বসতে বললাম “ কি রে এই সময় আসছিস ক্যান? কি হইছে ? হাপাচ্ছিস ক্যান ?
আসাদ কিছু বলার আগেই আমি দেখলাম ইমরান ঘরে এসে ঢুকল। আমি কিছু বুঝে ওঠার আগেই ইমরান আসাদের টি শার্টের গলার কাছটায় টেনে ধরে হির হির করে টেনে নিয়ে এমন মারতে লাগলো যে ওর নাক দিয়ে রক্ত পরতে লাগলো । আমি চিৎকার করে বললাম কি হইছে এই কি হইছে ওকে মারতিছ ক্যান।
ইমরান আসাদের গেঞ্জি ধরে ঝাকাতে ঝাকাতে বলল “ হারামজাদা আমার বউয়ের সাথে বিছানায় গেছিস? প্রেম করিস? আমি ইমরানের কথা শুনে স্তব্ধ হয়ে খাটের ডাঁসা ধরে কাঁপতে কাঁপতে লজ্জা আর অপমানে অজ্ঞান হয়ে গেলাম।
আসাদ কখন চলে গেছে বা পরে কি হয়েছে কিছুই জানিনা। আমার জ্ঞ্যান ফেরার পর দেখলাম আমার চারি পাশে বাসার সবাই । দিপাও চলে এসেছে স্কুল থেকে । ওকে দেখলাম দরজার এক কোনায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কাঁদছে । কেউ আমার কাছে আসছে না। যেন আমি কোন আসামি ।
এই ঘটনার পর থেকেই প্রতি নিয়ত কথায় কথায় ইমরান আ্মার গায়ে হাত তুলতে থাকে। অদ্ভুত ভাবে বাসার সবাই বিশ্বাস করতে থাকে যে , আমার সাথে আসাদের অনৈতিক সম্পর্ক আছে। এমন কি আমার বড় ভাই বোন আম্মা পর্যন্ত আমাকে অবিশ্বাস করেছে। তারা নানা ভাবে আমাকে আজেবাজে কথা বলেছে।
একদিন সহ্য করতে না পেরে আমি দিপা আর নিতুকে নিয়ে রাগ করে আমার বান্ধবী শিরিনের বাসায় চলে আসি । অন্যের বাসায় এ ভাবে কয় দিন থাকা যায় । তাছাড়া দেখলাম মেয়েরা থাকতে চাচ্ছেনা আবার পরের দিন থেকে রোজা শুরু ।
আমি চলে এলাম আর শিরিন বার বার বলল ইফতারি করে যা
আমি বললাম বাসায় গিয়ে করব ।
আসরের ওয়াক্তের পর পর ই আমি মেয়েদের নিয়ে বাসায় ফিরলাম। মেইন গেট দিয়ে ভিতরে ঢুকলাম ঠিক ই কিন্তু বারবার কলিং বেল দেওয়ার পরও আমাদের দরজা খুলে দেওয়া হল না। আমার শ্বশুর একবার বেরিয়ে এসে গ্রিল দেওয়া বারান্দায় দাঁড়িয়ে বললেন “তোমরা কেউ আর এই বাসার ভিতরে ঢুকতে পারবানা । যেখানে গিয়েছিলে সেখানে যাও” ।
আমি আমার মেয়েদের নিয়ে রোজা অবস্থায় গ্রিল দেওয়া দরজার বাইরে মাগরিবের আজানের সময় পর্যন্ত রোজা মুখে বসে থাকলাম। মাগরিবের আজান দিচ্ছে আর আমি মেয়েদের হাত ধরে উঠে দাঁড়ালাম । মুখে কিছুই বললাম না। অনেক পিশাচের গল্প শুনেছি আজ নিজের চোখে দেখলাম !
সেদিন পাশের এক মুদি দোকান থেকে পানি আর মুড়ি কিনে আমরা মা মেয়ে কাঁদতে কাঁদতে ফুটপাতে বসে ইফতার করেছি।
উপায় না পেয়ে সেদিন আমার মেজ বোনের রামপুরার বাসায় এসে উঠলাম। আমাদের দেখে আমার মেজ বোন মুখে কিছু বললনা ঠিক ই তবে ওর মুখে ভাবভঙ্গি দেখে ঠিক ই বুঝলাম আমরা তার কাছে কতটা বিরক্তিকর। আসলে সবাই ইমরানের কথায় বিশ্বাস করছিল। একটা মিথ্যা সত্যিতে পরিনত হয়েছিল । আমরা তিন জন পরের দিন সকাল বেলায় মেজ বোনের বাসা থেকে বেরিয়ে আবার শিরিনের বাসায় গেলাম।
শিরিনই ওদের বাড়ির চিলেকোঠার ঘর পরিস্কার করে আমাদের থাকার ব্যাবস্থা করে দিল।
কি করবো ভেবে কুল কিনারা পাচ্ছিলাম না। শিরিনের হাসবেন্ড মালিবাগেই একটা গার্মেন্টসে আমাকে অপারেটরের কাজ নিয়ে দিল। যদিও আমার গ্রাজুয়েশন করা ছিল। আপাতত জীবন বাঁচাতে সেখানেই কাজ নিলাম ।
দুই মেয়ের হাত ধরে আমার যুদ্ধের জীবন শুরু হল। ইমরান তালাকের কাগজ আমার মেজবোনের ঠিকানায় পাঠিয়েছিল। আমি চোখ বন্ধ করে সই করে দিয়েছি।
আজ ইব্রাহিম খলিল কি উদ্দেশ্য নিয়ে এসেছে বোঝার চেস্টা করছি।
উনি চেয়ারে এসে বসলেন। দিপা গ্লাসে পানি এনে দিল।
আমি দরজার চৌকাঠ ধরে দাঁড়িয়ে থাকলাম ।
উনি মাথা নিচু করে বলতে লাগলেন
মাগো ইমরান ১৫ দিন হল এক মহিলাকে বিয়ে করে আনছে।
আমি বললাম ভাল তো ! এই খবর দেওয়ার জন্যে এখানে আসছেন? আমার সাথে তার তালাক হয়ে গেছে এই সব কেন বলতে আসছেন?
মাগো আমি তোমার কাছে মাফ চাইতে আসছি । আমি গুনাগার সেদিন রোজার সময় তোমাদের ইফতার পর্যন্ত দেই নি । আমি কতটা পিশাচ ! আমি জানি আমি পাপ করছি। ছেলের কথা অন্ধের মত বিশ্বাস করছি । আল্লাহ আমাকে শাস্তি দিছেন ।
কি বলবো মা ! ইমরান সেই মহিলা আর তার আগের স্বামির এক ছেলে এক মেয়েকে সাথে করে আনছে । আমার কানে আসছে এই মহিলার সাথে ওর আগে থেকে অবৈধ সম্পর্ক ছিল ।
জানো মা দোতলাটা খালি ছিল গতকাল ইমরান সাথে আনা বউ আর সেই ছেলে মেয়েদের নিয়ে সেই দোতলা দখল করে নিয়েছে ।
আমি তোমাকে ভুল বুঝছি মা! অন্যায় করছি!
দিপা এসে আমার হাত ধরলো । মাত্র ১২ বছরের মেয়ের হাত আমার কাছে মনে হল এ যেন এক নির্ভরতার হাত। যে হাত কোনদিন আমাকে ছেড়ে যাবেনা ।
দুপুরে সেদিন দিপার দাদা আম ডাল আর মৌরালা মাছের চচ্চরি দিয়ে বড়ই তৃপ্তি নিয়ে ভাত খেলেন । যাওয়ার সময় আমাদের সবাইকে অবাক করে দিয়ে নিতুর হাতে একটা পোটলা দিয়ে বললেন এখানে ওর দাদির বার ভরির মত গয়না আছে । এগুলো দিপা আর নিতু বিয়ের জন্যে তিনি দিলেন ।
আমরা পরের দিনই খবর পেলাম সেই রাতেই দিপার দাদা বাথরুমে পরে গিয়ে স্ট্রোক করেছেন । হাসপাতালে ৩ দিন থাকার পর তিনি মারা যান ।
আচ্ছা যাকে নিয়ে এত কিছু। যাকে নিয়ে সব কিছু তছনছ । সেই আসাদকে একদিন পেলাম মগ বাজার চৌরাস্তায়। কি চেহারা হয়েছে। আমাকে দেখে এগিয়ে এলো।
কি রে আসাদ ভাল আছিস? বলার সাথে সাথেই দেখলাম ও এত লোকজনের সামনে কাঁদতে শুরু কিরে দিয়েছে। আমি ওকে নিয়ে রাস্তার পাশেই একটা হোটেলে বসলাম ।
মোঘলাই আর চায়ের অর্ডার দিয়ে
বললাম এবার বল
ও বলতে লাগলো জানিস মিরা সেদিন আমি ইমরান ভাইকে একজন মহিলা আর একটা বাচ্চা সহ একটা আবাসিক হোটেলে দেখেছি । উনিও আমাকে দেখেছেন। আমি সেদিন সেই আবাসিক হোটেলে চাকরির ইন্টার্ভিউ দেওয়ার জন্যে গিয়েছিলাম। সেদিন এই কথাটা বলার জন্যেই তোর কাছে আসছিলাম। ইমরান ভাই নিজের দোষ ঢাকার জন্যে সেদিন এই সব করেছে ।
আমি স্তব্ধ হয়ে গালে হাত দিয়ে আসাদের সব কথা শুনলাম। তাহলে অডিটের নাম করে সে শেরপুরে যায়নি । এই মহিলার সাথে হোটেলে ছিল? তাহলে এই বাচ্চাসহ মহিলাকেই সে বিয়ে করেছে ।
আমার মুখ থেকে শুধু একটা শব্দ বের হল “ কুত্তার বাচ্চা “।
সময় গড়িয়ে যায় আমার কাজের পরিধি বাড়ে । মেয়েরা বড় হয় । বড় মেয়ের বিয়ে দিয়েছি। বিয়ের সময় ওর চাচারা এসেছিল। দিপা বলে দিয়েছিল ওর বাপ যেন না আসে । নিতু এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে ।
ভাই বোনেরা মাঝে মাঝে আসে । আমি না করিনা । আম্মাও নেই । । বাচ্চাদের মানুষ করতে গিয়ে নিজের দিকে তাকাইনি! এই একটা লোক আমার জীবন নিয়ে জুয়া খেলেছে । তাকে আমার কি করা উচিত !
এই শহরটা বড্ড ছোট। জানেন মাঝে মাঝে এই লম্পটটার সাথে রমনা পার্কে আমার দেখা হয়। রোজ ভোরে হাঁটতে আসি । আমাকে দেখলেই সে উল্টো দিক ঘুরে দৌড়তে থাকে কারন কি জানেন ! প্রথম যেদিন দেখা হল ও আমার কাছে এসে ইনিয়ে বিনিয়ে জানতে এসেছিল আমি কেমন আছি এই সেই । সেদিন আমি লম্পটটার কথার উত্তর না দিয়ে মুখ ভর্তি থু থু নিয়ে ওর মুখে ছিটিয়েছিলাম ।
এরপর থেকে আমাকে দেখলেই প্রতারক লম্পটটা থু এর ভয়ে মুখ ঘুরিয়ে সোজা উল্টো দিকে দৌড়োতে থাকে !
রচনাকাল
২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
প্রতারক ও প্রতারণার গল্প
এক কাপ চা লিংক