মা বলল,” বাবু ইফতারিটা দিয়ে আয়।”
রোজা রেখে শরীর কেমন ক্লান্ত হয়ে যায়। বিকালে কোথায় যেতে ইচ্ছে করে না!
“ইফতার টিফতারি না দিলে হয় না?”
মা আমার দিকে তাকিয়ে একটু হেসে বলল, “সুইটিরা কয়দিন আগে আমাদের ইফতারি দিয়ে গেছে বাপ। এখন আমি না দিলে কেমন দেখায় বল?”
সুইটি! আমাদের ইফতারি পাঠিয়েছে! সুইটিরা কী আবার আমাদের এলাকায় এসেছে?
“কোন বাড়িতে এসেছে মা?”
“আমাদের বাড়ির দুইটা বাড়ি পরের নীল দেয়াল বাড়ির তিন তলায় উঠেছে। “
কতদিন পর সুইটির সাথে দেখা হবে। পাঁচ বছর আগে হঠাৎ করে সুইটিরা চলে গেল! আমার সাথে সুইটির এক আধটু বোঝাপড়া হয়েছিল। এ সময় হুট করে চলে গেল। তখন তো দেখতে ভালোই সুন্দরী ছিলো। এখন কেমন হয়েছে কে জানে? যাই দেখে আসি।
মা বেশ কয়েকটা বাটিতে ইফতারি দিলো। ইফতারি নিয়ে ওই বাড়িতে হাজির হলাম।
মা তো তিনতলায় বলেছে। তিন তলার কোন ফ্লাট?
ওপরে উঠে একজন বয়স্ক মহিলা কে জিজ্ঞেস করলাম, ” সুইটিদের ঘর কোনটা?”
মহিলা আমার দিকে বড়ো বড়ো চোখ করে তাকিয়ে রইল। তারপর ভ্রু কুঁচকে হাতের ইশারায় দেখিয়ে দিলেন। বিরবির করে বললেন, “কী দিনকাল আসল মাবুদ! “
ওনার দেখানো ঘরটাতে বেল চাপলাম। আমার মায়ের বয়সি একজন মহিলা গেট খুললেন। এটা তো সুইটির মা না!
আমি ওনাকে জিজ্ঞেস করলাম,” এটা সুইটিদের ঘর?”
বিরক্ত হয়ে বললেন, ” হ্যাঁ, আমিই সুইটি। তুমি রোজিনার ছেলে না?”.
মাথা নিচু করে বললাম। “জি,আন্টি!
Nabil Mahmud
……………………………………………
……………………………………
জিলাপি কিনবো
দোকানে যেয়ে দেখি জিলাপির ঝুড়ি খালি। প্রশ্ন করলাম- মামা জিলাপি নাই??
উত্তর দিলো- ফেরেশতা আইতাসে…
আমি তবদা খেয়ে এদিক ওদিক তাকিয়ে প্রশ্ন করলাম- সব জিলাপি কি ফেরেশতাদের জন্য রেখে দিসেন??
জিলাপি মামা চোখ ছোট করে কয়েক সেকেন্ড আমাকে পরখ করে বললো- ভিত্রে থাইকা ফেরেশ জিলাপি আইতাসে…
উত্তর শুনে আমি বললাম- ওঅঅ!! আচ্ছা তাইলে আমাকে হাফ কেজি ফেরেশ টা ই দিয়েন….
আমাদের সকল হাসির গল্পের লিংক