চিৎকার করে রিয়াজের হাত সরিয়ে দিলো সামিয়া। রিয়াজ যতটা না অবাক হলো তার চেয়ে বেশি হলো বিব্রত।
ঘটনাটা এমন কিছুই না। গতকালই তাদের বিয়ে হয়েছে পারিবারিকভাবে। এর আগে কয়েক দিন ধরে টানা শপিং, কয়েক রাত প্রায় নির্ঘুম কাটিয়ে আগের দিন গায়ে হলুদের আর বিয়ের অনুষ্ঠানের ধকল, সবকিছু মিলিয়ে ক্লান্ত হয়ে বিছানার এক কোণে দেয়ালের দিকে ফিরে ঘুমিয়ে পড়েছিল সামিয়া।
বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়ে রিয়াজ যখন ঘরে এসেছিল তখন ঘড়ির কাঁটায় রাত সাড়ে বারোটা বেজে গেছে।
ঘুমন্ত সামিয়াকে জাগিয়ে তুলতে মায়া হয়েছিল রিয়াজের। তাছাড়া সে নিজেও কম ক্লান্ত ছিল না।
খাটের বাইরের দিকে গায়ে চাদর টেনে ঘুমিয়ে পড়েছিল সে নিজেও।
ভোর পাঁচটায় ঘুম ভেঙে উঠে বালিশের এপাশে জলজ্যান্ত একটা সুন্দর মেয়েকে দেখে প্রথম মুহূর্তে অবাক, পরমুহূর্তেই আনন্দে বিমোহিত হয়ে গিয়েছিল রিয়াজ। আনন্দের আতিশয্যে একটা হাত তুলে দিয়েছিল সামিয়ার গায়ে।
খোদা ভালো জানেন কোনো উদ্দেশ্য ছিল না তার, নিছকই গায়ে হাত রাখা। কিন্তু সামিয়া এমনভাবে চেঁচিয়ে উঠলো…
চিৎকারে বোধ করি ঘুম ভেঙে উঠে গেছে বাসায় সবাই। ছি: ছি: সবাই কি ভাববে!
ভীষণ রেগে উঠতে গিয়েও সামিয়ার মুখের দিকে তাকিয়ে থমকে গেল রিয়াজ। কেমন হাঁপাচ্ছে মেয়েটা।
কেন?
ভয়?
এতো ভয়?
রিয়াজকে?
কেন?
সে কি কোনো হিংস্র জন্তু জানোয়ার নাকি?
মেজাজটা খিঁচড়ে গেল তার। বিছানা ছেড়ে উঠে ড্রয়ার খুলে মোজা পরতে লাগলো।
ওদিকে উঠে বসেছে সামিয়াও। তাকাচ্ছে ভীত হরিণীর দৃষ্টিতে।
ভয়ে ভয়ে জিজ্ঞেস করল, “কোথায় যাচ্ছেন? “
কেন জানি উত্তর দিতে ইচ্ছে করছিল না রিয়াজের। কিন্তু তার সহজাত ভদ্রতার খাতিরেই উত্তরটা দিলো রুক্ষ স্বরে, “জগিং এ।”
প্রতি দিনই জগিং এ যায় রিয়াজ, সেই অভ্যাস থেকেই ঘুম ভেঙে গেছে ভোর পাঁচটায়। কিন্তু মেয়েটাকে এতো কিছু ব্যাখ্যা করা প্রয়োজন বোধ করল না।
সামিয়া বোধ হয় কিছু বলার চেষ্টা করছিল। কিন্তু রিয়াজ আর দাঁড়াল না।
ঘর থেকে বের হতেই দুলাভাইয়ের সঙ্গে দেখা। ফিচেল হাসি দিয়ে বললেন, “কী ওপেনিং ব্যাটসম্যান? একটু আগে ছক্কা উঠল নাকি? “
মেজাজ খারাপ করে উত্তর না দিয়ে বেরিয়ে গেল রিয়াজ। ইচ্ছে করে আজকে কয়েক রাউন্ড বেশি দৌড়াল।
রোজ সকালে উঠে সাড়ে পাঁচটা থেকে সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত দৌড়ায় সে। আজকে বাসায় ফিরল সাড়ে সাতটার পরে।
কেমন যেন অপমান অপমান লাগছে। শালা সে কি রেপিস্ট নাকি?
বিয়ে করা বউয়ের গায়ে হাত দেওয়া যাবে না? তেমন কোনো অভদ্র আচরণও তো করেনি সে!
বাসায় ফিরে এসে দেখে বেশ উৎসব উৎসব ভাব। নাস্তা খেতে খেতে জোর আলোচনা করা হচ্ছে।
আজকে রাতে বৌভাত। বৌভাতের পরে আবার ফিরানিতে যাবে সামিয়া।
রিয়াজের মনে হলো সামিয়ার চোখে স্বস্তির ছায়া। কেমন যেন জেদ চেপে গেল তার।
নাস্তা খেয়ে ঘরে এসে কল করল মাহমুদকে, “দোস্ত একটা খবর নিতে পারবি?”
“কী খবর চাইতেছ সকাল সকাল? ইমার্জেন্সি পিলের?”
“ফালতু কথা বাদ দে। আমি তোরে একজনের আইডি লিংক দিতেছি। এফেয়ার ছিল কিনা, থাকলে কয়দিন কী সমাচার সব খবর ডিটেইলস বের করে দিবি!”
“আচ্ছা দিলাম! কিন্তু মালটা কে?”
উত্তর না দিয়ে ফোন কেটে দিলো রিয়াজ। সামিয়ার আইডি লিংক কপি করে পাঠিয়ে দিলো মাহমুদকে।
দুই সেকেন্ড পরেই ব্যাক করলো মাহমুদ। “আস্তাগফিরুল্লাহ! এইটা তো ভাবি! “
“তোর এতো কথা দিয়ে দরকার কী শালা? “
“দোস্ত আমি একটা কথা বলি?” মাহমুদের গলায় সিরিয়াসনেস, “এফেয়ার যদি থাকেও, থাকুক না! এই যুগে তুই কাউকে পাবি যার এফেয়ার ছিল না? “
“এতো জ্ঞান দান করা লাগবে না তোর! যা করতে বলছি তাই কর!”
ফোন কেটে দিয়ে বসে বসে রাগে ফুঁসতে লাগলো রিয়াজ। এইজন্যই এই মেয়ে দেখা করতে চায়নি বিয়ের আগে!
পারিবারিকভাবে বিয়ে হলেও কথা বার্তা ফাইনাল হওয়ার পরে ছেলে মেয়ের দেখা করা, কথা বলা জায়েজ আছে। কিন্তু সেই তাগিদ মোটেই ছিল না সামিয়ার পক্ষ থেকে।
রিয়াজের মনে পড়ছে এখন, বিয়ের অনুষ্ঠানে মঞ্চে উঠে ওর পাশাপাশি বসে, ফটোগ্রাফার পোজ দিতে বলার সময়ও কেমন যেন আড়ষ্ট হয়ে বসে ছিল সামিয়া।
বাইরে আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে কথা বলছে সামিয়া, দিব্যি স্বাভাবিক। বসে থাকতে থাকতে ঘুমিয়ে পড়ল রিয়াজ।
ঘুম ভাঙল লাঞ্চের সময় আম্মুর ডাক শুনে। লাঞ্চের পরেই পার্লারে চলে গেল সামিয়া।
বউ সাজতে সময় নিয়ে যেতে হয়।
কমিউনিটি সেন্টার থেকেই সামিয়া চলে গেল ওদের বাসায়, কথা ছিল তার দুদিন পরে রিয়াজ আবার এসে নিয়ে যাবে ওকে। কিন্তু গেল না রিয়াজ।
তৃতীয় দিন খবর দিলো মাহমুদ, সামিয়ার একটা এফেয়ার ছিল বটে। কিন্তু সেটা ভেঙে গেছে সেই ফার্স্ট ইয়ারে থাকতেই।
এফেয়ারের বয়স ছিল দুই মাস। তার জন্য এমন করার কোনো যুক্তি নেই।
চারদিন পরে অফিস থেকেই সামিয়ার বাসায় চলে গেল রিয়াজ। হই হই করে উঠল সামিয়ার ছোট দুই বোন।
একসাথে বসে লুডু খেলল রাত পর্যন্ত। রাতে থেকে গেল ওদের বাসাতেই।
ঘুমাতে যাওয়ার সময় আবার একই কাণ্ড।
শক্ত হয়ে কাঠের মতো পড়ে রইল সামিয়া, যেন শ্বাস নিতেও ভয় পাচ্ছে। মাঝখানে একটা কোলবালিশ দিয়ে এপাশ ফিরে ঘুমানোর চেষ্টা করল রিয়াজ।
কিন্তু এভাবে কি জীবন চলে? নাকি চলবে অনন্তকাল?
কিছুক্ষণ ঘুমানোর অভিনয় করে ব্যর্থ হয়ে উঠে বসে সামিয়াকে বলল রিয়াজ, “দেখো, তোমার যদি আমাকে পছন্দ না হয়ে থাকে, তুমি সরাসরি বলতে পারো আমাকে। কিংবা তোমার যদি আর কাউকে পছন্দ থাকে…”
এ কথায় উঠে বসলো সামিয়া। বড় বড় দুই চোখ ভরে উঠল অশ্রুজলে। “প্লিজ তুমি আমার বাসায় কিছু বলো না! আমাকে একটু সময় দাও!”
বিরক্তির অন্ত রইল না রিয়াজের। এ কি ন্যাকামি!
কী যে হলো রিয়াজের, ওর দুই কাঁধে ঝাঁকুনি দিয়ে বললো, “কী সমস্যা তোমার? “
চুপ করে রইল সামিয়া। বিরক্তি লুকিয়ে রাখতে না পেরে ওকে নিজের কাছে টানল রিয়াজ।
কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে এতো জোরে জোরে শব্দ করে শ্বাস নিতে শুরু করলো সামিয়া যে ভয় পেয়ে রিয়াজ ছেড়ে দিলো ওকে।
বুক ভরে কয়েক বার শ্বাস নিয়ে নিজেকে শান্ত করে রিয়াজ বললো, “শুয়ে পড়ো!”
পরদিন সকালে সামিয়ার এক দূর সম্পর্কের মামা এলেন বেড়াতে। তাকে দেখেই চোখ মুখ শক্ত করে ফেললো সামিয়া।
ব্যাপারটা আর কেউ লক্ষ্য না করলেও ঠিকই লক্ষ্য করল রিয়াজ, কারণ সে সামিয়ার মুখের প্রতিটি রেখার হিসাব রেখে চলেছে।
তখন নাস্তার টেবিলে বসে সামিয়া আর রিয়াজ, সামিয়ার দুই বোনও একইসাথে নাস্তা খেতে বসেছে। সামিয়ার মা রান্নাঘরে কাজ করছেন, সামিয়ার বাবা খেতে আসেননি তখনও।
মামা এসে সামিয়ার সবচেয়ে ছোট বোনের গাল টিপে দিয়ে বললেন, “কী খবর তোদের? “
মুখ সরিয়ে নিলেও এড়াতে পারলো না মেয়েটা, এক রাশ বিরক্তি ছেয়ে গেল সারা মুখে। রিয়াজ চট করে তাকালো সামিয়ার দিকে, জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছে সে।
দুইয়ে দুইয়ে চার করে নিয়ে গলা খাঁকারি দিয়ে বললো রিয়াজ, “মামা, আলিশার বয়স কিন্তু এখন কম না, ষোলো বছর! এতো বড়ো একটা মেয়ের গায়ে হাত দেওয়া যায় না। সেটা তার জন্য কমফোর্টেবল নাও হতে পারে। “
সামিয়া ঝট করে তাকালো রিয়াজের দিকে, চোখে অবিশ্বাস।
“আরে জামাই কী বলে এইসব? এদের আমি ছোট থেকে দেখছি, কোলে পিঠে করে পালছি! আজকে সুইট সিক্সটিন হইছে দেখে কি আদর করতে পারব না?”
“প্রতিটি মানুষের কমফোর্ট জোন থাকে, সেটা ক্রস করা যায় না! “
রান্নাঘর থেকে উঁকি দিয়ে দেখলেন সামিয়ার মা, চোখে ভয়ার্ত দৃষ্টি।
“ভাইজান বসেন, আমি পরোটা ভাজতেছি!”
“না আর বসব না রে ভাই, তোর জামাই তো দুইদিন আগে আইসা মেলা কিছু বুঝাইতেছে ইতিহাস ভূগোল! এই বয়সে এতো কিছু শিখা পোষায় না! বিয়ের জন্য যে ধার নিছিলি ওগুলো শোধ করবি কবে?”
দিলারা তাড়াতাড়ি এগিয়ে এসে অনুনয়ের সুরে বললেন, “ভাইজান এগুলো নিয়ে কথা বলতেছি পরে! জামাই যাক..”
“না জামাই কি আমার মান সম্মান রাখছে যে আমি তারটা রাখমু? “
এবার গলা উঁচু করে বলল রিয়াজ, “ভয় নেই মামা, বিয়ের ধার আপনাকে শোধ করে দেওয়া হবে! আমি বললাম! আজকে একটা আনন্দের দিন, এটাকে নষ্ট করে দেবেন না! “
মামা এবার বক্র চোখে তাকিয়ে বললেন, “কী রে? দিলারা? আমি আসলে তোদের আনন্দ নষ্ট হয়ে যায়? “
দিলারা কী বলবেন ভেবে পেলেন না।
মামা উঠে দাঁড়াতে দাঁড়াতে বললেন, “ঠিক আছে! সেই কবে থেকে তোর সংসারে সাহায্য করতেছি! আজকে ভালো প্রতিদান পাইলাম! “
“সাহায্যের বিনিময়ে ক্ষতিও আপনি কম করেন নাই মামা!”
“কী বলতে চাও তুমি? “
“এ কথার উত্তর আপনি নিজেই ভালো করে জানেন! “
রুদ্ধশ্বাস একটা মুহূর্তের পরে ঝটকা দিয়ে গটগট করে বেরিয়ে গেল লোকটা।
ঘরে একটা থমথমে পরিবেশ তৈরি হয়ে গেছে। পরিস্থিতি সহজ করার জন্য রিয়াজ বললো, “আরে, খেয়ে নাও, খেয়ে নাও! সব ঠাণ্ডা হয়ে গেল তো!”
নাস্তা খেয়ে ঘরে এসে নিজের টুকটাক জিনিস গুছিয়ে নিচ্ছিল রিয়াজ। পেছন থেকে এসে ঢুকলো সামিয়া।
কেন জানি ওর চোখে চোখে তাকাতে অস্বস্তি হচ্ছে রিয়াজের, গতকাল রাতে কাজটা খুব বেশি খারাপ হয়ে গেছে। মেয়েটা একটু সময় চেয়েছিল শুধু, কিন্তু তার আচরণটা হয়ে গিয়েছিল অসভ্যের মতো। আসলে হাতের কাছে একটা বৌ পেয়ে নিজেকে সামলাতে পারেনি, ভাবেনি কোনো সমস্যা থাকতে পারে মেয়েটার!
“ইয়ে, আমার মনে হয় তুমি আর কিছু দিন বেড়াতে পার এখানে! তোমার যখন যেতে ইচ্ছে করবে, মন তৈরি হবে, আমাকে খবর দিও!”
“আমি তৈরিই আছি!” খুব মৃদু, প্রায় শোনা যায় না এমন স্বরে বললো সামিয়া।
নিজেকে ধাতস্থ করে বললো রিয়াজ, “দেখো, তুমি একটা প্রবলেম ফিল করছ আমি বুঝতে পারছি! কিন্তু সেই প্রবলেমটা অন্য কোনো মানুষ নাও বুঝতে পারে। আমাদের এক সাথে, এক রুমে থাকতে হবে..”
“থাকতে পারবো! “
এ কথায় ঠোঁটের কোণে হাসি ফুটে উঠল রিয়াজের। “হঠাৎ, আমার ওপর এতো বিশ্বাস? “
এ কথার উত্তর দিতে পারল না সামিয়া।
কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে রিয়াজ বললো, “অবশ্য ভরসা করে দেখতে পার, আমি এতটা খারাপও না!”
এবারেও চুপ করে রইল সামিয়া। রিয়াজ চোখ তুলে দেখল সামিয়ার গাল ভেজা।
নি:শব্দে কাঁদছে সামিয়া।
“তুমি কেঁদো না, আমি চলে যাচ্ছি! টেইক ইওর টাইম!”
“না…”
“তাহলে? “
থর থর করে কেঁপে উঠল সামিয়া।
“ক্যান আই হোল্ড ইউ ফর এ মোমেন্ট? “
খুব যত্নে, যেন সামান্য স্পর্শ পেয়ে ভেঙে যাবে এমনই কাচের পুতুল, এমন আলতো করে রিয়াজ ধরলো সামিয়াকে। ওর নি:শব্দ অশ্রুতে বুকের কাছে ভিজে উঠতে শুরু করল টিশার্ট।
“তুমি জানো না, আমি…আমার… “
“আমি জানি আমি সব জানি! একটু শান্ত হও!”
“আমি তোমাকে সব বলবো! তখন তুমি আমাকে হেট করবে..আমাকে ফেলে চলে যাবে.. কিন্তু তাও আমি বলবো.. আমাকে বলতে হবে..আমি আর পারছি না.. “
“সব শুনবো আমি, সব! কিন্তু তোমাকে হেট করব না!”
রিয়াজের বুকে মুখ গুঁজে সামিয়া বলতে শুরু করল কীভাবে দু:সহ স্পর্শ পেয়ে বিষাক্ত হয়ে গিয়েছিল তার ছোটবেলা। সামিয়া যখন আম্মুকে বলতে চেয়েছিল আম্মু কীভাবে চুপ করিয়ে দিয়েছিল তাকে! বড়ো হওয়ার পরে তার প্রেমিক প্রথম সুযোগে আড়ালে নিয়ে চুমু খেয়েছিল জোর করে, ওকে বুঝতে চায়নি, ওকে সময় দেয়নি… ওর শরীর যখন শক্ত হয়ে উঠেছিল তাকে বলেছিল এবনরমাল, অস্বাভাবিক! বলেছিল ব্রেক আপ, বলেছিল সামিয়ার সাথে সংসার করতে পারবে না কোনো পুরুষ!
ওর বুক ভাঙা কান্নার সঙ্গে জমিয়ে রাখা কথাগুলো শুনতে শুনতে রিয়াজের মনে হলো, সামিয়ার এই ভয় কাটাতে পুরুষ হওয়ার আগে পর্যন্ত মানুষ হয়ে, একটা বন্ধু হয়েই থাকতে হবে ওর! ও কি তা পারবে?
ওর কপাল থেকে যেখানে চুলের গোছা শুরু হয়েছে, সেখানে খুব আলতো করে ঠোঁট ছোঁয়াল রিয়াজ।
সামিয়া বাধা দিল না, বরং আঁকড়ে ধরল ওকে।
#ভয়
#ছোটগল্প
©Moulee Akhund