#শিমুল ফুল
পর্ব ৩৭
#জাকিয়া_সুলতানা_ঝুমুর
নিধি বাসায় গিয়ে নিঃশব্দে কাঁ/দে।প্রথমবার স্বামীর বাড়ি গিয়ে এমন অপ/মানিত হবে এটা কল্পনার বাহিরে ছিলো।পলাশ স্তব্ধ হয়ে বিছানায় বসে আছে,চোখের দৃষ্টি নিধির পানে,নিধি কাঁ/দছে,তার কা/ন্না দেখে পলাশের বুকটা পু/ড়ছে।নিধি ফ্লোরে হাটুতে চোয়াল ঠেকিয়ে বসে আছে।সে ভাবছে তার জন্য পলাশের কতোগুলো কথা শুনতে হলো।ভেজা নয়ন মেলে পলাশের দিকে তাকায়,নিধির তাকানো দেখে পলাশ হাসার চেষ্টা করে।নিধি হাসে না এক ধ্যানে পলাশকে দেখে।তারপর উঠে গিয়ে পলাশের গা ঘেষে বসে কাধে মুখ লুকিয়ে জোড়ে শ্বাস ফেলে।পলাশ এই দীর্ঘশ্বাসের অর্থ বুঝে,হাত বাড়িয়ে নিধিকে বুকে নেয়।চোখের পানি মুছে বললো,
“এখনো কাঁ/দছো যে!তোমার কা/ন্না দেখলে আমার ভালো লাগেনা নিধি।”
নিধি পলাশের কাতর মুখের দিকে তাকিয়ে বললো,
“আমার জন্য তোমাকে কতো কথা শুনতে হলো।”
“না।আমি তো অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছি,যা অনেক আগেই করার দরকার ছিলো।আমি থাকতে আমার স্ত্রীকে অপ/মান করে কথা বলবে এটা হয় না।তোমার অপ/মান মানে আমার অপ/মান।”
“আমাকে যে বদলি করে দিচ্ছে,তোমাকে ছেড়ে থাকবো কিভাবে?”
“করবে না।এই ব্যবস্থা আমি করবো।দেখি,চোখ মুখ ফুলিয়ে কি অবস্থা।আর কেঁ/দো না তো।”
নিধি পলাশের খোচাখোচা দাড়িতে হাত রেখে বললো,
“তুমি এতো ভালো কেন পলাশ?”
পলাশ কিছু বলেনা।মায়ের জন্য তার বুকটা পু/ড়ছে।আহা তার জনম-দুঃ/খিনী মা পলাশের চলে আসাতে নিশ্চয়ই অনেক কষ্ট পেয়েছে!পলাশ মনে মনে ভাবে যে কোনো-ভাবেই তার আম্মাকে তার কাছে নিয়ে আসবে।বাবা মা হারা এতিম মেয়েটিকে বুকের মাঝে শক্ত করে জড়িয়ে নেয়,তার বুক ছাড়া এই মেয়েটির আর আশ্রয়স্থল নেই,পলাশ চায় না মেয়েটি এই স্থানটাও হারিয়ে নিঃ/স্ব হয়ে যাক।সে এই মেয়েটাকে সুখী দেখতে চায় তাইতো সব পায়ে ঠেলে নিধির দুয়ারে উজার করে দিয়েছে তার সীমাহীন রাজ্যের ভালোবাসা।
পলাশ বাড়ি ছাড়ার পর থেকেই বাড়ির পরিবেশ থ/ম/থ/মে।নিধি রাবেয়ার সাথে ফোনে কথা বলার পর রাবেয়া কিছুটা হাসিখুশী,নিয়মকরে প্রতিদিন নিধি ফোন দিয়ে কিছুক্ষণ কথা বলে।এই কয়দিনে সুইটির চুল কিছুটা বড় হয়েছে।এখন সে পুষ্পর সাথে খা/রাপ ব্যবহার আরো বেশী করে,খারাপ ব্যবহারের মূলে রয়েছে তার নানা,নানী।পুষ্প চুপচাপ থাকে,বড়ো ভাইয়ের বউয়ের সাথে যা হলো এখন যদি পুষ্পর সাথেও একি ঝামেলা করে সেই ভ/য়ে পুষ্প কিছু বলেনা আর না শিমুলকে জানায়,আসলে পুষ্প এই ঝ/গড়া ঝা/মেলা পছন্দ করেনা।আজকে পুষ্প শশুড়বাড়ি থেকে প্রথমদিন কলেজে গিয়েছে।কলেজে যাওয়া নিয়ে সকালে তো মজিব হাওলাদার ঝা/মেলা বাধিয়ে দিয়েছিলো।অবশ্য শিমুল সামলে নিয়েছে।পুষ্পকে কলেজ ড্রেস পরা দেখেই মজিব হাওলাদার সবার সামনে বললেন,
“আহ,কই ছিলো এমপির ভাগনী!শুনলাম মেয়েটা নাকি পুলি/শের এসপি হিসেবে জয়েন করেছে।আর এই ছেলের কিনা এই ইন্টার পড়ুয়া মেয়েকে পছন্দ হলো!”
তারপর পুষ্পর দিকে তাকিয়ে বললো,
“বিয়ে হয়েছে এইসব ডং বাদ দেও।আর পড়ে কি করবে শুনি?”
পুষ্প ভালো ছাত্রী।পড়ালেখায় ভীষণ আগ্রহ।তার যে অফিসার হতে হবে।প্রেম করে বাবা মাকে যতোটুকু ক/ষ্ট দিয়েছে জীবনে বড়ো কিছু করে বাবা মায়ের মুখ উজ্জ্বল করে যদি সেই ক/ষ্ট কিছুটা কমানো যায়।কিন্তু যদি পড়তেই না পারে তাহলে!পড়া বন্ধ হওয়ার প্রসংগ আসাতে সে আজকে আর চুপ করে থাকলো না।স্পষ্ট গলা অথচ আস্তে করে বললো,
“লেখাপড়া বন্ধ করা সম্ভব না।বিয়ের জায়গায় বিয়ে পড়ার জায়গায় পড়া।আমি পড়তে চাই।”
পুষ্পর মুখে এই কথা শুনে শওকত হাওলাদার মুখ তুলে তাকায়।
“এমন ভাব করছো মনে হচ্ছে কোনো বড়ো অফিসার হয়ে যাবে।সেই তো হাড়ি-পাতিল,বাচ্চা সামলেই জীবন কাটবে।মনে হয় পড়ে দুনিয়া উল্টিয়ে ফেলবে!”
শিমুল গ্লাসে পানি ঢালতে ঢালতে বললো,
“আচ্ছা আমি বুঝলাম না আমার বউ নিয়ে তোমাদের এতো আগ্রহ কেন?আমার বউ পড়বে না ম//রবে সেটা দেখার জন্য আস্ত আমি আছি,আর কাউকে দেখতে হবে না।কোনো কেয়ারটেকার লাগলে আমি নিজ দায়িত্বে জানাবো।”
শিমুলের পাকনা কথা শুনে শওকত হাওলাদারের গা জ্ব/লে উঠে।
“এই বাড়িটা আমার সুতরাং এখানের সব গতিবিধি আমার জানতে হবে।”
শিমুল বিরক্ত মুখে বললো,
“আব্বা এবার ক্ষেমা দেন প্লিজ।ভুলে গেছেন হয়তোবা বাড়িটা আপনার বউটা কিন্তু আমার।”
শওকত হাওলাদার শিমুলের কথায় থ/ম/থ/ম খেয়ে যায়।কথা ঘুরিয়ে বলে,
“তুই পড়াবিই?”
শিমুল দাঁত কেলিয়ে বললো,
“অবশ্যই।সেদিন বললাম না অফিসার বানাবো।”
“বউ পড়াবি?পরে দেখিস তোরেই।সম্মান দেবে না।”
“এই চিন্তা-চেতনা ভুল।”
মজিব হাওলাদার মুখ ঝামটা মেরে বললো,
“অহ অফিসার হবে?হা হা হা।ফকিন্নির বাচ্চা আবার অফিসার হওয়ার শখ!তা বলি এতো অফিসার হওয়ার শখ হলে প্রেম করছিলো কেন?অল্প বয়সে বেশী জ্বালা তাইতো….”
শিমুল ওনার কথা শেষ করতে দেয় না।চেয়ারে লাত্থি মেরে উঠে দাঁড়ায়।হাতের আঙুল উঁচিয়ে বললো,
“এটা আমার বউ।এর সম্পর্কে বাজে কথা বলার আগে দুই’বার ভাববে।তা না হলে মুখটা ভেঙে হাতে ধরাতে একটুও দেরী করবো না।”
তারপর তার আব্বার দিকে তাকিয়ে বললো,
“আব্বা আপনার মা বাপেরে বলেন আমার বউকে নিয়ে কুটনামি কম করতে।আর আপনার বোন ভাগনীকে বলেন শিমুলের আশা ছেড়ে ঢাকা ফিরে যেতে,আমি মরলেও পুষ্পকে ছাড়বো না,আর এই ঠুল্লা সুইটিকে বিয়ে তো পরের কথা।আর যদি কেউ গরম দেখাতে আসে জনমের মতো ঠান্ডা করে দেবো।”
মজিব হাওলাদার পুষ্পর দিকে বিরক্ত চোখে তাকায়।বিরবির করে কিছু বলে শিমুল পাত্তা দেয় না,পুষ্পকে নিয়ে কলেজে যায়।নাতীর এমন অ/বাধ্য,রু/ক্ষ ব্যবহারের পেশকারার চোখে পুষ্প দো/ষী হয়,বারবার এটাই মনে হয় এই মেয়ে সবার সামনে ভেজা বিড়াল হয়ে থাকে,রুমে হয়তো শিমুলকে তোতাপাখির মতো পড়িয়ে তাদের বিরো/দ্ধে নিচ্ছে।পুষ্পর প্রতি রা/গটা আরো বেড়ে যায়,এতোটুকু একটা মেয়ে!
সারাদিন ফোটা ফোটা বৃষ্টি হয়েছে।রাতে বৃষ্টির পরিমাণ যেনো আরো বাড়ে।ঘুমানোর আগে শিমুল আবদার করে শাড়ি পড়তে।তখন রাত বারোটার কাছাকাছি।পুষ্প বললো,
“এতো রাতে শাড়ি?”
“দেখতে ইচ্ছে করছে যে।”
“এমন উল্টাপাল্টা ইচ্ছে হয়?”
“হয়।বাহিরে ওয়েদার দেখেছো?মাখোমাখো।”
পুষ্প মাথা নেড়ে বললো,
“ওয়েদার আবার মাখোমাখো হয়?কে শিখায় এগুলো?”
“এগুলো শিখানো লাগে না অনুভব করার শক্তি থাকলে এমনিতেই সব বুঝা যায়।”
“এসব বুঝতে হবে না।আর শাড়িও পড়বো না।”
“আরে,আমার জন্য সাজলে তো তোমার সওয়াব হবে।যতোক্ষণ সাজবে ততোক্ষন সওয়াব।”
পুষ্প এটা জানে যে হাজবেন্ডের জন্য সাজলে সওয়াব।তারপরেও অবাক হওয়ার বান ধরে বললো,
“তাই নাকি?”
“হ্যাঁ।এখন সাজো আর সওয়াব কামাও।”
পুষ্প বললো,
“এতো সওয়াব লাগবে না।ঘুমাও যাও।”
শিমুল বোধহয় অভিমান করে।কেমন গাল ফুলিয়ে বললো,
“লাস্ট বার বলছি পড়বে কিনা বলো?”
শিমুলের অভিমানি মুখের দিকে তাকিয়ে পুষ্প হাসে।তারপর খয়েরী রঙের একটা শাড়ী বের করে,বাথরুমে যেতে নিলে শিমুল তারস্বরে চেচিয়ে বললো,
“এখানেই পড়ো।”
পুষ্প ভ্রুকুটি করে বললো,
“এখানে কেন?”
“কিভাবে পড়বো দেখবো তাই।”
“শাড়ি পড়া আবার দেখার কি আছে?”
“তা তুমি বুঝবেনা।আমি বর আমি বুঝি,বউদের এসব বুঝতে হয় না।”
পুষ্প হাসে।সে জানে,বুঝে তাও শিমুলকে প্রশ্ন করে,প্রিয় পুরুষের মুখে এসব আদুরে আবদার শোনার এক আলাদা আনন্দ আছে,এই যে পুষ্পর বুকে আনন্দের বাতাস বইছে শিমুলের পাগলামি দেখেই’তো। মেয়েরা মাঝে মাঝে বো/কা সাজে,সব বুঝেও না বুঝার ভান করে এই সবকিছু করে প্রিয়জনের থেকে আদুরে আহ্লাদে গা ভাসাতে।পুষ্প এক এক করে নিজেকে শাড়ির আবরনে সাজায়,শিমুল বিছানায় বসে প্রিয় রমনীর আঁকাবাঁকা শরীরের মোহনীয় সৌন্দর্যের সাক্ষী হয়,থেমে থেমে তার শরীর ঝিমঝিম করে উঠে,একি নে/শা একি যা/দু যা নিমিষেই শরীরে তরঙ্গ বয়িয়ে দিতে পারে।সে বসে বালিশে হেলান দিয়ে তাকিয়ে থাকে,পুষ্প হালকা সেজে আয়নায় শিমুলকে দেখে।শিমুলের নে/শা ধরানো চোখের দৃষ্টিতে পুষ্পর অন্তরা/ত্মা কেঁপে উঠে।এই চোখে তাকালে যেনো এখনো প্রথম কাছে আসার অনুভূতি জাগে।শিমুল হাত বাড়িয়ে কাছে ডাকে।পুষ্প লাজুক হেসে কাছে গিয়ে দাঁড়ায়।শিমুল তার তুলোর বস্তাটাকে টেনে তার কোলে বসায়।দুজনের শরীরের নিজস্ব ঘ্রানে আবদ্ধ অনুভূতি ছোটাছুটি করে জানান দেয় মধুর প্রণয়ের।শিমুল মিষ্টি করে হেসে বললো,
“খুব সুন্দর লাগছে,মাশা-আল্লাহ ।”
“ধন্যবাদ।”
শিমুল তার প্রনয়ীনিকে জড়িয়ে ধরে বললো,
“বউটা আসলেই তুলোর বস্তা।”
পুষ্প লজ্জা পায়।ছটফট করে বললো,
“যাহ,ফাও কথা।”
“সত্যি কথা।এই তুমি মাখোমাখো ওয়েদার কাকে বলে জানো না?”
“না।”
“আচ্ছা,চলো আমি শিখাই। শিখবে?”
পুষ্প শিমুলের কোকড়া চুলে হাত ভুলিয়ে দেয়।এই কথা পাল্টাতে বললো,
“শিমুল ভাই?”
শিমুলের চোখ চিকচিক করে উঠে।তাকে ভাই ডাকা হচ্ছে?ভাই ডাকার জন্য এতো কষ্ট করে বিয়ে করেছে?ব্যাথা দেয়ার জন্য একটু জোড়েই পুষ্পর গাল কামড়ে বললো,
“ভাই!কিসের ভাই?কে ভাই?”
শিমুলের হঠাৎ আক্রমণে পুষ্প ককিয়ে উঠে।মাথা নেড়ে বললো,
“না না ভাই না,ভাই না।”
শিমুল তখন রমনীর ছোঁয়ায় দিশেহারা।বৃষ্টির কারনেই কিনা হালকা শীত লাগছে।শরীর কেমন ঠান্ডা।শীতল নাক পুষ্পর গলায় ঘষে বললো,
“তাহলে কি?”
পুষ্প চোখ বন্ধ করে নেয়।শিমুলের ছোঁয়ায় তলপেটের প্রজাপতির ঝাক জেগে গেছে,উড়াউড়ি করে তাকে অনুভূতির রাজ্যে ডাকছে।সে নিভু নিভু জড়ানো হালকা গলায় বললো,
“জান,কলিজা,পাখি।”
শিমুল হাসে।তার একহাতে পুষ্পর আঙুলের ভাজে আঙুল পুড়ে আরেক হাতে শাড়ি গলে রেশমের মতো নরম পেট আঁকড়ে ধরেছে।পুষ্প কেঁ/পে ওঠে,আবেশে চোখ বন্ধ হয়।শিমুলের ছোঁয়া পেয়ে প্রজাপতির দল আরো জেগে যায়,তার পেট মুচরে উঠে।শিমুল তার নে/শার বাক্স,সে আজ আয়োজন করে নে/শার বহর খুলে বসেছে এই নে/শা উপেক্ষা করার শক্তি পুষ্পর নেই।সে নিমিষেই ভ*য়ং*কর মা*তাল হয়ে যায়।ফিসফিস করে বললো,
“আমাকে মে**রে না ফেললে চলে না?”
শিমুল ততক্ষণে রাজা হয়ে রাজ্য পরিদর্শনে বেরিয়ে গেছে।পুষ্পর মতোই ফিসফিস করে বললো,
“না চলে না।তোমায় প্রতি মূহুর্তে ভালোবাসার জলে ডুবিয়ে মা**রতে চাই।আমার সোনা পাখিটা,তুমি আমার অতল সাগরে ডু*ববে তো?”
পুষ্প জলভরা চোখে হাসে।সম্মতি হিসেবে আঁকড়ে ধরে শিমুলের কোকড়া চুল।শিমুল পুষ্পকে নিয়েই ডুবে।রাঙ্গিয়ে দেয় ভালোবাসার মিষ্টি আদর,দুষ্টু কথায়,মাতাল স্পর্শে।পুষ্পর মনে হয় সে বেশীদিন বাঁচবে না একদিন ঠিক ম**রে যাবে এতো ভালোবাসা নিয়ে বাঁচা যায়?যায় না তো।শিমুলের এতো সুখ তার কপালে সইবে?খুব চিন্তা হয়।প্রনয়পুরুষের এলোমেলো ভালোবাসায় চিন্তা দৌড়ে পালায়।পাগ**লা শ্বাসের সাথে গড়িয়ে পড়ে একফোঁটা চোখের পানি।শিমুল চোখে চুমু দেয়,সে জানে এ কা*ন্না দুঃ*খের নয় বরং অ*সহ্য রকম সুখের।তাইতো প্রতিনিয়ত পুষ্পকে সুখে কাঁদাতে চায়।বৃষ্টি ভেজা রাত্রিরে নিশ্চুপ রুমে দুজনের ভালোবাসার উন্মাদনায় লজ্জা পায় অন্ধকার।শিমুল ফিসফিস করে বললো,
“এতো সুখ,এতো আদর!যদি পাগ*ল হয়ে যাই,পেশকারা তোমাকে জেলে পুড়ে দিবে।”
পুষ্প অন্ধকারেই শিমুলের গাল হালকা টেনে খিলখিল করে হেসে উঠে।
চলবে….