শিমুল_ফুল
৩৩
জাকিয়াসুলতানাঝুমুর
শওকত হাওলাদার হনহনিয়ে বাড়ির ভেতরে আসে।শিমুল তখন তার আম্মার কাছে বিস্তারিত বলছে।রাবেয়া পলাশের এমন সিদ্ধান্তে ভীষণ খুশী হয়েছেন।পলাশ তার আব্বাকে সম্মান দিয়েছে তার আব্বার মনের দিকে তাকিয়ে নিজের ইচ্ছাকে ত্যাগ করেছে কিন্তু শওকত হাওলাদার সেই সম্মান পাবার মানুষ না।নিধির সাথে হওয়া ঘটনা শুনার পর থেকে রাবেয়ার মনে ঘৃণার পরিমাণ বাড়ছে।লোকটা কতোটা নিকৃষ্ট একটা মেয়ের ইজ্জত হরণ করতে লোক পাঠালো?পলাশ ঠিক কাজ করেছে।বিয়ে করে উনাকে উচিৎ শিক্ষা দিয়েছে।আবেগে চোখে পানি চিকচিক করে উঠে।শিমুলকে বলে,
“আব্বা কালকে আমাকে পলাশের বাসায় নিয়ে যাবি?বউমাকে আমি মন ভরে দেখবো।”
শিমুল হাওলাদার পিছনে দাঁড়িয়ে কড়কড় করে বললো,
“হ্যাঁ!খুব রঙে আছিস তো!তুই যেমন তোর পেটে থেকে আসছেও এমন।”
হঠাৎ স্বামীর কন্ঠস্বর শুনে রাবেয়া ভয়ে কেঁপে ওঠে।শিমুল,পুষ্প,রাবেয়া চুপ হয়ে বসে থাকে।চেচামেচি শুনে পেশকারা আর আসমা বেড়িয়ে আসে,পলাশ বিয়ে করেছে এটা শুনার পর থেকেই তারা অবাক!শান্ত ছেলের নিচে যে এতো গুন কে জানতো!শওকত হাওলাদার রাবেয়ার কাছে এসে দাঁড়ায়।
“শুনেছিস তোর ছেলে কি করেছে?”
উনাকে দেখেই রাবেয়ার মনটা ঘৃণায় রি রি করে উঠে।হঠাৎ করেই মন থেকে স্বামী নামের ভয় দূর হয়ে যায়।বুকে সাহস নিয়ে দাঁড়িয়ে শান্ত গলায় বলে,
“কি করেছে?বিয়েই তো করেছে।পলাশের বিয়ের বয়স পেরিয়ে গেছে সেই কবে।কোন ঝামেলা ছাড়াই বিয়ে করে ফেলেছে ভালোই তো হলো।”
রাবেয়ার তেজী গলার উত্তর শুনে সবাই অবাক।চিরকাল স্বামী-ভক্তি করা রাবেয়া কখনো উঁচুস্বরে কথা বলেনি সেই রাবেয়াই কিনা এভাবে কথা বলছে?শওকত হাওলাদার চোয়াল শক্ত করে চোখ পাকিয়ে রাবেয়ার দিকে তাকায়।
“ভালো করেছে?”
“হ্যাঁ।”
“আসলে দোষ তোর পেটের।একটা ছেলেও ভালো হলো না।”
রাবেয়া কথা বলেনা।শিমুল বলে,
“আব্বা বিয়ে তো হয়ে গেছে এখন আর রাগারাগি করে লাভ কি?মাথা ঠান্ডা করেন সবাই মিলে ভাইয়া ভাবীকে বাড়িতে নিয়ে আসি।”
শওকত হাওলাদার কিছু বলার আগে মজিব হাওলাদার খ্যাকখ্যাক করে বললো,
“কিসের বাড়িতে আনাআনি?বিয়ে করে সংসার করতে গেছে যাক।ওর মতো পোলা বাড়িতে না আসলে বা**ছিড়া যাবে।”
পেশকারা সাথে সুর মিলায়।
“ঠিক বলছেন।কয়দিন মজা খেয়ে আসুক।”
রাবেয়া তাচ্ছিল্যের সুরে হাসে।পলাশ আর নিধি দুজনেই সরকারী কলেজে চাকরী করে।যা বেতন পায় এতে দুজনের খুব ভালোই চলবে এটা শুধু রাবেয়া না উপস্থিত সবাই জানে।
“আপনাদের বাড়িতে না আসলেও পলাশ বউ পালতে পারবে।”
শওকত হাওলাদার হাত মুঠোয় পাঞ্জাবি খাঁমচে ধরে।স্ত্রীর মুখের চটাং চটাং কথা সহ্য হয় না।
“এতো হে*ডাম তোর পোলার?”
“আপনি কি মানুষ!একটা মেয়ের সম্মান লুট করার জন্য কিভাবে আদেশ দিতে পারেন?ল/জ্জা করলো না?”
রাবেয়ার কথা শুনে শওকত হাওলাদার কিছুটা নিভে যায়।সে রকিবকে বলেছিলো নিধি একা বাসায় থাকে ছু//ড়ি দেখিয়ে হু//মকি ধা/মকি দিয়ে আসতে,আর একটু গায়ে হাত দিয়ে সম্মানের ভ/য় দেখাতে যেনো এই এলাকা ছেড়ে চলে যায় কিন্তু কে জানতো এই নে/শা/খোর যে নিধির উপর ঝাপিয়ে পড়ে এমন কাজ করতে চাইবে?সবার সামনে কি বলবে ভেবে পেলো না।
“চুপ করো।সব ব্যাপারে নাক গলাও কেন?”
রাবেয়া শান্ত চোখে তাকিয়ে থাকে।পেশকারা আ/গুনে ঘি ঢালে শওকত হাওলাদারকে শুনিয়ে বলে,
“এই মহিলাটার জন্যই আজকে সংসারের এই অবস্থা।ছেলেদের লাই দিয়েই এমন ব/দমা/ইশ বানিয়েছে।আর বানাবে না কেন নিজেই তো আস্ত একটা ব/দমা/ইশ।”
শিমুল তেড়ে পেশকারার কাছে যায়।
“কি বলছো মাথা ঠিক আছে?আমারে চোখে পড়েনা?জিহব্বাটা টান দিয়ে হাতে ধরাই দেবো।সারাজীবন আমার মা’কে জ্বা/লিয়েছো।কু/টনী বুড়ী।এতো চুল/কানী তোমার গলায়!”
পেশকারা হা/য়হা/য় করে উঠে।শওকতের দিকে তাকিয়ে বললো,
“আব্বা দেখলি কি বলে আমাকে?এই দিন দেখার জন্যই তোরে পেটে নিয়েছিলাম?”
শওকত হাওলাদার ধমকে বলে,
“বুবুর সাথে এভাবে কথা বলিস কেন?বিয়ে করে বেশী আদব-কায়দা শিখে গেছিস নাকি?”
শিমুল শওকত হাওলাদারের কথা পাত্তা দেয় না।পেশকারার দিকে আ/গুন চোখে তাকিয়ে বললো,
“আমার মাকে কথা বলার আগে ভেবে বলবে।ঠিক আছে?”
পলাশের এমন কান্ডে এমনিতেই মাথা গ/রম হয়ে ছিলো এখন শিমুলের কথা শুনে শওকত হাওলাদার নিজেকে আর সামলাতে পারে না।সব রা/গ রাবেয়ার উপর ঢালে।রাবেয়ার দুই গালে দুই থা/প্পড় দিয়ে বলে,
“তোর মারে থা/প্পড় দিলাম কি করবি?”
হঠাৎ করে আ/ঘাত করায় রাবেয়া নিজেকে সামলাতে পারে না।দু’পা পিছিয়ে গিয়ে সোফায় পড়ে যায়।শিমুল রা/গী চোখে তার আব্বাকে দেখে বলে,
“আপনি তো একটা কা/পুরুষ।যে প্রতিপক্ষের সাথে না পেরে মহিলাদের উপর অ/ত্যা/চার করেন।”
“মুখ সামলিয়ে কথা বল।বেয়া/দব।”
“কথায় কথায় মা’কে মা/রেন কেন?মানুষ মনে হয়না?”
শওকত হাওলাদার তেড়ে শিমুলের কাছে আসতে চাইলে মজিব হাওলাদার আটকায়।ঠেলে বাহিরে নিতে চায়।শিমুল পুষ্পকে বলে রাবেয়াকে রুমে নিয়ে যেতে।তারপর লম্বা পা ফেলে ছাদে চলে যায়।এমন নি/কৃ/ষ্ট একটা মানুষ তার আব্বা এটা ভাবতেই খা/রাপ লাগে।
হাওলাদার বাড়ির রাতের পরিবেশ হলো থমথমে।রাবেয়ার মাথা ব্যা/থা শুরু হয়েছে বিধায় সে রুম থেকে বেরোয়নি।পুষ্প ভাত খাওয়ার জন্য ডেকে এসেছে উনি বলেছে ব্যা/থা কমলে পড়ে খাবে।পুষ্প দুরুদুরু বুকে রান্নাঘরে আসে।রাবেয়া বেগম আশেপাশে থাকলে মনে আলাদা জোড় পান।উনি অনুপস্থিত বিধায় সবার কটু কথা শোনার ভ/য়ে পুষ্পর গলা শুকিয়ে আসে।যদিও রাবেয়া বলেছে চুপচাপ যেনো এসব কথা না শুনে।কিন্তু পুষ্প যানে সে একটা কথা তর্ক দিলেই এটা আগু/নের মতো সারা বাড়িতে অশান্তি ছড়িয়ে দিবে।শিমুল যদি শুনতে পায় পুষ্পর সাথে কারাও ঝা/মেলা তাহলে শিমুল বিপক্ষকে কথা না শুনিয়ে ছাড়বে না এতে করেও পরিবারে তুমুল অ/শান্তি হবে।পুষ্প এসব চায় না সে শান্তিতে সংসার করতে চায়।এমনিতেই সবাই মুখে মুখে বলে প্রেম করে বিয়ে করেছে।এই মেয়েগুলা ভালো হয় না ভালোমেয়ে তো প্রেম করেনা!পেশকারা তো উঠতে বসতে খোটা দেয়।তাই পুষ্প ঠিক করে সে মানিয়ে চলবে,একটু কষ্ট হোক কিন্তু দেখিয়ে দিবে প্রেম করলেই মেয়েরা খা/রাপ হয় না।পেশকারা খাবার টেবিলে পুষ্পকে হাজারটা খুত ধরে।শিমুল তখনো ছাদে ছিলো বিধায় কোনো ঝামেলা হয় না।পুষ্পও চুপচাপ সব শুনে।খাবার খাওয়ার পরে শশুড়ের জন্য চা বানায়।কাপে ঢালছে এমন সময় সুইটি পেছন থেকে যাওয়ার পথে পুষ্পর গায়ে ধা/ক্কা দেয়।চুলা থেকে নামানো চা বাম হাতে পড়ে মূহুর্তেই চামড়া লাল হয়ে যায়।পুষ্পর হাত থেকে চায়ের পাতিল সশ্বব্দে পড়ে যায়।ফুলি দৌড়ে এসে বলে,
“সুইটি আফা আফনে ইচ্চা কইরা ধাক্কা দিছেন তাই না?”
সুইটি অবাক হয়ে বললো,
“আমিতো তেল গরম করতে যাচ্ছিলাম মাথায় দিবো বলে।পাটকাঠির মতো শরীর লাগলেই যে পড়ে যাবে কে জানতো?”
পুষ্পর হাতে ততক্ষণে ফুসকা পড়ে গেছে।ফুলি তার গলা ছেড়ে চেচিয়ে শিমুলকে ডাকে।সুইটি ফাক দিয়ে পালায়।তার তো ইচ্ছা করছিলো এক পাতিল পানি গরম করে পুষ্পর মাথায় ঢেলে দিতে।যা করেছে তাও কম না।মনটা কেমন শান্তি লাগছে সুইটি তার ইউকার্ট চুলগুলো দুলাতে দুলাতে রুমে চলে যায়।নিচে চেচামেচি শুনে শিমুল ছাদ থেকে দৌড়ে নেমে আসে।রান্নাঘরে দেখে পুষ্প বেসিংয়ের কলে হাত ধরে মুখ কুচকে রেখেছে।শিমুল এগিয়ে বললো,
“কি হয়েছে?”
ফুলি শিমুলকে দেখে বললো,
“সুইটি আফায় তেল গরম করার বাহানায় ভাবীর হাতে চা ফালাইছে।ঠুয়া পইরা কি হইছে দেহেন।”
শিমুল পুষ্পর হাত ধরে দেখে।তারপর হাত ধরে রুমে নিয়ে যায়।রুমে খাটে বসিয়ে সরিষার তেল আনে।শান্ত গলায় বলে,
“হাতে গরম কিছু পড়লে পানি দিবে না।সরিষার তেল দিবে একটু জ্ব/লবে কিন্তু এই ফোস্কা পড়বে না।আম্মাকে দেখতাম এভাবেই দেয়।”
তারপর পুষ্পর দিকে তাকিয়ে মাথা নিচু করে ফু দেয়।আস্তে করে বললো,
“বেশী জ্ব/লছে?”
শিমুলের আদুরে কথা শুনে পুষ্প ঠোঁট উল্টে কেঁদে দেয়।শিমুল পুষ্পর চোখের পানি মুছে বললো,
“বাড়িতে লম্বা চুলের মানুষ বেশী হয়ে গেছে।তাই না বউ?”
পুষ্প শিমুলের কথার অর্থ বুঝে না ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে থাকে। শিমুল পুষ্পর চাহনীর অর্থ বুঝে মুচকি হাসে।আবার মাথা নিচু করে পুষ্পর হাতে ফু দেয়।
“বার্ন অয়েনমেন্ট এনে দিচ্ছি।লাগালে জ্বা/লা কমবে।”
নিধি চোখ বন্ধ করে বিছানায় শুয়ে আছে।পলাশ যে এতো দুষ্টু সে এটা কখনোই ভাবেনি।শান্ত স্বভাবের পলাশ যে বুকে এতো ভালোবাসা নিয়ে ঘুরেছে কে জানতো!পলাশকে দেখলে কেউ কল্পনাও করতে পারবেনা কিছুক্ষন আগে এই পলাশই কালবৈশাখী তা/ন্ডব বইয়ে দিয়েছে।আদরে আদরে নিধিকে পা/গল করে তবেই ক্ষান্ত দিয়েছে।প্রত্যেক মানুষই বোধহয় নিজেকে প্রকাশ করার জন্য একজন ব্যক্তিগত মানুষ খুঁজে যার কাছে নিজেকে যেকোনো ভাবেই উপস্থাপন করা যায় কোনো দ্বিধা কাজ করেনা।মনের ভেতরে লুকায়িত রুপে প্রিয় মানুষের সামনে আসতেই সাচ্ছন্দ্য বোধ করে।নিধি পলাশের দিকে তাকিয়ে ভাবে যদি এই পাগ/লটাকে জীবনে না পেতো?সারাজীবন হাহাকার নিয়েই কাটাতে হতো।পলাশের এমন উচ্ছলতা দেখতেই পেতো না।পলাশ যে এমন উচ্ছল এটা কখনোই কেউ জানবে না জানবে শুধু নিধি।কিছু কিছু ব্যাপার আছে শুধু প্রিয় মানুষদের জানার অধিকার থাকে।নিধি পলাশের দিকে তাকায়।পলাশ তাকেই দেখছে।নিধি তাকানোতে মিষ্টি করে হাসে।নিধিও হাসে।পলাশ নিধির নরম শরীর আবার নিজের দিকে টেনে নেয়।নিধির গায়ের সাথে নাক ছুঁয়িয়ে নিধির গায়ের ঘ্রান নেয়।নিধির নিজস্ব ঘ্রানটা পলাশকে নড়েবড়ে করে দেয়,বুকের ধুকপুকানি মূহুর্তেই বেড়ে যায়।নিধিকে বুকে নিয়ে মনে হলো আজকে নিজেকে খুব হালকা লাগছে,মুক্ত পাখির মতো উড়ে বেড়াতে ইচ্ছে করছে।জন্ম উপোস দেহে আকাশছোঁয়া সর্গীয় সুখের দেখা পেয়ে পলাশ নিজেই পাগল হয়ে গেছে সাথে সমানতালে নিধিকে পাগল করতে কোনো কার্পন্য করেনি।নিধির কপালে ঠোঁট ছুঁয়িয়ে দেয়।আলতো গলায় বলে,
“ধন্যবাদ সোনা!”
পলাশের ধন্যবাদের কারন খুঁজতে বুদ্ধিমান নিধির বেশীক্ষণ লাগলো না।প্রতিউত্তরে মুচকি হাসি উপহার দিলো।দুজনেই কিছুক্ষণ চুপচাপ।হঠাৎ পলাশ দুষ্টু হেসে বললো,
“নিধি?”
নিধি পলাশের বুকে নাক ঘষে।পলাশের মুখে নাম শুনে তার দিকে তাকায়।
“বাসর ঘর তো যেমনেরটা তেমনি আছে।”
“হুম।”
“কি বাসর হলো যে দুই একটা ফুলও ছিড়লো না।নট গুড!”
নিধি ফিক করে হেসে বললো,
“ফুল ছিড়তে হয় নাকি?”
“হ্যাঁ।না ছিড়লে তো বাসর ঘরের সব স্টেপ পূরণ হয় না।”
“আচ্ছা!এমন কথা কই লিখা আছে?”
“বাংলা সিনেমায় দেখেছিলাম বাসর হলে ফুলটুল ছিড়ে একাকার অবস্থা হয়ে যায়।”
নিধি পলাশের কথা শুনে আবারো হাসে।পলাশ নিধির হাসি দেখে বললো,
“হাসো কেনো?আমার ভাইয়ের টাকায় ফুল কিনে ভাইটা এতো কষ্ট করে সাজিয়ে দিয়েছে ফুল ছিড়ে টিরে বাসর রাত পার না করলে তো টাকা উশুল হবে না।”
“তাই নাকি?”
পলাশ একগাল হেসে বললো,
“হ্যাঁ।এককাজ করি চলো।”
“কি?”
“এবার সব ফুল ছিড়ে বাসর করে টাকা উশুল করি।”
নিধি পলাশকে ঠেলে উঠে পড়ে।শিক্ষকের হাবভাব মোটেই সুবিধা না।আবারো ক্লাস নিতে চলে আসবে।বাথরুমে যেতে যেতে বললো,
“রাতে কি খাবো?অনেক ক্ষুধা পেয়েছে।”
পলাশ পাশ ফিরে নিধিকে দেখে।অবাক হওয়ার বান করে বললো,
“খাবারও খেতে হবে?চুমু খেলে চলবে না?”
নিধি কিছু বলেনা।হাসতে হাসতে দরজা বন্ধ করে।পলাশ চোখ বন্ধ করে বাড়ির অবস্থা ভাবে।বাড়িতে যে আজকে সুনামী হবে এটা জানা কথা।একবার ভাবে শিমুলকে ফোন দিবে আবার ভাবে না আজকে নিধিই মনে থাকুক।বাড়িতে যা হয় শিমুল সামলাবে।
পলাশ ভাত মাখিয়ে নিধির মুখের সামনে ধরে নিধি মাথা নাড়িয়ে বললো,
“বাব্বাহ।এতো খাতির কেন স্যার।”
পলাশ মুচকি হাসে।
“যে আমার সুখের পাখি তার যত্ন নিতে দোষ কী?”
নিধি উত্তর দেয় না।চুপচাপ ভাত খায়।সুখে চোখে পানি আসে।মনে মনে ভাবে কোন দোষ নেই স্যার।এভাবেই যত্ন নিন।আমি যে আপনার ভালোবাসার কাতরপাখি।প্লিজ বেশি বেশি ভালোবাসুন।পলাশ নিধির চোখে চিকচিক পানি দেখে কি বুঝলো কে জানে।নিধির চোখে তাকিয়ে বললো,
“খুব ভালোবাসবো সোনা।তোমার কল্পনার থেকেও বেশী।”
চলবে…….