শিমুল_ফুল
৪০
জাকিয়াসুলতানাঝুমুর
রাত দুইটা।মাঝেমধ্যে গাড়ির হর্ণ,যাত্রীদের আসা যাওয়া গভীর রাতেও পথচারীর আনাগোনা জানান দিচ্ছে ঢাকার ব্যস্ততার রেশ।কয়েকটা কুকুর ঘেউ ঘেউ করে আশেপাশে ঘুরছে।পুষ্প আর শিমুল কাউন্টারে একটা বেঞ্চে বসে আছে।পুষ্পর ছোট ব্যাগটা একহাতে ধরে আরেক হাতে শিমুলের কনুই শক্ত করে ধরে রেখেছে।পুষ্পর এই প্রথম ঢাকায় আসা।রাতের ঢাকা দেখতে খুব সুন্দর কিন্তু এই মূহুর্তে লাল নীল বাতি জ্বালানো ঢাকা পুষ্পর কাছে ভালো লাগছে না,মাথায় গিজগিজ করছে একগাদা চিন্তা।সে কিছুক্ষণ পরপর চোখ ঘুরিয়ে ভ্রু কুঁচকানো শিমুলকে দেখছে।মাথায় একটা কথাই ঘুরছে কোথায় যাবে?
আর শিমুলের মাথায় একটা কথাই ঘুরছে সে নাকি বউ পালতে পারবে না!পেলে দেখাবে যে শিমুল পারে কি না।ঢাকা এসেছে কিন্তু এতো রাতে একটা মেয়ে নিয়ে বেশীক্ষণ তো এই কাউন্টারে বসে থাকা যাবে না কি করা যায় ভাবতেই হাতের মোবাইল দিয়ে ভার্সিটির বন্ধু আলভিকে ফোন দেয়।ভার্সিটির অনেক বন্ধুই আছে তার মধ্যে আলভি বেশী ঘনিষ্ঠ ছিলো।কয়েকবার রিং হওয়ার পরে ফোন রিসিভ হয়।আলভি জেগেই ছিলো।ফোন রিসিভ করে উৎফুল্ল গলায় বললো,
“কিরে মাম্মাহ এতোদিনে মনে পড়লো?”
শিমুল হেসে দিয়ে বললো,
“হ্যাঁ।কেমন আছিস বল?”
“ভালো।তুই?”
“এইতো ঠিকঠাক।”
“এতোরাতে কি মনে করে?”
“মামা একটা সমস্যায় পরে তোকে ফোন করলাম?”
“কি সমস্যা?”
শিমুল ক্ষানিকটা ইতস্তত করে বললো,
“ঢাকায় এসেছি সাথে তোর ভাবিও আছে।এতো রাতে কই যাবো?তোর বাসা কাছে ভাবলাম রাতটা যদি থাকার ব্যবস্থা করে দিতে পারতি।”
আলভি চুপ করে থেকে বললো,
“আসলে আমাদের বাসায় তো আজকে অনেক গেস্ট আছে।এতো মানুষ যে সবাই ফ্লোরে বিছানা করে ঘুমাচ্ছে।তোরা আসলে কই জায়গা দিবো?ঢাকার বাসা বুঝিসই তো।”
শিমুল আলভির এই কথার অন্তরালে সুপ্ত কথাটাও বুঝে নেয়।সম্মানে ঘা লাগে তারপরেও বেহায়া হয়ে ধরা গলায় বললো,
“আমার বউয়ের একটু জায়গা দিলেই হবে।আমি আশেপাশে ঘুরে-ফিরেই রাত পার করে দেবো।”
আলভি বোধহয় বিরক্ত হয়।মুখে চ কারান্ত শব্দ করে বললো,
“আরে মামা বুঝছ না কেন আম্মায় শুনলে রাগ করবো।বাসায় মানুষে ভরা তারমাঝে আবার তোরা আসলে কেমনে কি?”
শিমুল দমে যায়।পুষ্পর মলিন মুখের দিকে তাকিয়ে পুনরায় বললো,
“দেখছ না ভাই একটু ব্যবস্থা করতে পারলে……”
শিমুলের কথা শেষ হওয়ার আগেই ফোন কেটে যায়।শিমুল আবার ফোন দেয় অপরপাশ থেকে নারী গলায় কেউ বলে সংযোগ দেওয়া সম্ভব না।আলভির এই কাজে শিমুল বেশ অবাক হয় এই আলভিকেই সব পরিক্ষায় তার খাতা দেখিয়ে পাস করিয়েছে,কতোবার ভার্সিটির ফিস দিয়ে সাহায্য করেছে আর এখন!আরো কয়েকজনের কাছে ফোন দিয়েও এই হ্যানত্যান বাহানা শুনে।বন্ধুদের কথার আড়ালে থাকা ক্ষ/ত/বি/ক্ষ/ত কথাগুলো বুঝে শিমুলের গলা শুকিয়ে যায়।মানুষ এতো বেইমান হয়?চেহারার রঙ এতো জলদি বদলায়?বিপদে না পড়লে এমন বন্ধু নামের মানুষগুলোকে চিনাই হতো না।শিমুলের টেনশনে ঠোঁট শুকালে জিভ দিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে নেয়।পুষ্প পাশে বসে সবটা পর্যবেক্ষণ করে।ধরে রাখা হাতে হালকা চাপ দিলে শিমুল তার দিকে তাকায়।পুষ্প ছোট মানুষ কিন্তু এই ছোট মেয়েটাই শিমুলের স্ত্রী-তার শক্তি।শিমুল কিছু না বললেও তার মুখ দেখে পুষ্প পরিস্থিতি আন্দাজ করতে পারছে।এখন রাত চারটার বেশী বাজে আর কিছুক্ষণ পরেই সকালের আলো ফুটবে।সে আশ্বাস দিয়ে বললো,
“আমরা রাতটা এখানে বসে থাকলে কি কেউ কিছু বলবে?যদি না বলে তাহলে রাতটা এখানেই বসে থাকি?সকালে না হয় একটা ব্যবস্থা করবো।”
শিমুল পুষ্পর কথায় মাথা ঘুরিয়ে কাউন্টারে বসা মুরুব্বী দেখতে লোকটার দিকে তাকায়।ঘন্টা দুয়েক ধরে দুজনে এখানে বসে আছে বিধায় আড়চোখে বারবার তাকাচ্ছে।শিমুল আস্তে গলায় বললো,
“দেখছি।”
তার মধ্যেই কাউন্টারে বসা লোকটা শিমুলকে ডাকে।সে ধীর পায়ে উঠে লোকটার সামনে দাঁড়ায়।শিমুলকে দেখেই লোকটা চশমার উপর দিয়ে দেখে আঙুলের ডগায় লেগে থাকা চুন মুখে দিয়ে বললো,
“কতোক্ষন ধরে বসে আছেন কই জাইবেন?কয়ডা টিকেট লাগবো?”
শিমুল মাথা নেড়ে বললো,
“কোথাও যাবোনা ভাই।আসলে আমরা গ্রাম থেকে এসেছি রাতে থাকার মতো জায়গা ম্যানেজ করতে পারিনি তাই এখানে বসে আছি।”
লোকটা সুচালো চোখে পুষ্পর দিকে তাকায়।কালো বোরকার আড়ালে মুখটা খোলা।পদ্মপাতার মতো জ্বলজ্বল করা মুখটা দেখে লোকটা বললো,
“ভাইগা আইছেন নি?”
উনার চোখের দৃষ্টি শিমুলের পছন্দ হয় না।পুষ্পকে আড়াল করে দাঁড়িয়ে বললো,
“ওইটা আমার বউ।”
লোকটা তখনো শুকনের মতো পুষ্পকে দেখছে যেনো হাজার বছরের কোনো নাম না জানা লোভনীয় ফুল।শিমুলের থেকে আশানুরূপ জবাব না পেয়ে লোকটা মিহিয়ে যাওয়া গলায় বললো,
“অহ!আচ্ছা।”
এক পুরুষ হয়ে আরেক পুরুষের চোখের লোলুভ দৃষ্টির আকাঙ্খা বুঝতে পেরে শিমুল তার মুখের বাকি কথা টোপ করে গিলে নেয়।ব্যস্ত পায়ে পুষ্পর কাছে এসে পুষ্পকে সাথে নিয়ে রাস্তায় নেমে আসে।দুপুরে খাওয়ার পরে দুজনের আর কিছুই খাওয়া হয়নি।বাসে চিকেন রোল,চিকেন চাপ কিনেছিলো তা পুষ্পকে খেতে বললেও ব/মির ভয়ে কিছু খেতে রাজি হয়নি।শিমুল রাস্তার পাশে এক চায়ের দোকান থেকে দু-কাপ চা নিয়ে আসে,অনেক জোড় করে পুষ্পকে একটা রোল খাওয়ায়।জীবনের প্রথম এতো লম্বাপথ জার্নি করে আবার রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছে পুষ্পর আসলেই ক্লান্ত লাগছে।
শিমুল খাচ্ছে না তার টেনশন হচ্ছে।বাড়ি থেকে মাত্র বিশ হাজার টাকা নিয়ে এসেছে।নামে ছাত্রনেতা হলেও শিমুল ধা/ন্ধাবা/জি করে কখনো কারো থেকে টাকা আদায় করেনি।হালকা যা টাকা পয়সা পেতো আর তার আব্বা প্রতি মাসের শুরুতে কিছু টাকা দিতো।পড়ালেখা শেষ হবার পরে চাকরী করতে বললে শওকত হাওলাদার না করে।নিজ উদ্যোগে শিমুলকে রাজ/নীতির সাথে জড়িয়ে দেয়।বলেছিলো এই রাজনী/তির পথ ধরেই তার ভবিষ্যত হয়ে যাবে কিন্তু এখন বুঝতে পারছে এটা কতো বড়ো ভুল ছিলো।বিশ হাজার টাকা তার হাতে ছিলো আসার সময় এটাই সাথে করে নিয়ে এসেছে।চায়ের কাপ হাতে নিয়ে এক পা নাড়িয়ে অন্যমনস্ক হয়ে থাকতে দেখে পুষ্প শিমুলের হাতে ধরে শিমুল তাকালে পুষ্প তার মিষ্টি হাসিটা দিয়ে বললো,
“তুমি এতো টেনশন করো না তো।চলো আমার আপার বাসায় যাই।”
শিমুল মাথা নেড়ে না করে।এমন ফকিরের বেশে পুষ্পর বোনের বাসায় যাওয়ার মানে হয় না।পুষ্প হাল ছেড়ে শিমুলের কাধে মাথা রাখে।
শিমুল চুপচাপ খায়।বিশ হাজার টাকা দিয়ে কিভাবে কি করবে তা মনে মনে ছক কষে।বাসা নিতে হবে,পুরো সংসার সাজাতে হবে।ভাবনার এক পর্যায়ে খেয়াল করে পুষ্প তার কাধ জড়িয়ে ধরেই ঘুমিয়ে গেছে।প্রিয়তমার মলিন মুখের দিকে তাকিয়ে শিমুলের বুকটা চিনচিন করে উঠে।তার ফুলকে ফুলের রাজ্যেই মানায় এমন রাস্তায় না।শিমুল তাকে ফুলের রাজ্যে নিবেই।ফজরের আজান দিয়ে শিমুলের নতুন পথচলার সূচনা করে।সে ঘুমন্ত পুষ্পর কপালে হৃদয়ের বিশুদ্ধতম চুমু দেয়।এই পথচলায় তাকে জিততেই হবে।এই মুখে রাজ্যের হাসি ফুটাতেই হবে।এ শিমুলের প্রতিজ্ঞা।
নয়টা পর্যন্ত শিমুল আর পুষ্প বাসা খুঁজে।কয়েকটা বাসা পেয়েছিলো কিন্তু ভাড়া খুব বেশী।একটায় ভাড়া আট হাজার।কিন্তু দুই মাসের এডভান্স দিতে হবে।শেষমেষ কোনো উপায় না পেয়ে গলির মাঝে টিনসেট একটা বাসা পায়।টিনের চালা দেয়া লম্বা বিল্ডিং তার মধ্যে সারি সারি রুম।কিছুটা অপরিচ্ছন্ন,স্যাতস্যাতে তাও শিমুল একরুম নেয়।তিন হাজার টাকা এডভান্স দিয়ে রুমে উঠে।সারা রুম খালি।পুষ্প চোখ ভুলিয়ে চারপাশে দেখে।শিমুল হাতের ব্যাগটা এক কোণায় রেখে পুষ্পর হাত টেনে ধরে।
“পুষ্প এই বাসায় থাকতে পারবি তো?”
ওই আলিশান বাড়ি থেকে পুষ্পর মনে হলো এই এক রুমের বাসাটাই সুখকর।শিমুলের বুকে মাথা রেখে বললো,
“পারবো।তুমি ভালোবাসলে আমি সব পারবো সব।”
শিমুল বললো,
“কোনো একটা কাজ পেলেই ভালো বাসা নিয়ে নিবো।কিছুদিন একটু কষ্ট করতে হবে।আমার জন্য এটুকু সয়ে নে জান।”
“আচ্ছা।”
পুষ্প আর শিমুল সংসারের খুবই দরকারী যা এগুলো কিনতে বের হয়।শিমুলের হাতে আর সতেরো হাজার টাকা আছে।প্রথমে একটা পাতলা তোষক আর দুইটা বালিশ কিনলো দুই হাজার টাকা দিয়ে।হাড়ি পাতিল টুকটাক যা লাগে এগুলো সব মিলিয়ে দুই হাজার হাজার।চাল-ডাল আর খাদ্য সামগ্রী প্রয়োজনীয় যা লাগে সব একটু একটু করে কিনলো চার হাজার টাকার।সব নিয়ে বাসায় আসতে আসতে দুপুর হয়ে যায়।দুজনে সেদিন দুপুরের খাবার হোটেলে খায়।
পুষ্পর বুকটা পু/ড়ছে।না না তার বাবা মায়ের জন্য না বাবা মাকে তো সেই কবেই ছেড়ে এসেছে এখন তার শাশুড়ীর জন্য মন পু/ড়ছে।চেয়ারম্যান বাড়ির এই একটা মানুষের জন্য পুষ্পর বুকে অসীম মায়া।উনি যে মায়ের স্নেহ দিয়েছেন তা অন্য শাশুড়ীরা দেয় কিনা এটা পুষ্পর জানা নেই কিন্তু ভাগ্যের ফেরে পরে সেই স্নেহ মাথা পেতে নেবার মতো সৌভাগ্য তার নেই।একফাকে ফোন করে রাবেয়ার সাথে কথা বলে নেয়।রাবেয়ার কান্নাজড়িত গলা শুনে পুষ্পও কেঁদে দেয়।আহা আরেকটা মা পেয়েও হারাতে হলো।জীবনের খেয়া তাদের কোথায় নিয়ে যায় এটাই দেখার বিষয়।
এই বাসার নিয়ম এখানে চার সংসার একচুলায় রান্না করে।ভাড়াটিয়ারা বেশীরভাগ চাকরী করে।সবাই কাজ করে এসে রাতে রান্না বসায়।লাইন ধরে চুলার ভাগ পেতে হয়।এতোজনের মাঝে পুষ্প অসস্থিবোধ করে শিমুল এটা বুঝতে পেরে নিজেই এগিয়ে যায়। পুষ্প আর শিমুল দুজনে মিলে ডাল ভাত আর ডিম ভাজি করে।পুষ্প তার আনাড়ি হাতে শিমুলের সাহায্য নিয়ে রান্না শেষ করে।রাতের খাওয়া দাওয়ার পরে দুজনে শুয়ে পড়ে।সারাদিন যা ধকল গেলো,এই কঠিন দু/র্গম পথে তারা দুজনেই নতুন।বিছানায় পাতা পাতলা তোষকে শুয়ে শিমুল তার ফুলকে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ধরে।শিমুলের সারাদিনের ক্লান্তি নিমিষেই পালায়।এই মেয়েটাই তার শান্তি,প্রিয় মানুষকে বুকে জড়িয়ে ধরার মাঝে যে শান্তি আছে এটা বোধহয় পৃথিবীর আর কোথাও নেই।এই শান্তির তুলনা চলে না।এই শান্তির প্রখরতা কেবল তারাই বুঝতে পারে যারা প্রিয় মানুষকে জড়িয়ে ধরে শান্তির নিঃশ্বাস ছাড়তে পারে।এটা বুঝি আল্লাহ প্রদত্ত শান্তি নাহলে এতো সুখ কেন সামান্য এই জড়িয়ে ধরার মাঝে?পুষ্প বললো,
“আমাকে বিয়ে করেই তোমার যতো স/মস্যা।বিয়ে না করলেই পারতে।”
অন্ধকারেই শিমুল হাসে।
“ভালোবাসি যে সম/স্যার মোকাবেলা তো করতেই হবে।”
“আমিই মূল সম/স্যার কারণ।”
“এসব বলোনা তো।ভালোবেসেছি বিয়ে করেছি।এখন তোমাকে নিয়ে জীবন যু/দ্ধেও নেমে গেছি।আমি চাই বাকিটা পথ আমার হাতটা ধরে তুমি আমার শক্তি হও।”
পুষ্প সুখে হাসে।শিমুলের বুকে মাথা রেখে বললো,
“আচ্ছা।”
“দোয়া করো যেনো একটা চাকরী খুঁজে পাই।”
“দেখো ভালো কিছু হবে।”
ভালো কিছু বললেই তো আর হয় না।শিমুল তিনদিন ঘুরেও কোনো ব্যবস্থা করতে পারে না।সে তো আর সিনেমার জসিম,আলমগীর না যে হুট করে জীবনের চাকা বদলে যাবে।কোনো ব্যবস্থা হচ্ছে না কিন্তু না খেয়েও তো থাকা যাচ্ছে না হাতের টাকা আস্তে আস্তে শেষ হয়ে যাচ্ছে।রাস্তায় হাটার সময় ভার্সিটির এক বড় ভাইয়ের সাথে দেখা হয়।লজ্জা-সরম ভুলে উনাকে একটা কাজের জন্য অনুরোধ করাতে উনি এক বন্ধুর মাধ্যমে গার্মেন্টসে সিকিউরিটি গার্ড হিসেবে শিমুলকে জয়েন করিয়ে দেয়।সকাল আটটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা।গার্মেন্টসে দিনের বেলায় কয় লট মাল আসে যায় সব হিসাব রাখতে হবে,বেতন সাড়ে সাত হাজার।শিমুলের হাত কাঁপে যু/দ্ধটা খুব কঠিন।গার্মেন্টসে কাজ করার মতো ছেলে তো শিমুল নয়!তুখোড় মেধাবী ছেলেটা কিনা গার্মেন্টসে চাকরি করবে?পুষ্পর মলিন মুখ ভেসে উঠতেই এসব চিন্তা দূরে ঠেলে দেয়।হোক গার্মেন্টস তাতে কি?পুষ্পকে সুখী রাখতে হবে।ফুটপাতের রাস্তা ধরে বাসায় ফিরতে ফিরতে শিমুলের বুক ভে/ঙে হাহাকার আসে।কাল থেকে সে গার্মেন্টসে চাকরি করবে।গার্মেন্টস!
চলবে……
(অনেকের কাছে শিমুলের এই জার্নিটা অতিরিক্ত নাটক লাগতে পারে,আবার বলতে পারেন চাইলে আরো ভালো কিছু সম্ভব হতো তাদেরকে বলবো আপনারা হয়তো এমন সঙ্গি,এমন যু/দ্ধ,এমন পরিস্থিতি দেখেননি।দেখলে অনুভব করতে পারতেন।জীবন সহয নয়।)