- ঘুম নিয়ে ফানি স্ট্যাটাস।
- ঘুম আসে না নিয়ে স্ট্যাটাস।
- ঘুম নিয়ে কষ্টের স্ট্যাটাস।
- ঘুম না আসার কষ্টের স্ট্যাটাস।
- ঘুম নিয়ে ইসলামিক উক্তি।
১.ঘুম নিয়ে ফানি স্ট্যাটাস
সক্রেটিস বলেছেন:
আমি যখন ছোট ছিলাম তখন আমি তাড়াতাড়ি উঠতে পছন্দ করতাম না, এবং আমার মা আমার এই আচরণকে ঘৃণা করতেন কারণ তিনি আমাকে একদিন একজন ধনী বণিক হিসেবে দেখার স্বপ্ন দেখেছিলেন।
আর একদিন আমার মা আমাকে নিয়ে টিচারের কাছে গেলেন তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠার উপকারিতা জানাতে।
• শিক্ষকঃ সক্রেটিস, আমি তোমাকে একটা সুন্দর গল্প শোনাবো, আর তুমি আমাকে বলবে এর থেকে তোমার লাভ কি, ঠিক আছে?
সক্রেটিস: ঠিক আছে!
• শিক্ষক: দুটি পাখি ছিল, যার মধ্যে একটি ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে পোকামাকড় খেত এবং তার বাচ্চাদের খাওয়ায়, এবং দ্বিতীয়টি দেরিতে ঘুম থেকে ওঠে এবং খাওয়ার মতো কিছু খুঁজে পায়নি… গল্প থেকে আপনি কী শিখলেন, সক্রেটিস?!
সক্রেটিস:
যে পোকামাকড় তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠে তাদের পাখি খেয়ে ফেলে।”
২.ঘুম আসে না নিয়ে স্ট্যাটাস
একমুঠো ঘুম খুব দরকার
এই প্রাণহীন শহরে
একবুক অভিমান নিয়ে বসে আছো ;
মানুষের জীবন ঝড়ে যাছে,
আত্মা পুড়ে যাচ্ছে !
অথচ আমার একটা কবিতা
বিকেল পাওয়া জরুরী ;
সেই চোখ,
নেই নীল নীড়,
তোমার চোখের আরশিতে ফিরবার বাকি।
অভিমান করে বসে আছো
নাবিক এই কাঁচের নগরে
তুমি বড় বেমানান
তোমার চোখ জুড়ে কবিতার পর কবিতারা ডানা মেলে।
তোমার দুুরন্ত মন অরণ্যে,
ভালোবাসার সবুজ বৃষ্টি নামে।
কবে কে আশা দিয়েছিলে ছলে
তোমার পাঁজরের নীচে লাল প্রেমের,
নির্বাক বিজন আর্তনাদ !
একমুঠো ঘুম খুব দরকার …
– শাহেদ এম আজিম
৩. ঘুম নিয়ে কষ্টের স্ট্যাটাস
গভীর রাতে ঘুম ভেঙে গেলে যখন মাথার উপর ঘুরন্ত ফ্যানের দিকে তাকাই,তখন সিলিং এর সাথে নিজের অসাঢ় দেহটা লটকানো অবস্থায় কল্পনা করতে ভাল্লাগে।
বৃষ্টি দেখলেই নিজেকে ভিজিয়ে দেওয়ার অযুহাতে যখন ছুঁয়ে দেই ছাদের কার্ণিশ,তখন ছয়তলার উপর থেকে নিজেকে শূন্যে ছেড়ে দিয়ে পিচঢালা কংক্রিটের রাস্তার উপর থেঁতলে যাওয়া নিজের ভাবলেশহীন মুখটা কল্পনা করতে ভাল্লাগে।
ভোরের সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে ছুটে যাই যে প্রিয় ব্রিজটার মাঝামাঝি, তখন ব্রিজের উপর থেকে নিজেকে নদীর বুকে সঁপে দিতে ইচ্ছে করার কল্পনাটুকু ভাল্লাগে।
প্রাইভেট শেষে যখন বাসায় ফেরার পথে চোখে পড়ে চিরচেনা প্লাটফর্ম, ছোটে আসে অজগরের মতো বিশাল ট্রেন,তখন সেই ট্রেনের নিচে নিজেকে পিষে ফেলার ইচ্ছা কল্পনা করতে ভাল্লাগে।
খাবোনা জেনেও একসাথে একটা দুটো করে জমানো সেই ৭৪ টা ঘুমের ট্যাবলেট যখন ছুঁয়ে দেখার জন্য হাতে নেই,যখন সেই ট্যাবলেটগুলো একসাথে খেয়ে ফেলার ইচ্ছা হয়,তখন নিজেকে হিমঘরে কল্পনা করতে ভাল্লাগে।
উল্কার গতিতে রাজপথ ঘেষে যখন একটা ট্রাক দানবের মতো ছুটতে ছুটতে সামনে এগিয়ে আসে,তখন তার বিশাল চাকার নিচে নিজের ছিন্ন-ভিন্ন দেহটা কল্পনা করতে ভাল্লাগে।
সামনে রাজ্যের খাবার থাকা সত্ত্বেও যখন কিছুই খেতে ইচ্ছে করেনা,তখন দূর্ভিক্ষে না খেয়ে ম*রে যাওয়া মানুষদের সাথে নিজেকে কল্পনা করতে ভাল্লাগে।
পরিচয় না জানা যে মৃতদেহটা দুইদিন ধরে পড়ে আছে নর্দমায়,বাতাসে বাতাসে ছড়িয়ে দিচ্ছে দূর্গন্ধের আভাস, তখন সেই মৃতদেহটা নিজের মৃতদেহ মনে করে কল্পনা করতে ভাল্লাগে।
আমার ইদানীং আগুন দেখলেই নিজেকে আগুনে ঝলসানো মানুষদের ছাই হয়ে যাওয়া ধ্বংসাবশেষ এর সাথে কল্পনা করতে ভাল্লাগে।
আমার আসলেই ম*রে যাওয়ার কল্পনা করতে ভাল্লাগে!
©Siam Tahsin Himu
৪. ঘুম না আসার কষ্টের স্ট্যাটাস
অথচ ঘুম আমার ধারে কাছেও এলোনা ।
‘চিন্তা’ নামে কিছু ছদ্মবেশী অভিশাপ
বহন করতে করতে
আমার দেহের বয়স কতটা বেড়ে গেলো ।
ক্লান্তি, অবসাদ আমাকে আপাদমস্তক
পেঁচিয়ে রাখলো। অথচ ঘুম আমার ধারে
কাছেও এলো না ।
হাসতে ভুলে গেলাম আমি,
কণ্ঠস্বর কর্কশ হলো আরো ।
হৃদরোগে আক্রান্ত হলাম গোপনে ।
অথচ ঘুম আমার ধারে কাছেও এলোনা ।
অভিশাপগুলো বেঁচে থাকে চোখের
নীচে,
মলিন ঠোঁটে,
শীর্ণ আঙুলে,
রুক্ষ চুলে ।
উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত
অভিশাপগুলো বহন করে আমি পরম্পরা
রক্ষা করি ।
ঘুম আসলেই যদি ঘুম ভেঙে যায়,
ভেঙে যায় বিশ্বাস,
অভিশাপগুলো ছন্নছাড়া হয়ে যায়!
কতো কতো ভাবনা আমার,
ঘুমকে প্রশ্রয় দেওয়া চলে আমার?
এক জীবন অবসাদ লালন করি একটা আক্রান্ত
হৃদয়ে ।
অথচ ঘুম আমার ধারে কাছেও এলো না ।
ঘুম আমার জন্য না ।
-অবন্তিকা অনু
৫.ঘুম নিয়ে ইসলামিক উক্তি
রাত্রের শেষাংশে যখন ঘুম ভেঙে গেল-
আমি টের পেলাম’ শহরের প্রত্যেকটা
মসজিদের মাইক হতে ভেসে আসছে-
মুয়াজ্জিনেদের আযানের সুর।
মুয়াজ্জিনগণ মধুর সুরে বিনয়ের সাথে বলছে……
আসসালাতু খাইরুম মিনান- নাউম,
ঘুমের চেয়ে নামাজ উত্তম।
আমি গায়ের কাথা ছুড়ে ফেলে-
শোয়া হতে উঠে বসলাম।
নিদ্রাচ্ছন্নের দোয়া’টা তাৎক্ষণিক পড়ে নিলাম…..
আলহামদু লিল্লা হিল্লাযী আহ্ইয়া-না-
বা‘দা মা- আমা-তানা- ওয়া ইলাইহিন নুশূর,
এইযে আমাকে অর্ধমৃত হতে যিনি পুনরুত্থান করলেন-
সকল প্রশংসা কেবল তাহার জন্যে লক্ষ-কোটি শুকুর।
যখন ওযু করে মসজিদমুখী হলাম-
উপলব্ধি করলাম- আমি সদ্য জন্মা শিশু।
তখন আর ভেতরটা ভয়ে কাঁদেনা
নিজেকে চোর চোর লাগে না আর-
যেমনটা লাগতো আগে,
যখণ দেখতাম’ ঘুম ভেঙেছে সকালের শেষ ভাগে।
কবিতাঃ উপলব্ধির ফজর
© আবু বকর আল্মীরান