#ফাবিয়াহ্_মমো
পূর্ব ধাক্কা মেরে পূর্ণতাকে সরিয়ে হাত বারিয়ে কোনোমতে হুডিটা টান দিয়ে বেরিয়ে যায় রুম থেকে। রুমের বাইরে গিয়ে আবার বারান্দার দিকে উকি মেরে বলে উঠে,
– খেয়েদেয়ে তরতাজা হও আমি সিউর বিয়ের পর ছাড়বোনা! আল্লাহ্ হাফেজ!!
পূর্ব দ্রুত আয়মান ও শ্রেয়াকে পাশ কাটিয়ে চলে গেল। পূর্ণতা মুচকি হেসে দোলনায় বসে দোল খেতে খেতে চোখ বন্ধ করে একটু আগের দৃশ্যগুলো স্মরন করলো। কি অদ্ভুত ছিলো মূহুর্তগুলো! কি অসাধারণ সেই সময়! আচ্ছা পূর্ব এলেই কি সময় দ্রুত চলে যায়? সময় থামানোর কোনো যন্ত্র থাকলে পূর্ণতা সাতপাচঁ না ভেবে ঠিকই সিস্টেমে টাইম ফ্রিজ করে দিতো। আয়মান ও শ্রেয়া চুপিচুপি বারান্দায় এসে পূর্ণতাকে চোখ বন্ধ অবস্থায় মৃদ্যূ ভঙ্গিতে দোলনায় দোল খেতে দেখে। আয়মান চোখ ঘুরিয়ে পেছনে থাকা শ্রেয়াকে দেখে আবার পূর্ণতার দিকে চোখ ফিরিয়ে বলে উঠে,
– বইন অসময়ে স্বপ্ন দেখিস না। পূর্ব কিন্তু এখানে নাই।
পূর্ণতা চোখ মেলে আয়মানের দিকে তাকিয়ে বলে উঠে,
– উনি বিয়ের প্রস্তাব দিছে দোস্ত। এ সপ্তাহের মধ্যেই বিয়ের সবকিছু ফাইনালাইজ করবেন।
আয়মান চকিত ভঙ্গিতে চোখ ইয়া বড় করে বলে উঠলো,
– কিহ্!!
– চিৎকার করবি না ছাগল! উনি বিয়ের প্রোপাজাল দিয়ে গেছে। উনিতো পারেনা আজকেই মা-কে বলে বিয়ের পিড়িতে বসে। আমি বারন করেছি। বলেছি আগে বাবা আসুক তারপর সব দেখো।
আয়মানকে সামনে থেকে সরিয়ে পিছন থেকে শ্রেয়া এসে বলে উঠে,
– পূর্ব তোকে বিয়ে করতে চাইছে? বিশ্বাসই হচ্ছেনা! কি বলছিস তুই?
– আরে সত্যি বলছি। আমি কোন্ দুঃখে মিথ্যা বলতে যাবো? উনি সব ফাইনাল করেছেন। এখন জাস্ট মা-কে সব বলবেন।
– আন্টি মানবে? তোর মা যেই হিটলার! পূর্বকে তো দেখতেই পারেনা। কি করবি?
– আমি কিছুই করবো না। যা করার উনি করবে।
– বেকুবের মতো কথা বলিস না পূর্ণতা। আন্টি পূর্বকে দেখলে আচ্ছা কেলাবে।
– তোর মনেহয় উনি সোজা জলের মাছ?
– কি বোঝাতে চাচ্ছিস? পেচাস নাহ্!!
– উনি রাজপথ চষে খায়। আর এদিকে আমার মায়ের মতো সামান্য মহিলাকে উনি মানাতে পারবেনা? এটা আমি জীবনেও বিশ্বাস করবো না। দেখিস মা যখন উনার সামনে দাড়াবে কীভাবে উনি চরকি ঘুরায়।
রাতের খাবারটা খেয়ে আয়মান জানালো ওর বাসায় যাওয়াটা জরুরি। ‘কেন জরুরী’– প্রশ্নটা জিজ্ঞেস করতেই কাচুমাচু উত্তর, ‘পূর্ণতা আমার পাবজি খেলার টাইম হয়েছে। না গেলে মাথা ঠিক থাকে না’। লে হালুয়া! ছেলেরা বলে গফ ছাড়া চলতে পারেনা? কে বলবে আয়মানকে দেখে? বেটা তো গেম ছাড়া চলতে পারেনা। বদমাশ একটা! শ্রেয়া আমার রুমেই শুয়ে পড়লো গায়ে পাতলা কাথাটা দিয়ে। আমি রাত তিনটার জন্য অপেক্ষা করছি কখন পূর্ব কল করবেন ফোনে। শ্রেয়া খুব ঘুমকাতুরে টাইপ। শুতে না শুতেই গভীর ঘুমে তলিয়ে যাওয়ার মতো একটা অদ্ভুত রেকর্ড আছে। ফোন হাতে আমি এপাশ ওপাশ ফিরতেই সময় যে কখন তিনটার কাটায় পৌছালো জানিনা আমার ফোনে সেট করা এলার্মটা বেজে উঠলে বুঝে যাই কল করার সময় হয়ে গিয়েছে। আমি উনার দেওয়া নাম্বারটা মুখস্ত রেখেছিলাম। জীবনে ম্যাথের ফর্মুলা দশবার খাতায় না লিখলে মুখস্ত হয়না আজ একচান্সেই উনার এগারো ডিজিটের নাম্বার মুখস্ত রেখেছি ভাবতেই কতো অদ্ভুত লাগে!! ফোন নাম্বার টুকে কল বসিয়ে বিছানা থেকে সর্তকতার সহিত নেমে মায়ের রুমে চলে গেলাম। মায়ের রুমে ও আমার রুমের বারান্দায় খুব শখ করে দুটো দোলনা রেখেছেন আমার শ্রদ্ধেয় বাবা। উনার খুব পছন্দ দোলনা। মায়ের রুমের দোলনাটা বেশ আলিসান বড় বলে পা ছড়িয়ে শুয়ে কথা বলা যায়। পূর্ব ওপাশ থেকে রিসিভ করেই চুপ করে আছেন। আমি দোলনার ছোট কুশনটা ঠিক করে শুয়ে পরতেই বলে উঠলাম,
– আপনি কিছু বলবেন না? একমিনিট চৌদ্দ সেকেন্ড পার হয়ে যাচ্ছে তো।
এবার ফোনের ওপাশ থেকে গলা ঝাড়ার আওয়াজ এলো। উনি হালকা একটু কেশে উঠলেন। এরপর আবারো নিরবতা। আজব তো! উনি কথা বলছেন না কেনো? আমি খানিকটা বিরক্ত হয়ে বলে উঠলাম,
– আপনাকে বিয়ে করাটাই আমার জীবনের মস্ত বড় পাপ হবে! যে আমার সাথে দুই মিনিট কথা বলতে পারেনা, তার সাথে আমার কি কথা? দুঃখিত ফোন করার জন্য। আমি রাখছি!
সাথেসাথে ওপাশ থেকে জোরে জোরে কাশির আওয়াজ শোনা যাচ্ছে। একেবারে যক্ষ্মার রোগীর মতো কাশছে! হঠাৎ উনার কাশির বেগতিক সিচুয়েশনে কেউ উনার উদ্দেশ্যে চড়া গলায় বলে উঠলো,
– তোমার কি হলো হঠাৎ? কাশছো কেন পূর্ব?
উনি কাশতে কাশতে জবাব দিলেন,
– স্যার, ঠান্ডার কারনে গলায় খুশখুশ জনিত সমস্যা হচ্ছে। নাথিং মোর।
– ওহ্। গরম পানি দিয়ে গার্গল করবে। ঠান্ডাকে হেতু ভাবতে যেও না। জ্বর এসে যাবে। গরম পানি আনাতে বলবো?
– না স্যার। আমি ঠিক আছি। কাজটা শেষ হোক বাসায় যেয়ে ঔষুধ নিচ্ছি।
– বেশ।
আমি ফোনের বিপরীতে কথোপকথন শুনে পুরো হতবাক! পূর্ব উনার পার্টির লোকের সামনে আমার সাথে কথা বলছে? এই ভয়ংকর রিস্ক উনাকে কে নিতে বললো? এখন যদি আমাকে নিয়ে উনার কোনো ঝামেলা হয়? ইয়া মাবুদ সহায় হোন! উনি হয়তো কানে ব্লুটুথ লাগিয়ে বসে আছেন। ফোন কি কাটবো? আমি একবার জিজ্ঞেস করে নিলাম,
– পূর্ব? আপনি আমার কল রিসিভ করলেন কেন? আচ্ছা আমি কি এখন কাটবো?
উনি আবার কাশতে লাগলেন। কি জ্বালা! আমি কি ভাববো? হ্যাঁ নাকি না? আবারো ওই চড়াগলায় পুরুষালী কন্ঠ,
– তোমার কি নিউমোনিয়া ডিজেইজের প্রবলেম আছে? থাকলে চলে যাও। কাল এসে এই প্রচারনার কাজগুলো দেখো। আজ থাক।
– আমি আমার কথাগুলো কমিটমেন্ট হিসেবেই নেই স্যার। হোক সেটা পার্সনাল অথবা প্রোফেশনাল আমি কাজ না শেষ করে যাচ্ছি না।
– তোমাকে বেশ অসুস্থ দেখাচ্ছে। আবার তখন প্রাইভেট মিটিংয়ের মধ্য থেকে কেন চলে গেলে বিষয়টা এখনো অপরিস্কার। আশা করবো কোনো বিরাট ঝামেলায় ফাসোনি।
– একটু সিরিয়াস প্রবলেম হয়েছিলো তাই বাসায় যেতে হয়েছে। আমি অত্যন্ত দুঃখিত ওভাবে না বলে চলে যাওয়ার জন্য।
এবার উনি একটু ইঙ্গিতবাহীতে কেশে বললেন, ‘আমার উচিত চুপ থেকে অপরপক্ষের কথা শোনা।’
– হুম ঠিক। আমি গরম পানিতে আনতে বলছি দাড়াও। এ্যাই ছোটন?….
লাস্ট কথাটা উনি যে আমার জন্য ইঙ্গিত দিয়ে বলেছেন তা উনার কাশির ভঙ্গিমাতেই বোঝা গেছে। মানে এখন আমি কথা বলতে থাকবো আর উনি ওপাশ থেকে চুপ! মাথার নিচের কুশনটা ঠিক করে বলে উঠলাম,
– আপনি এতো ব্যস্ত থাকেন কেন? এই ব্যস্ততা আমার সহ্য না। ওরা কি আপনাকে বেতন দেয় বলুন? শুধু শুধু এসব অনিশ্চিত দুনিয়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। আচ্ছা? আপনি তো সারাদিন বাইরে থাকবেন আমার সামনে আসবেন কখন? রাতেও যদি বাইরে থাকেন তাহলে আপনি রেস্ট নিবেন কখন? রাতে খেয়েছেন? শ্রেয়া আজ খুবই মজার একটা ডিস রান্না করেছিলো আপনি আরেকটু থাকলে খেতে পারতেন। ও দারুন রান্না পারে। বাসায় আমি একা থাকি। মা আমাকে তেমন সময় দেয়না। বাবা যা একটু সময় দেয় তাও বছরের বেশিরভাগ টাইম দেশের বাইরেই থাকে। আমি নিঃসঙ্গ জীবন যাপন করছি পূর্ব। আমার জীবনে আয়মান, শ্রেয়া, রাজিব ছাড়া আর কেউ নেই। আজ তো রাজিব…আপনাকে আমি বিচার দিতে চাই। আপনি ওই রাজিবকে মেরে ফেলুন। ও খুবই নোংরা পুরুষ। খুবই জঘন্য। আপনাকে সেদিন নোংরা বলার পর কি যন্ত্রণায় ছিলাম জানেন না। আপনি কি আমার কথা শুনছেন? একটু কেশে বোঝান না!! আপনি সব শুনছেন?
উনি সত্যি সত্যি হালকা করে কাশলেন। চোখ বন্ধ করে জোরে নিশ্বাস ছাড়লাম। ফোনের স্ক্রিনে তাকিয়ে দেখি টুয়েন্টি ওয়ান মিনিট্স ওভার। আমার হাতে চারটা পযর্ন্ত টাইম যা বলার এ সময়ের মধ্যেই বলতে হবে। আবার বলা শুরু করলাম,
– গ্রামে যে বিয়ে করতে চাচ্ছেন আমি কিন্তু আপনার দাদুর ওই বিশাল বাড়িতে উঠবো না। আপনার দাদুর যে টিনের বড় ঘরটা আছে না? ওখানে উঠবো। সেদিন যেনো মুষলধারে বৃষ্টি নামুক। এমন বৃষ্টি যা পুকুর, নদীর পানি কয়েক সেন্টিমিটার বারিয়ে দিবে। টিনের উপর ঝনঝন বৃষ্টিজোড়ার শব্দ, আধো আধো অন্ধকারে হারিকেন জ্বালানো স্বল্প আলো। রুমে একটা চৌকি থাকবে। একটা বালিশ থাকবে। মোটা একটা কাথা থাকবে। জালির জানালাটা থাকবে খোলা। সেখান থেকে তুমুল বর্ষনের হালকা ছাটঁ এসে বিছানা ভিজবে। আমি একটা বাসন্তী রঙের শাড়ি পরবো। বৃষ্টি বিলাস করে আমরা টিনের ঘরটায় আবার অন্য বিলাসে ভিজবো,
হঠাৎ কাশির আওয়াজ জোরালো হয়ে আসলে পূর্ণতা চোখ মেলে কল্পনাতীত থেকে বাস্তব দুনিয়ায় ফিরে আসে! পূর্ব কাশতে কাশতে টেবিলের উপরে রাখা ঢাকনা দেওয়া গ্লাসটা নিয়ে ঢকনা সরিয়ে পানি খেতে থাকে। মেয়েদের কল্পনাশক্তি এতো প্রখর এতো বলিষ্ঠ এতো সুস্পষ্ট যে সে তোমাকে অন্য দুনিয়ায় ঘুরিয়ে আনার মতো ক্ষমতা রাখে! পূর্ব নিজেকে কন্ট্রোল করে কাঠের চেয়ার থেকে উঠে দাড়িয়ে বললো,
– স্যার? কাজ তো প্রায় শেষ। আমি কি যেতে পারি?
– হ্যাঁ, মানে..আচ্ছা যাও। কাল ঠিক সময়ে এসে পরো।
– ধন্যবাদ। আসি।
পূর্ব চটপট সেখান থেকে বেরিয়ে গাড়িতে বসে ড্রাইভ করতেই বলে উঠে,
– তোমাকে আমি মেরেই ফেলবো পূর্ণ! কি পরিমাণে যে জালাচ্ছো! সব হিসাব তিল তিল করে উসিল উঠাবো দেখো খালি!
পূর্ণতা পূর্বের কথা না বুঝে বেশ অবুকের মতো বলে উঠে,
– আপনি রাগ করছেন কেন?
– ন্যাকামো করছো? পাজি কোথাকার! যেভাবে জালাচ্ছো আমার জায়গায় অন্য কেউ হলে অলরেডি তোমার অবস্থা কি করে দিতো?
– আমি এমনেই সবার কাছ থেকে মেন্টাল স্টেজের উপাধি পেয়েছি বুঝলেন?
পূর্ব এবার ঠান্ডা হয়ে কোমল গলায় বলে উঠলো,
– ইমোশনাল হলে চলবে না পূর্ণতা। তুমি আমার সাথে ঘর বাধতে চাইছো আমি না করিনি। প্লিজ বিয়ের আগ পযর্ন্ত একটু অপেক্ষা করো, আমি তো বলেছি তুমি বললে এক্ষুনি তোমাকে বিয়ে করে আমার কাছে রেখে দিতে পারি।
– আপনি এতোদিন পরপর গুম হয়ে যান। আমার কথা একবারো মনে পরেনি?
– পাগল তুমি? খেতে,বসতে,দাড়াতে প্রচণ্ড মিস করেছি।
– আপনি রাতে এখনো খাননি ঠিক না?
– সকাল থেকেই খাইনি।
– আপনি আবার বলুন তো কি বললেন?
– কিছুই বলিনি। এবার ঘুমাও।
– কথা ঘুরাচ্ছেন কেন? আপনি এইসব ছাইপাঁশ পলিটিক্স ছাড়ুন! কোনো দরকার নেই আপনার এইসব কাজ করার! আমার বাবাকে বলে আপনার জন্য জবের ব্যবস্থা করে দিচ্ছি।
– আমি খুব অগোছালো পূর্ণ। বিয়ের পর খাওয়াদাওয়া, ঘুম, পোশাক সবই তোমাকে দেখতে হবে।
– আপনি আসুন তো এক্ষুনি এসে আমাকে নিয়ে যান। না খেয়ে আছেন কিভাবে? আপনি মানুষ?
– আব্বুর জন্য অপদার্থ। আম্মুর জন্য সাত রাজার ধন। এখন তোমার কাছে কি মূল্য…
– আপনি আমার কাছে সব পূর্ব! প্লিজ আপনি গাড়ি ঘুরিয়ে চলে আসুন আমি রান্না বসাচ্ছি।
ফোনের ওপাশে শূন্য নিরবতা বিস্তার করছে!উনি আবারো মৌনব্রত পালন করছেন উফ! আমি রাগান্বিত গলায় খারাপ কিছু বলবো উনি হঠাৎ বলে উঠলেন,
– এক সপ্তাহ পর।
আমি কিছু বলার আগেই ফোন কেটে দিয়েছেন পূর্ব। স্ক্রিনে বড় বড় করে সাদা রঙে ’04:00′ সময়টা ভেসে আছে। সময় কি আজও আমাকে ছুতো দেখিয়ে তাড়াতাড়ি চলে গেলো? প্রিয় মানুষের সাথে কথা বললে সময় বুলেট স্পিডে ফুরিয়ে যায় কেনো?
বুকে ফোন জড়িয়ে দোলনায় ঘুমিয়ে পরলাম আমি। কোনো কিছু ভালো লাগছেনা কেনো জানি।
শর্ট পরে উপুড় হয়ে বিছানায় ঘুমিয়ে আছে আয়মান। কোলবালিশটায় একপা উঠিয়ে দুইহাত ছড়িয়ে নাক ডাকছে থেমে থেমে। ঘড়িতে এখন সকাল সাতটা বাজে। বিকট আওয়াজে বালিশের নিচ থেকে কম্পন হচ্ছে কিছু! আয়মান হুড়মুড়িয়ে উঠে বসতেই বালিশের নিচ থেকে ফোন নিয়ে চোখ কচলিয়ে নাম্বারটা দেখতেই দুনিয়ার বিষভরা বিরক্তের মতো বলে উঠে,
– হাউয়া হাউয়া…শান্তি মতো ঘুমাইতেও দেয় না। এডিরে যে কি করতে ইচ্ছা করে..
মুখের ভাষা খারাপ করে গালাগাল করতেই ফোনের ওপাশ থেকে কন্ঠ পেয়ে আয়মান তোতলাতে থাকে। একটু আগে যে গালি দিচ্ছিলো তার একটাও যদি এখন উচ্চারন করে দ্যান আয়মান সিকদারকে শিকের মধ্যে ফ্রাই করবে!
– আসসালামুয়ালাইকুম ভাভাই। কিকিছু হইছছে?
– তোতালামি সাইডে ফেলে বাইরে আসো!
ঠিক দুইঘন্টা পর পূর্ণতার ফোনে কল আসে আয়মানের! ভয়ার্ত গলায় হাকিয়ে বলে উঠে,
– বইন বইন জলদি আয়!! আসমা টাওয়ারের মাঠে অঘটন ঘইটা গেছে!! তাড়াতাড়ি আয়!!
– ‘ চলবে ‘
#FABIYAH_MOMO
সম্পূর্ণ গল্পের লিংক