#দ্বিতীয় পুরুষ
পর্ব ২২
_নীলাভ্র জহির
জোসনা বেগম বাড়ি ফিরে দেখলেন তার মেয়ের ঘরের টিনের বেড়া কাটা। ছেলের বিয়ের কিছুদিন আগেই নতুন টিন দিয়ে তিনটা ঘর তুলেছিলেন। ঘরের সামনে লম্বা বারান্দাও ছিল। মেয়ের ঘরের এই দশা দেখে তিনি হাউমাউ করে উঠলেন। দৌড়ে বাড়ির ভিতরে ঢুকে পড়লেন, হায় আল্লাহ আমার এই সর্বনাশ কে করল? কেমনে হইল এইসব?
চিত্রা ও রুবিনা যেন এ প্রশ্নের উত্তর দেয়ার জন্য প্রস্তুত হয়েই ছিল। রুবিনার প্রায় প্রতিদিন দুপুর বেলা ঘুমানোর অভ্যাস। সেই অভ্যাসটাকে কাজে লাগিয়ে রুবিনা উত্তর দিল, আম্মা আমি ঘুমাই ছিলাম। হঠাৎ কইরা জোরে জোরে শব্দ শুইনা ঘুম ভাইংগা গেল। দেখি কে জানি আমার ঘরের বেড়া কাটতাছে। আমি একটা চিৎকার দিছি। চিৎকার শুইনা ভাবি পুকুর ঘাট থাইকা দৌড়াইয়া বাড়ি আইছে। আইসা কাউকে দেখে নাই।
হায় আল্লাহ আমার মাইয়া এগুলো কি কয়? ঘরের বেড়ায় কে কাটব। তাও দিন দুপুরে। তুই কি দুয়ার আটকাইয়া ঘুমাইছিলি?
হ মা। আমি দুয়ার আটকাইয়া ঘুমাইছিলাম।
তোর ভাবি পুকুর ঘাটে আছিল?
ভাবী গোসল করতে গেছিল। আমি দরজা আটকাইয়া দিয়া ঘুমাইয়া গেছিলাম। শব্দ শুইনা ঘুম ভাইঙ্গা গেছে।
জোসনা বেগম ছুটে এসে মেয়েকে একবার জড়িয়ে ধরলেন। সঙ্গে সঙ্গে ছেড়ে দিয়ে তিনি অস্থির হয়ে এদিক সেদিক তাকালেন কয়েকবার। এরপর বিলাপ করতে করতে বললেন, আমার এই সর্বনাশ কে করল? কে আইছিলো বাড়িতে? তাও শব্দ কইরা কোপ দিয়া গেছে।
চিত্রা এতক্ষণ চুপ করে শুনছিল। এবার সে এগিয়ে এসে বলল, আম্মা সব দোষ আমার। আমার উচিত ছিল রুবিনারে ঘুম থাইকা তুইলা তারপর গোসলে যাওয়া। আমি গোসল কইরা কেবল কাপড় শুকাইতে দিছিলাম। রুবিনার চিৎকার শুইনা বাড়ি আইসা দেখি এই অবস্থা।
– কি সর্বনাশে কথা গো? সর্বনাশটা আমার কেডা করলো? আমার ঘরে জুয়ান মাইয়া, জোয়ান বউ। কোন সর্বনাশের উদ্দেশ্যে কে যে আইছিল?
আঙিনার মাঝখানে বসে জোসনা বেগম বিলাপ করে করে কথাগুলো বলতে লাগলেন। মুহূর্তেই পাশের দুই বাড়ি থেকে ছুটে এলেন বউ-ঝিরা। সবাই ঘটনা শুনে রীতিমত অবাক। তবে অবিশ্বাস করার মত কিছু হয়নি। কিছুদিন আগেই এক বাড়িতে দুপুরবেলা যখন কেউ ছিলনা তখন যুবতী মেয়ের ঘরে ঢুকে পড়েছিল এক বয়স্ক লোক। এরকম মাঝে মাঝেই শোনা যায়। হয়তো রুবিনার সঙ্গে সেরকম কিছু ঘটার কথা ছিল। আরেক পক্ষ বলছে সেটা নাও হতে পারে। সেরকম ইচ্ছা থাকলে নিঃশব্দে তারা ঘরের ভেতর ঢুকতো। শব্দ করে টিনের বেড়া কাটতো না। হতে পারে কেউ একজন রুবিনাকে ভয় দেখাতে চেয়েছিল। ঘরে যুবতী মেয়ে থাকলে বাবা-মাকে ভয় দেখিয়ে অনেকে মজা পায়। তাছাড়া জোসনা বেগম মনে করেন তার অনেক শত্রু আছে।
আড়ালে আবডালে কে কার শত্রু সেটা তো বোঝার উপায় নেই। হতে পারে কেউ শত্রুতা করে ভয় দেখাতে এসেছিল রুবিনাকে। যাতে ভয় দেখিয়ে তাদেরকে এক ঘরে করে দেয়া যায়। জোসনা বেগম কি করবেন বুঝে উঠতে পারলেন না। একজনের মাধ্যমে খবর পাঠালেন দোকানে। মুহূর্তেই বাসায় চলে এলেন তার স্বামী। ঘটনা শুনে তিনি বিহ্বল হয়ে ঘরের বেড়ার দিকে তাকিয়ে রইলেন। কোন শত্রু এই কাজ করতে পারে তিনি ভাবছেন সেটা। অনেক সময় কোনো খারাপ উদ্দেশ্য না থাকলেও কেবলমাত্র ঝগড়া করার জন্য অনেকে এই ধরনের কাজ করতে পারেন।
জোসনা বেগম বলেন, আপনার মনে নাই রায়হানের মা একবার আমার লাউয়ের জাংলার গোরা কাইটা দিছিল। গাছ ভর্তি কইরা লাউ ধরছিল গো। সব বড় হইলে খাইয়া গ্রামবাসীদের দিয়াও মেলা টাকা বিক্রি করতে পারতাম। এইরকম লাউ এই গ্রামে কারো গাছে ধরে নাই। রায়হানের মা আমার গাছের গোড়ায় কাইটা দিছিল। আপনার মনে নাই?
উত্তরে রূপকের বাবা বললেন, আজকাল তো আমাগো সেরকম শত্রু কেউ নাই।
– শত্রু তো আর মুখে কইয়া বেড়াইবো না। বাজারে আমাগো বড় দোকান। আমার পোলায় আবার দোকান বাড়াইয়া দর্জি দোকান দিছে। সংসার ভালোমতো চলতাছে। পোলারে বিয়া দিছি। মাইয়াডা ডাঙ্গর হইছে। ঘরের ধানের ভাত খাইতাছি । জমিজমা বন্ধক লইসি। এখনতো শত্রু লাগবোই। আপনে বুঝতাছেন না?
চিত্রা ও রুবিনা এ বিষয়ে আর কোনো কথা বলল না। তবে রুবিনা এমন একটা ভাব করতে লাগল যেন সে ভয়েই জড়োসড়ো হয়ে গেছে। তবে এই ঘটনা সাজানোর ফলের একটা লাভ হল। বাড়ির সবাই এখন এটা নিয়েই ব্যস্ত। রাত্রিবেলা রূপক বাড়ি ফেরার আগ পর্যন্ত রুবিনা চিত্রার ঘরে শুয়ে রইলো। ভাবি ও ননদ মিলে বিড়বিড় করে তারা সুখ-দুঃখের গল্প বলছিল।
চিত্রা একবার জানতে চাইল, তুমি যে কাজটা করছো। তোমার দিলে কি একটু ভয় ডর নাই? তোমার যদি অন্য কারো লগে বিয়া হইয়া যায়। সে যখন তোমার লগে থাকব। তখন তো বুইঝা যাইব।
কি বুইঝা যাইবো ভাবি?
বুঝনা তুমি? সবকিছুই তো বুঝ। এইটা বুঝতাছ না?
না, ভাবি বুঝি নাই।
আমার লগে মজা নিয়ো না রুবিনা। সব কিছু বুইঝাও না বোঝার ভান করোন আমি পছন্দ করিনা। একটা মাইয়ার লগে তার স্বামী শুইলেই বুঝতে পারে মাইয়া কি কুমারী নাকি কুমারী না। বিয়ের প্রথম রাইতে যখন আদর সোহাগ করে তখন মাইয়াগো অনেক কষ্ট হয়। রক্তে বিছানা ভিইজা যায়। আর যে মাইয়া বিয়ার আগেই এসব কাম কইরা ফালায় বিয়ের রাতে তার কষ্ট হয় না। তার জরায়ু থেকে রক্ত বাইর হয় না।
রুবিনা কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলল, হাছা কতা কইতাছ ভাবি? এইটা কি আসলেই হয়?
কেনো তুমি জানো না?
না, জানতাম না। আপনারও হইছিল?
হ, প্রথম রাতে মেলা কষ্ট হইছিল। ভোরে ঘুম থেইকা উইঠা আগে বিছানার চাদর ঘাট বিয়া দিছিলা। ছবি তো দেখছো। আবার জিগাইতাছ?
রুবিনা নিশ্চুপ হয়ে রইলো কিছুক্ষণ। কিছু একটা বলতে গিয়েও বলল না। গম্ভীর হয়ে শুয়ে রইলো। অনেক রাত পর্যন্ত রুবিনা আর কোন কথাই বলল না। রাতের নিস্তব্ধতা তখন চারপাশ ঘিরে ধরল। চোখে ঘুম চলে এসেছিল চিত্রার। হঠাৎ শুনতে পেল রূপকের গলা।
ভাত খেয়ে নিজের ঘরে শুতে এলো রূপক। জোসনা বেগম রুবিনাকে একা শুতে পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন। তাই আজ রাতে তিনি নিজে ঘুমালেন রুবিনার সঙ্গে।
বিছানায় পাশাপাশি শুয়ে রূপক বলল, এই কাম কে করছে আমি খুইজা বাইর করমু। তুমি একদম ভয় পাইও না বউ।
আমি আমার লাইগা ভয় পাইতাছি না। ভয় হইতাছে রুবিনার লাইগা। আমার ঘরে কোপ দিলে একটা কথা আছিল। আমার ঘরেও তো দেয় নাই। দিনের বেলা কাইটা ফেলছে রুবিনার ঘরে। চিন্তা হইব না কন?
তোমার এত চিন্তা করতে হইবো না। তুমি এখন চিন্তা একদম করবা না। দুনিয়ার সব বিষয় নিয়ে চিন্তা করার লাইগা আমি আছি আব্বা আম্মা আছে। তুমি নিজের দিকে খেয়াল রাখো।
চিত্রা রূপকের গলা জড়িয়ে ধরলো। তারপর মৃদু স্বরে বলল, আপনারে একখান কথা কই?
কও।
কইতাছি রুবিনা তো বড় হইছে। এখন অর একটা বিয়ের ব্যবস্থা করলে কেমন হয়?
এত তাড়াতাড়ি? আমি আরেকটু আয় উন্নতি করি। কিছু জমিজমা কিনি তারপর।
– জমিজমা দিয়া রুবিনার কাম কি? সে থাকবো শ্বশুরবাড়ি। আপনি আবার ভাইবেন না আমি ননদরে তাড়াইয়া দিবার কইতাছি। বাড়িতে মানুষের নজর পড়ছে। কখন কি হয় কওন যায়? রুবিনার একটা বিয়ের ব্যবস্থা করলে আমার মনে হয় খারাপ হইবো না। ভালোই হইবো।। আপনি একটু চিন্তা ভাবনা কইরা দেইখেন।
– আচ্ছা, দেখবনে। আমার পোলায় কেমন আছে?
– আমি কেমনে কমু? পোলারে জিগান।
রূপক চিত্রার পেটের উপর হাত রেখে বেশ আদুরে গলায় ডাকলো, আব্বাজান ও আব্বা জান। আপনি কেমন আছেন?
চিত্রা বলল, একটা কথা কমু। ভয় করতাছে।
– কইয়া ফালাও। ও আমার আব্বাজান। কেমন আছেন আপনি?
চিত্রা বলল, আপনি খালি আব্বাজান কইতাছেন কেন? সে তো আম্মাজান ও হইতে পারে। আপনার বোধহয় অাব্বাজান নিয়ে অনেক আশা। আম্মাজান হইলে আপনি বোধহয় অনেক কষ্ট পাইবেন।
অনেকক্ষণ পর্যন্ত রূপকের কোন কথা শোনা গেল না। কেবল নিঃশ্বাসের শব্দ চিত্রা স্পষ্ট শুনতে পেল। এই শব্দে বুঝতে পারল না আসলেই কন্যা সন্তান হলে রূপক কষ্ট পাবে কিনা।
দেখতে দেখতে কেটে গেল কয়েকটা দিন। এরমধ্যে শিমুলের সঙ্গে যোগাযোগ হয়নি রুবিনার। ফোনে কথা বলতে গেলে তাকে বাড়ি থেকে বের হতে হবে। কিন্তু সেই সুযোগটা আপাতত পাচ্ছে না। মা সারাক্ষণ রুবিনাকে চোখে চোখে রাখছে। সতর্ক হয়ে আছে পুরো পাড়া। এই মুহূর্তে শিমুলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে গেলে নিশ্চিত ভাবে কেউ না কেউ বিষয়টা জেনে যাবে। তাই চুপচাপ নিজের মতই আছে রুবিনা। শিমুল যদি তাকে ভালোবেসে থাকে তবে নিজে থেকেই সে যোগাযোগ করবে। তবে প্রত্যেকটা মুহূর্ত কাটছে ভয়াবহ দুশ্চিন্তার মধ্যে দিয়ে। কখন সে ধরা পড়ে যায়, কোন ভয়াবহ দুর্বিসহ যন্ত্রনা নেমে আসে তার জীবনে, তাকে ও তার পুরো পরিবারকে গ্রামের সবার সামনে অপদস্ত হতে হয় কিনা সে সব ভেবে রাত্রি বেলা ঘুম হয়না রুবিনার। দুশ্চিন্তায় সে শুকিয়ে যাচ্ছে। সারাক্ষণ এলোমেলো লাগে তার। জোসনা বেগম ভাবেন আকস্মিক ঘরের বেড়া কাটার মত দুর্ঘটনায় হয়তো তার মেয়ে মানসিকভাবে কষ্ট পেয়েছে। তাই এমন দেখাচ্ছে রুবিনাকে। বিষয়টা নিয়ে তিনি খুব একটা পাত্তা দিলেন না। দিনের বেশিরভাগ সময়ে রুবিনা চিত্রার সঙ্গে কাটায়। এতে করে একটা সুবিধা হয়েছে। তার শারীরিক কোনো অসুবিধার কথা জোসনা বেগমের চোখে পড়ছে না।
চিত্রা সাহস করে পাশের বাড়ির সাবিনার মোবাইল থেকে শিমুলের কাছে কল করলো। ভেবেছিল কলটা হয়তো রিসিভ হবে না। কিন্তু তাকে আশ্চর্য করে দিয়ে রিসিভ করল শিমুল। চিত্রা ফিসফিস করে বলল, আমি তোমার ভাবি কইতাছি। চিনবার পারছ?
হ, ভাবি। কেমন আছেন? রুবিনা কেমন আছে?
– ভালোই আছে।
– সাবিনা আপার ফোনে কয়েকদিন কল দিছিলাম। আপা কইল রুবিনা নাকি বাড়ি থাইকা বাইর হয় না। কে নাকি ঘরে টিনের বেড়া কাইটা দিয়া গেছে।
– তুমি তো সবই জানো।
– হট ভাবি। সেজন্য আমিও আর চেষ্টা করি নাই।
– চেষ্টা করো নাই মানে। তুমি অহন কই আছো?
– আমি তো ঢাকায় আইছি।
– আম্মা সারাক্ষণ রুবিনা রে চোখে চোখে রাখে। সেই জন্য বেচারি তোমারে ফোন করতে পারেনাই।
– আমি সাবিনা আপার আছে শুনছি। ভাবি শুনেন। আমার এখনো কোন কাম হয় নাই। ঢাকা শহরে কাম পাওয়ার এত সহজ কথা নয়। পরিচিত ভাই বেরাদার থাকতে হয়। এইখানে আমার কেউ নাই। আমার এক দোস্তরে কইছি। কাম যোগাড় কইরা দিব। কিন্তু সময় লাগবো কিছুদিন।
– ভাই তুমি তো সবই বুঝো। বাড়ির পরিস্থিতি এখন খুবই খারাপ। এখন আর কেমনে সময় নিবা? যা করার তাড়াতাড়ি করতে হইবো।
– আমারে কি করতে কন ভাবি? ঢাকায় আইসি কয়টা দিন হইল। এখনো কোন কাম যোগাড় করতে পারি নাই। এর মধ্যে কেমনে বাড়িতে বিয়ার কথা কমু?
– তুমি কি কইছিলা মনে নাই? কাম না হইলেও তুমি বিয়ার কথা কইবা। এছাড়া আর কোন উপায় নাই। মান-ইজ্জত সবার আগে। মান ইজ্জত বাচাইতে দুই-চারটা মিথ্যা কথা কইলে কিছু হইব না। তুমি বাড়িতে কল কইরা তোমার মায়েরে কইবা তুমি রুবিনারে বিয়া করতে চাও। রুবিনা লাইগা তুমি ঢাকা শহরে গেছে। এইডাও কইবা যেদিন তুমি ঢাকায় গেছো ঐদিন রুবিনার বাড়িতে একটা ঝামেলা হইছে। কে জানি রুবিনার ঘরে দা দিয়া কোপাইয়া টিনের বেড়া কাইটা ফেলছে। এখন রুবিনার ভাই ওরে তাড়াতাড়ি অন্য জায়গায় বিয়া দিতে চায়। তুমি ওরে নিয়া ভয় পাইতাছ। তাই তাড়াতাড়ি বিয়ে করতে চাও। বিয়া কইরা তুমি ওরে নিজের কাছে নিয়ে যাইবা। আজকের মধ্যেই কথাটা তুমি তোমার মায়েরে জানাও। আমি কি কইছি বুঝছ?
শিমুল কিছুক্ষণ নিশ্চুপ রইল। চিত্রা বলল, ভাই তুমি তো সবই বুঝো। রুবিনা খুব বিপদের মধ্যে আছে। আমরা সবাই খুব বিপদের মধ্যে আছি। যত তাড়াতাড়ি পারো এটার ফয়সালা কইরা ফেলো।
– ঠিক আছে ভাবি। আমারে দুইটা দিন সময় দেন।
– সময় দিতে পারুম না। রুবিনার শইলটা ভাল না। শইল খারাপ হইয়া গেলে আম্মা বুইঝা ফেলবো। তুমি আর দেরী কইরো না। তুমি আজকেই বাড়িতে কথাটা জানাইয়া দাও। তোমার এই বইনের অনুরোধ টা রাখ। তোমার পায়ে পড়ি ভাই। আমাগো মান-ইজ্জতের কথা একটু চিন্তা করো।
– এমন কইরা কইয়েন না ভাবি। আমার নিজেরও তো মান ইজ্জত আছে। ঘটনা যে এমনে ঘইটা যাইব আমিতো সেটা জানতাম না। চিন্তা কইরেন না। আপনি আমারে ভাই ডাকছেন। আমি দেখতাছি।
– দেখতাছি কইলে হইব না। সত্যি সত্যি দেখতে হইবো। ভালো থাইকো। সুযোগ পাইলে কাইল আবার তোমারে কল দিমু।
চিত্রা বাড়ি ফিরে এল। তার চিন্তা হচ্ছে রুবিনার জন্য। শিমুলের কথায় যথেষ্ট ভরসা পেলেও তার দুশ্চিন্তা কমছে না। শিমুলের পরিবার বিয়ে দিতে রাজি হবে কী না সেটাই আসল কথা। এত সহজে কোনো মা বাবা ছেলের বিয়ে দিতে রাজি হয় না।
চলবে..