#ভ্যাম্পায়ার বর
পর্ব ১৬
#M_Sonali
সকাল ৮.০০ মিনিট
বাইরে থেকে আম্মু আর শ্রাবনীর গলার আওয়াজ শুনে ঘুম ভাঙ্গে চাঁদনীর। ঘুম থেকে উঠে চাঁদনী বাইরে বের হয়ে দেখে শ্রাবনী এসে কথা বলছে চাঁদনীর আম্মুর সাথে। চাঁদনী ওদের পাশে এগিয়ে গিয়ে বলে
— কিরে শ্রাবণী এত সকালে তুই এখানে হঠাৎ? কোন কিছু কি হয়েছে?
— আচ্ছা আন্টি আপনি তাহলে থাকুন। আমি একটু চাঁদনীর সাথে আলাপ করে আসছি কেমন।
কথাটা বলেই চাঁদনী কে নিয়ে রুমে চলে যায় শ্রাবণী। চাঁদনী বারবার জিজ্ঞেস করে
— কিরে শ্রাবণী তুই হঠাৎ এই সময় এখানে?কি হয়েছে রে, তোর চোখ মুখ এমন ফোলা ফোলা লাগছে কেনো?বুঝেছি তুইও হয়তো আমার মতো অনেক কান্না করেছিস তাই না? আসলে মিতু মৃত্যুটা আমরা মেনে নিতে পারছিনা কোন ভাবেই। আর কিভাবেই বা পারি বল, আমাদের সবচাইতে কাছের বেস্টু টা এভাবে আমাদের ছেড়ে চলে যাবে কখনো ভাবতে পারেনি।
কথাগুলো বলেই হু হু করে কেঁদে ফেলল চাঁদনী। শ্রাবণী কি বলে সান্তনা দিবে ভেবে পাচ্ছেনা। তবুও নিজেকে সামলে নিয়ে শ্রাবণী চাঁদনীর মাথায় হাত বুলিয়ে বলল
— দেখ চাঁদনী যেটা হবার সেটা হয়ে গেছে, এখন কান্না করে কি ওকে আর ফিরিয়ে আনা যাবে বল। কিন্তু এখন তো তোকে সুস্থ থাকতে হবে তাইনা?এভাবে কান্না করে নিজের শরীর নষ্ট করার কোন মানে হয় না চাঁদনী। নিজের কথা নাই বা ভাবলি। অন্তত তোর মা বাবা আর আমার ভাইয়ার কথাটা ভাবতে হবে তোকে। আমি যেটা বলি সেটা মন দিয়ে শোন। আমি আন্টিকে বলেছি তোকে নিয়ে আমি বেড়াতে যাব তোর মন ভালো করার জন্য। তাই সাতদিনের জন্য তোকে আমার সাথে নিয়ে যাব আর আন্টি ও রাজি হয়েছে। তাই আর দেরি না করে নিজের যা যা জিনিস দরকার সব গোছগাছ করে নে।
— কিন্তু শ্রাবণী এভাবে এমন সময় আম্মু আব্বুকে ছেড়ে চলে যাওয়া কি আমার উচিত হবে বল! তাদেরও তো অনেক মন খারাপ মিতুর মৃত্যুর কারনে। আমি কি করে তাদের একা রেখে চলে যাব?
— বোকার মত কথা বলিস না চাঁদনী। আন্টির মন খারাপ তোর জন্য তুই যদি তার একমাত্র মেয়ে হয়ে সব সময় এরকম মনমরা হয়ে বসে থাকিস, তাহলে কোন মা-বাবার ভালো লাগবে বল।তোর আব্বু না হয় এখন বাইরে আছে তাই তোর মন খারাপ গুলো দেখছেন না, তোর এমন কান্নাকাটি দেখছে না। কিন্তু তোর আম্মু তো চোখের সামনে এভাবে তোকে কাঁদতে দেখছে।তার কতটা খারাপ লাগছে সে নিজেই বুঝতে পারছে। তুই জানিস সকালে যখন আমি এসেছি তখন দেখি আন্টি মন খারাপ করে চুপ করে বসে আছে। জিজ্ঞেস করলে বলল তোর এমন কান্নাকাটি মনমরা দেখে তার কিছুই ভালো লাগছে না। খেতে ইচ্ছে করছে না।এভাবে তোর আম্মু অসুস্থ হয়ে পড়লে তখন তোর ভালো লাগবে তো চাঁদ?
শ্রাবনীর কথায় কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে চাঁদনী বলল
— তুই হয়তো ঠিকই বলছিস শ্রাবণী। কিন্তু কি করবো বল, মিতুর জন্য যে আমার অসম্ভব খারাপ লাগছে। আমি তো কোনভাবেই নিজেকে আটকে রাখতে পারছিনা। আমরা তিনজন তো কত ভালো ছিলাম বল, হঠাৎ কি থেকে কি হয়ে গেল, মিতু কেন আমাদের এভাবে ছেড়ে চলে গেল।
— পাগলি একটা আবার কান্না করছে। এত কান্নাকাটি বাদ দিয়ে এখন নিজেকে একটু শক্ত করতে শেখ। সামনে তোর অনেক যুদ্ধ থাকতে পারে। যেটা তুই হয়ত কল্পনাও করতে পারছিস না। তাই তাড়াতাড়ি সব কাপড়চোপড় গুছিয়ে নিয়ে রেডি হয়ে থাক। আমি দুপুর পরে এসেই তোকে নিয়ে যাব। আন্টিকে সব বলা আছে, সেই তোকে নিয়ে যেতে বলেছে।
— সেটা না হয় গুছিয়ে রাখব। কিন্তু তোর একটি কথা তো আমি বুঝতে পারলাম না শ্রাবণী। সামনে আমার কিসের যুদ্ধ আছে কোন যুদ্ধের কথা বলছিস তুই?
চাঁদনীর প্রশ্নে কিছুটা ভড়কে গেল শ্রাবণী। তারপর নিজেকে সামলে নিয়ে বলল
— আরে এমনি বলছিলাম, মানে মিতু মারা গেছে সেটা নিয়ে কত টেনশন না তোর আমার। সেজন্যই তোকে কথাটা বললাম। এখন ওসব বাদ দিয়ে খাওয়া দাওয়া করে রেডি হয়েনে। আমি চলে যাচ্ছি, আর শোন সারাদিন কিন্তু একদম কান্নাকাটি করবি না। আমি দুপুর পরে আসবো তোকে নিতে কেমন। এখন তাহলে আসি রে।
— আসিরে মানে কি হ্যাঁ আম্মু তোকে বলল না সকালের নাস্তা করে যেতে। চল দুজন মিলে একসাথে নাস্তা করব আজ। আজ অব্দি তুই আমাদেরর সাথে একদিনও খাবার খাস নাই। বুঝিনা তোর সমস্যাটা কি। মিতুও তোকে কত ধরেছে কিন্তু কোনদিন আমাদের সাথে খাবার খাসনি তুই। কোনো না কোনো অজুহাত দেখিয়ে চলে গেছিস। এখন চল দুজন মিলে একসাথে নাস্তা করব।
চাঁদনীর কথা শুনে বিপাকে পড়ে গেল শ্রাবণী। শ্রাবনী ভাবতে লাগলো এখন ও কি করবে। ও তো কোন ভাবেই মানুষের খাবার খেতে পারবে না কারণ ওর একমাত্র খাবার হল রক্ত। ও রক্ত ছাড়া মানুষের কোনো খাবার খেলেই তো ওর অবস্থা খারাপ হয়ে যাবে। এখন কি করবে ও, এদিকে চাঁদনী ওকে যেভাবে ধরেছে খাওয়ার জন্যে। আজকে হয়তো না খেয়ে কোনো মতেই যেতে দিবে না ওকে।
দুষ্টু পাখি প্লিজ একটু বোঝার চেষ্টা কর আজকে আমি কোনমতেই খাবার খেতে পারবো না। সকালবেলা বাসা থেকে খেয়ে বেরিয়েছি। সকালে ঘুম থেকে উঠতেই খুব খুধা লেগেছিল। তাই আর দেরি করিনি খাওয়া দাওয়া করেই এখানে এসেছি। তুই একটি আন্টিকে বলিস আমি পরে আসবো আবার তখন না হয় খাবো।
কথাটা বলেই উঠে দাঁড়ালো শ্রাবনী। চাঁদনী ওমনি শ্রাবনীর হাত ধরে বলল
— আচ্ছা ঠিক আছে তোর কথা আমি মেনে নেব। তাহলে তুই আমায় কথা দিয়ে যা, যে আজকে দুপুরে তুই এখানে খাবি, আমরা দুজন একসাথে খেয়ে তারপর না হয় দুপুর পরে তোর সাথে আমি যাব। বল রাজি আছিস কিনা? না হলে কিন্তু আমি যাচ্ছি না তোর সাথে বুঝলি?
চাঁদনীর কথা শুনে কি বলবে বুঝতে পারছেনা শ্রাবণী। তবুও কিছুক্ষণ ভেবে নিয়ে বলল
— আচ্ছা ঠিক আছে সেটা দুপুরে দেখা যাবে। তুই কিন্তু আগেভাগে রেডি হয়ে বসে থাকিস কেমন? আমি এখন আসি রে আন্টিকে প্লিজ একটু বলে দিস।
কথাটা বলেই আর এক মিনিটও দাঁড়ালো না শ্রাবণী যত দ্রুত সম্ভব বাসা থেকে বেরিয়ে চলে গেল। বাইরে বের হয়ে যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচল শ্রাবণী।
একটু পর চাঁদনীর আম্মু রুমে এসে চাঁদনীকে জিজ্ঞেস করল
— কিরে চাঁদ শ্রাবণী কোথায় চল দুজনের জন্য নাস্তা দিয়েছি টেবিলে।
— ওতো চলে গেছে আম্মু ও নাকি বাসা থেকে সকালে খেয়ে এসেছে, কিন্তু দুপুরে এখানে আমাদের সাথে খাবে। তুমি এখন চলো আমাকে খেতে দাও, আমি খাব আমার খুব ক্ষুদা লেগেছে আম্মু।
চাঁদনীর কথা শুনে খুশি হয়ে গেলো ওর আম্মু। মনে মনে ভাবল শ্রাবণী আশাতেই চাঁদনীর মনটা অনেকটাই ভালো হয়ে গেছে। তাহলে শ্রাবনীর সাথে ঘুরতে গেলে ওর মনটা আরো ভালো থাকবে।কথাটা ভাবতেই মুখে হাসি ফুটে উঠলো চাঁদনীর মায়ের। তারপর চাঁদনীকে নিয়ে খাবার টেবিলে চলে গেলেন তিনি।
,
,
বিকাল ৪.০০ টা
চাঁদনীর বাড়ি থেকে বেশ কিছুটা দূরে একটি লেকের ধারে দাঁড়িয়ে আছে শ্রাবণ। চাঁদনীর হাত ধরে সেখানে নিয়ে গেল শ্রাবনী ওকে। শ্রাবনকে দেখে চাঁদনী শ্রাবনের কাছে এগিয়ে গিয়ে বললো
— আমাকে এখানে কেন নিয়ে আসলেন আপনারা? আপনার বাসায়ও তো নিয়ে যেতে পারতেন। আর তাছাড়া কোথায় বেড়াতে যাবো আমরা?
চাঁদনীর কথা শুনে শ্রাবণী বলল
— আমি তোদের সাথে কোথাও যাচ্ছি না চাঁদনী। তুই ভাইয়ার সাথে যাবি, আমি শুধু তোদের এখান পর্যন্ত এগিয়ে দিতে এসেছি।
— সে কি বলছিস শ্রাবণী, তুই যাবি না মানে? আমি একা একা কোথায় যাব তোর ভাইয়ার সাথে? তুইও আমাদেরর সাথে যাবি, আমরা তিনজন একসাথে যাব যেখানেই যাই। আর তাছাড়া এখানকার অবস্থা তো ভালো না।দেখলি তো আমরা কি করে আমাদের মিতুকে হারিয়ে ফেললাম। আমি চাইনা তোরও আবার এমন কিছু হোক। তাই চল না সবাই একসাথেই যেখানে যাব যাই।
— আমায় নিয়ে ভাবিস না চাঁদ। আমার কিচ্ছু হবেনা, আমার কোন কিছু করার মত কারো ক্ষমতা নেই এখানের।তুই ভাইয়ার সাথে যা, আর আমাকে নিয়ে একদম টেনশন করবিনা। আর তাছাড়া তোদের দুজনের মাঝে আমি কাবাব মে হাড্ডি হতে চাই না। নতুন নতুন বিয়ে হয়েছে স্বামী স্ত্রী একটু একা একা সময় কাটা, ভালো লাগবে। শুধু শুধু মাঝখানে ননদকে টেনে কাবাব মে হাড্ডি করতে যাবি কেন বলতো?
কথাগুলো বলেই দুষ্টুমি হাসলো শ্রাবণী। শ্রাবনীর কথা শুনে রাগী গলায় চাঁদনী কিছু বলতে যাবে তার আগেই চাঁদনীর হাত ধরে টান দিয়ে নিজের সাথে মিশিয়ে নিল শ্রাবন।শ্রাবনের এমন কান্ডে শ্রাবনেট দিকে রাগি চোখে তাকিয়ে আবার ফিরে শ্রাবণীর দিকে তাকাতেই চাঁদনী দেখল সেখানে শ্রাবনী নেই। এমনকি আশেপাশে কোথাও শ্রাবনীর চিন্হ টুকুও নেই। চাঁদনী অবাক হয়ে বললো
— কি ব্যাপার এত টুকু সময়ের মধ্যে কোথায় উধাও হয়ে গেল শ্রাবনী?
— ওর যেখানে যাওয়ার কথা সেখানে চলে গেছে ও। তুমি এখন আমার দিকে তাকাও চাঁদ পাখি, আর কত দূরে দূরে সরিয়ে রাখবে আমায় তুমি বলো তো। সেজন্যই তো আমাদের আলাদা করে সময় কাটানোর জন্য দিয়ে গেল আমার বোনটা। সত্যিই আমার বোনটা কত কিউট তাইনা? ভাই ভাবির সমস্যাটা বুঝেছে।
শ্রাবণের কথা শুনে শ্রাবণের দিকে রাগী চোখে তাকাল চাঁদনী। চাঁদনীর তাকানো দেখে শ্রাবণ মুচকি হেসে চাঁদনীর গলায় মুখ গুঁজে দিয়ে বললো
— অমন করে তাকিও না চাঁদপাখি।আমি মরে যাব, নয়তো নিজেকে তোমার মাঝে হাড়িয়ে ফেলতে চাইবো। এভাবে পাগল করার কোন মানেই হয়না।
শ্রাবণের কথায় কিছুটা লজ্জা পেয়ে গেল চাঁদনী। চাঁদনী কে লজ্জা পেতে দেখে আবার মুচকি হাসলো শ্রাবন। তারপর চাঁদনীর গালে আলতো করে চুমু একে দিলো। তারপর বললো
— এখন আর দেরি নয় তোমাকে নিয়ে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চলে যেতে হবে এখান থেকে।
— কিন্তু কোথায় যাব আমরা, আপনি তো আমাকে কিছুই বললেন না? শ্রাবণী ও বলল না আপনার সাথে আমি কোথায় যাব?
— তোমায় নিয়ে আমি এমন এক জায়গায় যাব যেখানে শুধু তুমি আর আমি ছাড়া তৃতীয় কেউ থাকবে না। আমাদের মাঝে কেউ আসবে না। শুধু তুমি আর আমি সব সময় দুজন একসাথে একই পাশে থাকব। কি যাবেনা চাঁদপাখি আমার সাথে? থাকবে না আমার পাশে?
শ্রাবণের কথা শুনে মাথা নিচু করে চাঁদনী কিছু একটা ভেবে বললো
— কিন্তু এখন আমার কোন কিছুই ভালো লাগছেনা শ্রাবন। মিতুকে হারিয়ে খুব বেশি ভেঙে পড়েছি আমি। ওকে অনেক বেশি ভালবাসতাম, নিজের বেষ্টুকে এভাবে হারিয়ে ফেলবো কখনোই ভাবিনি’। এখন আমার ঘুরতে যেতে মন চাইছে না। কিন্তু তারপরও আব্বু-আম্মুর ভালোর জন্য আমি এসেছি। তাদের খুশি রাখার জন্য।
চাঁদনীর কথা শুনে শ্রাবণ মুখে কিছু না বলে, চাঁদনী কে কলে তুলে নিল। তারপর বললো
— অনেক হয়েছে তোমার পাকাপাকা কথা, এখন একটু চোখটা বন্ধ করো তো চাঁদ পাখি।
শ্রাবনের কথা শুনে বড় বড় করে তাকিয়ে চাঁদনী বলল
— চোখ বন্ধ করবো মানে আর আপনি আমাকে এভাবে কোলে তুলে নিলেন কেন। নামান আমাকে নামান বলছি।
কথাগুলো বলেই শ্রাবণের বুকে কিল ঘুষি মারতে লাগল চাঁদনী। তাতে যেন শ্রাবণের কিছু হচ্ছে না। শ্রাবণ মুচকি হেসে বলল
— তোমার এই তুলতুলে হাতের কিল ঘষিতে এই শ্রাবনের কিচ্ছু হবে না চাঁদপাখি। তাই ছটফট না করে চুপ করে চোখটা বন্ধ করে আমার গলা জরিয়ে ধরো। সন্ধ্যা হয়ে আসছে আমাদের সন্ধ্যার আগে চলে যেতে হবে নিরাপদ জায়গায়।
শ্রাবনের কথা শুনে চোখটাকে আরো বড় বড় করে চাঁদনী বলল
— নিরাপদ জায়গায় যেতে হবে মানে এখানে কি নিরাপদ না আর তাছাড়া কোথায় নিয়ে যাবেন আপনি আমাকে? প্লিজ বলুন না শ্রাবন, কোথায় যাচ্ছি আমরা?
চাঁদনী কথা শুনে ধমক দিয়ে শ্রাবন বলল
— এই মেয়ে এত কথা বলো কেন তুমি বাঁচালেন মতো? তোমাকে বলছি না চোখটা বন্ধ করো আর চুপচাপ থাকো। গেলেই জানতে পারবে কোথায় নিয়ে যাচ্ছি তোমায় আমি।আর তাছাড়া এমন তো নয় যে তুমি অন্য কারো সাথে যাচ্ছ। তুমি তোমার বরের সাথে যাচ্ছ। তাই বিশ্বাস থাকলে চুপ করে চোখটা বন্ধ করো। আর একটা কথা বলবে তো ধপ করে তোমায় কোল থেকে নিচে ফেলে দেবো বলে দিচ্ছি।
শ্রাবণের কথা শুনে ভয়ে ঢোক গিলল চাঁদনী। কারণ ও নিচের দিকে তাকিয়ে দেখলো এখন ও মাটি থেকে অনেকটাই উপরে আছে। এখান থেকে নিচে ফেলে দিলে নির্ঘাত কমোড়টা ভেঙে যাবে ওর। তাই আর কথা না বাড়িয়ে চোখ টাকে বন্ধ করে শ্রাবণের গলা জড়িয়ে ধরলো চাঁদনী। চাঁদনীর এমন ভয়ার্ত মুখ দেখে মুচকি হাসলো শ্রাবণ। তারপর চাঁদনীর কপালে একটা ছোট্ট করে চুমু দিয়ে দৌড়াতে লাগল চাঁদনী কে নিয়ে। অল্প কিছু সময়ের মাঝেই ওরা পৌঁছে গেল একটা নির্জন জায়গায়। তারপর চাঁদনীকে কোল থেকে নামিয়ে দিল শ্রাবন। আর বলল
— এখন তুমি চোখ খুলতে পারো আমার চাঁদ পাখি,,,,
চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,