লিখিত পরীক্ষা দিয়ে বিবাহ
৪র্থ পর্ব
—————————————————
একটু আগে বিয়ের সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে লিমাকে বিদায় দেওয়া হলো।না,শামীম ভাই যখন লিমাকে নিয়ে চলে গেলেন, তখন আমি কষ্ট পাইনি বা কান্না করিনি।তবে রিমা যথেষ্ট কান্না করেছে।ওর মতো হাসি-খুশি একটা মেয়ে যে, এভাবে বাচ্চাদের মতো কাঁদবে,সেটা আমি বুঝতে পারিনি।
গত পাঁচদিন,দিনের একটা লম্বা সময় আমি রিমার সাথে সাথে থেকেছি।খুব কাছ থেকেই মেয়েটির পাগলামি দেখেছি।খুবই অসাধারণ একটি মেয়ে। যার মধ্যে রয়েছে মানুষের প্রতি মমত্ববোধ, শ্রদ্ধাবোধ আর ভালোবাসা।
আমি বিদায় নেওয়ার জন্য রিমার কাছে গেলাম।ও চোখ মুছে আমার দিকে তাকাল।আমি স্মিত হেসে বললাম,
-তো রিমা ম্যাডাম,আমার পাঁচ দিনের পরীক্ষা তো শেষ।এখন কি আমি যেতে পারি ?
আমাকে অবাক করে দিয়ে রিমা বলল,
-আমি কি আপনাকে একটা হাগ করতে পারি ?
বলেই আমি কিছু বুঝে উঠার আগেই রিমা আমাকে জড়িয়ে ধরল।তারপর শক্ত করে ধরে, হু হু করে ডুকরে কেঁদে উঠল।আমি মূর্তির মতো শক্ত হয়ে রইলাম।আমার এখন কি করা উচিত বুঝতে পারছি না।আমারও কি ওকে জড়িয়ে ধরা উচিত ? আসলে আমার মা আর বোনের বাইরে এই প্রথম কোনো মেয়ে আমাকে হাগ করল।আবেগের ঝড় উঠলো মনে।যে ঝড়ে চোখ দুটো ভিজে উঠল।রিমা কিভাবে টের পেল জানিনা,ও আমাকে ছেড়ে দিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করল,
-মাইগড, আপনিও আমার মতো লিমা আপার জন্য কাঁদছেন ? বলেছিলাম না,আপনি ঠিকই কষ্ট পাবেন।দেখলেন আপনার ধারণা ভুল।আপনি আসলে গন্ডার না।
একবার মনে হলো বলি, আমি লিমার জন্য কাঁদছি না।তুমি কাঁদছ বলে,আমিও কাঁদছি।কিন্তু কথাটা শুনতে বেশি বেশি ন্যাকামো মনে হতে পারে,তাই বললাম না।
রিমার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বাসায় আসার পর রিমার একটা ইংরেজি টেক্সট মেসেজ পেলাম।রিমার জন্ম,বেড়ে ওঠা আমেরিকায়।সে বাংলা বলতে পারলেও,বাংলা লিখতে ও পড়তে পারে না।
“আগামীকাল আমি শামীম ভাই এবং উনার বাবা-মার সাথে, আপনার আর পিয়ার বিয়ে নিয়ে আলোচনা করব।দোওয়া করবেন,যেন ঘটক হিসেবে জীবনের একমাত্র কেসে সাকসেসফুল হতে পারি।”
আমি ভেবেছিলাম রিমা হয়ত, পিয়াকে এবং আমাকে নিয়ে মজা করছে।কিন্তু রিমার এই মেসেজ পড়ে বুঝলাম বিষয়টি আর মজার পর্যায়ে নেই।না এটাকে আর বাড়তে দেওয়া যায় না।এই সমস্যার একটা সমাধান দরকার।আমি দুলাভাই আর আপাকে নিয়ে আমার রুমে জরুরি বৈঠকে বসলাম।যদিও জানি দুলাভাই এর কাছে থেকে আমার সমস্যার সঠিক সমাধান পাবো না।তবুও বসলাম, যদি অপ্রত্যাশিতভাবে ভালো কোনো সমাধান পাওয়া যায়,সে আশায়।
দুলাভাই কাগজ কলম নিয়ে বসলেন।তিনি আমার সমস্যাগুলো শুনলেন এবং কাগজে কিছু নোট টুকলেন।আমার বক্তব্য শেষ হবার পর দুলাভাই বললেন,
-তোমার সমস্যা তো অনেক জটিল সমস্যা।তবে ডোন্ট ওয়ারি।তুমি সমস্যা সমাধানের জন্য উপযুক্ত লোকের কাছেই এসেছ।
দুলাভাই এবার আপার দিকে তাকিয়ে বললেন,
-বাসায় কি কলা আছে ? না থাকলে ব্যবস্থা কর। কারণ কলা ছাড়া কাজ হবে না।
আপা কলা আনতে চলে গেলেন।আমি অবাক হয়ে বললাম,
-দুলাভাই আমার সমস্যার সমাধান কি কলার মাধ্যমে করবেন ? আপনি কি আমাকে কলা পড়া দেবেন ?
দুলাভাই আমার কথার কোনো উত্তর দিলেন না।উনি এখন গভীর চিন্তায় মগ্ন।এ মুহূর্তে দুলাভাই এর চেহারা দেখলে যে কারোরই মনে হবে এই লোক দুনিয়ার সবচেয়ে বড় চিন্তাবিদ।আপা কলা নিয়ে রুমে ঢুকলেন।দুলাভাই আপার হাত থেকে কলা নিয়ে,ছিলে খাওয়া শুরু করলেন।আমি অবাক হয়ে দুলাভাইকে বললাম,
-দুলাভাই,আমি তো আরও ভাবলাম,কলা পড়া দিয়ে আপনি আমার সমস্যার সমাধান করবেন।অথচ এখন দেখছি আপনি নিজেই,কলা ছিলে খাওয়া শুরু করেছেন !
-কলা দিয়ে আবার কি করব ? আমি কি কবিরাজ ? আসলে হঠাৎ করে কলা খেতে ইচ্ছে হলো,তাই।আচ্ছা তোমাকে একটা প্রশ্ন করি, তুমি কাকে পছন্দ করো ? রিমাকে নাকি পিয়াকে ?
-দুজনকেই।
-ইমু তোমার তো চরিত্রে আসলেই সমস্যা আছে।
-দুলাভাই আপনি ভুল বুঝছেন।আমি পছন্দ বলতে অন্য কিছু মিন করিনি। রিমার সাথে গত পাঁচ-ছয় দিন কথা বলার পর বুঝলাম ও অসাধারণ ভালো এবং প্রাণ উচ্ছল একটা মেয়ে।আর পিয়া মেয়েটিও খুবই সহজ সরল একটা ভালো মেয়ে।তাই বললাম দুজনকেই পছন্দ করি।
দুলাভাই এবার কাগজে কলম দিয়ে হিজিবিজি কি সব আঁকাআঁকি করলেন। কিছু হিসাব করলেন। তারপর বললেন,
-আচ্ছা রিমা কি তোমাকে বলেছে,সে তোমাকে পছন্দ করে ?
-না তা বলেনি।আসলে ওকে নিয়ে আমি কিছুটা কনফিউজড। মাঝে মাঝে মেয়েটির আচরণ দেখে মনে হয় মেয়েটি আমাকে পছন্দ করে।আবার পরক্ষণেই দেখি সে পিয়াকে বিভিন্ন অজুহাতে আমার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।আমি আসলে শিওর না, সে কি চায়।
-তুমি ওকে সরাসরি জিজ্ঞেস করলেই তো পারো।
-সেটা সম্ভব না।কারণ আমি ওকে নিয়ে যা ভাবছি,হয়ত ওর মনে ঐসবের কিছুই নেই।সেক্ষেত্রে এ ধরণের কথা বলতে গেলে,দুজনেই বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে যাব।একটা মেয়ে একটা ছেলের সাথে ফ্রি ভাবে মিশলেই,সেটাকে প্রেম ভাবাটা আসলেই অন্যায়।
-তুমি কি পিয়া কে বিয়ে করতে চাও ?
-না।
-তাহলে পিয়াকে সে কথাটা বলে দাও।
-সেটাও সম্ভব না।রিমার ফাজলামির কারণে,পিয়া অলরেডি আমাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখা শুরু করেছে। আমার পক্ষে এমন ভালো মনের একজন মানুষের স্বপ্ন ভেঙে কষ্ট দেওয়া সম্ভব না।
দুলাভাই কি জানি একটু চিন্তা করলেন,তারপর কাগজে আবার হিজিবিজি কিছু আঁকলেন।একটু হিসেব করলেন।তারপর বললেন,
-এক কাজ করো তুমি দুইজনকেই বিয়ে করে ফেলো ।
এই সময় আপা ভুরু কুঁচকে দুলাভাইকে বললেন,
-দুইটা কলা খেয়ে, এতক্ষণ কাগজে এতো কিছু নোট লিখে, এত গবেষণা করে, এত হিসাব-নিকাশ করে,তুমি ওরে দুই বিয়ার কুবুদ্ধি দিচ্ছো ? এই কুবুদ্ধি দিতে কি এত গবেষণা করতে হয় ? আচ্ছা বলতে পারো,তুমি সব সময় মানুষকে কুবুদ্ধি দাও কেন ?
-এটা কুবুদ্ধি হবে কেন ? ইমু যখন দুজনকেই ভালোবাসে…..
-ওকি তোমাকে বলেছে ও দুজনকেই ভালোবাসে ? শোনো,তুমি উঠো, তোমাকে আর বুদ্ধি দিতে হবে না।এটার যোগ্য তুমি না।
আপা দুলাভাইকে এক প্রকার জোর করে,রুম থেকে বের করে নিয়ে চলে গেলেন।
পরেরদিন বিকেলে রিমার ফোন পেলাম। ফোনে রিমা অনেকক্ষণ কাঁদল।রিমার কান্না শুনে খারাপ লাগলেও,রিমার কান্নার কারণটি জেনে মনে আনন্দ পেলাম।ঘটনা হলো,পিয়ার বাবা-মা পিয়ার সাথে আমার বিবাহের ব্যাপারে অসম্মতি জানিয়েছেন।কারণ তারা বলেছেন, তারা বেকার কোনো ছেলের সাথে,তাদের মেয়ের বিবাহ দেবেন না।আমি মনে মনে পিয়ার বাবা-মাকে ধন্যবাদ দিলাম।
দুই ঘন্টা পর রিমা আবারও ফোন দিল।এবারও কাঁদল।তবে এবারের কান্নাটা গতবারের কান্নার চেয়ে অনেক বেশি।আমি বারবার প্রশ্ন করার পরও, এবারের কান্নার কারণটা কি,সেটা সে আমাকে বলল না।
এরপর বেশ কিছুদিন চলে গেল,রিমার সাথে আমার কোনো যোগাযোগ নেই। আমি নিজে থেকে অনেকবার ফোন দিয়েছি,কিন্তু প্রত্যেকবারই ফোন বন্ধ পেয়েছি।ঠিক ছয়দিন পর হঠাৎ একদিন মাঝরাতে রিমার একটা টেক্সট মেসেজ পেলাম।
“আগামীকাল বেলা একটা চল্লিশে আমার ফ্লাইট। যদি পারেন একটু এয়ারপোর্টে আসবেন।”
পরেরদিন আমি এয়ারপোর্টের ওয়েটিং এরিয়ায় উপস্থিত হয়ে রিমাকে মেসেজ পাঠালাম,
“আমি ওয়েটিং এরিয়ায় বসে আছি।”
প্রায় ঘন্টা খানিক পর দেখলাম রিমা এবং পিয়ার দুই পরিবার এয়ারপোর্টে ঢুকছে।রিমা ঢুকেই আমাকে এদিক-ওদিক তাকিয়ে খুঁজতে লাগল।এক সময় রিমা আমাকে দেখতে পেয়ে এগিয়ে এলো।রিমার চেহারা দেখে,ওকে খুবই বিধ্বস্ত মনে হলো।সেই উচ্ছল মেয়েটির কোনো ছায়াই আমি ওর মাঝে খুঁজে পেলাম না।পাশের আসনে বসেই রিমা বলল,
-কেমন আছেন ?
-ভালো। আপনাকে এমন দেখাচ্ছে কেন ? এতদিন আপনার ফোন বন্ধ ছিলো কেন ?
রিমা বেশ কিছুক্ষণ চুপ করে থাকল। তারপর বলল,
-আপনাকে অনেক কথা বলার আছে।কিন্তু হাতে সময় নেই।বাবাকে অনেক অনুরোধ করে মাত্র দু-মিনিট পেয়েছি আপনার সাথে কথা বলার জন্য।
এরপর রিমা লুকিয়ে একটা খাম আমার হাতে দিয়ে বলল,
-এখানে সব কিছু লেখা আছে।এখন খুলবেন না। বাসায় গিয়ে পড়বেন।ভালো থাকবেন বলে রিমা উঠে দাঁড়াল।আমিও দাঁড়ালাম।রিমা ধীরে ধীরে চলে যেতে লাগল। কিছুদূর যেয়ে ঘাড় ঘুরিয়ে একবার তাকাল।তারপর একটা প্রাণহীন মিষ্টি হাসি দিয়ে ভিতরে ঢুকে গেল।
আমি রিমাকে বহনকারী প্লেনটি ফ্লাই না করা পর্যন্ত এয়ারপোর্টেই থাকলাম।বাসায় ফিরে রাত আটটার দিকে রিমার চিঠি নিয়ে বসলাম।
“ ইমু কেমন আছ ? সরি আমি বাংলা লিখতে পারি না,তাই পিয়াকে দিয়ে লেখাচ্ছি।আমি বলছি,পিয়া লিখছে।ইংলিশে লিখতে পারতাম,কিন্তু তুমি বলেছিলে,তুমি ইংরেজিতে একটু দূর্বল।
আবারও সরি, কারণ অনুমতি না নিয়ে তোমাকে তুমি করে বলছি।
আপুর জন্য পাত্র বাছাই করতে,আমেরিকায় বসে যেদিন প্রথম তোমার ছবি দেখেছিলাম।সেদিনই তোমার প্রেমে পড়েছিলাম। প্রথম দেখেই মনে হয়েছিল এই ছেলেটাকে আমি বহুকাল ধরেই চিনি।মনে হয়েছিল এই মানুষটা শুধুই আমার।তবে এ কথাটা কাউকে বলতে পারিনি,কারণ তোমাকে তখন পছন্দ করা হয়েছিল আপুর জন্য।
দেশে আসার পর,আমার স্টুপিড পরীক্ষার কারণে আপুর সাথে তোমার বিয়েটা ভেঙে গেল।যার কারণে তুমি অনেক অপমানিত হলে।নিজেকে অপরাধী মনে হলো।তাই চেয়েছিলাম পিয়ার মতো একটা ভালো মেয়েকে তোমার জীবনে নিয়ে আসতে।অনেক চেষ্টা করলাম, কিন্তু পিয়ার পরিবার রাজি হলো না।তখন মনে হলো বিধাতাই হয়ত চাচ্ছেন,তোমাকে আর আমাকে একসাথ করতে।যেদিন পিয়ার পরিবার তোমার আর পিয়ার ব্যাপারে না বলল, সেদিনই বাবা-মাকে বললাম,আমি তোমাকে বিয়ে করতে চাই।তারা রাজি হলেন না। প্রথম কারণ আমার লেখা-পড়া এখনো শেষ হয়নি। দ্বিতীয় কারণ,বাবা বললেন, যে ছেলেকে এক মেয়ের জন্য রিজেক্ট করলাম, তার কাছে কেন আমি অন্য মেয়েকে বিয়ে দেব ? অনেক কাঁদলাম , অনেক যুদ্ধ করলাম। কেউ রাজি হলো না।তোমাকে জানাব, সেটাও সম্ভব ছিলো না। বাবা আমার ফোন নিয়ে গিয়েছিলেন। বলতে পার আমি অনেকটা গৃহবন্দী।আমি আমার বাবা-মাকে সম্মান করি,তাই এর প্রতিবাদ করিনি।আমরা আরও কিছুদিন বাংলাদেশে থাকার কথা ছিল।কিন্তু বাবা আমার কারণে সবাইকে নিয়ে আগেই চলে যাচ্ছেন।লিমা আপা অবশ্য আরও কিছু দিন থাকবেন।
একবার ভেবেছিলাম বাসা থেকে পালাব। তারপর তোমাকে বিয়ে করব। কিন্তু তিনটি কারণে সেটি করিনি।১) আমার বয়স সতের বছর নয় মাস।আঠারো বছর হতে আরও তিন মাস বাকি।এই বয়সে পালিয়ে বিয়ে করলে, তুমি আইনগত ভাবে সমস্যায় পড়বে।২) আমার বাবা একরোখা মানুষ।আমি পালালে, সে তোমার এবং তোমার পরিবারের কাউকেই ছাড়বে না। ৩) এই তিন নম্বর কারণটাই সবচেয়ে বড় কারণ।আমি তো তোমাকে ভালোবাসি, কিন্তু আমি তো এখনও জানিনা তুমি আদৌ আমাকে ভালোবাস কিনা ? তুমি আমার ভালোবাসা বোঝ কিনা ? অবশ্য তুমি আমার ভালোবাসা না বোঝারই কথা।কারণ তুমি তো নিজেই বলেছ,তুমি গন্ডার। অনুভূতিহীন একজন মানুষ।
তুমি যখন এই চিঠি পড়ছ , তখন আমি তোমার থেকে অনেকদূরে, আকাশে প্লেনের ডানায় উড়ছি।তবে আমার মন পড়ে আছে তোমার মনের মাঝে।তুমি কি তা টের পাচ্ছ ?
তোমাকে যে বলব আমার জন্য অপেক্ষায় থেকো,সেটাও বলতে পারছি না।কারণ আমি এখনও জানিনা, তুমি আমাকে ভালোবাস কিনা ?
একটা কাজ করো। তুমি যদি আমাকে ভালোবাস,এবং তা যদি এখনই আমাকে জানাতে চাও,তাহলে তোমার বাসার ছাদে চলে যাও।তারপর আকাশের দিকে তাকিয়ে চিৎকার করে বলো, রিমা আমি তোমাকে ভালোবাসি।আমি প্লেনের জানালায় কান পেতে আছি।তুমি বললে,আমি ঠিকই শুনতে পাবো।
ইতি
রিমা।”
রিমার কথা মতো আমি ছাদে গেলাম না। কারণ গিয়ে লাভ নেই।বাড়ির মালিক ছাদে যাওয়ার দরজায় সব সময় তালা দিয়ে রাখেন।
এখন রাত প্রায় বারোটা।জানালা দিয়ে বাইরে তাকালাম,দেখলাম জোছনার আলোতে পুরোটা শহর ভেসে যাচ্ছে।কাউকে কিছু না বলে চুপি চুপি বাসা থেকে বের হয়ে পড়লাম।ঠিক করলাম,এখন রমনা পার্কে যাব।তারপর দুলাভাই এর দাদার মতো জোছনায় গোছল করব।এরপর ভেজা শরীরে আকাশের দিকে তাকিয়ে চিৎকার করে বলব, রিমা আমি তোমাকে ভালোবাসি।দেখি বিচ্ছু মেয়েটি আসলেই আমার কথা শুনতে পায় কিনা।
শেষ