- দুঃখ নিয়ে স্ট্যাটাস
- ভালোবাসার দুঃখের স্ট্যাটাস
- ভালোবাসার ইমোশনাল কবিতা
- ভালোবাসার কষ্টের কবিতা
- বুক ফাটা কষ্টের কবিতা।
1.দুঃখ নিয়ে স্ট্যাটাস
একা থাকতে শিখে গেছি এখন,
একাকীত্ব লাগে ভীষণ ভালো।
নেই কোন কারো জন্য অপেক্ষা,
নেই কোন অবহেলার যন্ত্রণা সহ্য করা।
বুঝে গেছি নিজের জন্য শুধু নিজেই,
কেউ কারো জন্য না।
সবাই শুধু সুযোগ সন্ন্যাসী হয়,
তারা মুখে বলে এক অন্তরে তাদের আরেক।
এখন নিজেকে নিয়েই ভাবে,
নিজের মাঝেই সুখ খুঁজি।
সুখ দুখ মিলিয়েই জীবন,
দুঃখ গুলোর আড়ালে লুকিয়ে থাকা সুখকে খুঁজে নিয়েছি।
ভাবনার রাজ্যে এখন নিজেকে সপে দিয়েছি,
অনেক তো ভাবলাম অন্যকে নিয়ে,
এবার না হয় নিজেকে নিয়েই ভাবি,
নিজের মাঝেই নিজের অস্তিত্ব খুঁজি।
~~একা থাকতে শিখে গেছি ~~
_____শ্রাবণী
2.ভালোবাসার দুঃখের স্ট্যাটাস
দু:খের দহন
—-++—-
তুমি আমারে দু:খ দাও ক্যান এতো!
দেখোনা আমার মুখের উপরে পোড়া দাগ
ছোপ ছোপ কালা কালা- তোমার পথ পানে চাইয়া থাকার সাক্ষী দ্যায় অবিরত।
চাইয়া দ্যাখো বুকের পাঁজর খুইল্যা-
হৃৎপিন্ডটা আইজো টকটকা লাল,
শিরায় শিরায় রক্তের নাচন এলোমেলো,
মরার আগেও মাথা তুইল্যা দাঁড়াইবার চায়-
আহত সৈনিকের হাতে থাকা মানচিত্রের মতো।
তুমি আমারে দু:খ দাও ক্যান এতো!
এম্নিতেই আমার বুক জুইড়্যা বড় বড় গর্ত,
ফোঁস ফাঁস কইরা গর্জন ছাড়ে জাতি সাপের ফনার মতোন , মন্ত্র না জাইন্যা কাছে আসলেই এক ছোবলেই পান করামু বিষের পেয়ালা-
সাপুড়ে বীণ বাজাইতে পারো না বুঝি?
-বীণের নাচুনেই হয় আমার মাথা নত।
যাও-বীণের ছবক শিখা কাছে আইসো,
যৈবন লাগা কিশোরের মতো।
তুমি আমারে দু:খ দাও ক্যন এতো!
তুমি তো জানো না- তোমার পথের দিকে চাইয়া থাকতে থাকতে চোখের সাগর শুকাইয়া গেছে মরুভূমির মতো।
একফোঁটা জল ও গড়াইয়া পড়ে না আর! রুক্ষতায়,জীর্ণতায় উদাস চোখ তুইল্যা চাইয়া থাকি পাখির নীড়ের মতো।
তুমি আমারে আর দু:খ দিও না এতো!
তোমার দেয়া দু:খে বুকটা ভীষণ অন্ধকার!
শুধুই ছোপ ছোপ কালা কালা রক্ত- আহত সৈনিকের ছেড়া মানচিত্রের মতো!
তুমি আমারে দু:খ দাও ক্যান এতো!
3.ভালোবাসার ইমোশনাল কবিতা
বিনিময়
—-++—-
আমি কিছু সুখ বিকিয়ে দু:খ কিনতে চাই,
সুখের মাঝেই থাকি আমি সুখের মাঝেই খাই,
ঘুমাই আমি সুখের ঘরে রঙ্গীলা গান গাই
এটাই আমার স্বভাব, আমার দুখের বড় অভাব।
আমার রাজ্যের প্রজাপতি, ঘাস ফড়িংএর দল,
ঘুংগুর পড়ে বৃষ্টি নামায় মেঘ সখীদের চল্!
অচিন দেশের রাজা আমি আমিই হলাম নবাব,আমার দুখের বড় অভাব।
আকাশ নীলে ভেসে বেড়াই রঙিন ডানার পাখি
ইচ্ছে হলেই বৃষ্টি ঝড়াই , শ্রাবণ ধারায় মাতি
আকাশের ঐ রংধনুটা আমার খেলার সাথী
গোত্তা খাওয়া ঘুড়ির মতো উড়াই আমার স্বভাব,আমার দু:খের বড় অভাব।
সাগর জলে নেমেই আমি ডুব সাঁতারে মাতি
ইচ্ছে হলেই ছুঁড়ে ফেলি হীরা, পান্না, মতি।
ইচ্ছে হলেই ঝিনুক খুলে মুক্তো নিয়ে আসি
রঙ্গীলা এক নায়ে চড়ে সাগর জলে ভাসি।
সুখ গুলো সব খুবই আপন, সুখেই থাকা স্বভাব,আমার দু:খের বড় অভাব!
আমি কিছু সুখ বিকিয়ে দু:খ কিনতে চাই
দু:খেরা সব পালিয়ে বোড়ায়, ধরতে গেলে নাই।
তাইতো আমি সুখেই আছি সাত রঙা এক নায়
সুখের ভীড়েই দু:খেরা সব রঙ্গীলা গান গায়।
হাসি- খুশি মানুষ আমি, এটাই আমার স্বভাব,আমার দু:খের বড় অভাব।
4. ভালোবাসার কষ্টের কবিতা
দু:খ নয় কষ্ট দিও
– আবুল হাসনাৎ মিল্টন
আমাকে তুমি দু:খ দিও না কষ্ট দিও!
দু:খের মত ক্ষণস্থায়ী অগভীর কোন বোধ
তোমার প্রস্থানের সাথে বড় বেমানান।
তোমার অনুপস্থিতে তোমাকে আরো বেশী করে
মেধা ও মননে আমি লালন করতে চাই
তোমার স্মৃতিকে আমি ধূসর হতে দেবো না।
ভরা পূর্ণিমায় গাছের ফাঁকে দৃশ্যমান চাঁদ জানে
কতটা ব্যথায় আমি কাতর হয়ে থাকি
কতটা বেদনায় আমার ঠোঁটে লেগে থাকে
তরলের দাগ, তবু আমি নীল হতে ভালবাসি
প্রগাঢ় দহনে আমি শুদ্ধ করে নেই আমার প্রেম।
তোমার জন্য আমি প্রবাসের ক্যানভাসে এঁকেছি
নির্বাসনের বিশাল তৈলচিত্র, বড় বড় ঢেউয়ের ডগায়
সেই ইতিহাস লেখা আছে স্বচ্ছ জলের অক্ষরে।
সমুদ্রসৈকতে চুপিচুপি স্বেচ্ছায় তুমি ফেলে গিয়েছিল
চুলের ক্লিপ, আমি আজো তা খুঁজে ফিরি রোজ।
আমার উঠোনে জমে থাকা স্তূপাকার হাহাকারে
দু:খের মত সাদামাটা মামুলি কোন বোধ নয়-
আমাকে তুমি কষ্ট দাও কষ্ট দাও কষ্ট দাও।
দু:খ নয় আমাকে তুমি কষ্ট দিও।
5.বুক ফাটা কষ্টের কবিতা
দু:খ তুমি পুড়িয়ে যাও
“”””””'””””””””””””””””””””””””'”””””
দু:খ, তুমি কতবার যে এসেছো!
কিন্তু একবারও কোন পূর্বাভাস দিয়ে নয়,
কখনও তোমাকে বরণ করার প্রস্তুতি ছিলো না,
ছিলো না কোন বিশেষ সিন্দুক
যেখানে তোমাকে যত্নে পুরে রাখা যায়,
ছিলো না কোন চটের বস্তাও
যাতে পুরে অবজ্ঞাভরে ফেলে রাখা যায়।
উঁচু দরের(!) মানুষ হতে পেয়েছি,
নিচু দরের (!) মানুষ হতে পেয়েছি,
প্রিয় মানুষ হতে পেয়েছি,
অপ্রিয় মানুষ হতে পেয়েছি,
মানুষ হতেই বেশি পেয়েছি!
এক আত্মা ছাড়া রাখার মত আর কিছুই ছিলো না বলে-
অনিচ্ছা সত্ত্বেও যদি কাউকে দিয়েছি তা
আবার ফিরিয়ে নেয়ার চেষ্টা ছিলো,
না পারলে অন্তত ফিরিয়ে নেয়ার আকাঙখা ছিলো!
আমার যত অর্জিত দু:খ আছে
কিংবা আমার ওপর আরপিত-
খুব আত্মবিশ্বাস নিয়ে লড়তে জানি তার বিরুদ্ধে,
কিন্তু খুব কমই লড়েছি,
কারণ-তাতে শুধু যুদ্ধই বাড়ে,
হৃদপিন্ডের সংকোচন-প্রসারণ বাড়ে,
সুখ- স্মৃতি যে নেই, তা বলছি নে
তবে ‘দু:খ’রাই মনে গেঁথে যায়।
চেয়েছি কোন এক শ্রাবন বিকেলে –
মেঘের সাথে উড়িয়ে দিতে,
তারপর কত শ্রাবন গেল ! ওড়াইনি;
কারণ হিসেবে একদিন জানলাম –
‘দু:খ’রাই আমাকে ভালোবাসে,
দু:খের বর্তমানেই নিজেকে যতটুকু চিনতে পারি,
‘দু:খ’রাই ভালোবেসে প্রতিনিয়ত পোড়ায়,
পুড়িয়ে পুড়িয়ে যে চিতাভস্ম রেখে যায়,
সেই তো আমার বিশুদ্ধ জীবন।
তাই বলি-দু:খ, তুমি পুড়িয়ে যাও।
কলমে-মামুন তালুকদার