- ক্লান্তি নিয়ে কবিতা।
- ক্লান্ত জীবন কবিতা।
- যান্ত্রিক জীবন কবিতা।
- ক্লান্ত বিকেলের কবিতা।
- ক্লান্তি নিয়ে উক্তি।
- ক্লান্তি শেষে কবিতা।
১.ক্লান্তি নিয়ে কবিতা
ক্লান্ত ঘুম ঘুম চোখে
জানালার গ্রিলে হাত রেখে,
কেউ কেউ নিঃসঙ্গ আকাশটা দেখে!
কেউবা ঘুমিয়ে যায় সুখে
একরাশ অদেখা হাসি নিয়ে মুখে,
চুপিসারে স্বপ্ন উঁকি দেয় তাদের চোখে!
জোনাকির জ্বলজ্বলে আলো
আলো-ছায়ায় তোমার আঁখি টলমলো,
প্রশ্ন করো নিজেকে কতটা আছো ভালো!
তুমি ভাবছো বলো কাকে?
হয়তোবা মনে লুকিয়ে তাকে,
এড়িয়ে যাচ্ছো অনায়াসেই চাইছো যাকে!
মনের আর কিইবা দোষ
তোমার মস্তিষ্কে জমা স্মৃতি কোষ,
তাকিয়ে দেখ, মানেনি যে আজও পোষ!
তোমার অবুঝ মনটা দুরন্ত
উড়তে চায় শুধু পাখি হয়ে উড়ন্ত,
মন আর মস্তিষ্কের যুদ্ধে তুমি বড্ড ক্লান্ত!
“বড্ড ক্লান্ত”
©জান্নাতুল ফেরদৌস
২.ক্লান্ত জীবন কবিতা
— আমি দেখেছি তার দুচোঁখ জুড়ে
বিষাদের ক্লান্তি
আমি দেখেছি তার ভাব ভঙ্গিমা জুড়ে
ইচ্ছের বিরুদ্ধে চলার আহাজারি
– আমি দেখেছি তার হাসি জুড়ে লুকিয়ে
থাকা কষ্টের আর্তনাদ
আমি দেখেছি তার মধ্যে মানিয়ে নেওয়ার
মত বিশাল এক জলপ্রপাত
– এই সমস্ত কিছু ক্লান্তি বিষাদ কিংবা ক্লেদ
ছাপিয়ে সে আসুক
আমার ভালোবাসার ডাকে সে সাড়া দিয়ে
এই আমাতে আসুক
আমি ভুলিয়ে দেব আমার নিখাঁদ
ভালোবাসা দিয়ে তার সমস্ত বিষাদ ক্লান্তি,
ক্লেদ কিংবা অসুখ।
বিষাদী প্রেয়সী
© Mustak Uddin
৩.যান্ত্রিক জীবন কবিতা
চায়ের কাপ
___________নীল লতা।
আমি ধূয়া উড়া চায়ে ক্লান্তি ডুবিয়ে পান করি,,
সকাল সন্ধ্যা ক্লান্তি মুছি গরম চায়ের কাপে।
ব্যাস্ততা ধুয়ে নি জানালার কাঁচে লেগে থাকা বৃষ্টির কণায়।
হতাশাগুলো নির্বাক চাহনীতে ধরা দেয় উড়ে যাওয়া ধূয়ায়।
নিরাশার গন্ডি পেরিয়ে সতেজতার চুমুক কাপের কোণায়।
আফসোস লেগে থাকে বিষাদ ভারে কাপের অবশিষ্ট ফোটায়।
৪.ক্লান্ত বিকেলের কবিতা
দেহের মনের ক্লান্তি ভুলতে
তোমার কাছে যাওয়া,
হাজার মানুষ থাকলে পরেও
তোমায় বেছে নেয়া।
শত শত আঘাত পেলেও
ছুটে যাই তোমার আচল ছায়ায়,
ইচ্ছে করে জরিয়ে যেতে
তোমার প্রেমের মায়ায়।
একটুখানি শান্তির লোভে
তোমার পিছু ছাড়িনা কভু,
কত ভালোবাসি আমি
কেউ জানেনা জানে শুধু প্রভু।
সেই তুমি ই যদি ভুল বুঝ
করো একটু অবহেলা,
ইচ্ছে করে ভাসিয়ে দেই
নিজেই নিজের মরণ ভেলা!
সেই তুমি ই যদি
-মাহফুজ আহমেদ
৫.ক্লান্তি নিয়ে উক্তি
ক্লান্তি আমায় এবার মুক্তি দাও।
মরে আছি আজ বহুকাল,
মৃত্যুর আগে একটু বাঁচতে চাই।
নিঃশ্বাসের বিষ ঝেড়ে বুক ভরাতে চাই নির্মলতায়।
ক্লান্তি এবার মুক্তি দাও আমায়,
বেঁচে উঠি আরেকটা বার,
প্রাণের স্পন্দনে ফাটল ধরুক বিষণ্নতায়।
____আয়শা
৬.ক্লান্তি শেষে কবিতা
তোমাকে ভালোবেসে বুঝেছি—
ভালোবাসায় ক্লান্তি নেই
দ্বিপাক্ষিক অবহেলা নেই
অবজ্ঞা নেই, অপেক্ষা নেই
আপেক্ষ নেই, চিৎকার নেই
যুদ্ধের মত নিষ্ঠুরতা নেই।
তোমাকে ভালোবেসে বুঝেছি—
ভালোবাসা না পেলেও বুকের
পাথরগুলো বিপ্লবী হয় না
তৈরি হয় না যুদ্ধের ময়দান
বুকের আলমারিতেও আতর থাকে
চোখের মরুভূমিতেও অশ্রু জমে
রক্তগঙ্গার মাঝেও পদ্ম ফোটে।
তোমাকে ভালোবেসে বুঝেছি—
পৃথিবীর সব রেখাই সমান্তরাল
বিষুব-মকর বা কর্কটক্রান্তি;
রংহীন নেই কোনো ফুল
জবা, হাসনাহেনা কিংবা বেলি;
হৃদয়ের একটিই প্রকোষ্ঠ
কোনো ভাগ নেই— নিলয়-অলিন্দ।
তোমাকে ভালোবেসে বুঝেছি—
নারী মানেই একজন বনলতা সেন
প্রেমিক মানেই জীবনানন্দ;
একলা দুপুর মানেই উল্লাসী
আঁধার মানে এক বাঙালি কিশোরী।
তোমাকে ভালোবেসে বুঝেছি—
মানুষ কখনো একলা নয়
পাহাড়ের কোনো ক্ষয় নেই
পাড় ভাঙা নদীর বিন্দুমাত্র কষ্ট নেই
পক্ষান্তরে কোনো মানুষ ব্যর্থ নয়।
তোমাকে ভালোবেসে বুঝেছি—
আগ্নেয়গিরির কোনো ক্ষমতা নেই
অন্তত পুড়িয়ে সব ছাই করার;
সূর্যের খুব প্রখরতা নেই
স্মৃতি পুড়িয়ে অঙ্গার করার;
সমুদ্রের ঢেউয়ের মাঝে নেই
পৃথিবীর আর্তনাদ বা কান্নার শব্দ।
তোমাকে ভালোবেসে বুঝেছি—
বেঁচে থাকা একটি তীব্রতর স্বপ্ন
অর্ধেক আশা, অর্ধেক প্রতীক্ষা;
লাঞ্ছনা উপেক্ষা করে প্রেমে পড়া
তারপর মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাওয়া।
:
‘ভালোবেসে জেনেছি’
তনয় চক্কত্তি