এখানে পাচ্ছেন পদ্মজা উপন্যাস নিয়ে আঁকা কিছু পিক।
এই গল্পের অতিরিক্ত অংশ একদম নিচে দেয়া হলো।
অনেকে ফেইসবুকের গল্প এবং বইয়ে প্রকাশিত লেখাগুলোকে এক বলে ভুল করছেন। ফেইসবুকের থেকে বইয়ে লেখাটা অনেক উন্নত । পাশাপাশি কাহিনী ভিন্নতা -ও রয়েছে। যারা যারা বলছে যে একই লেখা তারা নির্দ্বিধায় ভুল।
pdf কখনো মূল বইয়ের বিকল্প হতে পারেনা। হার্ড কপি কিনুন, বই স্পর্শ করে পড়ুন। এতে বইয়ের প্রতি আপনার ভালোবাসা বাড়বে এবং নতুন নতুন বই পড়ার আগ্রহ তৈরি হবে।
ইলমা বেহরোজ এর নতুন গল্প
পদ্মজা উপন্যাস pdf download for free
সম্পূর্ণ গল্প pdf একসাথে
আমি পদ্মজা উপন্যাস pdf ১ম ও ২য় খন্ড
…………..
আমি পদ্মজা উপন্যাস pdf রিভিউ সহ
গল্প:আমি পদ্মজা।
চরিত্র:পদ্মজা
> রিমান্ডে কোনো পুরুষই টিকতে পারে না,সেখানে একটি মেয়ে আজ চার দিন ধরে রিমান্ডে। তাঁর সামনে চেয়ারে বাঁধা অবস্থায় ঝিমুচ্ছে। চার দিনে একবারও মুখ দিয়ে টু শব্দটি করল না। শারিরীক, মানসিক কত নির্যাতন করা হয়েছে তবুও ব্যথায় আর্তনাদ অবধি করেনি! মনে হচ্ছে, একটা পাথরকে পিটানো হচ্ছে। যে পাথরের রক্ত ঝড়ে কিন্তু জবান খুলে না।
> মেয়েটি চোখ তুলে তাকায়। ঘোলাটে চোখ। কাটা ঠোঁট থেকে রক্ত ঝরছে। চোখের চারপাশ গাঢ় কালো। চোখ দু’টি লাল। মুখের এমন রং রিমান্ডে আসা সব আসামীর হয়।
> তুষার মেয়েটির হাতের বাঁধন খুলে দিয়ে নির্বিকার ভঙ্গিতে প্রশ্ন ছুঁড়ল, ‘নাম কী?’………
>মেয়েটি ভারাক্রান্ত কণ্ঠে নিজের নাম উচ্চারণ করল, ‘পদ্ম…আমি…আমি পদ্মজা।’
আমি_পদ্মজা
ইলমা_বেহরোজ
পদ্মজা রিভিউ ২
লেখিকা: ইলমা বেহরোজ
প্রকাশনী : অন্যধারা
গতানুগতিক নারীবাদী লেখনী৷ নারীদের প্রতি সমাজের যে নেতিবাচক চিন্তাধারা তা ফুটে উঠেছে। যেমন ধরুন একটি মেয়ের সমাজে চলাফেরায় কে কি বলবে তা নিয়ে ভাবনা, ঘরের বউ যখন বন্ধ্যা হয় তাতে যে প্রভাব, মেয়েদের গায়ের রঙ কালো হলে যে অবজ্ঞার সৃষ্টি হয় এবং আরোও অনেক কিছুই৷ নারী নির্যাতন, ব্যাভিচারিতা ও নারী নিপীড়ন বিষয়গুলো উল্লেখযোগ্য।
নেতিবাচক: গল্পটি ৪৫০+ নাও হতে পারত অনেক জায়গায় এসে খেই হারিয়ে ফেলেছে, মাঝে মাঝে কিছু বিষয় অতিরঞ্জিত লেগেছে যেমন একজন নারীর অনায়াসে কাওকে খুন করে ফেলা এবং প্রমাণ মুছে ফেলা। এমন কি গল্পের প্রেক্ষাপটে একাগ্রতা নেই। মনে হচ্ছিল ভিন্ন গল্পে চলে এসেছি বার বার। যদি গল্পটি পদ্মজা ও তার শশুড় বাড়ির রহস্যময় কান্ডগুলোতে সীমাবদ্ধ থাকত তাহলেই যথেষ্ট ছিল।
শুধু মাত্র হেমলতাকে নিয়ে একটি আলাদা বই লেখা যেত। পাঠক ভালো লেখার পাশাপাশি মনোনিবেশ পছন্দ করে। এই বইটি অসমাপ্ত কারণ এটির ২য় খন্ড বের হবে। যে বিষয়টি আরেকটি নেতিবাচক দিক। এত প্রচার প্রচারণায় এই বিষয়টি উল্লেখ্য নেই। বড় বড় সব সিকুয়ালে উল্লেখ থাকে যে ১ম খন্ড বা ১ম পর্ব। যেমন নেমেসিস, ৩.০০ এ এম, সূর্যতামসী ও অন্যান্য।
ইতিবাচক: প্রশংসনীয় ও উল্লেখ্য যে ইদানিং লেখনী গুলোতে ধর্মীয় শ্রদ্ধাবোধ এমনকি উল্লেখ নাই বললেই চলে। যার সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম দেখা গেছে এই বইটিতে। আমাদের আধুনিক প্রজন্মের পাঠকদের প্রতি এটি ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। বিশেষ করে নারীদের। একজন নারীর বৈশিষ্ট্য কেমন হওয়া উচিত তার যথার্ততা ফুটে উঠেছে মূল চরিত্র পদ্মজার মধ্যে। এমনকি একটি মার কেমন হওয়া উচিত তাও নিপুণ ভাবে উল্লেখ আছে৷ হেমলতা কেন্দ্রীয় চরিত্র পদ্মজার মা নিজে একজন নারী মুক্তিযোদ্ধা এবং সমাজের অন্যায়ের প্রতি রুখে দাঁড়ানো যোদ্ধা এবং একজন আদর্শ মা।
সাবলীল ভাষা আর ইতিবাচক চেতনায় লেখার যে উদ্যোগ লেখিকা নিয়েছে তা আসলেই প্রশংসনীয়। আশা করি পরবর্তী পর্বটিতে অভিজ্ঞতার ছোয়া দেখব। লেখার আগ্রহের জয় হোক পাঠক সমাজ হক সমৃদ্ধ
#সুখপাঠ্য
সম্পূর্ণ গল্প অনলাইনে পড়ুন। এই গল্পের অতিরিক্ত অংশ সহ