সিঁড়ি দিয়ে উঠার সময় দেখলাম লম্বা চুলওয়ালা একটা মেয়ে উঠছে। পরনে একটা শার্ট আর প্যান্ট। হালকা পাতলা দেহের গড়ন। পিছন থেকে দেখতে ভালোই লাগছে! আশা করেছিলাম একবার ঘুরে তাকাবে, না, তাকাল না।
বাসায় গিয়ে মাকে জিজ্ঞেস করলাম, “নতুন ভাড়াটিয়া আসছে নাকি মা?”
“হ্যাঁ, তিনতলায় নতুন ভাড়াটিয়া এসেছে। “
তাই তো বলি আমাদের বাড়িতে এ বয়সের মেয়ে আসবে কোথা থেকে। যে কয়টা মেয়ে আছে হয় পিচ্চি না হলে বিবাহিত বড়ো আপা! যাক এতদিনে একজন পাওয়া গেল।
সকালে রাস্তায় বের হয়েছি দেখলাম আমাদের তিনতলার আংকেল একগাদা বাজার নিয়ে রিকশা থেকে নামছে। ভাবলাম এই তো সুযোগ বাজার তোলায় সাহায্য করে বাসায় যাওয়া যাবে। সুযোগে মেয়েটা কে দেখা হলো সাথে আংকেলের সাথে একটা ভালো সম্পর্ক হবে।
কাছে গিয়ে সালাম দিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, “কেমন আছেন আংকেল?”
“আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি বাবা। তা তুমি রহমত ভাইয়ের ছেলে না?”
“জি আংকেল।”
আমি বাজার ব্যাগ দুইটা ওনার হাত থেকে নিলাম। উনি অবশ্য দিতে চাচ্ছিলেন না।অনেক ভারি ব্যাগ! মনে হয় অনেক বাজার করেছেন।
দুইহাতে দুইটা ব্যাগ নিয়ে তিনতলা উঠে ঘামিয়ে গেছি।
আংকেল বললেন, “ভিতরে এসো বাবা এক কাপ চা খেয়ে যাও।”
ভিতরে গিয়ে সোফায় বসলাম। বড়ো চুলওয়ালী কে দেখতে পাচ্ছি না। কী করছে কে জানে? আন্টি চা নিয়ে এলেন।
আন্টি দেখতে বেশ সুন্দরী! মনে হয় মেয়েটাও সুন্দরী হবে? আঃ! কখন যে দেখব? ভিতরে উত্তেজনা কাজ করছে।
আন্টির সাথে বসে গল্প করছি। উনি আমার সম্পর্কে অনেক কিছু জিজ্ঞেস করলেন। আমিও খুব আগ্রহ নিয়ে সব প্রশ্নের জবাব দিচ্ছি আর আশেপাশে সুন্দরী কে খোঁজ করছি।
লম্বা চুলওয়ালী কে অবশেষে দেখলাম। হতভম্ব হয়ে চেয়ে আছি। কী যে রাগ লাগছে!
আন্টি বলছেন, “আমার ছেলে সোহান। ওর একটা ব্যান্ড দল আছে। “
® নাবিল মাহমুদ