- গভীর রাতের কষ্টের কবিতা হৃদয় পোড়ার গন্ধ
- গভীর রাতের কষ্টের কবিতা তুমি আমার প্রথম প্রেম
- গভীর রাতের কষ্টের কবিতা তোমাকে ঠিক বুঝি না
- গভীর রাতের কষ্টের কবিতা ক্রমাগত মৃত্যু হোক
- গভীর রাতের কষ্টের কবিতা যদি তুমি অন্যের হও
- গভীর রাতের কষ্টের কবিতা তোমাকে পেলে ফুরিয়ে যেত সব
1.গভীর রাতের কষ্টের কবিতা হৃদয় পোড়ার গন্ধ
কবিতা – হৃদয় পোড়ার গন্ধ
আমি সেই কবে থেকে বসে আছি, জানবো বলে —
কারুর হৃদয় আমার জন্য পোড়ে কি না!
শুঁকে বেড়াই গন্ধ —
একান্তই আমার জন্য পুড়ে উঠা
কোন হৃদয়ের গন্ধ আমি পাই না ;
অন্তর-দহনে ধোঁয়া ভেসে এসে
আমার নাসারন্ধ্র স্পর্শ করে না।
কোত্থাও কোন জ্বলে যাওয়া বুক নেই,
আমার জন্য ; গুমরে কাঁদা বুক।
অথচ — এই আমাকে ভালোবেসে
হিমালয় পাড়ি দিতে চেয়েছে কতশত হৃদয়
অসংখ্য জন চোখের মনিতে এঁকে গিয়েছে
সুখ-স্বপ্নের সচিত্র প্রতিবেদন।
জেনেছি ; বুঝেছি ; দেখেছি —
সময়ের দমকা হাওয়ায় উড়ে যেতে মুখোশ,
দুঃসময়ের বৃষ্টিতে ধুয়ে যেতে মিথ্যার সব রঙ।
আমার জন্য কারুর হৃদয়ে
সত্যিকারের প্রেম পাইনি ; পাইনি ভালোবাসা।
“প্রয়োজন” নামক বিশাল সমুদ্দুরের
নোনা জলে হাতড়ে গেছি
ভালোবাসার স্বাদু পানি ; দুর্লভ অন্বেষণ।
কোত্থাও এক মুঠো স্বাদু-পানি নেই,
হয় না তৃষ্ণা নিবারণ।
আশা’র সূর্য অস্তপানের দিকে ঢলে পড়ে —
তবুও আমি খুঁজে বেড়াই…
তীব্র একটা যন্ত্রণা সমেত
অন্তরাত্মা চিৎকার করে কেঁদে বলে
শুনছো — এই ধরাধামে কেউ কি নেই ;
কারুর হৃদয়ে কি আমি বাস করি না?
সেই কবে থেকে বসে আছি পোড়া হৃদয়ের গন্ধ
শুঁকবো বলে ; অপেক্ষা ফুরোয় না।
S.I ZITU
2.গভীর রাতের কষ্টের কবিতা তুমি আমার প্রথম প্রেম
কবিতা — তুমি আমার প্রথম প্রেম
তুমিই আমাকে শিখিয়েছো —
কিভাবে ছেড়ে যেতে হয় প্রিয়মুখ,
বুকের মেদে ভীষণ গোপনে
কিভাবে পুষতে হয় দুঃখ পাখি ;
কথা দিয়ে কথা না রাখার
সুনিপুণ কারুকাজ,
তুমিই আমাকে শিখিয়েছো,
তুমিই আমাকে শিখিয়েছো।
আজ আমি জেনে গেছি —
কেন মেঘের কান্না বৃষ্টি হয়ে যায়!
কেন নীল হয় আকাশের রঙ!
দীর্ঘ অপেক্ষা চোখে নিয়ে কেন রচনা হয়
“বসন্ত নয় অবহেলা “!
কেন একটা আস্ত সূর্য দাউদাউ করে জ্বলে উঠে
বক্ষঃস্থলে ঝুলে থাকা মহাশূন্যতাকে পোড়াতে থাকে!
হ্যাঁ, তুমিই আমাকে শিখিয়েছো ;
তুমিই আমাকে শিখিয়েছো।
শুধু শেখাওনি —
পুনরায় কিভাবে হৃদয় গড়তে হয় ;
কোন দাগ চিহ্ন ছাড়াই কিভাবে জোড়া লাগাতে হয়
ভেঙে যাওয়া স্বছ আয়না।
অবিশ্বাসের ভীষণ স্রোত আছড়ে পড়া তীরে
কিভাবে বিশ্বাস স্থাপন করতে হয়, শেখাওনি।
শেখাওনি — পুনরায় কিভাবে ভালোবাসতে হয়।
S.I ZITU
3.গভীর রাতের কষ্টের কবিতা তোমাকে ঠিক বুঝি না
কবিতা– তোমাকে ঠিক বুঝি না
তোমাকে ঠিক বুঝি না!
মূহুর্তেই তুমি আপন পরক্ষণেই অচেনা।
তোমাকে ঠিক বুঝি না!
তবুও
তোমার কাছে সময় থেমে থাকে ,
স্তব্ধতার বিনিময় বাড়ে
অতঃপর শীত শেষে উড়ে যাওয়া বুনো হংসীর মত দীর্ঘশ্বাস উড়ে যায়।
অনেক কথা, অনেক কিছু বলার থাকে ; বলা হয় না।
আমার রাজ্যে তুমি আলোর মত,
আগুনের দিন গিলে খাওয়া হিমযুগের মত।
ইচ্ছে করে এই স্থিরচিত্র বেঁধে রাখি।
হঠাৎ-ই উঠে দাঁড়াও, ঠিক এইমাত্র চলে যাও ;
আমি নির্বাসনে পড়ে থাকি।
তোমাকে যতটুকু পেয়েছি
পেয়েছি বন্ধ চোখে
হৃদয়ের গভীরে।
খোলা চোখে তুমি কেবল সংশয় গেঁথে গেছ,
এঁকে গেছ অপেক্ষা।
তোমাকে ঠিক বুঝি না।
মূহুর্তেই তুমি আপন পরক্ষণেই অচেনা।
তুমি যেন এক আঁজলা জল,
চুইয়ে পড়ো আঙ্গুলের সূক্ষ ফাঁকায়,
ধরে রাখার প্রবল চেষ্টাও ব্যর্থ হয়।
পরক্ষণেই তুমি নদী হয়ে ফেরো,
আমাকে ভাসিয়ে নিয়ে চলো —
পুরোনো ভুল, জলজ্যান্ত শোক, সব ; সব।
তোমাকে ঠিক বুঝি না!
S.I ZITU
4.গভীর রাতের কষ্টের কবিতা ক্রমাগত মৃত্যু হোক
কবিতা – ক্রমাগত মৃত্যু হোক
ঊনকোটি শতাব্দী কান্নার পরও
এই দহন চিৎকার,
এই আর্তনাদ,
তীব্র এই যন্ত্রণার ভয়ংকর ধ্বনি
তোমার কাছে পৌঁছেনি।
অথচ,
আমি আর কাঁদতে পারছি না।
আমার চোখে,
তার অদূর গভীরে,
মন, মস্তিষ্কে,
রক্তে, পাঁজরে
এক ফোঁটা কান্নার জল অবশিষ্ট নেই।
এখন ভেতরটায় তীব্র মরুঞ্চল,
হৃৎপিণ্ডের ধমনিতে তপ্ত বালুর ঝড়।
নিজের ভেতর নিজেকে হাতড়ে বেড়াচ্ছি,
জল নেই, সান্ত্বনা নেই ।
তবুও কান্নার শরীর ফেটে বেড়িয়ে আসছে কান্না,
পূনরায় কান্নার প্রসব যন্ত্রণায়
ভূমিষ্ঠ হচ্ছে কান্না।
ঠিক যেনো
ভিসুভিয়াস ;
গলিত আগুন, লাভা।
তোমার কাছে যেতে যেতে,
আমি ভুলেছি মানুষ।
অদ্ভুত অঙ্কের যবনিকা।
এখন এখানটায় —
শূন্যতার সর্বস্ব, একাকীত্বের দূরত্ব।
ভুল নাম, ভুল প্রেম।
স্তম্ভিত বিমূঢ় বসে থাকা।
তুমি ছেড়ে গেছ ;
দিয়ে গেছ
অযুত কান্নার রাত,
ম্রিয়মান অপেক্ষা।
প্রতিক্ষা ফুরাক।
আমাদের আর দেখা না হোক ;
কথা না হোক।
বুকে জাগুক শোক।
আমার বেঁচে থাকার তাগিদে
এবার তোমার
—-ক্রমাগত মৃত্যু হোক।
S.I ZITU