- মেয়ে পটানো দুষ্টু মিষ্টি প্রেমের ছন্দ
- ভালোবাসার মেসেজ
- দুষ্টু মিষ্টি ঝগড়া
- ভালোবাসার মিষ্টি কথা
- ইমোশনাল লাভ মেসেজ
১.মেয়ে পটানো দুষ্টু মিষ্টি প্রেমের ছন্দ
Protected: হুমায়ূন আহমেদ এর ২৬৫ টি বইয়ের পিডিএফ লিংক
আমি রাতের কাছে তৃপ্তির ঘুম
বিক্রি করে তোমার সাথে অবিরত চ্যাট করি,
চন্দ্রনাভি অথবা ওড়না বিহীন সুডৌল একটি ছবি
দেখার জন্য অনুরোধের আসর বসিয়ে রিকুয়েষ্ট করে যাই মিনিট থেকে ঘন্টা।
প্রতিটা বর্ণ তখন টাইপ করি সিক্সটি হর্স স্পিডে।
পাপ বাড়াতে,সেই সব নোংরা দাবীতে আমার বৃদ্ধাঙ্গুলি আর মেহেদীর “অভ্র” হয়ে উঠে বিভৎস।
.
আজকাল ইনবক্সে রমণীরা কেবলই প্রয়োজনের তাগিদ,চোখের খোরাক।
.
মেসেজ এসেও যেন আসছে না।
থ্রি ডট ভাসছে আবার ডুবছে। এই বুঝি ওপাশ থেকে সে কাঙ্ক্ষিত ছবি পাঠালো। নেট জ্যামের কারণে দেরি হচ্ছে।
কত কি ভাবনা,কত রকমের অস্থিরতা।
এই সব অপেক্ষার সময় রাত জাগা নিয়ে পাশের রুম থেকে ভেসে আসা “মায়ের উপদেশ” কানে বিরক্ত লাগে।
.
ইনবক্সে মেসেজ প্রাপ্তির সাউন্ড আমাকে এক ধরনের এনার্জি দেয়,মুহুর্তেই আমি যেন জেগে উঠি।
মনেই থাকেনা আমার আরও ঘন্টা খানেক আগে ক্ষুদা লেগেছিল।
.
একটা সময়,চতুর্থ মৌলিক চাহিদা পূর্ণ হলে,ঘুমাই যাও সোনা,ময়না বলে সুদীর্ঘ চ্যাটিং এর ইতি টানি।
.
মস্তিষ্কের বিকৃতমনা অর্গান গুলোর
অর্গাজম শেষে
ফজরেই চোখে নামে যত বিভোর ঘুম……
আর শুনেও শুনিনা মধু কন্ঠের,
আসসালাতু খাইরুম মিনান নাউম……
.
ইনবক্স
“””””””””””””””””””” সামিউল হক মিঠু
মুক্তাগাছা,ময়মনসিংহ
…………………………
…………………………….
মাঝরাতে দুঃস্বপ্নে ঘুম ভেঙে গেলে
হুটহাট তোমায় কল দিয়ে বলি, “এই আমার ভয় করছে, আমার সাথে কথা বল।”
তুমি ঘুম জড়ানো কন্ঠে দুচারটা কথা বলে বলে বারবার থেমে যাও, তবু ফোন ছাড়ো নি কখনো।
আমি সারারাত তোমার ঘুমন্ত শ্বাসপ্রশ্বাস শুনি।
মধ্যরাত্রে জাগিয়ে দেবার মত আমার তুমি ছাড়া আর কেউ নেই।
মেঘ ডাকলেই হুট করে বলি, “এই এখন ট্রেনে ওঠো, একান্ত তোমাকে নিয়ে সবুজ ঘাস মাড়িয়ে চলে যাবো রাজহাঁসেদের দেশে।”
তুমি হাতের কাজ এক ঝটকায় ফেলে উঠে পড় ঠিক পরের ট্রেনেই।
এমন হুটহাট ডেকে আনবার মত আমার তুমি ছাড়া কেউ নেই।
আমি নিতান্তই একা এবং নিঃসঙ্গ হতে পারতাম।
এক তুমিই আমার জীবনের এপার ওপার ছাপিয়ে গেলে বহতা নদীর মত,
স্বচ্ছ জলের মত শান্ত, সৌম্য তুমিই
আমার সকাল, দুপুর, গোধূলি হয়ে রাত গড়ালে।
মূলত এই নিরাশ্রয়া হৃদয় কখনো তুমি ছাড়া কোনো আশ্রয় খুঁজে পায় নি।
তোমার সঙ্গিন মুখশ্রীর প্রত্যেক ভাঁজে যে মায়ার আধার,
সেই মায়া ভিন্ন আমার আর কিছুই নেই।
মূলত আমার তুমি ছাড়া আর কেউ নেই।
এই ধূসর পৃথিবীতে তুমি ছাড়া আমার কোনো রঙ নেই।
নিজেকে দেখবার মত তুমি ছাড়া কোনো আয়না নেই।
দুঃসহ যন্ত্রণায় মাথা গুঁজবার মত আমার তুমি ছাড়া কোনো কাঁধ নেই।
নিজেকে বিলীন করে কারো অস্তিত্বে মিশে যাবার মত আমার তুমি ছাড়া কোনো নির্ভরতা নেই।
এই অবিশ্বাসের পৃথিবীতে তুমি ছাড়া আমার আর কোনো বিশ্বস্ততা নেই।
একসাথে বাঁচবার মত আমার তুমি ছাড়া আর কেউ নেই, কেউ নেই।
© জান্নাতুন নুর দিশা
২.ভালোবাসার মেসেজ
কবিতা,
তুমি আমার কাছে কেবলই কিছু শব্দমালা না,
তুমি আমার কাছে একটা নীল খাম-
যার ভেতরে আমার সবটা হতাশা, ক্লান্তি আর যতো মন খারাপ-
সবটাই আমি জমা করি নির্ভার হয়ে।
কবিতা,
তুমি আমার কাছে শুধুই কিছু শব্দে সাজানো পঙক্তিমালা না,
সবটুকু শুদ্ধ অনুভূতি বিনষ্ট হয়ে যাওয়ার পরেও
যেটুকু শুদ্ধতম আবেগ মনের কোণের কোথাও এখনো পরে রয়,এখনো আমায় বাঁচিয়ে যায়,
সেই শুদ্ধতম আবেগটুকুই আমার কাছে আমার কবিতা।
___©বুশরা হাবিবা
3.দুষ্টু মিষ্টি ঝগড়া
__কথোপকথন__
– ওই শোন, রাগ কমলো?
~ বলবে কিছু, বলতে পারো।
– এত জেদী, অভিমানী!
~ বরাবরই, জানতে না বুঝি?
– এমন কেনো বলতো তুমি?
~ অসহ্য লাগছে যাও তো তুমি?
– ভীষণ চাপা, রোবট তুমি?
~ চুপ, কথা বলতে বারণ করছি।
– অপরাধ কি জানতে পারি?
~ তোমার সাথে আমার আড়ি!
– হায়রে! তুমি এত হারামি।
~ বন্ধ করো জারি-জুরি।
– কেনো তোমার মুখটি ভারী?
~ কথা নাই আর কারো সাথে।
– থাকবেনা তো আমার সাথে।
~ তাড়া ছিলো, যেতে হবে।
– কিসের তাড়া, আমার বেলা?
~ নিছক কেনো করছো অবেলা!
– তুমি-ই আমার সারাবেলা।
~ থাকো তাহলে, আসছি আমি।
– যাবা না কিন্তু বারণ করছি।
~ শুনবো কেনো তোমার বারণ?
– অধিকার আছে যে করতে বারণ!
~ ভুল করেছি অধিকার দিয়ে।
– মাশুল তোমায় গুনতেই হবে!
~ যাও তো সরে সামনে থেকে।
– একটু পরেই খুঁজবে নাতো?
~ বয়েই গেছে খুঁজতে কাউকে!
– রাগলে তোমায় দারুন লাগে!
~ গোলবে না মন রসালো কথায়।
– অনেক মন্ত্র আমার জানা!
~ আমার সীমানায় আসতে মানা।
– সীমানা আমার রেজিস্ট্রি করা।
~ খারাপ হবে আসলে কাছে!
– দূরে থাকলে মানতে পারবে?
~ আমিই যাবো অনেক দূরে।
– জানি পথ হারিয়ে আসবে ফিরে!
~ রাস্তা আমি ভালোই চিনি।
– তোমার আমি সবটা জানি।
~ মুখে কথার ফুলঝুরি!
– তোমার থেকেই শিখেছি আমি।
~ আর কি শিখেছো আমার থেকে?
– পাগোলের মতো ভালোবাসতে।
~ ভালোবাসি না কাউকে আমি।
– তোমার চোখ পড়তে জানি!
~ আসছি আমি, থাকো তাহলে।
– সরেই দেখো এক’পা দূরে!
~ তোমার হাতের পুতুল আমি?
– আমার মনের রাজকুমারী।
~ ভিজবে না চিড়ে মিষ্টি কথায়।
– হৃদয়টা যদি দেখানো যায়!
~ আচ্ছা তবে আসছি আমি।
– এখনো কারো রাগ কমেনি!
~ রাগ নাই আমার কারো উপর।
– আমিই যে তোমার সবকিছুর কারন।
~ ভালোবাসে না কেউ আমাকে!
– এই কথাটা বলতে পারলে!
~ কাঁদছো কেনো, লাগলো বুকে?
– চোখটায় যেন কি পড়ল!
~ আড়াল করছো নিজেকে বড়।
– পারলাম না আর গড়িয়ে পড়ল।
~ (নির্বাক আমি) বাচ্চা তুমি!
– ভালোবাসি যে বড্ড বেশি।
~ আচ্ছা, তবে সরি আমি।
– আর দিও না কষ্ট ভারী।
~ ভালোবাসি যে এক পৃথিবী!
– বলতে হবে না জানি তো আমি।
~ এবার কাছে আসতে পারো।
– এতক্ষণে তার রাগ কমলো!
(খুনসুটি)
~ রোজিনা আক্তার (বৃষ্টি)
৪.ভালোবাসার মিষ্টি কথা
এক মিনিট
————–
আমি তোমাকে এক মিনিট ধরে দেখবো বলে এখনো ক্লান্তিহীন প্রতীক্ষায় বসে থাকি।
এমন আজব কথা শুনে দুর্জনেরা হয়তো বলবে-
“লোকটা পাগল না কি!”
কিন্তু তারা তো জানেনা,
যখন অবাক বিষ্ময়ে তোমার চোখের দিকে এক দৃষ্টে তাকিয়ে থাকবো,
জগৎসংসারে শুধু আমার ঘড়িটাই চালু থাকবে তখন।
অবিশ্বাস্য হলেও বন্ধ হয়ে যাবে পৃথিবীর সকল ঘড়ি!
সেই শ্বাসরুদ্ধকর এক মিনিট মহাকালের গর্ভ থেকে হারিয়ে যাবে।
সর্ব কালের সর্ব সময় থেকে সেই সময়টুকু হয়ে যাবে বিয়োগ।
শুধু তাই নয়,
আমি যখন তোমার উদাস চোখে নিটোল দৃষ্টি রাখবো,
ঠিক তখন তোমার দু’টি মায়াময় চোখ,লাস্যময় লতানো শরীর এবং আমি ছাড়া পৃথিবীর সকল দৃশ্যপট হবে অদৃশ্য।
বিমূর্ত ঈশ্বরের সামনে পুরোটা মিনিট ধরে শুধু দৃশ্যমান থাকবে অতৃপ্ত আত্মার আঁধার
এই দু’টি মূর্তিমান মানব শরীর।
প্রিয়তমা,
যাপিত জীবনের ব্যস্ততার মাঝে যদি মনে পড়ে,তবে চলে এসো একদিন।
দেখে যেও,শুধু একটি মিনিট তোমাকে দেখবো বলে কতো লক্ষ মিনিট ধরে
অধীর অপেক্ষায় বসে আছি আমি!
সেই মিনিট খানি পরে না হয় তুমি ফিরে যেও তোমার চেনা পথ ধরে।
এই পৃথিবী জুড়ে দৃষ্টি নন্দন যা কিছু আছে
সব দিয়ে যাবো তোমায়।
শুধু থাকবো না আমি!
কথা দিলাম,
আর কোনদিন ফিরে আসবোনা
তোমার অবাক চোখের মায়াময় দৃষ্টসীমায়।
ছাইফুল আলম সেলিম
৫.ইমোশনাল লাভ মেসেজ
#কবিতা “হতে চাই”
আমি তোমার জীবনে ফুল হতে না চাই, ফুলদানিতে সাজিয়ে আবার
শুকিয়ে গেলে ফেলে দিবে তাই।
আমি জল হতে না চাই।
বর্ষায় সব ভাসিয়ে নেবে
চৈত্রে আবার শুকিয়ে যাবে তাই।
আমি সাগরের মত উদার হতে না চাই ,
সাগরের মত দুচোখে আমার,
নোনা জল ঝরবে তাই।
আমি বাতাস হতে চাই,
জীবনের শেষ ক্ষনেও
তোমার হয়ে সঙ্গে রবো তাই।
সানজিদা খন্দকার শম্পা