ধর্ষক এর জবানবন্দি।
পর্ণ ভিডিও দেখার প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েছিলাম। তখন আমার বয়স মাত্র ১৫ বছর!
একদিন টিফিনের পর দেখলাম কয়েকজন বন্ধু জটলা পাকিয়েছে।আমি কৌতূহলী হয়ে ওদের কাছে গেলাম।আমাকে দেখেই ওরা কিছু একটা লুকিয়ে ফেললো। আমিও ছেড়ে দেবার পাত্র নই। আকুতি-মিনতির সুরে বললাম- তোরা কি করছিলি আমাকেও দেখা।
ওদের কপালে ক্ষাণিকটা চিন্তার ভাঁজ পড়লো। তারপর সবাই চোখে চোখে কিছু একটা বলে নিল।আমি তখনও তীব্র কৌতূহল নিয়ে দাঁড়িয়ে….
– দেখাতে পারি।তবে এক শর্তে, কাউকে বলতে পারবি না। গম্ভীর স্বরে বলল দ্বিপ।
কি এমন করছে ওরা যেটার কথা কাউকে বলা যাবে না। মনে মনে ভাবতে লাগলাম।
এর মধ্যেই দ্বিপের গম্ভীর স্বর-
হাতে হাত রেখে প্রমিস কর।
আমি আস্তে আস্তে আমার ডান হাতটা এগিয়ে দিলাম দ্বিপের হাতে। তারপর প্রমিস করলাম কোনদিন এ ব্যাপারে কাউকে কিছু বলব না।
একটু পর দেখলাম পকেট থেকে একটা ফোন বের করল দ্বিপ।Android ফোন।সে সময় আমাদের কারো কাছেই ফোন ছিল না।Android ফোন তো অনেক দূরের কথা। আর স্কুলেও ফোন আনা নিষেধ ছিল।কিন্তু দ্বিপের কাছে অনেক আগে থেকেই Smart Phon ছিল।ওর বাবা প্রবাসি; বিশাল বড়লোক। প্রতিবছর তার বার্থডের সময় নানা গিফট পাঠাতো।এই ফোনটাও দিয়েছিল হয়তো।
একটু পর দ্বিপের ফোনে নোংরা ভিডিও চলতে শুরু করল।তাদের সবার চোখে অদ্ভত দৃষ্টি এবং কেমন অচেনা অঙ্গভঙ্গি করতে লাগল।
আমি অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলাম-এগুলো কি দ্বিপ?
এগুলো দেখা তো ঠিক না, পাপ হয়। তোরা সবাই কেন নোংরা এসব দেখছিস!
-মাস্টারমশাই জ্ঞান দেয়ার দরকার নেই।দেখতে না চাইলে যেতে পারেন। সাদ বলল
সাদের কথা শেষ না হতেই সবাই জোরে জোরে হাসতে লাগল।আমার ঘেন্না লাগতে শুরু করল ওদের উপর।
আর একটুও দেরি না করে চলে আসলাম।
পেছন থেকে দ্বিপের আওয়াজ –
প্রমিসের কথা মনে থাকে যেন।
সে রাতে একফোঁটাও ঘুমাতে পারিনি। সারা শরীরে কেমন যেন উত্তেজনা অনুভব করতে লাগলাম।আমার ভেতরের ‘আমিটা’ যেন জেগে উঠেছে। দ্বিপের দেখানো ভিডিও ক্লিপটা বারবার চোখের সামনে ভাসতে লাগল।
পরদিন স্কুলে মনমরা হয়ে সারাক্ষণ পেছনের বেঞ্চে বসে ছিলাম।প্রতিদিনের মত আজকেও দ্বিপ ও আরো কয়েকজন মিলে টিফিনের পরে জটলা পাকিয়েছে বাথরুমের পেছনে। আমি জানি ওরা কি করছে। কিন্তু আমার সেখানে যাওয়া চলবে না।নিজেকে মনে মনে বুঝাতে লাগলাম।
যাওয়ার আগে দ্বিপ চোখের ইশারায় ডেকে গেছে।
ধর্ষক এর দৃষ্টি বদলান।মানব চোখ কাজে লাগান….
আমার ভেতরের কোন এক অবিচ্ছেদ্য অংশ বারবার টানছে সেখানে যাওয়ার জন্য।
সে রাতে খুব বিচ্ছিরি আর নোংরা স্বপ্ন দেখলাম। পরদিন সকালে এক নতুন পরিবর্তন আবিষ্কার করলাম। ঘুম থেকে উঠে দেখলাম প্যান্টের সাথে কিছু একটা লেগে আছে।আঠালো ও তীব্র ঝাঁঝালো গন্ধযুক্ত। এতদিন পর আমার ভেতরে লুকিয়ে থাকা এক নতুন জগতের সন্ধান পেলাম।
পরদিন টিফিনের সময় আমি আর নিজেকে আটকাতে পারলাম না।আমার সততাকে জলাঞ্জলি দিলাম।সাড়া দিলাম এক অচেনা অনুভূতির টানে।
আমাকে দেখেই সাদ বলে উঠলো- আরে মাস্টারমশাই যে!
খুব তো সাধু-সন্ন্যাসি সেজে ছিলেন।এখন কি ভেবে আসলেন?
-আরে এসব মজা-মাস্তির ব্যাপারে সাধু সাজতে নেই।ইনজয় কর ইনজয়। রাফি বলল।
-আরে তোরা কি শুরু করলি? ছেলেটা নিজের ভুল বুঝতে পেরে আমাদের দলে এসেছে।ওকে সবাই ওয়েলকাম কর।দ্বিপ বলল।
-ওকে নিউ কালেকশন দেখিয়ে ওয়েলকাম করা যাক।কি বলিস দ্বিপ?রাফি বলল।
তারপর সবাই অট্টহাসিতে ফেটে পড়লো। নতুন জগতে ডুব সাঁতার দিলাম আমরা।
এরপর এই গ্রুপে নিয়মিত হলাম।সুযোগ পেলেই স্কুল ফাঁকি দিয়ে চলে যেতাম অনুভূতির রাজ্যে।
গ্রুপ স্টাডির নাম করে সবাই মিলে ১৮+ ভিডিও দেখতাম।
নিউ কালেকশন আনতে চলে যেতাম পাঁচ-ছয় কিলোমিটার দূরের দোকানে।
এর মধ্যেই স্মার্ট ফোনের জন্য বাবাকে চাপ দিতে শুরু করলাম।নানা বাহানা দেখিয়ে বলতাম স্মার্টফোন ছাড়া ভাল পড়াশোনা হয় না। বাবার সে সামর্থ্য ছিল না।তবুও তিনি চেষ্টার কমতি রাখলেন না।
মাঝেমধ্যে স্কুল ফাঁকি দেয়ার অভ্যাস একসময় নিয়মিত হয়ে উঠলো।
ধর্ষক এর মনোভাব
পড়াশোনায় মন বসাতে পারতামনা। সবসময় মাতালের মত হয়ে থাকতাম।মাথা ঘুরাত,ঘুমঘুম ভাব থাকত সবসময়।
পরিবারের সবার সাথে খারাপ আচরণ করা শুরু করলাম।মা ও বড়পা এর দিকে চোখ তুলে তাকাতে পারতাম না।শত বন্ধন ছিন্ন করে নারী রূপটা আমার চোখে প্রাধান্য পেত।অস্বস্তি লাগত সে সময়।
নিজেকে খুব একা লাগত শুরু করলো।মাঝে্মধ্য নিজের প্রতি প্রচন্ড ঘৃণা হতো। কারো সাথে শেয়ার করতে পারতাম না কিছুই।পুরাতন বন্ধুগুলো আমাকে অন্য চোখে দেখে।
এখন আমি যাদের সাথে মিশি তারা সবাই পর্ণ র্গ্রাফিতে আসক্ত।আমি দিনকে দিন এই অন্ধকার জগতে ডুবে যেতে লাগলাম।
বার্ষিক পরিক্ষায় আমার রেজাল্ট খুব খারাপ হলো।শুধু আমার না আমরা যারা আসক্ত ছিলাম তাদের সবারই রেজাল্ট খারাপ হলো।
আমি এক বিষয়ে ফেইল!
অথচ আমার রোল সবসময় তিনের মধ্যে থাকত।রেজাল্ট শুনে বাবার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ল।তিনি অনেক বেশি অবাক হলেন।হেডস্যারের কাছে নানা সুপারিশ করলেন যেন প্রমোশনটা দিয়ে দেয়।
হেডস্যার আমাকে ভালো ছাত্র হিসেবে জানতেন।বাবার সাইন নেয়া হলো।পরের বার ফেইল করলে সরাসরি ডিমোশন।বাবা কাঁপা কাঁপা হাতে সাইন দিলেন।
রাতে বড়পা জিজ্ঞেস করলেন কোন সমস্যা হচ্ছে কিনা। আমি সত্যিটা বলতে পারলাম না।শুধু বললাম, দ্বিতীয়বার আর এমন হবে না।
-দেখ ভাই, বাবা বাইক রিপেয়ারিং করে আর ক’টাকা পায়।যা পায় তা তো তোর পেছনেই খরচ করে।তুই ভালো রেজাল্ট করলেই তারা খুশি।নয়তো তাদের এতো পরিশ্রম বৃথা যাবে।
কিন্তু আমি বড়পা কে দেয়া প্রমিস রাখতে পারিনি। কাল থেকে ভালো করে পড়তে বসিনি। আমি আরো বেশি ডুবে গেলাম অন্ধকার থেকে গভীর অন্ধকারে।
একদিন দ্বিপ বললো, “এভাবে আর কতদিন শুধু ভাচুর্য়াল ফিলিংস নিব।এবার নতুন কিছু করা দরকার।
-হুম।এভাবে আর থাকা যায় না।বলে ঠোঁট কামড়াতে লাগলো সাদ।
সন্ধ্যায় মিটিং বসল মিতুদের পুকুর পাড়ের বটতলায়। জায়গাটা ভূতুড়ে।খুব প্রয়োজন না হলে মানুষ এদিকে আসে না।
সবাই মিলে বিরাট প্ল্যান করলাম।প্রথমে কারো কারো দ্বিমত ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সবার মুখেই ফুটে ওঠলো হাসি।
দুদিন পরেই; পাড়ার অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী আঁখিকে আমরা রেপ করলাম।শুধু রেপ না সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে মেরে ফেলেছিলাম!
মেয়েটা বাঁচবার জন্য অনেক ছটফট করেছিল।
আমাকে তোমরা জানে মেরো না।আল্লাহর দোহায় আমাকে যেতে দাও।এই ব্যাপারে কোনদিন কেউ বলবো না।বলেই আমার পা জড়িয়ে ধরেছিল মেয়েটি।আমার মন নরম হলো কিন্তু সাদের মন টলানো গেলো না। ও প্রমাণ রাখতে নারাজ।
আমার সাথে রাফিও একমত হলো।কিন্তু দ্বিপ ততোক্ষণে মিতুর গলায় ফাঁস দিয়ে ফেলেছে।
লাশ বস্তা ভরে লুকিয়ে ফেললাম পুরনো কবরে।ধামাচাপা দেবার এর চেয়ে ভাল উপায় জানা ছিলনা। এর ঠিক পাঁচদিন পর পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। আমরা সবাই ভয় পেয়ে যাই।
বাড়ি থেকে পালিয়ে যাবার সিদ্ধান্ত নিলাম।কিন্তু তার আগেই পুলিশ বাড়ি ঘেরাও করলো। ধরা পড়ে গেলাম।
পুলিশ আমাকে গ্রেফতার করলো।হ্যান্ডকাপ পড়িয়ে নিয়ে যাবার সময় মা কাঁদতে ছিল আর বলতেছিল, “আমার পোলা নির্দোষ।ও কখনো এত বড় পাপ কাজ করতে পারে না।ও ছোট মানুষ ওকে ছেড়ে দেন।“
বাবা একবার কাছে এসে জিজ্ঞেস করলেন,
“রাতুল তুই কি এই মামলার সাথে কোনভাবে জড়িত?”
আমার মুখ দিয়ে কোন কথা বের হলোনা।শুধু নিচের দিকে তাকিয়ে চোখের পানি ঝরালাম।
পুলিশ আমাকে টেনে নিয়ে আসলো থানায়।
শেষবারের মতো বড়পা কেঁদে কেঁদে বললেন,”আমি জানি, তুই এই জঘন্য কাজের সাথে জড়িত না।তোকে ফাঁসানো হচ্ছে। বল,ভাই আমার,বল।“
তখনো আমি কিছু বলতে পারলাম না।শুধু চোখের জল ফেললাম।
পেছনে মায়ের গগনবিদারী চিৎকারের আওয়াজ ভেসে আসছে।
প্রথম প্রথম মা এবং বড়পা আমাকে দেখতে আসতো জেলে।বাবাও আসতেন মাঝেমাঝে। একদিন বড়পা চুপিচুপি জিজ্ঞেস করল- রাতুল তুই কি সত্যি এ পাপ কাজ করেছিস?
যে বড়পা আমাকে কোলে করে বড় করেছে।যে বড়পা তার পাতের মাংসটা আমার পাতে তুলে দিত।যে বড়পা তার টিউশনির টাকা দিয়ে আমাকে নতুন জামা কিনে দিত। তার কাছে কি করে বলতাম ……
আমি ধর্ষক,আমি খুনি!
আমি চুপ রইলাম।বড়পার কিছু বুঝতে বাকি রইল না।
-কেন তুই এ পাপ করলি! তোর কারণে প্রতিদিন মা-বাবার মধ্যে ঝগড়া হয়।মা ঘুমের মধ্যে চিৎকার করে ওঠে।বাবাকে সবাই ধর্ষক এর বাপ বলে ডাকে।আমার কলেজ যাওয়া বন্ধ।পাড়ার লোকেরা বাড়িঘর ভাঙতে আসে।তুই কেন এ পাপ করলি!বড়পা কাঁদতে কাঁদতে বলল।
আমার বারো বছরের জেল হলো। আমি আর সাদ বাদে বাকিরা কিভাবে যেন মুক্তি পেয়ে গেল!
ধর্ষক আমরা সবাই ছিলাম।খুনের দায়ভার ও সমান।কিন্তু সাজা সমান হয়নি আমাদের।
ছোট হওয়ায় ফাঁসি থেকে রেহাই পেয়ে গেলাম।
পরিবারের কেউ আর কোনদিন আমার সাথে দেখা করতে আসেনি।
বছর ঘুরতেই বাবা বড়পার বিয়ে ঠিক করলেন।কিন্তু মেয়ের ছোট ভাই প্রফেশনাল কিলার এটা রটে গিয়েছিল গ্রামে।এসব জানার পর বিয়েটা ভেঙে যায়।
কোন এক রাতে বড়পা নাকি তার প্রেমিকের সাথে পালিয়ে গিয়েছে।বাবা অনেক খোজাখুজি করেও হদিস পাননি।
বাবা হার্টের প্যাসেন্ট ছিল আগে থেকেই। সেটা একসময় ক্রমাগতো বড়াতে থাকলো।
বাবা হার্ট অ্যাটাক করলেন।তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।কিন্তু আমার কোমল হৃদয়ের বাবা এত কষ্ট সহ্য করতে পাড়লনা।সুখের দেশে চলে গেলেন। সবাইকে হারিয়ে মা পাগলের মতো হয়ে গিয়েছিল।পাড়ার সকলের কাছেই নাকি বলত তাকে খুন করতে।আর বলত তার ছেলে নির্দোষ।এসব কথা আমাকে জানাত আমার বাল্যবন্ধু ডালিম।ওর ডিউটি ছিল জেলে।
এক কাক ডাকা ভোরে ডালিম আমাকে ডাকতে লাগল।এত ভোরে কয়েদিদের কেউই উঠে না।ডালিমের কন্ঠে উৎকন্ঠা।
কাঁপা কাঁপা সুরে বলল একটা দুঃসংবাদ আছে।
আমার পুরো জীবনটাই দুঃসংবাদ।তাই নতুন আর কি দুঃসংবাদ আসতে পারে ভাবতে লাগলাম।
মায়ের কিছু হয়েছে?উৎকন্ঠিত হয়ে জিজ্ঞেস করলাম।
-তোর মা বোধ হয় একা থাকতে ভয় পায়। তাই না।
-এসব বলছিস কেন?
-তোর মা আর নেই।কাল রাতে; তোর বাবার কাছে চলে গেছে । এখন আর একা থাকা লাগবে না।
আমি নিস্তব্ধ হয়ে গেলাম।
-তোর মায়ের মরণের জন্যে বোধহয় তর সইছিল না।তাই শেষ পর্যন্ত গলায় দড়ি দিল।
এতোদিনের যন্ত্রণায় মনটা পাথরের মতো শক্ত হয়ে গিয়েছিল। চোখ দিয়ে পানি পর্যন্ত আসত না।কিন্তু এবার পাথরের মত শক্ত মন বরফের মত গলে। তারপর সেই চোখ দিয়ে পানি বর্ষিত হতে লাগল।আমি হাউমাউ করে কেঁদে উঠলাম। ডালিম আমাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরল।যেভাবে ছোটবে্লায় মা আমাকে ধরে রাখত।
আজ বারো বছর পর জেল থেকে ছাড়া পেলাম।গ্রামের প্রায় সব কিছুই পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু আমার প্রতি মানুষের ঘৃণা আজও রয়ে গেছে। দিনে আসার সাহস পেলাম না।এক বন্ধুকে সাথে নিয়ে রাতে মা-বাবার কবরের পাশে এলাম। বন্ধুগুলোও তাচ্ছিল্যের চোখে দেখে এখন।এতদিনে কবর দুটো প্রায় ধ্বংসাবস্তায়। মাঝখানে একটা গোল গর্ত হয়ে আছে,চারপাশ জঙ্গলে ভর্তি ।
কবরের পাশে দাঁড়িয়ে নিজেকে অনেক বেশি অসহায় মনে হতে লাগল।
মা-বাবা বোধহয় কোনদিন আমাকে ক্ষমা করবে না।আমাকে শুধু একজনকে খুন করিনি আমি তিনজনকে খুন করেছি!
আমি ধর্ষক! আমি খুনি! চিৎকার করে বলতে লাগলাম।
এ শহরের প্রতিটা গাছের পাতাও জানে আমি খুনি, আমি ধর্ষক। আমাকে এ শহর ছেড়ে পালাতে হবে। অনেক দূর চলে যেতে হবে।নয়তো তাদের অবহেলা আমাকে তিলে তিলে মেরে ফেলবে।
এতকিছুর পরেও আমি বাঁচতে চাই।আমার পুরনো দিনগুলো ফিরে পেতে চাই।
পাশের বট গাছে হুতুম পেঁচা ডাকছে।তার ডাকের সাথে সাথে আমি চলে যাচ্ছি নতুন শহরে।সেখানে কেউ জানবে না;আমি ধর্ষক। সবাই জানবে আমি অনেক ভালো মানুষ।আমাকে ধর্ষক ভেবে তারা দূর দূর করে তাড়িয়ে দিতে পারবে না।
আমাকে বাঁচতে হবে।যন্ত্রণাবিহীণ একটা রাতের জন্যে হলেও বাঁচতে হবে।