রুম নম্বর ৯০৯
পর্ব ৪র্থ ও শেষ
রাফিয়া ও তার স্বামী দু’জনেই প্রচণ্ড বিস্ময় নিয়ে তাদের মেয়ের দিকে তাকায়। সাবাজ নিজেও বেশ চমকে গিয়েছেন। খুব ভাবছেন কয়েক মিনিট ধরে। শুরু থেকে এখন পর্যন্ত সবকিছু মেলানোর চেষ্টা করছেন। নওরিনের চেহারায় আতঙ্কের ছাপ আগের চেয়ে বেড়ে গিয়েছে। ভয়ার্ত চোখ নিয়ে কয়েক সেকেন্ড পরপর তার বাবা-মায়ের দিকে তাকাচ্ছে।
“মামণি!”
সাবাজের ডাকে কেঁপে ওঠে নওরিন।
“তুমি কি চাচ্ছো যে তারা এখান থেকে চলে যাক?”
আড়চোখে নওরিন আবার তার বাবা-মায়ের দিকে তাকায়। সাবাজ বুঝতে পারেন তাদের উপস্থিতি নওরিনের জন্য ত্রাসের সৃষ্টি করছে। সাবাজ তাদের দিকে তাকান। রাফিয়া বুঝতে পারে তাদের বাইরে যেতে বলা হচ্ছে। মোস্তফা সাহেবকে নিয়ে রুমের বাইরে অবস্থান নেন তারা।
“দেখ, তারা চলে গিয়েছে। এখন ভয় পাবার কিছু নেই।”
নওরিন এবার সাবাজের মুখের দিকে তাকায়। নওরিনের উদ্দেশ্যে আশ্বস্তের হাসি দেন সাবাজ।
“তুমি কেন বলছো যে তারা তোমার খুন করতে চায়?”- সাবাজ প্রশ্ন করেন।
“আমি শুনেছি। তারা ফিসফিসিয়ে আমাকে মারার ষড়যন্ত্র করছিলো।”- কাঁপা কণ্ঠে উত্তর দেয় নওরিন।
“কখন শুনেছো?”
নওরিনের অস্থিরতা বেড়ে গেছে। সম্ভবত সে মনে করার চেষ্টা করছে কিন্তু পারছে না। সাবাজ বিষয়টি বুঝতে পারেন।
“আচ্ছা তারা কি তোমাকে গলায় কিছু পেঁচিয়ে মারার চেষ্টা করছিলো?”
“হ্যাঁ, হ্যাঁ। খুব জোরে গলায় পেঁচিয়ে ধরেছিল।”- ঘন নিশ্বাসের সাথে নওরিন উত্তর দেয়।
“কী পেঁচিয়ে ধরেছিল দেখেছিলে?”
আবারও নিশ্চুপ হয়ে যায় সে। ভাবছে, মনে করার চেষ্টা করছে। তার উত্তরের আগে সাবাজ পুনরায় প্রশ্ন করেন, “কাপড়ের মতো কিছু?”
নওরিন চোখদু’টো বড় আকার নেয়। সাবাজের প্রশ্ন তাকে মনে করিয়ে দিয়েছে- হ্যাঁ কাপড়ের মতো কিছু।
“তোমার খুব কষ্ট হচ্ছিলো তাই না? দম বন্ধ হয়ে আসছিলো, তুমি চিৎকার করতে চাইছিলে কিন্তু পারছিলে না। বুক চিরে হৃদপিণ্ড বের হয়ে আসতে চাচ্ছিলো।”
বিস্মিত ও ভয়ার্ত কণ্ঠে নওরিন উত্তর দেয়, “হ্যাঁ!”
“এখন থেকে আর মোটেও ভয় পাবে না ওদের৷ ওরা তোমার কিছুই করতে পারবে না। আমি তোমার সাথে থাকবো কেমন?”
নওরিন সাবাজকে বিশ্বাস করে নেয়। নেওয়ার কারণ একটাই যে, তার ব্যাপারে সাবাজ যেগুলো বলছিলেন প্রতিটি কথা-ই সত্য। নওরিন তাকে না বলার পরেও সে সবকিছু জানে- এটা ভেবে সে বিশ্বাস করে নেয় আহমেদ সাবাজকে।
নওরিনকে আয়েশার কাছে রেখে রাফিয়ার সাথে কথা বলার জন্য সাবাজ বাইরে বেরিয়ে আসেন। তাকে দেখে রাফিয়া প্রায় ছুটে চলে আসে। এতক্ষণ হয়তো উদগ্রীব হয়ে অপেক্ষা করছিল সাবাজের থেকে তার মেয়ের ব্যাপারে জানার জন্য।
“কিছু জানতে পারলেন?”- রাফিয়া প্রশ্ন করেন।
“বেশ কিছু।”- উত্তর দেন সাবাজ।
রাফিয়ার অসহিষ্ণু চোখ সাবাজের ব্যাখ্যার অপেক্ষা করছে।
“তবে সেগুলো বলার আগে আরেকটা বিষয় সম্পর্কে বলি। নাহলে নওরিনের ব্যাপারটা আপনার কাছে ঘোলাটে লাগবে।”
“কী বিষয়?”
“আমাদের স্বপ্নের দু’টি ধাপ আছে। একটি Rapid Eye Movement (REM) অন্যটি Non Rapid Eye Movement (Non-REM)। ঘুমের প্রথম দিকে নন-রেম পর্যায়টি ঘটে। মানুষ স্বপ্ন দেখে মূলত রেম পর্যায়ে। এ সময়ে তার চোখের পাতা হালকা নড়তে থাকে। আর চোখের মনি খুব দ্রুত নড়াচড়া করে ও স্বপ্ন দেখে।”
“এ সম্পর্কে বলার কারণ ব্যাখ্যা করবেন নিশ্চয়ই।”
“গতকাল রাতে নওরিনের ঘুমের সময় তার চোখের মনির নড়াচড়া লক্ষ্য করেছিলেন অবশ্যই। মানে ঐ সময়টাতে সে স্বপ্ন দেখছিলো। কিন্তু তার নিশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিলো আর শরীরের কোনো অঙ্গ নড়াতে পারছিলো না। নওরিনের সাথে এখন কথা বলে পুরো বিষয়টির ব্যাখ্যা এমন দাঁড়ায় যে, সে ঐ সময়টাতে স্বপ্নে দেখে যে কেউ তাকে মেরে ফেলতে আসছে। আর সে মার্ডারার হিসেবে আপনাকে ও আপনার স্বামীকে দেখেছে। তার গলায় কাপড় জাতীয় কিছু পেঁচিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে মারার চেষ্টা করা হচ্ছিলো এমনটা বলেছে সে। যে কারণে সে তার রুমে বেডশিট বা জানালার পর্দাও ভয়ে রাখেনি। সম্ভবত এরপর তার স্বপ্নের কল্পিত খুনি নওরিনের গায়ের কাপড় খুলে তাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করে যে কারণে ঘুম থেকে উঠে সারা শরীরের কাপড় খুলে রুমের বাইরে ছুড়ে ফেলে সে।”
রাফিয়ার মুখ চিন্তায় ভরে গেছে। চোখের পাতাগুলোও ভারী হয়ে যাচ্ছে, দু-চার ফোঁটা পানি গড়িয়ে পড়বে এমন অবস্থা। গম্ভীর কণ্ঠে তিনি প্রশ্ন করেন, “এমনটা কেন হচ্ছে? আর আমার মেয়ের সাথেই বা কেন?”
“স্লিপ প্যারালাইসিস।”- উত্তর দেন আহমেদ সাবাজ। “সহজ কথায় বলতে, যাকে বোবায় ধরা বলা হয়। নওরিনের এই স্বপ্নের মধ্যেই সে স্লিপ প্যারালাইসিস এর শিকার হয়। যে কারণে তার নিশ্বাস নিতে কষ্ট হয়, মনে হয় বুকের উপর চেপে বসে আছে কেউ। এই সময়টাতে শরীরের কোনো পেশি কাজ করে না বলে নওরিন হাত পা কিছুই নাড়াতে পারছিলো না। ঘুমের মধ্যে হওয়া এই স্লিপ প্যারালাইসিস কে হিপনাগোজিক (Hypnagogic) বা প্রিডরমিটাল (Predormital) স্লিপ প্যারালাইসিস বলা হয়।”
“কিন্তু তার এই স্লিপ প্যারালাইসিস হওয়ার কারণ কী?”
“যতদূর ব্যাখ্যা দাঁড়ায়, প্যানিক ডিসঅর্ডারের কারণে। যে কোনো একটা উপায়ে তার মাথায় কেউ এই ভয় ঢুকিয়ে দিয়েছে যে আপনি বা আপনার স্বামী তার খুন করবেন। এজন্য তার ঘুমের মধ্যে পক্ষাঘাত ঘটে আর ঘুম থেকে উঠেও কিছু সময় আতঙ্কে থাকে। এ সময়ে সে খুব ঘেমে যায়। আর এর রেশ কেটে উঠতে সে মাঝরাতে গোসল করে৷”
“কিন্তু তার মাথায় এমন ভয় কে ঢুকাবে?”
“আপনি বলেছিলেন যে, একটা প্রাইভেট ক্লিনিকে তাকে ভর্তি করানো হয়েছিল। আর তারপর থেকেই তার এই সমস্যা। হতে পারে আপনার প্রশ্নের উত্তর সেখানেই আছে৷”
“আর আমার মেয়ের সুস্থতার ব্যাপারে কী ভাবছেন?”
“মানসিক রোগের জন্য Biological Therapy তথা ওষুধ ও অন্যান্য জৈবিক চিকিৎসা এবং Psychotherapy তথা মনস্তাত্ত্বিক চিকিৎসা দু’টোরই গুরুত্ব আছে। আমি একজন সাইকোলজিস্ট হিসেবে শুধুমাত্র তার কাউন্সিলিং বা সাইকোথেরাপিই করতে পারবো। কোনো ওষুধ প্রেসক্রাইব করার এখতিয়ার আমার নেই। সেক্ষেত্রে অবশ্যই একজন সাইকিয়াট্রিস্টের শরণাপন্ন হতে হবে। আপনার মেয়ের ব্যাপারে ভাববেন না। এই দু’টি পদ্ধতিতে চিকিৎসা করলে সে শীঘ্রই সুস্থ হয়ে উঠবে।”
“তাহলে এখন আপনার এক্স্যাক্ট উদ্দেশ্য টা কী?”
“নওরিনের মধ্যে প্যানিক ডিসঅর্ডার সৃষ্টির মূল হোতাকে বের করতে হবে।”
রাফিয়ার থেকে ক্লিনিকটির ঠিকানা নিয়ে বিকালেই বের হন আহমেদ সাবাজ। ফিরে আসেন প্রায় সন্ধ্যার দিকে। কলিং বেল চাপতেই দরজা খুলে দেন রাফিয়া। সম্ভবত তিনি সাবাজের জন্যই অপেক্ষা করছিলেন এতক্ষণ।
“গোয়েন্দাগিরি করে আসলাম একটু।”- মুচকি হেসে রাফিয়ার দিকে তাকিয়ে বলেন সাবাজ।
“কোনো তথ্য..”- রাফিয়া প্রশ্ন শেষ করার আগেই সাবাজ উত্তর দেন, “হ্যাঁ, পেয়েছি কিছুটা। একটা প্রশ্ন- আপনার বা আপনার স্বামীর আইনি ক্ষমতা কেমন আছে?”
“হঠাৎ এ প্রশ্ন কেন?”
“ক্লিনিকটার ফ্লোরগুলোকে নিয়ে অন্যরকম নিয়ম করেছেন ড. আলতাফ হোসেন। তার নিজস্ব ক্লিনিকটিকে নিজের পছন্দমতো একটি প্যাটার্ন দিয়েছেন। যেমন নিচের ৪টি ফ্লোরকে ত্রিশ বছরের উপরের রোগীদের জন্য নির্ধারণ করেছেন৷ ওগুলো আবার পুরুষ ও মহিলাদের জন্য আলাদাভাবে ভাগ করা। ৫ম ফ্লোরে করেছেন খাবার ক্যান্টিন। আবার উপরের ৪টি ফ্লোরকে ত্রিশ বছরের নিচের রোগীদের জন্য নির্ধারণ করেছেন।”
“এটা তো গোপন কোনো বিষয় নয়।”
“আমার কথা শেষ করতে দিন। তো প্রথমে সেখানে গিয়ে সরাসরি জিজ্ঞাসা করলাম ৯০৯ নম্বর কক্ষটি খালি আছে কি না। প্রথমেই জিজ্ঞাসা করলো রোগীর বয়স কত। উত্তর দিলাম- ২১ বছর; যদিও আমি কোনো রোগীকে ভর্তি করাতে যাইনি৷ এরপর বললো- না, ৯১২ এবং ৯১৫ নম্বর কেবিন খালি আছে৷ কিছু না বলেই সেখান থেকে বেরিয়ে এসে ছদ্মবেশ ছেড়ে এক মিনিটের মাথায় আবার ফিরে যাই। বলি- বাইরে এম্বুলেন্স দাঁড়িয়ে, রোগীকে দ্রুত ভর্তি করতে হবে। এবার রোগীর বয়স বললাম বারো। রোগের বিবরণ লেখা শেষে আমার হাতে একটা ফর্ম ধরিয়ে দিলেন। লক্ষ্য করলাম- রুম নম্বর ৯০৯।”
“মানে? এক মিনিট আগেই না বললো ৯০৯ কেবিন খালি নেই?”
“গণ্ডগোল তো এখানেই। ৯০৯ নম্বর কেবিনে আজ অব্দি যত পেশেন্ট ভর্তি হয়েছে তাদের রেকর্ড দরকার আমার। এজন্যই জিজ্ঞাসা করলাম আইনি ক্ষমতার ব্যাপারে।”
“রাতটুকু অপেক্ষা করুন শুধু, সকাল হতেই পেয়ে যাবেন।”
কৃতজ্ঞতার হাসি দিয়ে নিজ কক্ষে ফিরে আসেন সাবাজ।
_____
“আপনার গুরুত্বপূর্ণ কোনো কথা থাকলে বলুন। আমার সময় অযথা নষ্ট করবেন না, ইমারজেন্সি পেশেন্ট আছে আমার।”
“গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কেই জানতে এসেছি ড. আলতাফ হোসেন।”
“কী বিষয়?”
“৯০৯ নম্বর রুমের ব্যাপারে জানতে চাই।”
ড. আলতাফ কিছু সময়ের জন্য রোবটের মত স্থির হয়ে যান। যেনো কোনো শক খেলেন। তার আচরণিক পরিবর্তন সাবাজের চোখ এড়ায়নি। সাবাজ আবারও প্রশ্ন করেন, “এ রুমের রেকর্ড ঘেটেছি আমি, আজ অব্দি যাদের এই কেবিনে ভর্তি করা হয়েছিল তাদের বয়স ১৩ এর আশেপাশে ছিল। মোট যে ছয়জন এখানে ভর্তি হয়েছিল তাদের চারজনই রিলিজের বেশ কয়েকদিন পর আত্মহত্যা করে, শেষ যাকে ভর্তি করা হয়েছিল তার মানসিক অবস্থাও ভালো নয়। আর সর্বপ্রথম যে মেয়েটিকে ভর্তি করা হয়েছিল, তার বাবা ছিলেন স্বয়ং আপনি, ড. আলতাফ হোসেন।”
“কোত্থেকে পেয়েছেন এসব? পরিচয় কী আপনার?”- একরকম চিৎকার মেরে ওঠেন ড. আলতাফ।
“আহমেদ সাবাজ, পেশায় সাইকোলজিস্ট।”- শান্ত গলায় উত্তর দেন তিনি।
আলতাফ কিছুটা শান্ত হয়ে বলেন, “আপনার ব্যাপারে শুনেছি। সম্মানীয় ব্যক্তি আপনি। তবে এসব ভিত্তিহীন প্রশ্ন করতে থাকলে আমার থেকে সম্মানটুকু হারাবেন।”
তার কথার কোনো ভ্রুক্ষেপ না করে সাবাজ আবারও বলতে শুরু করেন, “আপনার মেয়ে মানসিক রোগী ছিল যে নিজে আপনার এই হাসপাতাল থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যা করে।”
“স্টপ টকিং এবাউট দিস শিট।”- কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমতে শুরু করেছে ড. আলতাফের।
সাবাজ তার কথা চালিয়ে যাচ্ছেন, “এরপর থেকে শুধুমাত্র ১৩ বছরের আশেপাশের মেয়েদের ভর্তি করা শুরু করেন। ফিজিক্যাল ট্রিটমেন্ট করেছিলেন বটে তবে মেন্টালি প্রত্যেককেই আক্রান্ত করে তোলেন৷ প্রত্যেকের মনে তার মা-বাবার সম্পর্কে তীব্র আতঙ্ক প্রবেশ করিয়েছিলেন।”
ড. আলতাফ কথা বলছেন না, ঘামছেন আর কাঁপছেনও। সাবাজ তার কথা শেষ করেননি, “শারীরিক সুস্থতা পেলেই আপনি রোগীদের রিলিজ দিয়ে দিতেন। মানসিক চিকিৎসার জন্য আপনার এই হাসপাতাল নয়। তাই মেয়েগুলোর বাবা-মা যখন চিন্তিত মুখ নিয়ে তাদের মেয়েদের বাড়িতে নিয়ে যেতেন তা দেখে আপনার মাঝে পৈশাচিক আনন্দ ফুঁটে উঠতো। দুঃখের বিষয় তাদের চারজনের কারোর-ই মানসিক চিকিৎসা হয়নি কিন্তু পঞ্চমবার এসে মোস্তফা আনওয়ার ও তার স্ত্রী রাফিয়া আনওয়ার এ ভুল করেননি।”- এতটুকু শেষ করে কিছু সময়ের জন্য থেমে যান সাবাজ। একটি দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে শেষবারের মতো বলেন, “তবে সবচেয়ে সত্য কথা এটা, আপনি না তো পেরেছেন একজন ভালো ডাক্তার হতে আর না তো পেরেছেন ভালো বাবা হতে।”
_____
নওরিনের চিকিৎসা চলছে; দ্রুতই সুস্থ হয়ে উঠবে। যত দ্রুত সুস্থ হবে সাবাজের জন্য ততই ভালো, নিজ ঠিকানায় ফিরতে হবে তাকে। হাতমুখ ধুয়ে রকিং চেয়ারটিতে গিয়ে বসলেন তিনি। ধীরে ধীরে দোল খাচ্ছেন।
আজ পর্যন্ত বেশ কয়েকটি কেইসের মিমাংসা করেছেন সাবাজ। শুধুমাত্র নিজের ব্যাপারটিকে এতো কেইসের ভিড়ে পিছে ফেলে রেখেছেন। কয়েকবার মিমাংসা করতে গিয়ে মাঝপথে নিজ থেকেই থেমে গিয়েছেন। স্বপ্নে তার স্ত্রীর ভয়ার্ত চেহারাকে তো সে ভয় পায় না তবে সমাধানের কী দরকার?
কে জানে, হয়তো এ রহস্যের মিমাংসা করলে স্বপ্নেও তার স্ত্রীকে দেখার সৌভাগ্যটুকু হারাবেন তিনি!
সমাপ্ত
(গল্পটির সমাপ্তি দ্রুত টানা হয়ে গিয়েছে (ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে)। পাঠকদের কাছে অনুরোধ যেন এই অনাকাঙ্ক্ষিত সমাপ্তির জন্য বিরক্ত না হয়ে যান। ধন্যবাদ।)
©Sayan
অতৃপ্ত আত্মা গল্পের লিংক
https://kobitor.com/category/uponas/atta/
ভ্যাম্পায়ার বর গল্পের লিংক
https://kobitor.com/category/uponas/vampire/
জ্বিন রহস্য গল্পের লিংক