“তুমি কান্না করছো কেন মেঘ?”
“ভয় করছে ভীষণ।”
“ভয়! কিসের ভয়?”
“বাসায় কেউ নেই আমি একা।”
কথাটা বলেই মেঘ কেঁদে ফেলে বাচ্চাদের মতো। ফোনের অপর প্রান্ত থেকে নীল উ*ত্তে*জি*ত কন্ঠে বললো,
“কেঁদোনা মেঘ। সবাই কেথায় গেছে?”
“বাড়িতে গিয়েছে। আমার পরীক্ষা বলে বাধ্য হয়ে আমাকে একা রেখে গেছে। দাদু মা*রা গেছে।”
“নিচে দারোয়ান চাচা আছেনা?”
“হ্যাঁ আছেতো।”
“কেঁদোনা আমি আছিনা? ভালো করে দরজা, জানালা লক করে শুয়ে আমার সাথে কথা বলো।”
“তুমিতো একটু পর ঘুমিয়ে যাবে। আমারতো ঘুম আসবেনা। এতো বড় ফ্ল্যাটে একা। যদি রাতে…”
মেঘ কথাটা বলতেই ফোনের ওপাশ থেকে নীলের খিলখিল হাসির শ*ব্দ শুনতে পায়। মেঘ অনেকটা রে*গে বললো,
“আমি ভ*য়ে ম*র*ছি আর তুমি হাসছো?”
“আচ্ছা সরি সরি আর হাসবোনা। তুমি কেঁদোনা আমি সারারাত তোমার সাথে কথা বলবো। কি হ্যাপিতো?”
“আমারতো ঘুম পেয়েছে নীল।”
“খুব বেশি?”
“হ্যাঁ। চোখ জ্বা*লা করছে। কিন্তু ভ*য়ে ঘুমাতে পারছিনা।”
“তুমি ঘুমাও ভয় পেওনা। আমি লাইনে আছি। হুট করে ঘুম ভেঙ্গে গেলে হ্যালো বলিও।”
কথা বলতে বলতে কখন যে মেঘ ঘুমিয়ে গেছে সে নিজেও জানেনা। সকালে ঘুম থেকে উঠতেই ঘুম ঘুম চোখে সে ফোন হাতে নেয়।
“লাইন এখনো কাটেনি! হ্যালো…হ্যালো নীল..
” বলুন মহারাণী।”
“তুমি এখনো লাইনে! জেগে আছো! সারারাত ঘুমাওনি!”
“এতো প্রশ্ন একসাথে? তুমি যদি হুট করে জেগে যাও তাই ঘুমায়নি। ফোন কানে রেখে শুয়ে ছিলাম।”
মেঘ অবাক হয়ে বললো,
“তাই বলে সত্যিই তুমি লাইন কা*টোনি? আমিতো ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম কথা বলতে বলতে।”
“যদি তুমি জেগে দেখতে আমি কল কে*টে দিয়েছি তাহলে তোমার ভ*য় করতো। আর তুমি ভ*য় পেলে কেঁ*দে উঠতে। আর আমার মায়াবতীকে এই ভ*য়ে রেখে আমি কি আর শান্তিতে ঘুমাতে পারি?”
নীল আর কিছু না বলে নে”শা”লো কন্ঠে শুধু বলে,
“বড্ড বেশি ভালোবাসি তোমায় মেঘ।
মেঘ অশ্রুসিক্ত কন্ঠে বললো,
“আমিও অনেক অনেক অনেক বেশি ভালোবাসি। এতোটাই ভালোবাসি, যতোটা ভালোবাসলে এই জীবনে আর দ্বিতীয় কারো কথা কল্পনায়ও আসবেনা।
ভালোবাসা_সুন্দর
অনুগল্প
Writer: মারশিয়া জাহান মেঘ