পদ্মজা পড়লাম
অনলাইন থেকে পড়েছি তাই টাকা খরচ হয়নি তবে সময়ের অপচয় হয়েছে। এরচেয়ে তুর্কি, ইন্ডিয়া অথবা পাকিস্তানি সিরিয়াল দেখে সময় নষ্ট করতে পারতাম। যাইহোক, মূল কথায় আসি। অতিরিক্ত ভাইরাল দেখেই বইটা পড়া। বইমেলায় একবার অন্যধারায় গিয়ে দেখেছিলাম বইটা। এত টাকা দিয়ে কেনার সাহস পাইনি। সাহস ঠিক না, পকেটে যথেষ্ট টাকাও ছিল না। থাকলে বইটা নিয়েই বাড়িতে যেতাম।কারণ প্রতিবছরই ভালো বইয়ের পাশাপাশি কিছু ভালো কোয়ালিটির (বইয়ের প্রডাকশন, বাইন্ডিং, দেখতে সুন্দর) বই কেনা হয় যার বেশিরভাগ কোনো কাজেই আসেনা।
লেখকের বয়স কম, কিন্তু ধৈর্য ও সাহস আছে। এই ধৈর্য ও সাহস যদি তার ভেতরে অটুট থাকে তবে ভবিষ্যতে ভালো কিছু করতে পারবে। এক্ষেত্রে অবশ্যই তাকে প্রচুর জানতে হবে। অল্পতে পাওয়া খ্যাতি দিয়ে সাময়িক সময় দাপিয়ে বেড়ানো গেলেও লম্বা সময় সার্ভাইব করা সম্ভব নয়। একটা গল্প অথবা বাক্য মন চাইলেই বলা যায় কিন্তু শৈল্পিকভাবে সেটা ফুটিয়ে তুলতে পারে কেবল একজন লেখক। তাই লেখককে অবশ্যই বাক্য গঠনে সচেতন হতে হবে।
এই বই নিয়ে আলোচনা হচ্ছে বলেই সমালোচনা হচ্ছে। আমি আলোচনা-সমালোচনা ২ টোই করছি। এর যথেষ্ট কারণ আছে। এই বয়সে মেয়েটা যে কাজ করেছে সেটা প্রশংসনীয় তবে ভারী জিনিস কাঁধে নিলে সেই ভার বহনের সক্ষমতা থাকতে হয়। এখানে সক্ষমতা বলতে অবশ্যই আমি লেখনশৈলী ব্যাপারটাকে বোঝাচ্ছি। আপনি যত ভালো গল্পই জানেন না কেনো সেটা যদি সুন্দরভাবে উপস্থাপন না করতে পারেন তবে সেই গল্পের দাম নেই।
তবে গল্পের মধ্যে কিছু কিছু লাইন আমার ভালো লেগেছে। এই লাইনগুলোর জন্যই বইয়ের মার্কেটিং বেশ ভালো হয়েছে। লেখাগুলো মানুষের কাছে পৌঁছেছে। লেখকদের অবশ্যই বইয়ের মার্কেটিং এর ব্যাপারে খেয়াল করা উচিৎ। পদ্মজার লেখক এখানে সফল।
পজিটিভ অথবা নেগেটিভ যাই বলেন, যারা বই পড়ে না তারাও বইটা পড়েছে। নতুনদের কাছে বইটা ভালোও লেগেছে। তবে যারা নিয়মিত বই পড়েন তাদের কাছে এটা খাপছাড়া লাগবে।
সবশেষে এই লেখকের জন্য শুভকামনা রইলো। নিশ্চয়ই পরবর্তীতে চমৎকার কিছু লেখা আসবে তার থেকে।
– মানজুলুল হক
সম্পূর্ণ গল্প + রিভউ নিচের লিংকে