#সাদিয়া_শওকত_বাবলি
#পর্ব_২৯
( অনুমতি ব্যতীত কপি করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ )
একটু ঝুঁকে বলল,
-“আমাকে কি একটু বেশিই সুন্দর লাগছে বউ?”
পৃথা থতমত খেয়ে গেল তুর্যের প্রশ্নে। তৎক্ষণাৎ মাথা নুইয়ে দৃষ্টি নিবদ্ধ করলো খাবারের থালায়। তুর্য আর একটু গা ঘেঁষে বসলো পৃথার পানে। মেয়েটার কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিসফিসিয়ে বলল,
-“মুরগির বাচ্চার জামাই হাঁসের বাচ্চার সুন্দর তো হওয়ারই কথা তাই না বউ?”
পৃথা আড় চোখে তাকালো তুর্যের পানে। বিরবিরিয়ে বলল,
-“হাঁসের বাচ্চা না ছাই। আপনি আস্ত একটা ব্রিটিশের বাচ্চা।”
পৃথা কথাগুলো বিরবিরিয়ে বললেও তুর্যের শুনে নিতে কষ্ট হলো না তেমন। কাছাকাছিই বসে ছিল দুজন। তুর্য সাথে সাথেই পৃথার বলা বাক্যের বিরোধীতা করলো। কন্ঠ খাদে রেখেই বলল,
-“তুমি ভুল বললে বউ, আমি মোটেও ব্রিটিশের বাচ্চা নই। আমি আস্ত একটা ঘষেটি বেগমের বাচ্চা।”
কথাটা শেষ হতে না হতেই তাহমিনা বেগম খাবার দিলেন তুর্যকে। কপট রাগ দেখিয়ে বললেন,
-“নামাজে গিয়েছিলি সেই কখন। এখন ফেরার সময় হলো তোর? বাড়ির সবার খাওয়া দাওয়া সেই কখন শেষ।”
মায়ের কথা শুনে সোজা হয়ে বসলো তুর্য। স্বাভাবিক কন্ঠে বলল,
-“মসজিদে পুরোনো কিছু বন্ধুদের সাথে দেখা হয়ে গিয়েছিল তাই আসতে আসতে একটু দেরী হয়েছে।”
তাহমিনা বেগম তাকালেন ছেলের পানে। কন্ঠে বিরক্তি নিয়ে বললেন,
-“তোর বন্ধু বান্ধব মানেই তো সব গু’ন্ডা মা’স্তা’ন। ওগুলোর সাথে আবার এত কথা কিসের?”
তুর্যের মুখশ্রী থমথমে হলো। মায়ের পানে সরু দৃষ্টি নিক্ষেপ করে সে বলল,
-“ওরা মোটেও গু’ন্ডা মা’স্তা’ন নয় মা। ওদের মতো ভালো ছেলে তুমি এ তল্লাটে আর একটাও পাবে না।”
তাহমিনা বেগম মুখ বাঁকালেন। তাচ্ছিল্যের স্বরে বললেন,
-“একদম তোর মতো ভালো। হাড়ে হাড়ে সব বাজ্জাতগীরি।”
মায়ের কথার প্রেক্ষিতে তুর্যও মুখ বাঁকালো। ভাবলেশহীন ভাবে বলল,
-“ঘষেটি বেগমের ছেলে হয়ে যদি হাড়ে হাড়ে বাজ্জাতগীরি না থাকে তবে তোমার নামই তো ডুববে মা।”
তাহমিনা বেগম ফুঁসে উঠলেন। দুই হাত দিয়ে টেবিলে থাপ্পর মেরে উঠে দাঁড়ালেন তিনি। তাহমিনা বেগমের হাতের আঘাতে কেঁপে উঠলো টেবিলটা, পৃথা হকচকিয়ে উঠলো মুহুর্তেই। এতক্ষন চুপচাপ মা ছেলের ঝগড়া দেখছিলো সে। চেয়েও দুজনের মধ্যে বলতে পারছিলো না কিছু। এই টুকু সময়ে এই মা ছেলেকে সে যতটুকু সময়ই দেখেছে ততটুকু সময়ই দেখেছে শুধু ঝগড়া করতে। তবে এখন মনে হচ্ছে এদের থামানো প্রয়োজন। নয়তো ঝগড়া বেশিদূর গড়িয়ে যেতে পারে। এখানে আর কেউ নেই ও যে সে এই মা ছেলের ঝগড়া থামাবে। পৃথা নিজের সাথে নিজে যুদ্ধ করেই মুখ খুললো শেষে। আমতা আমতা করে করে বলল,
-“আ…”
বাকিটুকু আর বলল না। একটু আগেই তো তাহমিনা বেগম তাকে “মা” ডাকতে বলেছিল। এখন যদি আবার আন্টি ডাক শুনে আবার রেগে যান। এমনিই ভীষণ রেগে আছে মহিলা। যদিও হঠাৎ একজন প্রায় অপরিচিত নারীকে মা বলতে ইতস্তত লাগছে পৃথার তবুও উপায় নেই। এই মা ছেলেকে থামাতে হলে নিজের ভিতরের ইতস্ততবোধকে গলা টি’পে মা’র’তে হবে। পৃথা এলোমেলো দৃষ্টি ফেললো। ঢোক গিলে বলল,
-“মা আপনি উত্তেজিত হবেন না। আপনার ছেলে তো একটু এমনই তা তো অবশ্যই আপনি জানেন।”
তাহমিনা বেগম তাকালেন পৃথার পানে। ক্রোধ চেপে হঠাৎ হাসলেন তিনি। দ্রুত চেয়ারে বসে বললেন,
-“তুই আমাকে মা বলে ডেকেছিস? কি যে শান্তি লাগছে আমার।”
কথাটা বলে একটু দম ফেললেন তিনি। ঘাড় ঘুরিয়ে আবারও তুর্যর পানে তাকালেন তিনি। শক্ত কন্ঠে বললেন,
-“আজ শুধু ওর মুখে মা ডাকটার জন্য বেঁচে গেলি তুই। নয়তো এক চড়ে তোর দাঁত ফেলে দিতাম আমি।”
তুর্য চোখ ছোট ছোট করে তাকালো মায়ের পানে। চোখে মুখে বিষন্ন ভাব ফুটিয়ে তুলে বলল,
-“কিন্তু আমি তো তোমাকে উঠতে, বসতে, ঘুমাতে এমনকি ছোট বেলায় ওয়াশরুমে গিয়েও মা মা বলে ডাকতাম। কই কখনও তো আমাকে এইটুকু বালি পরিমাণ ছাড় দিলে না।”
তাহমিনা বেগম মুখ বাঁকালেন। তুর্যের কথার প্রেক্ষিতে উত্তর দিলেন না কোনো। উল্টো তরকারির বাটি থেকে মুরগির একটা রান তুলে দিলেন পৃথার প্লেটে। আড় চোখে তুর্যের পানে তাকিয়ে বললেন,
-“তাড়াতাড়ি খেয়ে নে মা। আশেপাশে তো আর চিল শকুনের অভাব নেই কোনো। দেখা গেল কখন আবার তোর প্লেটের দিকে নজর দিয়ে দিল।”
তুর্য তীক্ষ্ম দৃষ্টিতে তাকালো মায়ের পানে। তার মা যে চিল শকুন বলতে তাকেই বুঝিয়েছে তা সে বেশ বুঝতে পেরেছে। তবে প্রতিউত্তরে বলল না কিছুই। শ্বাশুড়ি বউমা জোট বেঁধেছে বাধুক। সেও তার শ্বশুরকে নিয়ে জোট বাঁধবে। তারপর সবাইকে হেনস্থা করবে। কিন্তু কথা হলো তার ঐ রা’জা’কা’র শ্বশুর তার সাথে জোট বাঁধতে রাজি হবে তো? ভারী চিন্তার বিষয়। তুর্য গভীর চিন্তায় নিমগ্ন হয়েই নিজের খাবার প্লেটে হাত দিল। রা’জা’কা’র শ্বশুরকে বাগে আনার পরিকল্পনা করতে করতেই খেতে শুরু করলো।
৩১.
দুপুর গড়িয়ে সময়টা এখন প্রায় বিকালের পথে। সূর্যটাও এখন তার তেজ কমিয়ে দিতে শুরু করেছে অল্প অল্প করে। বাড়ির সব মানুষও দুপুরের বিশ্রাম শেষ করে উঠতে শুরু করেছে। এর মধ্যেই আরুশ হঠাৎ কোথা থেকে হন্তদন্ত হয়ে ছুটে এলো তুর্যদের বাড়িতে। তবে সদর দরজা দিয়ে ঢুকতে গিয়েই বাঁধলো বিপত্তি। তাড়াহুড়ো করে ঢুকতে গিয়ে দরজার সাথে পা বেঁধে হুমড়ি খেয়ে পড়লো সে মেঝেতে। ধপাস করে একটা আওয়াজ হলো সাথে সাথে। বসার কক্ষে খুব বেশি জনমানবের সমাগম না হলেও ইরা, তারেক আর তুর্যের ছোট চাচি সাথী বেগম ছিলেন। হঠাৎ করে কারো পড়ে যাওয়ার আওয়াজ পেয়ে সেদিকে ফিরে তাকালো তারা। আরুশকে মেঝেতে উপুড় হয়ে শুয়ে থাকতে দেখে চোখ বড় বড় হলো তিন জনেরই। বুঝতে বাকি রইলো না এখানে কি হয়েছে। দ্রুত তারা ছুটে গেলো বেচারা আরুশের পানে। ইরা ব্যস্ত হয়ে শুধালো,
-“আরে আরুশ ভাই! আপনি পড়ে কিভাবে গেলেন?”
পরপর সাথী বেগমও মুখ খুললেন। ব্যস্ত হয়ে বললেন,
-“বেশি ব্যথা পেয়েছো? কোথাও ব্যথা পেয়েছো দেখি দেখি?”
আরুশ অপ্রস্তুত হলো, সাথে লজ্জাও পেল ভীষন। ইসসস কি এক বিদঘুটে ঘটনা ঘটে গেল তার সাথে। পড়লো তো পড়লো এদের তিন জনের সামনে এসেই পড়তে হলো? এত বড় শক্তপোক্ত একজন যোয়ান ছেলে হয়ে কিনা জনসম্মুখে এভাবে আছাড় খেল? মান ইজ্জত আর রইলো না বোধহয়। এতদিন তো শুধু তুর্যের নিকটে তার কোনো মান ইজ্জত ছিল না এখন তুর্যের বাড়ির লোকের সম্মুখেও। না না এভাবে নিজের মান ইজ্জত হারাতে দেওয়া যায় না। আরুশ জোরপূর্বক হাসলো। নিজের মান ইজ্জতটা এবারের ন্যায় বাঁচাতে বলল,
-“আমি পড়িনি তো। একটু ব্যায়াম করছিলাম আর কি?”
কথাটা শেষ করেই তড়িঘড়ি করে মেঝেতে পুশ-আপ দেওয়া শুরু করলো আরুশ। মুখে মুখে আবার গুনলো,
-“এক, দুই, তিন…..”
আরুশের এমন কান্ডে হতবাক হয়ে পড়লো সাথী বেগম, ইরা এবং তারেক তিনজনই। তারা স্পষ্ট শুনেছে পড়ে যাওয়ার শব্দ। তবে কি ভুল শুনেছে তারা? তারেক হতবাক কন্ঠেই শুধালো,
-“বাড়িতে এত জায়গা থাকতে আমাদের দরজার সম্মুখেই আপনার পুশ-আপ দিতে ইচ্ছে হলো আরুশ ভাই?”
আরুশ পুশ আপ দেওয়া বন্ধ করলো। ভ্যাবলার মতো হেসে বলল,
-“তোমাদের দরজাটা ভারী সুন্দর। দেখলেই ইচ্ছে করে দুই চারটা পুশ-আপ দেই। তাই পুশ – আপ দিচ্ছিলাম আর কি।”
কথাটা বলেই উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলো আরুশ। সাথে সাথেই ব্যথায় কাকিয়ে উঠলো সে। কোমড়ে বেশ ভালোই ব্যথা পেয়েছে তবে বুঝতে দিল না উপস্থিত কাউকে। কোনো রকমে কোমড়টা চেপে বলল,
-“তুর্য স্যারের সাথে জরুরী কাজ আছে। উনার কাছে যাই আমি ঠিক আছে।”
কথাটা বলেই তড়িঘড়ি করে পা বাড়ালো বাড়ির ভিতরের দিকে। কোনো মতে নিজের ইজ্জাত নিয়ে এদের সম্মুখ থেকে কেটে পড়লো আর কি।
***
তুর্য আর পৃথা নিজেদের কক্ষেই ছিল। খেয়েদেয়ে একটু শুয়েছিল আবার। আর তাদের মাঝে খানে তো সেই ভারত চীনের বর্ডার হিসেবে কোল বালিশ আছেই। তুর্য এপাশ ওপাশ করলো কয়েকবার অতঃপর মাথা তুলে উঁকি দিল পৃথার পানে। মেয়েটা শুয়ে আছে অন্যদিকে মুখ করে। চুলগুলো খুলে ছড়িয়ে রেখেছে বালিশের উপরে। তুর্য কিঞ্চিৎ সময় নিয়ে চেয়ে রইলো সে খোলা চুলের পানে অতঃপর কিছু একটা ভেবে উঠে বসলো বিছানায়। খুব সাবধানে পৃথার কিছু চুল এনে পেঁচিয়ে নিল নিজের টিশার্টের বোতামের সাথে। সচরাচর টিশার্টে বোতাম দেখা না গেলেও খুব ভাগ্য করে তুর্যের এই টিশার্টের গলার নিকট নকশা হিসেবে দুটো বোতাম ছিল। সে বোতামের সাথেই বুদ্ধি করে ছেলেটা আটকে নিল বউয়ের চুল। পোড়া কপাল বেচারার। ঐ নাটক সিনেমার মতো নিজে থেকে তো আর আটকাবে না তাই জোর করেই আটকাতে হচ্ছে এখন। তবুও বউয়ের কাছাকাছি যাওয়া তার চাই ই চাই। একটু কাছাকাছি না গেলে, দুজনের মধ্যে দুই চারটা বাক্য বিনিময় না হলে তাদের সম্পর্কটা সহজ কিভাবে হবে? একে অপরের জন্য ভালোলাগা, ভালোবাসার সৃষ্টি কিভাবে হবে? তাই ভাগ্য সহায় না হলেও তুর্য নিজের সহায় নিজে হচ্ছে। বেশ কিছুটা সময় নিয়ে তুর্য নিজের টিশার্টের বোতামের সাথে পৃথার চুল আটকালো। অতঃপর পৃথার পানে একবার তাকিয়ে বিছানা থেকে উঠে যেতে উদ্যত হলো। সাথে সাথেই ওপাশ থেকে পৃথার কন্ঠস্বর ভেসে এলো। মেয়েটা কন্ঠে “আহহ” মূলক ব্যথাতুর ধ্বনি তুলে তাড়াহুড়ো করে বিছানায় উঠে বসলো। তুর্যের ওষ্ঠে হাসি ফুটে উঠলো তৎক্ষণাৎ। সে তো আগে থেকেই জানতো এমন কিছুই হবে। এমন কিছু হওয়ার জন্যই তো উঠে দাঁড়িয়েছে সে। তবুও অবুঝের মতো ভান ধরে তাকালো পৃথার পানে। অস্থির কন্ঠে বলল,
-“কি হয়েছে বউ?”
পৃথা নিজের চুল অনুসরন করে তাকালো। অতঃপর বলল
-“আপনার টিশার্টে আমার চুল আটকেছে। “
তুর্যও তাকালো সে চুলের পানে। দ্রুততার সাথে বিছানায় বসলো সে। পৃথার চুলে হাত দিয়ে বলল,
-“ইসস কিভাবে আটকালো? ব্যথা পেয়েছো নিশ্চই। দাঁড়াও আমি এক্ষুনি খুলে দিচ্ছি।”
কথাটা বলে নিজের উদ্যেগেই টিশার্ট থেকে পৃথার চুল ছাড়াতে ব্যস্ত হলো তুর্য। পৃথাও আর কিছু বলল না। সে চুল খোলা রেখেছিল বলেই তুর্যের টি শার্টের বোতামে আটকেছে এতে তো আর তুর্যের কোনো দোষ নেই। ছেলেটা আরও চুল ছাড়ানোর জন্য কতটা ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।
আর তুর্য! সে চুল ছাড়ানোর বাহানা দিয়ে একটু একটু করে এগুতে শুরু করেছিল বউয়ের পানে। কিন্তু শেষে গিয়ে বাঁধা প্রাপ্ত হলো ঐ ভারত চীনের বর্ডার নামক কোলবালিশের নিকটে। তুর্যের মেজাজ গরম হলো। শুধুমাত্র এই ভ’য়ং’ক’র বর্ডারটার জন্য সে যেতে পারছে না বউয়ের নিকট। তুর্য ইচ্ছে করেই পৃথার চুল ধরে বেশ জোরে সোরে টান দিল। পৃথাও সাথে সাথে “আহহ” করে ব্যথাতুর ধ্বনি তুললো। তুর্য আবার অস্থির হওয়ার ভান ধরলো। উৎকণ্ঠা নিয়ে বলল,
-“স্যরি স্যরি আবার ব্যথা পেলে।”
থামলো তুর্য। কোলবালিশটার পানে তাকিয়ে বলল,
-“এই কোলবালিশটার জন্য আমাদের দূরত্ব একটু বেশি হয়ে যাচ্ছে। তাই আমি চুল ছাড়াতে গেলেই তুমি চুলে ব্যথা পাচ্ছো। যদি অনুমতি দাও এটাকে সরিয়ে দেই?”
পৃথা তাকালো কোলবালিশের পানে। আসলেই কোলবালিশটার কারনে তাদের দূরত্ব বেশি হয়ে যাচ্ছে। তাই হয়তো ব্যথা পাচ্ছে। পৃথা সরল মনে বলল,
-“আচ্ছা।”
তুর্যের বুকটা ফুলে উঠলো। অবশেষে সে এই ভারত চীনের বর্ডারটা সরাতে পারবে। তুর্য কটমট করে তাকালো কোলবালিশটার পানে। চড়ম ক্রোধ নিয়ে আগাছার মতো ছুঁড়ে মারলো মেঝেতে। অতঃপর কোলবালিশটার পানে তাকিয়ে মনে মনে বলল,
-“ব্যাটা বদমাইশ। আমার আর আমার বউয়ের মাঝখানে এসেছিলি? দেখ এখন আমরা আমে দুধে মিলে গেছি আর তুই আটি হয়ে মেঝেতে গড়াগড়ি খাচ্ছিস।”
চলবে…..
( আমার দ্বিতীয় ইবুক “কৃষ্ণময়ীর সুদর্শন” পড়েছেন তো। না পড়লে এখনই পড়ে নিন বইটই অ্যাপ থেকে মাত্র ৪০ টাকার বিনিময়ে। আরও একটিবার পড়ে নিন জায়ান আর পূর্বাশার ভালোবাসাময় রোমান্টিক গল্প। গল্পটা বইটি কিভাবে কিনবেন কমেন্ট বক্সে দেওয়া হলো। )