#ভ্যাম্পায়ার বর
পর্ব ১৪
#M_Sonali
শ্রাবণের কথা শুনে চাঁদনী অবাক হয়ে বলল
— সাত দিনের জন্য আমাকে কোথায় নিয়ে যাবেন শ্রাবণ? আর তাছাড়া আমার তো কলেজ আছে তাই না, কলেজ বাদ দিয়ে এভাবে কোথাও যাওয়াটা কি ঠিক হবে। পড়াশোনা পিছিয়ে যাব না আমি? আর আম্মু কি আমায় কোন কারণ ছাড়া এভাবে সাতদিনের জন্য কোথাও যেতে দেবে, কখনোই না। আমি তাদের একমাত্র মেয়ে তারা কখনোই চাইবেনা আমি একা একা কোথাও যাই। তার মধ্যে আমাদের সিলেটের অবস্থা ইদানিং খুব খারাপ। জানিনা কি হয়েছে প্রতিদিন কেউ-না-কেউ মারা যাচ্ছে খুব বিশ্রীভাবে।
—
চাঁদনীর কথা শুনে শ্রাবণ চাঁদনীর দু গালে হাত রেখে মায়া ভরা দৃষ্টিতে চাঁদনী চোখের দিকে তাকিয়ে বলল
— তুমি আমায় বিশ্বাস করো না চাঁদ পাখি? যে তুমি এভাবে বলছ, আমি কি তোমার কোন ক্ষতি করতে পারি? আমি তোমাকে নিয়ে কোথাও ঘুরতে যেতে চাই সাত দিন তোমার সাথে আলাদাভাবে সময় কাটাতে চাই। তুমি আমার বউ আমার কি ইচ্ছা করে না তোমাকে একটু কাছে পেতে তোমার সাথে আলাদা করে একটু সময় কাটাতে?প্লিজ চাঁদনী আর কথা বাড়িয়ো না তুমি রাজি হয়ে যাও বাকিটা শ্রাবনী সামলে নেবে।
এভাবে শ্রাবণের কথা বলা শুনে চাঁদনী শ্রাবনের চোখের দিকে তাকিয়ে মায়ায় পড়ে গেল। আর কিছু বলতে পারল না। তাই মুচকি হেসে বলল
–ঠিক আছে শ্রাবণ আপনি যখন চাইছেন তাহলে আমি অবশ্যই বাসায় বলবো তবে জানি না আম্মু আদৌ রাজি হবে কিনা। আমি আপনার সাথে যাবো কিন্তু আপনি আমার কোথায় নিয়ে যাবেন শ্রাবণ?
চাঁদের কথা শুনে মুচকি হেসে শ্রাবণ বললো
— সেটা যখন নিয়ে যাব তখনই দেখতে পাবে চাঁদ পাখি। আর শুধু অবাক হবে জায়গাটার সুন্দর্য্য দেখে। তোমাকে এই সাতটা দিন আমি এতটা আনন্দ উপহার দেবো যা তুমি সারা জীবনেও পাওনি, কখনো কল্পনাও করেনি। আর এটা তোমার কাছে আমার প্রমিস।
কথাটা বলেই চাঁদনী কে জরিয়ে ধরল শ্রাবণ। চাঁদনীও আর কোন কিছু না বলে চুপ করে শ্রাবনের বুকে শুয়ে রইলো। তারপর বেশ কিছুক্ষণ সময় ওরা দুজন একসাথে ওই জায়গাতে কাটিয়ে, বিকেলের দিকে বাসায় চলে আসলো।
,
,
রাত প্রায় 4:05 মিনিট
গভীর ঘুমে ঘুমিয়ে আছে মিতু আর মিতুর পাশে বসে আছে শ্রাবণী। প্রতিদিন রাতে এভাবেই শ্রাবণী এসে মিতুকে পাহারা দেয়। যেটা মিতু বা মিতুর বাড়ির লোক কেউ জানে না। মিতু শান্তিতে ঘুমিয়ে আছে দেখে শ্রাবনী সস্থির নিশ্বাস ফেলে মনে মনে বলল
— এখন সকাল হতে চলেছে তুই এখন থাক মিতু আমি এখন চলে যাই। আর একটু পরেই আলো হয়ে যাবে চারিদিকে। এখন আর কোন ভয় নেই তোকে নিয়ে। মনে মনে
কথাটা ভেবেই জানালা দিয়ে বেরিয়ে উড়ে চলে গেল শ্রাবনী। এতক্ষণ যেন শ্রাবণীর চলে যাওয়ারই অপেক্ষা করছিল এভিক আর তিতাসা।
শ্রাবণী চলে যেতেই এভিক আর তিয়াসা আস্তে করে মিতুর ঘরে প্রবেশ করল। তারপর বাঁকা হেসে তিয়াসা এভিকের দিকে তাঁকিয়ে বললো
— এতদিনের অপেক্ষার ফল আজকে কাজে লাগলো এভিক। নাও আর দেরি না করে এখনই আমাদের পিপাসা মিটিয়ে ফেলি। এই মেয়েটার রক্তের টেস্ট এখনো আমাদের মুখে লেগে আছে। শ্রাবনীর জন্য আমরা একে কিছু করতে পারছিলাম না। কিন্তু আজ শ্রাবনী একটু আগে চলে গিয়ে ভালোই করেছে। এমনিতেও আজকে আমরা কোন শিকার পাইনি। তাই চলো তুমি আর আমি মিলে আজকে এই মিতুকেই নিজেদের স্বীকার করে ফেলি। অনেকদিনের অপেক্ষার পর আজকে ওকে দিয়ে আমরা রক্তের তৃষ্ণা মিটাবো।হাহাহা
তিয়াসার কথা শুনে বাঁকা হাসল এভিক। তারপর সোজা গিয়ে দুজন মিলে দাঁড়ালো মিতুর দুই পাশে। আর মুহূর্তের মধ্যে মুখে হাসি ফুটিয়ে মিতু গলায় দাঁত বসিয়ে দিল দুজন দুদিক থেকে। মিতু চিৎকার দেওয়ারও সময় পেল না, তার আগেই মিতুর রক্ত জোকের মতো চুষে চুষে খেতে লাগলো দুই জন ভ্যাম্পায়ার।
দেখতে দেখতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পরল মিতু।মিতুর রক্ত খাওয়া শেষ হলে উঠে দাঁড়ালো এভিক আর তিয়াসা তারপর মুখে ক্রু হাসি ফুটিয়ে জানালা ভেদ করে বেরিয়ে দুজনেই উড়ে চলে গেল। আর খাটে পড়ে থাকল মিতুর রক্তশূন্য মৃতদেহ।
মিতুর রক্ত খেয়ে বেরিয়ে হাসতে হাসতে উড়ে যাচ্ছে তিয়াসা আর এভিক। হঠাৎ একটি বাসার সামনে গিয়ে জানালার কাঁচের ভিতর দিয়ে কিছু একটা দেখে থমকে গেল তিয়াসা। তারপরে বলল
— এভিক আমি যা দেখছি তুমিও কি তাই দেখছো?
তিয়াসার কথা শুনে তিয়াসার দিকে বাকা চোখে তাকিয়ে এভিক বলল
— কি বলছো তিয়াসা, অনেক দেরি হয়ে যাচ্ছে আমাদের। এখনই দিনের আলো ফুটে উঠবে তুমি তো জানো যে সূর্যের আলো আমরা সহ্য করতে পারি না। তাড়াতাড়ি আমাদের চলে যেতে হবে নিরাপদ স্থানে।
এভিকের কথা শুনে তিয়াসা বলল
— আমি যেটা বলছি আগে সেটা দেখো ওই জানালার কাঁচের দিকে তাকিয়ে দেখো। দেখো তো ওই ঘরের মাঝে কারা শুয়ে আছে ওটা কি ভ্যাম্পায়ার শ্রাবণ না অন্যকেউ?
তিয়াসার কথা শুনে এভিত জানালার কাচের দিকে তাকালো তারপর ভালো করে দেখে বলল
— আরে ওটাতো শ্রাবণই শুয়ে আছে একটি মেয়েকে জড়িয়ে। কিন্তু এই মেয়েটা কে, আর শ্রাবণ ভ্যাম্পায়ার হয়েও এভাবে কেন এই মেয়েটার কাছে শুয়ে আছে? আমাদের সবকিছু জানতে হবে। দরকার হলে এই মেয়েটাই হবে আমাদের প্রধান শিকার। কারণ আমাদের সবচাইতে বড় শত্রু এই শ্রাবণ।আর শ্রাবণ যদি কাউকে ভালোবেসে থাকে তাহলে সে হবে আমাদের প্রধান শিকার। আমার মন বলছে এই মেয়েটাকে শ্রাবন ভালোবাসে আর আমার এই ধারনাটা যদি সত্যি হয় তাহলে মেয়েটা আমাদের হাত থেকে কিছুতেই বাচতে পারবেনা।
কথাগুলো বলেই তিয়াসার হাত ধরে নিয়ে উড়ে সেখান থেকে চলে গেল এভিক।
প্রতিদিন শুয়ে পড়ার আগে জানালার কাছের পর্দাটা টেনে দেয় চাঁদনী। কিন্তু আজকে ভুল করে টানা হয়নি। যার ফলস্বরূপ ওই দুটো ভ্যাম্পায়ারের চোখে পড়ে গেল ওরা। জানেনা চাঁদনীর ভাগ্যে কি আছে।
বাইরের অন্ধকার কেটে যেতেই শ্রাবণ উঠে চাঁদনীর কপালে একটি চুমু এঁকে দিয়ে জানালা দিয়ে বেরিয়ে চলে গেল। আর চাঁদনী ঘুমিয়েই মুচকি হাসলো, আর আবার ঘুমিয়ে পড়লো।
,
,
সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়েই আম্মুর কাছে চলে গেল চাঁদনী। তারপর আম্মুকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে মিষ্টি সুরে বলল
— আম্মু তোমার সাথে আমার একটা কথা ছিল,,
— হ্যাঁ সে তো বুঝতেই পারছি, যে ভাবে পিছন থেকে এসে জরিয়ে ধরে ভালোবাসা দেখাচ্ছ। আমার মামনি টা এভাবে কখনো ভালোবাসা দেখায় না তাতো জানি। নিশ্চয়ই কোনও না কোনও চাওয়া আছে তা কি চাই শুনি?
— ইয়ে মানে আম্মু আসলে হয়েছে কি আমার বান্ধবী শ্রাবণী আর মিতু ওরা সবাই মিলে বেড়াতে যাবে সাতদিনের জন্য। আমিও ওদের সাথে যেতে চাই, তুমি যদি আব্বুর কাছ থেকে অনুমতি নিতে তাহলে আমি একটু বেড়াতে যেতে পারতাম। প্লিজ আম্মু না করো না তুমি আব্বুকে একটু ম্যানেজ করে দাও।
চাঁদনীর কথা শুনে ওর আম্মু চাঁদনীর দিকে ঘুরে দাঁড়িয়ে চিৎকার করে বললো
— একদম না এই সময় তোকে কোথাও যেতে দেব না আমি। নিউজে কি দেখছিস না সিলেটের অবস্থা কত খারাপ? প্রতিদিন নিউজ এ কারো না কারো মৃতদেহকে দেখাচ্ছে। জানিনা কিভাবে মরছে এরা। অদ্ভুতভাবে সবাই মারা যাচ্ছে রক্তশূন্য হয়ে। আমার তো এখন এমনিতেই তোকে নিয়ে অনেক ভয় করে। আর তুই চলে গেলে আমি কি করে থাকবো বল? তোকে ছাড়া আমার একটুও ভাল লাগবেনা সব সময় টেনশনে টেনশনে থাকতে হবে। যেতে হবে না কোন পিকনিকে বাসায় থাক আর বল কি খাবি আমি সব রান্না করে খাওয়াবো তোকে।
— আম্মু তুমি খুব পঁচা একটুও ভালো না আমার কোন কথাই তুমি কখনো রাখোনা। আমি কি একা যাবো নাকি পিকনিকে? আমার সাথে তো শ্রাবণী আর মিতুও যাবে বল আমি কী একা যাচ্ছি নাকি। তাছাড়া কলেজের আরো অনেকেই যাবে সাথে সিনিয়ররাও যাবে। প্লিজ আম্মু তুমি রাজি হয়ে যাও আমি পিকনিকে যাব।
চাঁদনীর কথা শুনে ওর আম্মু কিছু বলবে তার আগেই চাঁদনীর আম্মুর ফোনটা ক্রিং ক্রিং শব্দে বেজে উঠলো। চাঁদনীর আম্মু চাঁদনীর দিকে বাকা চোখে তাকিয়ে গিয়ে ফোনটা হাতে নিয়ে দেখল মিতুর বাড়ি থেকে মিতুর আম্মু ফোন করেছে। ফোনটা রিসিভ করে কানে ধরে হ্যালো বললো চাঁদের আম্মু। তারপর ঐ পাশের ব্যাক্তির কথা শুনে কি বলে চিৎকার দিয়ে হাত থেকে ফোনটা পড়ে গেল চাঁদনীর আম্মুর।
আম্মুকে এরকম করতে দেখে অবাক হল চাঁদনী। তারপর ওর আম্মুর কাছে গিয়ে বলল
— কি হয়েছে আম্মু তুমি এমন কেন করছো এভাবে “কি” বলে চিৎকার করলে কেন? কে ফোন করেছিল আম্মু?
চাঁদনীর কথা শুনে ওর আম্মু কান্না কান্না মুখ করে বলল
— চাঁদ আমাদের মিতু আমাদের মিতু,,,,
— কি হয়েছে আম্মু মিতুর? তুমি মিতুর নাম এমন করে কেন বলছো বারবার? কি হয়েছে আম্মু তুমি এত ভয় পাচ্ছ কেন? বলো না কি হয়েছে আম্মু মিতুর? ও ঠিক আছে তো?
— মিতুকে কে যেন মেরে ফেলেছে চাঁদ। সকালবেলা রক্তশূন্য মৃতদেহ পাওয়া গেছে বিছানার ওপর মিতুর। ওর বাড়ি থেকে ফোন এসেছিল তোকে জানানোর জন্য। কে বা কারা যেনে ওকে হত্যা করেছে অদ্ভুত ভাবে। যেভাবে চারিদিকে মানুষ মরে যাচ্ছে ঠিক সেইভাবে।
আম্মুর মুখে মিতুর ব্যাপারে কথা শুনি ধপ করে নিচে বসে পরলো চাঁদনী। তারপর চিৎকার করে বলল
— হতে পারে না, কিছুতেই না, বলো না আম্মু তুমি মিথ্যে বলছো এটা কিছুতেই হতে পারে না। আমাদের মিতুর কিছু হতে পারে না। বলোনা তুমি ভুল শুনেছ, মিতু ঠিক আছে সুস্থ আছে বলনা আম্মু প্লিজ বলো।
চাঁদনী কে কি বলে সান্তনা দিবে ভাষা খুঁজে পাচ্ছেনা চাঁদনীর আম্মু। সে নিজেও চাঁদনীর সাথে কান্না করছে মিতুর জন্য। মিতু শ্রাবণী আর চাঁদনীকে সমানভাবেই ভালোবাসতো চাঁদনীর আম্মু। আজকে কি থেকে কি হয়ে গেল সে কিছুই বুঝতে পারছে না। কিছুক্ষণ কান্না করার পর আর দেরি না করে চাঁদনী কে নিয়ে ওর আম্মু বেরিয়ে পড়ল মিতুর বাড়ির উদ্দেশ্যে। কিছু সময়ের মধ্যেই মিতুর বাড়িতে পৌঁছে গেল ওরা। বাসাভর্তি মানুষ দিয়ে সবাই কান্না করে চলেছে। সবাইকে ঠেলে ভিতরে দৌড়ে চলে গেল চাঁদনী।মিতুর রুমের মাঝে গিয়ে দেখলো মিতুর রক্তশূন্য দেহ পড়ে আছে ফ্লোরে। পাশেই বসে আছে শ্রাবনী। শ্রাবনীর মুখে কোন কথা নেই, নেই চোখে পানি যেন পাথরের মূর্তির মতো বসে শ্রাবনী। চাঁদনী কাঁপা কাঁপা পায়ে মিতুর পাশে গিয়ে বসল। তারপর মিতুর হাতে হাত রেখে বলল
— কি হয়েছে তোর তিতু তুই এখানে এভাবে শুয়ে আছিস কেন?এই মিতু এই চোখ খুলে দেখনা একবার আমি তোদের দুষ্টু পাখি। কথা বলবি না তুই আমার সাথে। দুষ্টপাখি বলে ডাকবিনা আমায়?
কথাগুলো বলেই কান্নায় ভেঙে পড়ল চাঁদনী, সাথে আশেপাশের সবাই ও কান্না শুরু করলো। চাঁদনীর মা পাশে এসে বসে চাঁদনীকে বোঝাতে বোঝাতে কাঁদতে লাগল। এদিকে মিতুর মায়ের অবস্থা খুবই খারাপ, সে বারবার মেয়ের শোকে জ্ঞান হারিয়ে পরে যাচ্ছে।মিতুর বাবারও একই অবস্থা।সাথে কান্না করছে মিতুর সাথে যে ছেলেটার বিয়ে হওয়ার কথা ছিলো সেই ছেলে ও তার পরিবারের লোকও। কিছুক্ষণের মাঝে সেখানে পুলিশ এসে পৌছালো। তারপর সবাইকে সরিয়ে দিয়ে মিতুর লাশ নিয়ে গেল পোস্টমর্টেমের জন্য। শ্রাবণী এখনো আগের মতো সেই চুপচাপ মূর্তি হয়ে বসে আছে। ওর মুখে থেকে যেন হারিয়ে গেছে সব কথা হারিয়ে গেছে কান্না হাসি। যেন একটা পাথরের মূর্তি হয়ে আছে শ্রাবনী। কান্না করতে করতে চাঁদনী গিয়ে শ্রাবনীকে জড়িয়ে ধরলো। তারপর বলতে লাগল
— এটা কি হয়ে গেল শ্রাবনী আমাদের মিতু কিভাবে আমাদের ছেড়ে এভাবে হারিয়ে গেল। মিতুকে এনেদে না শ্রাবণী, ওকে কি করে হারিয়ে ফেললাম আমরা ও তো কালকেও আমাদের সাথে কথা বলছিল কলেজে বল। মিতুকে ছেড়ে কি করে থাকবো আমরা শ্রাবণী। কথা বলছিসনা কেনো তুই শ্রাবণী,।কেন মিতু এভাবে স্বার্থপরের মত আমাদের ছেড়ে চলে গেল শ্রাবণী। আমরা ওকে ছেড়ে কি করে থাকবো শ্রাবনী। তুই কথা বলছিস না কেন শ্রাবণী, কেন পাথরের মূর্তির মতো বসে আছিস এভাবে।
চাঁদনীর কথা শুনে শ্রাবণী কিছু না বলে চাঁদনীর থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে উঠে সোজা বাইরে চলে গেল। চাঁদনী অবাক চোখে তাকিয়ে রইল শ্রাবণীর চলে যাওয়ার দিকে।
চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,,