# এক মুঠো রোদ .
# writer :নৌশিন আহমেদ রোদেলা
# পর্ব -৩
.
.
কালো সানগ্লাস পড়া চোখেই স্ক্যান করতে লাগলো মেয়েটিকে।হাইট ৫’৩”, ওয়েট ৪৫/৪৭,বয়স ১৯/২০,, ফর্সা একহারা গড়ন, কোমর পর্যন্ত কালো ঘন চুল,,ঠোঁটের নিচে কালো তিল,,টানা টানা দুটি চোখের রং হালকা বাদামী।ফিগার…এইটুকু ভাবতেই মেয়েটি দৌঁড়ে সামনে এসে দাঁড়ালো। রাফিনের এই বিশাল বডিগার্ডের বহরকে ঠেলে সরিয়ে হাঁটুতে ভর দিয়ে হাঁপাতে লাগলো সে।রাফিনের ভ্রু দুটো এবার আগের থেকেও কুঁচকে এলো ।এই মেয়েটার কি ভয় ডর নেই?এই মুহূর্তে যে রাফিন তাকে পিষে ফেলতে পারে সেই ভাবনাটা কি মেয়েটার মাঝে আসে না??রাফিনের বডিগার্ডরা মেয়েটাকে ধরতে গেলে আঙ্গুলের হালকা ইশারায় নিষেধ করলো রাফিন। গাড়ির দরজাটা বন্ধ করে পকেটে হাত রেখে সোজা হয়ে দাঁড়ালো সে….।কয়েকবার জোড়ে শ্বাস টেনে রাফিনের মুখের দিকে তাকালো আরু।চোখদুটো যেনো সেখানেই থমকে গেলো তার….চোখ পিটপিট করে অবাক চোখে তাকিয়ে আছে সে।দুধের মতো ফর্সা ছেলেটার চোখ-মুখ।যেনো কোনো অমেরিকান যুবক।চুলগুলো পেছনদিকে আচড়ানো…কিছু চুল অবাধ্য হয়ে এসে পড়েছে কপালে…..গালে খোঁচা খোঁচা দাঁড়ি।।আরুর কাছে মনে হচ্ছে চোখের সানগ্লাসটা হয়তো লোকটির সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে শতগুন… সানগ্লাস খুলে রাখলে একটুও ভালো লাগবে না তাকে।।একটুও না…আচ্ছা এমন একটা ছেলে ফাইটিং করে কিভাবে??দেখে তো মনে হচ্ছে শরীরে শুধু মাখন আর মাখন!!সুপারস্টার আরিয়ান মৃন্ময়ের থেকে কোনো অংশে কম হ্যান্ডসাম না ছেলেটি…আরুকে এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ছেলেদের মধ্যে লম্বা কালো ছেলেটা বলে উঠলো –
.
এই মেয়ে?কি চাই?এভাবে তাকিয়ে আছো কেন??বস?আমার মনে হয় এই মেয়েকে ফাইভ স্টারের গ্যাং পাঠিয়েছে….গুপ্তচর।
.
ছেলেটার কথায় রাফিন নড়েচড়ে দাঁড়ালো।।আরু বিস্মিত স্বরে বলে উঠলো –
.
আজব!!আমি গুপ্তচর হতে যাবো কেন শুনি??আমি তো ফ্যান….আপনাদের এই ভিলেন স্টারের ফ্যান।
.
আরুর কথায় অবিশ্বাস্যের দৃষ্টিতে তাকালো ছেলেটি।।যে ছেলে মিনিটে দশবারটা লাশ ফেলে দেয়…যাকে দেখলে তারমতো গুন্ডারও আত্মা কাঁপে তার আবার ফ্যান??অদ্ভুত!! আরু ছেলেটির এমন চাহনীকে গুরুত্ব না দিয়ে খুশিতে গদগদ হয়ে রাফিনের দিকে হাত বাড়িয়ে বললো-
.
হ্যালো মিষ্টার ভিলেন? আমি আরু।অর্পিতা জামান আরু।
.
রাফিন আরুর হাতের দিকে তাকালো কিন্তু হাত বাড়ালো না।মেয়েটার সাহস দেখে সত্যিই সে হতবাক ।।পকেট থেকে হাত বের করে চোখ থেকে সানগ্লাসটা খুললো.. ..আরু রাফিনের চোখের দিকে তাকিয়ে হাতটা নামিয়ে নিলো ধীর গতিতে।।ছেলেদের চোখের পাঁপড়ি এতো ঘন হয় নাকি??রাফিন ভ্রু কুঁচকে গম্ভীর মুখে বলে উঠলো –
.
কি চাই?মিস হোয়াটএভার।আপনার কি আমার সম্পর্কে কোনো ধারনা আছে? আপনাকে তোলে নিয়ে আপনার সাথে ঠিক কি কি করতে পারি জানেন আপনি?তারপরও এতো সাহস নিয়ে আমার সামনে?হুয়াই?মোটিভ কি?
.
আরু এবারও হাবার মতো দাঁড়িয়ে রইলো।কোনো গুন্ডা এতো ভদ্র আর এতো সুন্দর করে কথা বলে জানা ছিলো না তার।।এমন মধু মেখে কথা বলছে যেনো সে কোনো এক ভার্সিটির বাংলা বিভাগের প্রফেসর।আরু এবার গলা খাঁকারি দিয়ে বলে উঠলো –
.
মোটিভ হলো আপনার সাথে প্রেম করা।।করবেন নাকি??
.
আরুর কথায় পাশে দাঁড়ানো ছেলেটা বিষম খেলো।।আর বাকি সবার চোখে বিস্ময়। রাফিনকে কোনো মেয়ে এভাবে মাঝ রাস্তায় সরাসরি প্রোপোজ করছে ভাবতেই পারছে না কেউ।।রাফিনও খানিকটা ভরকে গেলো।।কিন্তু ব্যাপারটা প্রকাশ করলো না।। তার নাম শুনে শুধু মেয়ে কেন?মেয়ের বাপসহ দৌড়ে পালায়। তাই এমন কোনো পরিস্থিতির মুখোমুখি কখনো হতে হয় নি বললেই চলে।।মেয়েটাকে আপাতমস্তক দেখলো সে।।নিঃসন্দেহে সুন্দরী!কিন্তু রাফিনের মনে কোনো ভাবোদয় হলো না।।আগের থেকেও গম্ভীর কন্ঠে বলে উঠলো –
.
নিজের ভালোটা পাগলেও বুঝে মিস.।আমি কিন্তু ভালো মানুষ নই। না আমার ক্যারেক্টার ভালো।।সো দূরে থাকো।নেক্সট টাইম চোখে না পড়াটায় মঙ্গল…গট ইট??
.
কথাটা বলে একমুহূর্ত না দাঁড়িয়ে সাই সাই করে চলে গেলো একের পর এক গাড়ি।।আরু ভ্রু কুঁচকে কিছুক্ষণ সেদিকে তাকিয়ে থেকেই মুখ ভেঙিয়ে বলে উঠলো “দূরে থাকো!হুহ”।।বাবার থিওরি অনুযায়ী সব মানুষের মাঝে একটা পজিটিভ সাইন থাকে।আর সেই পজিটিভ সাইন খুঁজে বের করতে পারলেই সেই মানুষটিকে ম্যাজিকের মতো পাল্টে দেওয়া যায়….তাহলে এই ভিলেনের মাঝেও নিশ্চয় কোনো পজিটিভ সাইন আছে??ইয়াহু….আরু মনে মনে হাজারো ভাবনা সাজিয়ে উল্টো পথে হাঁটা দিলো।।হাঁটার তালে তালে সুর মেলাচ্ছে সে-” প্রেমে পড়েছে মন,,প্রেমে পড়েছে।।অচেনা এক ভিলেন আমায় পাগল করছে”
.
৫.
.
গাল ফুলিয়ে বসে আছে রোজা।ওর ঠিক সামনে বসে আছে তীর্থ।।শরীর ঘামে চিপচিপে হয়ে আছে তার।।শার্টের উপরের দুটো বোতম খোলে কলারটা একটু পেছন দিকে ঠেলে দিয়ে বলে উঠলো সে-
.
কি রে?অটিস্টিকের মতো বসে আছিস কেন?আর্টিকেল লিখবি বলে চেঁচাচ্ছিলি আর এখন থম ধরে বসে আছিস।।কাহিনী কি মামু?
.
আমি কনফিউশড!!
.
রোজার কথায় চোখ বড় বড় করে তাকালো তীর্থ। রোজার মুখে এই কথাটা ঠিক বিশ্বাস করতে পারছে না সে।কিছুক্ষণ চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে থেকে বলে উঠলো সে-
.
কনফিউশান? আর তোর?শব্দটা তোর জন্য নতুন দোস্ত!রোজা আর কনফিউশান?
.
ভাবছি যদি নিউজটা মিথ্যে হয়। মানে,আরিয়ান মৃন্ময়ের নামে এর আগে এমন কোনো নিউজ লিক হয় নি।।শুধু মাত্র সন্দেহের বসে নিউজ ছাপানোটা ঠিক হবে?এতে যদি উনার ক্যারিয়ারে ইফেক্ট পড়ে তো?
.
হাতটা মাছি তাড়ানোর মতো নাড়িয়ে বলে উঠলো তীর্থ-
.
আরে ধূর!ক্যারিয়ারের সমস্যা হতে যাবে কেনো?তুই তো তাকে ক্যারিক্টারলেস প্রুফ করছিস না। তুই জাস্ট মৃন্ময়ের গার্লফ্রেন্ডকে এক্সপোস করছিস। তাছাড়া একটা ছেলে -মেয়ে একা ফার্মহাউজে কি কাজ থাকতে পারে??তাও আবার পার্সোনাল!! ব্যাপার তো আগাগুঁড়োই সন্দেহের। আর তুই ই তো বলিস… নায়ক মানেই ক্যারেক্টারলেস।তো!!
.
এটা আমি এখনও বলি বাট এই হালকা প্রমান দিয়ে আর্টিকেল ছেপে কারো ইমেজ খারাপ করতে পারি না।। তুই জানিস আমি ওরকম নই।
.
দোস্ত দেখ! ওলওয়েজ এতো সৎ হওয়ার কোনো মানে হয় না। আমি সম্পাদক স্যারকে অলরেডি একটা ধামকাদার নিউজের কথা বলে ফেলেছি তুই প্লিজ তাতে জল ঢালিস না। নয়তো আমার পার্টটাইম জব (হাত দিয়ে ফাঁস দেখিয়ে) শেষ!!
.
তুই আগেই বলতে…
.
এটুকু বলেই থেমে গেলো রোজা। কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে হঠাৎই চেঁচিয়ে উঠলো সে-
.
আমার কাছে রেকর্ডিং আছে!!
.
মানে?(ভ্রু কুঁচকে)
.
ফোনে রেকর্ড অপশন অন করা ছিলো।।তাহলে নিশ্চয় আরিয়ান মৃন্ময়ের কথাগুলোও রেকর্ড হয়েছে।।সেটা থেকে আমরা কোনো ক্লু পেতে পারি…রাইট?
.
রোজার কথায় দু’চোখে চকচক করে উঠলো তীর্থর।।সে মনে মনে দোয়া পড়ছে যেনো মৃন্ময়ের সাথে রুজির কিছু একটা থাকে….নয়তো রোজা যে কখনোই খবরটা ছাপাবে না তা সে ভালো করেই জানে।।মোবাইলের রেকর্ডার অন করে বিছানায় পা তুলে বসলো ওরা।।কিছুক্ষণের মাঝেই মৃন্ময়ের কন্ঠ ভেসে এলো…সেই সেইম কথা।তীর্থ আর রোজা দুজনেই হতাশ হয়ে একে অপরের দিকে তাকালো।।রেকর্ডার অফ করতে হাত বাড়াবে ঠিক তখনই শোনা গেল আরেকটা কন্ঠ-“স্যার!স্যার আমি জানি আজ রুজি ম্যাডামের সাথে আপনার ডেট…” এটুকুর পর টু টু শব্দ কানে ভেসে এলো অর্থাৎ এরপর ফোনটা কেটে দেওয়া হয়েছে।।”ডেট” শব্দটা শুনেই দু’জনে একসাথে চিৎকার করে উঠলো।।তারপর মুখে হাত চেপে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আবারও হেসে উঠলো দুজনে।
.
.
কাঁচ ভেদ করে আসা হালকা রোদের ঝিলিকে ঘুম ভাঙলো মৃন্ময়ের।রাত তিনটার দিকে ঘুমিয়েছিলো সে। এখন ক’টা বাজে কে জানে??দরজায় টোকা পড়ছে ক্রমাগত।।নিশ্চয় সোহেল!!এই মুহূর্তে ছেলেটাকে ধরে একটা চড় বসাতে ইচ্ছে করছে মৃন্ময়ের। বিরক্তি দমন করে বিছানা থেকে উঠে দাঁড়ালো সে।অনিচ্ছা সত্তেও দরজাটা খুলতেই হুড়মুড় করে ভেতরে ঢুকে গেলো সোহেল।।মৃন্ময়ের ভ্রু মুহূর্তেই কুঁচকে এলো।।রাগী কন্ঠে বলে উঠলো –
.
তুমি মেনার্স ভুলে গেছো সোহেল?
.
সসসরি স্যার!!বাট সর্বনাশ হয়ে গেছে স্যার।।
.
সোহেলের কথায় হায় তুললো মৃন্ময়।এই মুহূর্তে কোনো সর্বনাশের কথা শুনতে ইচ্ছে করছে না তার।।
.
ক’টা বাজে সোহেল?
.
১২ টা স্যার।
.
এক কাপ কফি আনতে বলো সোহেল।মাথা ধরেছে।
.
স্যার!!খবরটা শুনলে আপনার মাথা ধরাটা দ্বিগুণ হয়ে যাবে স্যার।
.
মানে?কি খবর?(ভ্রু কুঁচকে)
.
স্যার প্রথম আলোতে এসেছে…রুজি ম্যাডামের সাথে আপনার অফ্যায়ার চলছে।।আর আপনারা দু’জন ফামহাউজে কাল কোয়ালিটি টাইম স্পেন্ড করেছেন।।
.
হোয়াট!!কে ছাপিয়েছে এই নিউজ??গিভ মি দ্যা ডিটেইলস…
.
রাদিয়ানা আহমেদ রোজা। ঢাকা ইউনিভার্সিটির জার্নালিজম ডিপার্টমেন্টের ফাস্ট ইয়ারের স্টুডেন্ট। প্রথম আলো তে পার্ট টাইম জব করে।
.
কি চায় সে?মোটিব কি?টাকা?তার সাথে মিটিং ফিক্স করো সোহেল…আই নিড টু টক উইথ হার!
.
স্যার! নিউজ বের হওয়ার পর পরই ট্রাই করেছি বাট নো রেসপন্স। সরাসরি মানা করে দিয়েছে। কারো সাথে মিটিং এ সে ইন্টারেস্টেট নয়।(মাথা নিচু করে)
.
দেন.. সেকেন্ড অপশন ইউজ করো সোহেল।বাট ডু ইট ফাস্ট!!!
.
৬
.
ভারি মাথা নিয়েই চোখ পিটপিট করে তাকালো রোজা। ভার্সিটির পথে ছিলো সে তারপর হঠাৎ কি থেকে কি হয়ে গেলো কে জানে??চোখ মেলে চারদিকে তাকালো রোজা।।একটা আলিশান রুমে বসে আছে সে। হাতদুটো চেয়ারের সাথে বাঁধা। ব্যাপারটায় আঁতকে উঠলো রোজা….জীবনের প্রথম আর্টিকেলেই কিডন্যাপ??কিছুক্ষণ পরেই রুমে এলো সোহেল আর মৃন্ময়, তাদের পেছনে ১০/১৫ জন বডিগার্ডস।। রোজা পিটপিট করে দুবার তাকিয়েই বলে উঠলো-
.
আআমায় এখানে এনেছেন কেন??হুয়াই?
.
মৃন্ময়ের ইশারায় দৌড়ে গিয়ে হাতের বাঁধন টা খুলে দিলো সোহেল।।কাজ শেষে আবারও মৃন্ময়ের পেছনে গিয়ে দাঁড়ালো সে।।রোজা এখনও ঠাঁই বসে আছে…এই নায়ক ফায়ক তাকে কিছু করবে না তো??রোজাকে চুপ থাকতে দেখে মুচকি হাসলো মৃন্ময়।।চুলগুলো ঠিক করে,, পকেটে হাত দিয়ে সোজা দাঁড়িয়ে বলে উঠলো সে-
.
আপনি যা করেছেন তার জন্য এটা কি আপনার প্রাপ্য নয়??আপনি ভাবতেও পারবেন না,,আপনি কতোটা ক্ষতি করেছেন আমার মিস.? হোয়াট?
.
পাশ থেকে সোহেল তাড়াহুড়ো করে বলে উঠলো –
.
“রোজা স্যার রোজা। আরবি তে সাওম।
.
অযথা কথা বলবে না সোহেল।(বিরক্তি নিয়ে)সো মিস রোজা। আপনার সাথে ঠিক কি কি করা যায় বলুন তো?(ভ্র নাচিয়ে)
.
কথাটা বলে কিছুটা এগিয়ে এলো মৃন্ময়।।চমকে উঠলো রোজা।।ভ্রু কুঁচকে সোহেলের দিকে তাকিয়ে বলে উঠলো সে-
.
এই… এই টাকলা,,,আপনি আপনার এই হিরো মহোদয়কে বলে দিন।আমাকে যেনো যেতে দেওয়া হয়…নয়তো ভালো হবে না বলে দিচ্ছি!(আঙ্গুল উচিয়ে)
.
রোজার কথায় মুচকি হাসলো মৃন্ময়।কোটটা খুলে পাশের সোফায় রেখে…শার্টের উপরের দুটো বাটন খুলে সোফায় বসতে বসতে বলে উঠলো সে-
.
সোহেল?মিস রোজাকে কে বলুন ওমন একটা বাজে নিউজ কেন ছাপিয়েছেন উনি??কি চায় উনি?পুপালিরিটি?অর মানি??
.
ইয়েস স্যার!! ম্যাম স্যার বল..
.
শাট আপ…আমি বয়রা না কানে শুনি…(রাগী গলায়) এই যে মিস্টার পি.এ নায়ক সাহেবকে বলুন আমি এসব খবর টবর ছাপাই নি…আর ছাপালেই বা কি??সসত্যই তো ছিলো…
.
হোয়াট??সত্য??সোহেল?
.
ইয়েস স্যার!
উনাকে বলুন… কি প্রোভ আছে উনার কাছে??আজাইরা!!
.
হোয়াট আজাইরা??আমার কাছে প্রোফ আছে…আপনি যে আপনার নিউ জিএফের সাথে প্রাইভেট টাইম কাটাচ্ছেন সেটা আমি জানি… নাও আই উইল মেইক আ নিউজ অন মাই কিডন্যাপিং….
.
ইটস আ মিসআন্ডারস্ট্যান্ডিং মিস রোজা…উই ক্যান মেইক আ ডিল…আই উইল গিভ ইউ মানি ফর দেট…কতো টাকা চায় আপনার??(সানগ্লাস খুলতে খুলতে)
.
মৃন্ময়ের কথায় ভ্রু কুঁচকে তাকালো রোজা।।চোখ-মুখ গরম করে বলে উঠলো সে-
.
আমাকে ঘোষ দেওয়া হচ্চে??ওহ মাই গড!! এতো বড় সাহস??একজন জার্নালিস্টের মেয়েকে ঘোষ দেওয়া হচ্ছে??লিসেন… আই ডোন্ট ওয়ান্ট ইউর মানি…ডাফার!!
.
এবার উঠে দাঁড়ালো মৃন্ময়..শার্টটা ঠিক করে পাশের টেবিল থেকে পানির গ্লাসটা তুলে নিয়ে বলে উঠলো-
.
দেন? হোয়াট ডু ইউ ওয়ান্ট??ডু ইউ ওয়ান্ট টু ম্যারি মি??
.
হোয়াট??বিয়ে আর আপনাকে??আস্তাগফ
িরুল্লাহ…এসব নায়ক টায়ক কে বিয়ে করার চেয়ে সুইসাইড করা বেটার।।অলওয়েজ হিরোয়িনদের সাথে জড়াজড়ি…চুম্মাচুম্মি ছিহ..ইয়াককক…
.
কথাটা বলেই চোখ মুখ কুঁচকে ফেললো রোজা যেনো কেউ জোড় করে করলার জুস খাইয়ে দিয়েছে তাকে।মৃন্ময় ভ্রু কুঁচকে তাকালো…তাকে নিয়ে কেউ এমন কিছু ভাবে চিন্তারও বাইরে ছিলো তার!!
.
# চলবে…