এক মুঠো রোদ .
# writer :নৌশিন আহমেদ রোদেলা
# পর্ব -৩৫
৬৫.
গাড়ি ছুটেছে থানচির পথে। আঁকা বাঁকা পাহাড়ী রাস্তার প্রতিটি কোণায় যেন নজরকাড়া, মনোমুগ্ধকর। রোজা বিষন্ন মনে, ফাঁকা দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে অদূরে। মাথায় ঘুরছে ভাইয়ের বলা কথা —– “তাড়াতাড়ি এসো আপু” । গাড়ি ছাড়ার পনের মিনিটের মাথায় হঠাৎই চেঁচিয়ে উঠলো তীর্থ,
—” আরে, আরে এটা তো শৈলপ্রপাত তাই না?বস? এখানে কি নামা যায় না?”
মৃন্ময় আড়চোখে তাকিয়ে হাসিমুখে বললো,
—” শৈলপ্রপাত বর্ষায় দেখতে ভালো লাগে তীর্থ। এখন শুধু জলহীন খা খা পাথর চোখে পড়বে। এছাড়া আর কিছুই নয়।”
তীর্থ মুখের ভেতর আওয়াজ তৈরি করে বললো,
—“ওহ!”
রোজা আগের মতোই চুপচাপ বসে আছে। মৃন্ময়- তীর্থের কোনো কথায় যেন কান পর্যন্ত পৌঁছোচ্ছে না তার৷ বেশ কিছুক্ষণ চলার পর হুট করেই ব্রেক কষলো গাড়ি। হঠাৎ এমন প্রচন্ড ঝাঁকিতে সামনে হেলে পড়লো তীর্থ-রোজা। বিস্ময় নিয়ে বললো,
—” এটা কি হলো? এভাবে গাড়ি থামালো কেন?”
তীর্থ কপালের ডান পাশটায় ডলতে ডলতে বললো,
—“এখনই বাংলা সিনেমার নায়কদের মতো স্মৃতি শক্তি হারিয়ে ফেলতাম আমি। সাবধানে ব্রেক কষবেন তো ভাই। এই মেমোরিতে কতোকিছু সেইভ হয়ে আছে কোনো ধারনা আছে আপনার? একবার রিস্টার্ট মারলেই সব শেষ!”
মৃন্ময় হেসে ফেললো। সিট বেল্ট খুলতে খুলতে বললো,
—” ড্রাইভারের কোনো দোষ নেই তীর্থ। ব্রেক কষার অনুমতিটা আমিই দিয়েছিলাম।”
রোজা ভ্রু কুঁচকে বললো,
—” কেনো?”
—” নামবো তাই। নীলগিরিতে পৌঁছে গেছি। রাস্তাতেই যখন পড়লো চলুন না ঘুরে আসি। এখানে রেস্টুরেন্টও আছে। কিছু খেয়েও নেওয়া যেতে পারে। কি যাবেন?”
রোজা উত্তর দেওয়ার আগেই লাফিয়ে নেমে পড়লো তীর্থ। মৃন্ময় নেমে দাঁড়াতেই রোজাও নেমে দাঁড়ালো পাশে। তীর্থ ততক্ষণে বেশ কিছুটা এগিয়ে গিয়েছে। রোজা কপালে আড়াআড়ি হাত রেখে সূর্যের তীব্রতা থেকে চোখ আড়াল করতে ব্যস্ত। মৃন্ময় হাঁটার ভঙ্গিমা করে রোজার সামনে গিয়ে দাঁড়ালো। মৃন্ময়ের ছায়ায় রোজা যেন খানিক স্বস্তিই পেলো। মৃন্ময় মৃদু গলায় বললো,
—” দাঁড়িয়ে পড়লেন কেন? চলুন। নীলগিরির আসল সৌন্দর্য হলো বর্ষা আর শীতে। অন্যান্য মৌসুমে এলে সকালে আর রাতেই সবচেয়ে বেশি অনুভব করা যায়। যদিও এখন ভরা দুপুর তবুও দেখে যাওয়াটা মন্দ নয়।”
রোজা মৃন্ময়ের পাশাপাশি হাঁটতে হাঁটতে মৃদু গলায় বললো,
—” হুম।”
মৃন্ময় মুচকি হেসে বললো,
—” মিস.রোজা? আপনি কি জানেন? আমাদের প্রত্যেকের আশেপাশেই এমন কিছু মানুষ থাকে যাদের মুখে উদাসীনতা নামক জিনিসটা আমরা কল্পনাও করতে পারি না। মনে হয়, নাহ! এই মানুষটির জন্য “উদাসীনতা” শব্দটা একদমই গ্রহণযোগ্য নয়। যেমন ধরুন, আমাদের বাবা, দি রিয়েল লাইফ সুপার হিরোস্। আমরা ছোটবেলা থেকেই একটা জিনিস খুব করে বিশ্বাস করি। আর তা হলো, বাবারা কখনো কাঁদে না এবং বাবাদের কাছে সব সমস্যার সমাধান থাকে। অর্থাৎ,আমরা যে সমস্যায় পড়ি না কেন? বাবা আছেন মানেই নিশ্চিন্ত। আবার “ছোট চাচ্চু” টাইপ কিছু মানুষও থাকেন যারা হাড় কেঁপে যাওয়ার মতো মারাত্মক কোনো সমস্যাতেও মজার মজার কথা বলেন। তাদের মুখে ওই মজার কথাগুলো মানায় বলেই বলেন। হুট করে গম্ভীর কোনো আলোচনা তাদের মুখে কেমন একটা কৃত্রিম কৃত্রিম ভাব আনে। মানায় না। আমাদের ফ্রেন্ড সার্কেলও কিন্তু এমন কিছু বন্ধু থাকে যারা অল্পতেই হাসে। হাসির কথা হলেও হাসে, না হলেও হাসে আর মাঝে মাঝেই বলদের মতো অদ্ভুত সব কাজ করে। আমরা কিন্তু তার বলদামির জন্যই তাকে পছন্দ করি। অর্থাৎ, কিছু কিছু মানুষের উদাসীন হওয়ার অধিকার নেই। কারণ তাদের উদাসীনতার সাথে খুব অদ্ভুতভাবেই আরো কিছু মানুষের উদাসীনতা জুড়ে থাকে। বাবাকে যেমন কান্নায় মানায় না, ছোট চাচ্চুকে সিরায়াস ফেইসে মানায় না, ঠিক তেমনি কিছু কিছু সুন্দরী মেয়েদের বিষন্নতাও মানায় না।
রোজা থেমকে দাঁড়ায়। মৃন্ময় স্বাভাবিক ভঙ্গিতে হেঁটে চলে। রোজা ভ্রু কুঁচকে কিছু একটা ভেবেই ঠোঁট বাকিয়ে হাসে। দৌঁড়ে গিয়ে মৃন্ময়ের পাশাপাশি পা ফেলে। নীলগিরি হিল কাউন্টার থেকে টিকেট কেটে ভেতর ঢুকে ওরা৷ টিকেট প্রতি ৬০ টাকা। ভেতরে ঢুকে তেমন একটা ঘুরা হয় না ওদের। এতো রোদে ঘুরে বেড়ানোটা নিতান্তই পাগলামো। ওরা ভেতরে ঢুকেই একটা রেস্টুরেন্টে গিয়ে বসে। হালকা-পাতলা খাবার অর্ডার করে চারপাশে চোখ বুলায় রোজা। সামনেই বেশ বড় অক্ষর লেখা — ক্যাফে নীলগিরি। রোজা বার কয়েক নামটা আওড়ায় তারপর খাবারে মনোযোগ দেয়। নীলগিরি থেকে বের হওয়ার আগ মুহূর্তে একটা দোকানের সামনে গিয়ে দাঁড়ালো তীর্থ। বেতের তৈরি একটি হেড মাথায় দিয়ে ভাব নিয়ে বললো,
—” দোস্ত? কেমন লাগছে রে?”
রোজা কিছু বলার আগেই তাড়াহুড়ো করে বলে উঠলো তীর্থ,
—” আই নো, আমাকে অনেক সুন্দর লাগছে। তুই কষ্ট করে না বলে চুপ আছিস চুপই থাক…”
রোজা হেসে বললো,
—” আমার বলতে একদমই কষ্ট হবে না দোস্ত। বাট, তোকে যে দেখতে একদমই ক্ষেত লাগছে এই স্পষ্ট সত্যটা তোর স্বীকার করে নিতে বহুত কষ্ট হবে। আমি কি তোকে কষ্ট দিতে পারি? তাই এই বিষয়ে আপাতত কোনো রিভিউ দিচ্ছি না আমি। নিশ্চিন্ত থাক।”
মৃন্ময় হেসে ফেললো। তীর্থ মাথা থেকে হেডটা খুলে রেখে ফুসফুস করে বলে উঠলো,
—” ডাইনী পিশাচিনী। তোর জামাই তোর এই জ্বালাময় কথাবার্তায় জ্বলে পুড়ে ভস্ম হয়ে যাবে। হে খোদা? আমার জানটুসদের ভাইকে তুমি রক্ষা করো!”
তীর্থর কথায় হেসে ফেললো রোজা। মৃন্ময় নিঃশব্দে হেসে গাড়ির দিকে এগিয়ে গেলো। আবারও গাড়ি ছুটলো গন্তব্যে। রোজা ফুরফুরে মেজাজে জানালায় ঝুঁকে বসে আছে। জানালার বাইরে ছুটে চলেছে গাছ,পাহাড়,মাঝে মাঝে খন্ড খন্ড মেঘ। গাড়ি বলিপাড়া বিজিবি ক্যাম্পে এসে থামতেই নেমে দাঁড়ালো রোজা-তীর্থ। সবুজ পাহাড়ে মিশে যাওয়া মস্ত আকাশ দেখে অনেকটাই থমকে গেলো রোজা। বিস্মিত মুখটা “হা” হয়ে গেলো অজান্তেই। রোজার “হা” করে থাকার দৃশ্যটা ক্যামেরাবন্দী করে হাসিতে ফেঁটে পড়লো তীর্থ। রোজা প্রথমে ভ্রু কুঁচকে তাকালো। ব্যাপারটা বুঝতে পেরেই চোখ বড় বড় করে তীর্থকে তাড়া করলো। তীর্থ হাসছে। দৌঁড়ানোর সাথে সাথে প্রাণখোলা হাসিতে একদমই বাড়ন্ত কিশোর সে। মৃন্ময় ক্যাম্পে নাম এন্ট্রি করে ফিরে এসে থমকে দাঁড়ায়। চোখে-মুখে মুগ্ধতামাখা মিষ্টি হাসি। দৌঁড়ানোর তালে তালে রোজার হাত খোঁপাটা খুলে গিয়েছে সেই কখন। লম্বা চুলগুলো বাতাসে উড়ছে। ঠোঁটে হাসি, গালে টোল আর চোখে চিকচিকে জল। শাড়ির রঙিন আঁচলটাও তো থেমে নেই। সেও রোজার মতোই চঞ্চল,প্রাণবন্ত।
______________
থানচি জামে মসজিদের বিপরীত পাশে পাহাড়ের ঢালু গা বেয়ে খানিকটা উপরেই থানচি সরকারি রেস্টহাউজ। মৃন্ময়-রোজারা আজ এই রেস্টহাউজেই রাত কাটাবে। তারপর খুব ভোরেই বেরিয়ে পড়বে থুইসাপাড়ার উদ্দেশ্যে।
বিকেলটা ঘুমিয়ে কাটিয়ে রাতের দিকে থানচি বাজারে ঘুরতে বের হলো রোজা,মৃন্ময়, তীর্থ আর তাদের গাইড শুইশা খিয়াং। থানচি বাজারে বেশ কয়েকটি খাবারের দোকান আছে। দোকানগুলোতে ভাত,রুই মাছ,গরুর মাংস আর মুরগীর মাংস পাওয়া যায়। খাবারের দোকানগুলো চোখে পড়তেই তীর্থ দাঁত কেলিয়ে মৃন্ময়ের দিকে তাকালো,
—“বস?পেটে বেশ টান পড়েছে। কাল যে খাটা লাগবে একটু পেট ভরে না খেলে কি চলে?”
রোজা ফোঁড়ন কেটে বললো,
—” রাক্ষস!”
তীর্থ রোজার মাথায় চাটি মেরে বললো,
— ” হ। তোর বর হবে রাক্ষসের দুলাভাই। অর্থাৎ বৃহদাকার রাক্ষস। “
মৃন্ময় হেসে বললো,
—” খেতে ইচ্ছে হলে খাওয়া যেতেই পারে। কাল আমাদের পুরো ১৭ কি.মি হাঁটতে হবে৷ তার ওপর পাহাড়ি পথ। প্রচুর এনার্জি প্রয়োজন । তবে তাড়াতাড়ি খাওয়া কমপ্লিট করো। খাওয়া শেষ হলে ট্রেকিং শো কিনতে হবে। এসব নর্মাল জুতোতে পাহাড় চড়া কষ্টের হয়ে যাবে।”
রোজা জিগ্যেসু দৃষ্টিতে তাকালো,
—” এখানে ট্রেকিং শো পাওয়া যাবে?”
মৃন্ময় মাথা নাড়িয়ে সম্মতি জানালো,
—” হ্যাঁ,যাবে। এখানে ট্রেকিং শো এভেলএবল।”
—” ট্রেকিং শো, নামটাই কেমন ভারি ভারি। দামটা কেমন পড়বে? অনেক বেশি?”
মৃন্ময় হেসে ফেললো,
—” আরে না৷ দেড়শো থেকে আড়াইশোর উপড়ে নয়।”
রোজা অবাক হয়ে বললো,
—” এতো অল্প?”
৬৬.
—” ভাই? মৃন্ময় তার বাপকে খুঁজছে। অনেক কষ্টে যেটুকু জানতে পারলাম তা হলো, মৃন্ময়ের বাপ হঠাৎ করেই গুম হয়ে গেছে। বেঁচে আছে কিনা মরে গেছে এরও কোনো প্রমাণ নাই।”
রাফিন ভ্রু কুঁচকে তাকালো। কাঁটা চামচটা প্লেটে রেখে বিরক্ত গলায় বললো,
—” মৃন্ময়ের বাপ? নাম কি ওর বাপের? আর গুমই বা হলো কবে? সুপারস্টারের বাপ মিসিং আর মিডিয়া চেঁচালো না? অদ্ভুত!
আসিফ চেয়ারে একহাত রেখে কিছুটা হেলে দাঁড়ালো। আবেগহীন গলায় বললো,
—” সে তো আজকের কথা নয়। চৌদ্দ বছর আগের কথা, ভাই। ওর বাপের নামটা… “
এটুকু বলে থামলো আসিফ। নামটা ঠিক মনে পড়ছে না তার। শ্যামল কি জানি বলেছিলো নামটা? রাফিন আগ্রহী চোখে তাকিয়ে আছে। “চৌদ্দ বছর আগের কথা” বাক্যটায় তার আগ্রহের মূলীভূত কারণ। আসিফকে চুপ করে থাকতে দেখে ক্ষেপে উঠলো রাফিন। অধৈর্য গলায় ধমকে উঠে বললো,
—” থেমে গেলি কেন? কি নাম ওর বাবার?”
আসিফ মুখ কাঁচুমাচু করে আরো খানিকক্ষণ ভেবে বললো,
— ফয়সাল আহমেদ আরিয়া। না না আরিয়া আহমেদ ফয়সাল।
রাফিনের কপাল কুঁচকে এলো। আসিফকে ভালো-মন্দ কিছু না বলেই খাবারে মত্ত হলো।বেশ কিছুক্ষণ পর কিছু একটা মনে পড়ায় মুখ তুলে তাকালো রাফিন। অনুসন্ধানী গলায় প্রশ্ন করলো,
—“তোর ভাবি খেয়েছে? “
আসিফ অসহায় মুখে বললো,
—” জানি না তো ভাই।”
রাফিন ঘড়ি দেখলো —- ৮ঃ৪০। চিন্তিত গলায় বুয়াকে ডাকলো। বুয়া আসতেই প্রশ্ন ছুঁড়লো,
—” আপনার বউমনি খেয়েছে?”
বুয়া মাথা নেড়ে অসম্মতি জানালো। রাফিন ভ্রু কুঁচকে বললো,
—” কেন? খায় নি কেন?”
—” বউমনি তো নয়টার আগে ঘুম থেকে উঠে না ভাইজান। দশটার দিকেই নাস্তা করে প্রতিদিন।”
রাফিন বুয়ার থেকে চোখ ফিরিয়ে আসিফকে উদ্দেশ্য করে বললো,
—” কলেজ যায় না আরু?”
আসিফ মাথা নাড়ে। রাফিন জোরে নিঃশ্বাস ফেলে বললো,
—” এভাবে ঘরে বসে থাকার কোনো মানে হয় নাকি? একটা কাজ করিস তো আসিফ, ওর বারান্দায় কিছু গোলাপ গাছের চাড়া লাগিয়ে দিস। মেয়েরা নাকি ফুলগাছ পছন্দ করে।”
আসিফ মাথা নাড়লো। যার অর্থ — কাজটা অতি শীঘ্রই করবে সে। পকেট থেকে কিছু ছবি বের করে গম্ভীর গলায় বললো,
—” ভাই? শ্যামল আর কয়েকটা পোলা মৃন্ময়দের ফলো করছে। তার প্রমাণ হিসেবেই কিছু ছবি পাঠিয়েছে। আপনি কি দেখবেন?”
রাফিন টিস্যুতে হাত মুছে উঠে দাঁড়ায়। একহাতে কোটটা তুলে নিয়ে অন্যহাতটা বাড়ায়। আসিফ ঝটপট ছবিগুলো তুলে দেয় রাফিনের হাতে। ছবিগুলো দেখতে দেখতেই একটি ছবিতে থমকে যায় রাফিন।রোজা হাসছে। ওর চোখ,লম্বা চুল,শাড়ির আঁচল সবই যেন অদ্ভুত এক চাঞ্চল্যকর খেলায় মেতে উঠেছে। ১৫/২০ টি ছবির মাঝে একটি ছবি নিজের পকেটে ঢুকিয়ে আসিফের দিকে তাকালো রাফিন। বাকি ছবিগুলো আসিফের হাতে দিতে দিতে আপনমনেই বলে উঠলো,
—” আচ্ছা? মেয়েটা কি সবসময়ই হাসে? হাসি দেখলে মনে হয় সব সমস্যার সমাধানই ওই হাসি। তাই না?”
রাফিনের প্রশ্নটা বুঝে উঠতে পারে না আসিফ। কার কথা বলছে রাফিন? আরু? আসিফের উত্তরের অপেক্ষা না করেই বেরিয়ে যায় রাফিন। অনেক কাজ তার… অনেক।
# চলবে….