# এক মুঠো রোদ
# writer :নৌশিন আহমেদ রোদেলা
# পর্ব -৭
১৩.
দরজা ঠেলে ভেতরে ঢুকলো তীর্থ। অফিস রুমের টেবিলে একটা কাগজ রাখতে রাখতে বলে উঠলো সে,
— আরিয়ান মৃন্ময়ের বাড়িতে দু’জন লোক লাগবে রোজা। একজন বাড়ির কাজের লোকের উপর নজরদারির জন্য অন্যজন সিকিউরিটি চিপের এসিসট্যান্ট। কিন্তু এখন প্রশ্ন হলো আমরা সেখানে যাবো কিভাবে? সোহেল আমাদেরকেই কেনো সিলেক্ট করবে? হুয়াই? আমাদের এই সম্পর্কে কোনো কোয়ালিফিকেশনও নেই।
রোজা চেয়ারে বসে ছিলো। তীর্থের কথায় উঠে দাঁড়ালো । হাতের মার্কার প্যানটা ঘুরাতে ঘুরাতে হোয়াইট বোর্ডের সামনে গিয়ে দাঁড়ালো। তীর্থের দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলে উঠলো সে,
— কোয়ালিশকেশনের বাইরেও কয়েকটা শব্দ এখনও বাংলাদেশে আছে তীর্থ। আমরা সেই ওয়ার্ডগুলো কাজে লাগাতে পারি।
— মানে?
রোজা এবার বোর্ডে বড় করে কোয়ালিফিকেশন শব্দটা লিখে এরো চিন্হ দিয়ে তার পাশে লিখলো,
” মানবতা”, “স্বজনপ্রীতি”, “টাকা”। লেখাগুলো দেখে তীর্থ তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে বলে উঠলো,
— এসব কোনো কাজে দিবে বলে মনে হয় না রোজা। আমরা সোহেলের কোন বউয়ের জামাই যে সে স্বজনপ্রীতি দেখাবে? আর আসছে টাকার কথা সেদিকেও পসিবল নয় বিকজ আমার মনে হয় না সোহেল টাকা খাবে। সে নিজেই মৃন্ময় ভক্ত পরে না হিতে বিপরীত হয়ে যায়। আর মানবতার কথাটা তো বাদই দে….
— আমরা সেকেন্ড অপশনটা চুজ করবো তীর্থ।
— কিহ! সেকেন্ড অপশন? পাগল হলি তুই? স্বজনপ্রীতি কিভাবে?
— বাংলাদেশে আত্মীয় বানাতে বেশি সময় লাগে না রে বন্ধু। বেশি সময় লাগে না। (মুচকি হেসে)
— কিন্তু…(কনফিউজড হয়ে)
— সোহেলের ল্যাবট্যাব তো হ্যাক করেছিলি ওর ডিটেইলসে কোনো গার্লফ্রেন্ড বা বউ খুঁজে পেলি না?
— পেয়েছি তো। নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ফাস্ট ইয়ারের বাংলা ডিপার্টমেন্টের মনিকা।
— ম.. নি… কা। (টেবিলের উপর ঝুঁকে পড়ে দুষ্টু হাসি দিয়ে) তোর দুই মিনিটে মেয়ে পটানোর গুণটা যে এতো তাড়াতাড়ি কাজে লেগে যাবে ভাবতে পারি নি আমি।(চোখ টিপ)
— ইউ মিন মনিকা?
— ইয়েস!! আমাদের নেক্সট টার্গেট মনিকা।
— মালিহা জানতে পারলে? ( মুখ কালো করে)
— আই উইল ম্যানেজ ডুড। তোর কাজ হলো মনিকাকে পটিয়ে সোহেলকে তোর চাকরির রেফারেন্স দিতে বাধ্য করা। ব্যস! কেল্লা ফতে।
— তা তো ঠিক আছে বাট হাউজ ম্যানেজমেন্টের জব টা?
— ওটা আমি দেখে নিবো। কিন্তু এরজন্য বাড়ির ভেতর কে কে থাকে। তাদের নাম,কাজ, অবস্থান জানাটা খুব জরুরি।
— ওহ ওয়েট।
কথাটা বলেই চেয়ার ঠেলে ওঠে দাঁড়ালো তীর্থ। প্রজেক্টর ঠিক করে অন করে দিতেই স্ক্রিনে ভেসে উঠলো মাঝবয়স্ক একজনের ছবি তার সাথে ডিটেইলস। তীর্থ মার্কার প্যান দিয়ে ডিটেইলসগুলো প্রফেশনালদের মতো ব্যাখা করতে লাগলো।
—
★ এর নাম রহিজ উদ্দিন। বয়স -৫৫। বাড়ির ড্রাইভার। গ্রামের বাড়ি সোনাপুকুর। বেতন আট হাজার টাকা। বাগানের পাশের চিলেকোঠায় অন্যান্য কাজের লোকদের সাথেই থাকে সে।
★ আর এই ব্যাক্তির নাম আস্মত মিয়া। বয়স – ৪০/ ৪৫। ইনিও ড্রাইভার। বাড়ি বিজয়পুর। বেতন নয় হাজার। সেও চিলেকোঠাতেই থাকে।
★ ইনি হলেন রহমত আলী। বাড়ির সবচেয়ে পুরাতন কাজের লোক। বাজার আর বাগান দেখাশুনার দায়িত্ব উনার। কথ্যমতো উনি মৃন্ময়ের খুব প্রিয় একজন লোক। ছোট বেলা থেকেই মৃন্ময় উনার সঙ্গ পেয়ে আসছেন। বাড়ির অন্যান্য কাজের লোক ইভেন সোহেলও তাকে সমীহ করে চলে। বয়স ৬৫। সবার কাছে রহিম চাচা বলেই পরিচিত উনি। থাকেন মেইন বাড়ির নিচের তলার ডানদিকের তিননম্বর ঘরে।
★ইনি হলেন জাবেদা খাতুন। বাড়ির আয়া। তার বাড়ি গাজীপুর। বয়স – ৪৮। বেতন – ৫/৬ হাজার টাকা। সে মেইন বাড়িতে নিচতলার দুই নাম্বার রুমে থাকেন।
★ ইনি আবিদুল হাসান। বাড়ির চিপ শেইফ। রান্নার সকল দায়িত্ব উনার। বয়স ৫০। বেতন ৪০ হাজার টাকা। উনার বাড়ি রংপুর। উনি একজন প্রফেশনাল শেইফ। থাকেন নিচ তলার বামপাশের দ্বিতীয় রুমে।
★ আকরাম মিয়া। বাড়ির এসিস্ট্যান্ট শেইফ। বয়স ৫৫। বাড়ি নোয়াখালি। বেতন – ২০ হাজার টাকা। থাকেন ডানপাশের দ্বিতীয় রুমে।
★ আরিফুল ইসলাম আরিফ। বাড়ির সিকিউরিটি চিপ।বয়স ২৯। বেতন ৫০ হাজার টাকা। বাড়ি কলাবাগান।
★ আদ্র হোসেন। বয়স ২৮। ইনি হলেন মৃন্ময়ের চিফ বডিগার্ড।
— বাহ্ এতো তাড়াতাড়ি এতো ইনফরমেশন? কিভাবে?
— আরে, সোহেলের ল্যাবট্যাবেই সবার লিস্ট ছিলো। হয়তো প্রতি মাসে মৃন্ময়কে কাজের রিভিউ দেয় সে৷ সেখান থেকেই পেয়ে গেছি। এবার প্ল্যান বল। কাজে লেগে যেতে হবে। সাড়ে আটটা বাজতে চললো। আমাদের হাতে সময় খুব কম।
— তুই মনিকাকে ম্যানেজ কর। আমার টার্গেট রহিম চাচা। উনাকে ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল করে নিজের সাইডে আনতে পারলেই হলো। উনার বাজারে যাওয়ার টাইমটা জানতে হবে শুধু।
— তোকে মৃন্ময় চিনে ফেলবে না? আঙ্কেল কিন্তু বলেছে হি ইজ এন ইন্টেলিজেন্ট বয়। সো বি কেয়ারফুল।
— আরে? এমনি যাবো নাকি? পুরো গেটাপ চেঞ্জ করেই যাবো। তুই জানিস, আমি কন্ঠ চেঞ্জ করেও কথা বলতে পারি। তবু না হলে বেশি করে আইসক্রিম খেয়ে গলা ভেঙে ফেলবো। তাছাড়া রহিম চাচা তো আমায় চিনে না। উনার সামনে আমি হবো এলিনা।।এলিনা সরকার।
তীর্থ আর রোজা দু’জন দু’জনের দিকে একবার তাকিয়ে নিয়েই উঠে দাঁড়ালো। অনেক কাজ বাকি তাদের। যদিও তীর্থর কাজটা তার কাছে খুবই সহজ তবু কেমন নার্ভাস ফিল করছে সে। এতোদিন মেয়েদের বিএফ হওয়ার জন্য ফ্লার্টিং করতো আজ এই জার্নালিজমের প্যারায় অন্যের জিএফের ভাই হওয়ার জন্য ফ্লার্টিং করতে হচ্ছে।। আহা! কি হতাশা।
১৪.
ছাঁদে দাঁড়িয়ে আছে আরু। জ্বরটা কম হলেও শরীরটা বেশ দুর্বল তার। সেদিন রাতেই প্রায় ১২ টার দিকে আরুকে বাসায় আনিয়েছিলো লিনা।
গলার ব্যান্ডেজে আলতো ছুঁয়ে দিয়ে দুর্বল পায়ে পায়চারী করতে করতে রাফিনের কথায় ভাবছে সে। পেপারে রাফিনকে নিয়ে ছাপা একটা খবর দেখে অনেকটায় বিস্মিত হয়েছে আরু। রাফিনের গার্লফ্রেন্ড বা ওয়াইফ ছিলো বা আদৌও আছে কি না সে সম্পর্কে জানা নেই কারো। তবে মাঝে মাঝেই তার বাসা থেকে কিছু অন্ধকার জগতের মেয়েদের বেরিয়ে আসতে দেখা যায়। তারা সেখানে কি করে? সে সম্পর্কে কেউ জানতে পারে নি এখনো। বিষয়টা দেখে আরুর বেশ মন খারাপ হয়েছে। তার জানতে ইচ্ছে করছে মেয়েগুলো বাড়ির ভেতর করে টা কি? উল্টো পাল্টা কিছু করে না তো? এই মন খারাপ করা বিষয়টার সাথে সাথে একটা বিস্ময়কর বিষয়ও জানতে পেরেছে সে। তা হলো, রাফিন একজন ডক্টর। আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়ার মতো বেশ কয়েকটি দেশ থেকে দারুন কিছু ডিগ্রি অর্জনের কথাও লেখা আছে পত্রিকায়। পত্রিকার এই অংশটুকু বেশ কয়েকবার পড়েছে আরু। রাফিন যে একজন সার্জন, বিশ্বাসই করতে পারছে না আরু। শুধু তাই নয় এই গুন্ডার নাকি নিজের একটা হসপিটালও আছে যেখানে প্রতি শনিবার করে সার্জারির জন্য যায় সে। দুটো এতিম খানা আর একটা বৃদ্ধাশ্রমও চলছে তার খরচে। আর্টিকেলটা পড়ে বেশ অবাকই হয়েছে সে। আরগুলো নয় বাদই দিলো বাট সার্জারি? লাইক সিরিয়াসলি? এই গুন্ডার যে রাগ দেখা যাবে অপারেশন থিয়েটারে রোগীকে থাপ্পড় বা ধমক মেরেই অজ্ঞান করে ফেলেছে এক্সট্রা ইনজেকশন আর লাগছে না। কথাগুলো ভেবে বিরবির করতে করতেই একটা কথা মনে হয়েই লাফিয়ে উঠলো সে। ওর কিছুটা দূরে চেয়ার টেনে বসে ছিলো লিনা। ওর হঠাৎ লাফিয়ে উঠায় চমকে হাত থেকে বই পড়ে গেলো তার। বইটা তুলে নিয়ে ভ্রু কুঁচকে অবাক চোখে বলে উঠলো সে,
— ওভাবে লাফালি কেন?
— নাহ মা মা মানে হলো কি?শরীরটা তো খারাপ তাই ভাবছি ডাক্তার দেখানো উচিত। হুটহাট এমন জ্বর ওঠা তো ভালো লক্ষন নয় তাই না?
— তা ঠিক। কিন্তু এটা লাফানোর মতো কি হলো বুঝলাম না। এনিওয়ে তোর ভাইয়া এলে তারসাথে ডক্টর দেখিয়ে আসিস আজ।
— না না। ভাইয়া কেন যাবে শুধু শুধু?
— তো? কাকে যেতে বলিস? আমি?
— এমা না। তুমিও নও। প্রিয়…প্রিয় তো যাচ্ছে আজ ডাক্তার দেখাতে। আমি বরং তারসাথেই যাই। ওর ও প্রচুর মাথা ব্যাথার সমস্যা। আর ডক্টরটাও নাকি সেই।
— তো তুই এখন প্রিয়ন্তীদের বাসায় যেতে চাচ্ছিস? নো…সেই চিন্তা বাদ দে। এই অবস্থায় ওদের বাসায় তোকে যেতে দিবো না আমি।
— আরে বাবা। আমি যাবো কেন? প্রিয় নিজেই আমাকে নিয়ে যাবে। বাসার সামনে থেকে রিক্সায় উঠবো আর হসপিটালের সামনে গিয়ে নেমে পড়বো। সিম্পল! প্লিজ যাই?
— (কিছুক্ষণ ভেবে) উল্টোপাল্টা কিছু করবি না তো?
— একদম না।
— আচ্ছা তবে যা।
লিনার অনুমতি পেয়ে আরুর নাগিন ডান্স দিতে ইচ্ছে করছে। তবু নিজেকে সামলে নিলো সে। অতি খুশি আবার দুঃখের কারণ না হয়ে যায়। তাই এই খুশির ঝুলি সামলে রেখে প্রিয়ন্তীকে ফোন লাগালো সে। কয়েকবার কেটে যাওয়ার পর ফোন ধরলো প্রিয়ন্তি।
— হ্যালো?
— ওই হারামি! কই থাকিস? আমি কতো এক্সাইটমেন্ট নিয়ে কল করেছিলাম। এক্সাইটমেন্ট যে কতটুকু কমে গেলো আমার সেটা?
— ফোন সাইলেন্ট ছিলো। এনিওয়ে বল কি এতো এক্সাইটমেন্টের কথা।
— সারা জিন্দেগী তোর ফোন সাইলেন্টই থাকবে। দেখা যাবে আমি যদি হঠাৎ কোনোদিন মরে যাই তাহলেও তোর ফোনের সাইলেন্ট বিড়ম্বনায় তুই সেই খবরটাও পেলি না। এনিওয়ে রেডি হয়ে আমাদের বাসায় চলে আয় ডক্টরের কাছে যাবো।
— ডক্টরের কাছে যাবি ভালো কথা কিন্তু আমি কেন?
— তুই কেন? সেটার ব্যাখ্যা দেওয়ার মুড আপাতত আমার নেই। সো তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে আমাদের বাসায় আয়। ইমিডিয়েটলি!
— কাল যাই?
— নো! আজ শনিবার। আজই যেতে হবে নয়তো আবারও একসপ্তাহ পরে। আর এতোদিন ওয়েট করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। সো আজ এবং এখনই যাবো। তাড়াতাড়ি আয়।
রাফিনের হসপিটালের রিসেপশনের সামনে দাঁড়িয়ে আছে আরু আর প্রিয়ন্তী। প্রিয়ন্তীর মুখে একরাশ বিরক্তি। কাছের হসপিটাল রেখে এতোদূরে আসার কোনো কারণ সে খুঁজে পাচ্ছে না। হসপিটালের রিসেপশনিস্ট একজন হাসিখুশি সুন্দরী তরুনী। হাসি ছাড়া কোনো কথা বলতে কেউ হয়তো শেখায়নি এই মেয়েটাকে । আরুও মেয়েটিকে কপি করে হাসিমুখে বলে উঠলো,
— এক্সকিউজ মি?
— ইয়েস মেম? হাউ কেন আই হেল্প ইউ?
— ডক্টর রাফিন চৌধুরীর কেবিনটা কোনদিকে একটু বলতে পারবেন?
— ইয়েস মেম। ডক্টর রাফিনের কেবিন থার্ড ফ্লোরের ল্যাফ্ট সাইডে।
— থেংকিউ সো মাচ।
— ইউ আর মোষ্ট ওয়েলকাম মেম।
আরু প্রিয়ন্তিকে নিয়ে ঝটপট লিফ্টে ওঠে গেলো। থার্ড ফ্লোরে গিয়ে রাফিনের কেবিনের সামনে দাঁড়াতেই বিস্ময় নিয়ে বলে উঠলো প্রিয়ন্তি,
— তোর না জ্বর? তো তুই সার্জনের কাছে যাচ্ছিস কেন? সার্জনরা কি জ্বরের চিকিৎসা করে নাকি ডাফার?
— করে রে করে। রাফিন চৌধুরী জ্বরের চিকিৎসাও করে। এখন কথা হলো ঢুকবো কেমনে? এপয়েন্টম্যান্ট তো নাই। রাফিন চৌধুরীকে দেখাতে হলে নাকি দু’সপ্তাহ আগে এপয়েন্টমেন্ট নিতে হয়। আচ্ছা? তুই একটা কাজ করতে পারবি?
— কি কাজ?( সন্দেহী চোখে)
— দরজায় দাঁড়িয়ে থাকা আহাম্মককে হেন তেন জিগ্যেস করে একটু বিজি রাখবি?
— কেনো বল তো? মতলব কি তোর?
— সেটা একটু পরই দেখতে পাবি। আগে তো চল।
প্রিয়ন্তি আর আরু কিছুটা এগিয়ে যেতেই লোকটি তাদের দিকে তাকালো। প্রিয়ন্তি ইনোসেন্ট ফেইজ নিয়ে হসপিটালে কোনো মেডিসিন ডক্টর আছে কিনা। থাকলেও কখন বসে এসব জিগ্যেস করতে লাগলো। লোকটি প্রিয়ন্তি র কথায় মনোযোগী হতেই হুট করেই দরজা টেনে ভেতরে ঢুকে দরজা লাগিয়ে দিলো আরু। রাফিন একটা ফাইল চেইক করছিলো হুট করেই দরজায় এতো জোড়ে শব্দ হওয়ায় চমকে উঠলো সে। মাথা তুলে সামনের দিকে তাকাতেই একরকম ঝটকা খেলো সে। আরু!! আরু পেছন ফিরে রাফিনকে দেখেই দাঁত কেলিয়ে হেঁসে উঠলো। ঝটপট টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে বলে উঠলো সে,
— বসতে পারি ডক্টর?
রাফিন কিছু না বলে শান্ত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। আরু বুঝতে পারছে না রাফিনের মাথায় ঠিক কি চলছে। সত্যি সত্যি তার শরীর জ্বালিয়ে দিবে না তো রাফিন?
# চলবে….