#মেঘে ঢাকা আকাশ
পর্ব ১১
#আমিনুর রহমান
আমি স্পৃহার দিকে অনেকক্ষণ হলো তাকিয়ে আছি,অপেক্ষায় আছি সে কিছু বলবে কিন্তু কিছু বলছে না স্পৃহা। সে এভাবে চুপ করে আছে কেন আমার অগোছালো মস্তিষ্কটা আন্দাজ করতে পারল না। অনেকটা সময় পর স্পৃহা আমার দিকে এগিয়ে এসে বলল।
“আপনার গার্লফ্রেন্ড আছে আমাকে বলেননি কেন?”
আমি স্পৃহার এমন প্রশ্ন শুনে হাসব না কাঁদব বুঝতে পারলাম না। ভাবলাম কি আর হলো কি। তাহলে কি স্পৃহা হাসান সম্পর্কে কোন কথায় শুনেনি। নাকি শুনেও না শোনার অভিনয় করছে আমার সাথে৷ তবে আমার মনে হয় সে আমার সব কথা শুনেছে এবং আমার কথা শুনেই তাঁর ঘুম ভেঙে গিয়েছে। কিন্তু আমার কাছে কেন সে এসব লুকাচ্ছে বুঝতে পারছি না। নাকি আসলেও শুনেনি এটাও সিউর হতে পারছি না আমি। আমি স্পৃহার দিকে কিছুটা এগিয়ে গিয়ে মন খারাপ করে বললাম।
” না,ওমন কিছু না। গার্লফ্রেন্ড না৷ এমনিতেই ফ্রেন্ড।”
তখন স্পৃহা আমার আরও অনেক কাছে এসে বলল।
“মিথ্যা বলেন কেন? গার্লফ্রেন্ড ছাড়া কারো সাথে এত অভিমান নিয়ে কখনো কথা বলা যায় না। আমি তো আপনার কাছে কোনকিছু লুকাইনি অথচ আপনি আমার কাছে কতকিছু লুকিয়েছেন৷ আপনার মুখ থেকে হাসান কথাটা শুনে বিছানা থেকে উঠে এসেছি। কি যেন বলছিলেন হাসান নামের কাউকে নিয়ে। আমি স্পষ্ট শুনতে পাইনি তবে খারাপ কিছুই হয়তো বলছিলেন। আপনার বন্ধুর নামও তো হাসান,আমার বয়ফ্রেন্ড। আমি ভাবলাম ওর সম্পর্কেই বলছেন। পরে মনে হল ওর সাথে তো আপনার যোগাযোগই নেই। আপনি কিভাবে ওর সম্পর্কে জানতে পারেন। যাইহোক আপনার গার্লফ্রেন্ড আছে জেনে অনেক খুশি হলাম। আপনার পাশে অন্য কাউকে আমার ভালো লাগছে না। কিন্তু আপনার জীবনে কেউ আছে জেনে খুব খুশি হয়েছি আমি।”
স্পৃহার কথাগুলো শুনে মন খারাপের মাত্রাটা আরও বেড়ে গেল। ইচ্ছে করছিল হাসান সম্পর্কে সবকিছু বলে দেই। বললে কি সে বিশ্বাস করবে? আমার কাছে তো কোন প্রমাণ নেই। মিলিও তো আর আমার জন্য স্পৃহার কাছে সব সত্য বলবে না। আর স্পৃহা না হয় সবকিছু শুনে বিশ্বাসই করল। তারপর সে হাসান সম্পর্কে সব জানতে পেরে তাকে ছেড়ে দিল,আমার কাছে চলে আসল। কিন্তু এটাকে কি ভালোবাসা বলে? সে হাসান সম্পর্কে খারাপ কিছু জানতে পেরেছে বলে তাকে ছেড়ে দিচ্ছে। আমার সম্পর্কে যদি কখনো খারাপ কিছু জানতে পারে তাহলে যে আমাকেও একদিন ছেড়ে যাবে না এর কি কোন নিশ্চয়তা আছে? নাই। এমন ভালোবাসার কি দরকার? যে খারাপ সময়ে পাশে থাকবে না। ভালোবাসার মানুষ তো সেই যে পৃথিবীর সবচেয়ে খারাপ মানুষ জেনেও থেকে যাবে শুধুমাত্র ভালোবাসার টানে,কোন স্বার্থের টানে নয়।
আমি স্পৃহাকে বললাম।
“গার্লফ্রেন্ড থাকলে এতদিন একটা বিবাহিত মেয়ের সাথে এক ছাদের নিচে থাকতাম না৷ আপনাকে বিয়েও করতাম না। কেউ ছিল না বলেই আপনার বাবার অত্যাচারে বাঁধ্য হয়ে বিয়েটা করেছিলাম। কিন্তু কে জানে যাকে বিয়ে করব তার একজন ভালোবাসার মানুষ আছে যার জন্য সে নিজের বিয়ে করা হাসবেন্ডকেও ছেড়ে দিতে পিছপা হবে না। আচ্ছা আপনি যদি কখনো জানতে পারেন আপনার বয়ফ্রেন্ডের আগে অন্য কোথাও রিলেশন ছিল কিংবা আপনার সাথে সম্পর্ক থাকা অবস্থায় অনেক মেয়ের সাথেই সে প্রেম করত। তাদের সাথে খারাপ কিছুও করত তখন কি করবেন? তাকে ছেড়ে দিবেন?”
আমার কথা শুনে স্পৃহা একটুও রাগ করল না। অথচ আমি ভেবেছিলাম সে অনেক রাগ করবে৷ সে খুব নিরীহ কণ্ঠে বলল।
“যেহেতু আমি এখনো এমন কিছু জানতে পারিনি তাই এসব নিয়ে ভাবছি না। তবে যাকে ভালোবেসেছি তাকে ছোট্ট একটা কারণে ছেড়ে দেওয়ার মতো মেয়ে আমি নই। আমার ভালোবাসাটা এত সস্তা না যে কারো কাছ থেকে জানতে পারলাম আমার ভালোবাসার মানুষটা খুব খারাপ,সে একাধিক মেয়ের সাথে কথা বলে৷ আর আমিও এসব বিশ্বাস করে তাকে ছেড়ে দিব।”
স্পৃহার ওপর আমার খুব অভিমান হল। সে হাসানকে কেন এত বিশ্বাস করবে,ভালোবাসবে? আমি অভিমান ভরা কণ্ঠে স্পৃহাকে বললাম।
“আর যাকে বিয়ে করলেন তাকে কিভাবে ছেড়ে দিবেন? স্বামীর থেকে বয়ফ্রেন্ড কোনদিনও আপন হতে পারে না,কোন অবস্থাতেই না। বয়ফ্রেন্ড আপনাকে বিপদের মুখে ছেড়ে যেতে পারে কিন্তু একজন স্বামী কখনো তাঁর স্ত্রীকে বিপদের মুখে ছেড়ে যাবে না। এই যে এতদিন ধরে আমার সাথে থাকছেন,খাচ্ছেন,কথা বলছেন,নিজের সবকিছু শেয়ার করছেন। এতদিনে কি আমার প্রতি একটুও ভালো লাগা কাজ করেনি আপনার ভিতরে? একবারের জন্যও মনে হয়নি থেকে যাই।”
তখন স্পৃহা বলল।
“ভালো লাগা কাজ করেনি যে তা না। একজন মানুষের সাথে এভাবে থাকলে তো তাঁর প্রতি একটু আধটু ভালো লাগা কাজ করবেই। আমি আপনার কাছে নিজেকে অনেক নিরাপদ মনে করি,অনেক বিশ্বাস করি আপনাকে। আপনার সাথে এতদিন ধরে এক বাসায় থাকছি। আপনি কখনোও আমার দিকে খারাপ নজরে তাকান নি। কখনো আমার দুর্বলতার সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করেননি। অনেক সময় আমি বাথরুমের দরজা খোলা রেখেই গোসলে গিয়েছি। আপনি কখনো এসবে মনোযোগ দেননি। এসব কি যথেষ্ট না একজন মানুষের প্রতি ভালো লাগা কাজ করতে? কিন্তু শুধুমাত্র ভালো লাগা থেকেই তো আর একজন মানুষের কাছে সবসময়ের জন্য থাকা যায় না। তার জন্য ভালোবাসার দরকার হয়। কিন্তু আমি তো আপনাকে ভালোবাসি না,আমি ভালোবাসি অন্য কাউকে যার সাথেই আমি আমার জীবনসংসারে নাম লেখাতে চাই। আমি জানি আপনিও আমাকে ভালোবাসেন না। কাজেই এমনটা কখনো হবার নয়। আমরা খুব ভালো বন্ধু আছি এটাই হয়তো আমাদের জন্য ভালো। তবে একজনকে ভালোবাসা অবস্থায় যদি অন্য কাউকে ভালোবাসা যেত তাহলে অবশ্যই আমি আপনাকে ভালোবাসতাম। কিন্তু আমি আগেই একজনকে আমার ভিতরটা দিয়ে দিয়েছি৷ এখন চাইলেও আর দ্বিতীয় কাউকে আমার ভিতরটা দিতে পারব না।”
আমি স্পৃহাকে বললাম।
“আপনি নিজের মনের খবর জানতে পারেন বাট অন্য কারো মনের খবর জানার চেষ্টা করবেন না। কারণ এই পৃথিবীতে কেউ কারো মনের অবস্থাটা জানতে পারে না। যদি পারতো তাহলে মানুষ মানুষকে এভাবে কখনো দুঃখ দিত না৷ আমি কাকে ভালোবাসি,কাকে নিজের করে চাই এটা জানার ক্ষমতা সৃষ্টিকর্তা আপনাকে দেয় নাই। কাজেই এটা কখনো জানার চেষ্টা করবেন না। আগে নিজেরটা জানুন। আপনি কাকে ভালোবাসেন সেটা জানুন। নিজেকে প্রশ্ন করুন যাকে ভালোবাসেন তাঁর সাথে আপনার সময় কাটাতে ভালো লাগে নাকি অন্য কারো সাথে।”
কথাগুলো বলে আমি বারান্দা থেকে নিজের রুমে চলে যাই। আমি চলে গেলেও স্পৃহা বারান্দায় দাঁড়িয়ে মেঘে ঢাকা আকাশটা দেখতে থাকে। আজ আকাশটাতে অনেক মেঘ জমেছে। সেটার দিকেই স্পৃহা মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে আছে। আমার মনের আকাশেও যে মেঘ জমতে পারে সেটা সে কখনো জানবে না। কোনদিন জানতে পারবে না আমার আকাশটাও মেঘে ঢাকা।
দুইদিন পর স্পৃহা আমাকে বলল।
“আপনাকে আমার সাথে এক জায়গায় যেতে হবে। আগেই বলে রাখছি আপনি না করতে পারবেন না।”
আমি কোন ভাবান্তর না করে বললাম।
“কোথায় যেতে হবে? আপনার বয়ফ্রেন্ডের সাথে দেখা করতে গেলে অন্তত আমাকে সাথে যেতে বলবেন না। আর বললেও আমি যাব না। আমার ভালো লাগে না।”
তখন স্পৃহা বলল।
“আরে না বয়ফ্রেন্ডের সাথে না। আমার দুর সম্পর্কের এক ফুপির বাড়িতে যাব। খবর পেয়েছি উনি খুব অসুস্থ। হয়তো বাঁচবে না। বাবা মা চাচা চাচী সবাই ওনাকে দেখতে গিয়েছিলেন। শুধু আমিই যাইনি। আমি জানি ওখানে যাওয়াটা অনেক রিস্কি হয়ে যাবে। তবুও আমি ফুপির সাথে দেখা করতে চাই। মৃত্যুর আগে মানুষের ইচ্ছে গুলো পূরণ করতে হয়। আমিও চাই আমার ফুপির সাথে দেখা করতে। আপনিও যাবেন আমার সাথে।”
স্পৃহার এত কথার ভীড়ে আমার ভালো না লাগার বিষয়টা চাপা পড়ে গিয়েছে। কিংবা কে জানে স্পৃহা হয়তো ইচ্ছে করেই ব্যাপারটা এড়িয়ে গিয়েছ। আমার ভালো কিংবা খারাপ লাগাতে সে মনোযোগ দিতে চায়নি। স্পৃহার কথা শুনে আমার অবনির মায়ের কথা মনে পড়ল৷ আমার কি তাহলে একবার অবনির মায়ের সাথে দেখা করা উচিত? এমনও তো হতে পারে শুধুমাত্র আমার সাথে দেখা করবার জন্য আল্লাহ তাকে এখনও বাঁচিয়ে রেখেছেন।
পরের দিন স্পৃহার সাথে আমাকে যেতে হল। না করার পর যখন স্পৃহা বলল আমাকে ছাড়া সে যাবে না তখন বাঁধ্য হয়ে আমি তাঁর সাথে যাব বলে ঠিক করলাম৷
স্পৃহা যখন গাড়ি থেকে তাঁর ফুপির বাড়ির সামনে নামল। তখন কেন জানি মনে হল এই বাড়িটা আমার অনেকদিনের চেনা৷ হয়তো ভুলে গিয়েছি তবে এই বাড়িতে এর আগেও আমি এসেছি। বাড়িতে ঢোকার পর যখন অবনিকে দেখতে পেলাম তখন আর বুঝতে বাকি রইল না স্পৃহার ফুপিই হলো অবনির মা। স্পৃহা আর অবনি মামাতো ফুফাতো দুই বোন৷ অবনি আমাদের দুজনকে দেখে অনেক অবাক হলেও নিজের অনুভূতিটা প্রকাশ করল না। বুঝতে পারলাম মায়ের শোকে এরকম হয়ে গেছে অবনি। স্পৃহা যখন অবনির মায়ের কাছে গেলো তখন অবনির মা স্পৃহার দিকে না তাকিয়ে আমার দিকে তাকালো। আমি স্পৃহার পেছনে ছিলাম। তারপরেও অবনির মা আমার দিকে কেন এমন করে তাকালো স্পৃহা বুঝতে পারল না। আমি অবনির মায়ের কাছে যেতে পারলাম না। কারণ তাঁর শরীরের প্রায় সবজায়গাতেই কিসের যেন দাগ। এই দাগগুলোর কারণেই মানুষ তাঁর কাছে যেতে চায়নি। অথচ এগুলো ছোঁয়াচে না। এমন না যে অবনির মাকে স্পর্শ করলে এমনটা আমারও হবে। তবুও কেনো জানি ভয় হতে লাগল,ঘেন্নাও হতে লাগল। তাই আমি আর স্পৃহা অবনির মায়ের থেকে অনেকটা দূরেই দাঁড়িয়ে রইলাম। অবনির মা দূর থেকে ভাঙা ভাঙা গলায় আমাকে বললেন।
“আমি তোমার সাথে অনেক বড় অন্যায় করেছি। সেই পাপের শাস্তি আমি পেয়েছি। আমার জন্য তুমি অনেক কিছু হারিয়েছো। আমি তোমার কাছে ক্ষমা চাওয়ার মতো যোগ্যতাও রাখি নাই। তবে জানো কি? আমি এখনো বেঁচে আছি তোমার সাথে কথা বলার জন্য। না হলে অনেক আগেই মরে যেতাম। যতটা দিন বেঁচেছিলাম ততটা দিন বুঝেছি যন্ত্রণা কি কষ্ট কি। এত যন্ত্রণা নিয়ে বেঁচে থাকা যায় না। কিন্তু আমি জানি এর থেকেও অনেক বেশি মানুষিক যন্ত্রণা নিয়ে তোমাকে প্রতিটা দিন বাঁচতে হয়েছে৷ আর এর কারণ আমি। আমার জন্য আমার মেয়েটাকেও যে এভাবে কাঁদতে হবে কখনো ভাবিনি। বিশ্বাস কর অবনির কান্নাটা আমি সহ্য করতে পারি না। আমি মরার পর হয়তো অবনির কেউ থাকবে না। ওর বাবা আমার সম্পর্কে জানার পর দেশেই আসেনি। হয়তো আমার মৃত্যুর পর আসবে অবনির টানে। স্পৃহার সাথে তোমার পরিচয় কিভাবে হয়েছে আমি জানি না।”
স্পৃহার দিকে তাকিয়ে বলল।
“স্পৃহা এই ছেলেটা অনেক ভালো। তোর ফুপি অনেক খারাপ মানুষ। খারাপ মানুষকে দেখতে এসেছিস জেনে খুব ভালো লাগল। শুনেছি তুই নাকি একটা ছেলেকে বিয়ে করে তাঁর সাথেই আবার পালিয়ে গিয়েছিস?”
কথাটা বলতে বলতেই অবনির মা আমাদের সামনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন। কিভাবে একটা প্রাণ আমার চোখের সামনে এই পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলো বুঝতেই পারলাম না। তবে মানুষটা যে মরার পরেও অনেক শান্তি পেলো সেটা বুঝতে পারলাম। কারণ বেঁচে থাকতে সে শান্তিতে ছিল না,প্রতিটা মুহূর্তে তাকে অসহ্য যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়েছে। এর থেকে কি মৃত্যু ভালো না?
অবনি দরজা একপাশে দাঁড়িয়ে ছিল। যখন জানতে পারল তাঁর একমাত্র আপনজন তাকে ছেড়ে চিরদিনের জন্য চলে গিয়েছেন ঠিক তখনই কান্নায় ভেঙে পড়ল অবনি। স্পৃহার চোখেও পানি। আমার চোখে পানি নেই,তবে ভিতরটা পুরে যাচ্ছিল। আফসোস হচ্ছিল কেন আর কিছু সময় আগে আসলাম না কেন কথাগুলো শেষ করতে পারলাম না। আমি অবনির কাছে গিয়ে অবনিকে সান্ত্বনা দেওয়ার বৃথা চেষ্টা করলাম। অবনিকে সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা আমার জানা নেই। হঠাৎ করেই অবনি আমাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকে। আমি কি করব বুঝতে পারছিলাম না৷ এমন একটা সময়ে কি তাকে নিজের কাছ থেকে ছাড়িয়ে দূরে সরিয়ে দেওয়া উচিত নাকি জড়িয়ে ধরা উচিত। আমি তাকে দুইহাত দিয়ে জড়িয়ে ধরে থাকলাম। সে কান্না করুক,তাঁর আজ কান্না করার দিন। আমাকে জড়িয়ে ধরে সে কাঁদছে এটা স্পৃহা সহ্য করতে পারছে না। তাই হয়তো আমার কাছে এসে অবনিকে আমার কাছ থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে নিজে অবনিকে সান্ত্বনা দিতে লাগল। অবনিকে জড়িয়ে ধরে স্পৃহাও কাঁদতে লাগল। কারণ স্পৃহা জানে অবনির আপন বলতে ওই একজন ছাড়া আর কেউ রইল না।
চলবে……………