বজ্জাত বউ .
লেখিকা বিলকিস
পর্ব ৯
আমি ওনার দিকে ফিরে ওনাকে জরিয়ে ধরতে হঠ্যৎ আমার মাথা ব্যাথা বেড়ে গেলো। অসহ্য যন্তনা হচ্ছে। আমি সহ্য করতে পারছিনা কেনো। এমন যন্তনা হচ্ছে কেনো আমার। এদিকে ওনি আমার ঘাড়ে চুৃমো খেয়েচলেছিলেন। আমি ওনাকে বাধা দিতে পারছিনা এদিকে যন্তনা টা সহ্য করতে পরছিনা। আমার চোখ দিয়ে পানি চলে আসছে কিন্তু আমি চোখের পানি ফেললে ওনি যদি বুঝে যাই না না আমি চোখের পানি ফেলবো না। আমি ওনাকে আরো শক্তো করে জরিয়ে ধরলাম।
ওনি আমাকে ছাড়িয়ে কোলে তুলে নিলেন। তারপর আমাকে বিছানা শুয়ে দিয়ে নিজে আমার পাশে শুয়ে পরলেন। আমি ওনার আবার জরিয়ে ধরলাম। ওনি আমার ঠোটের ওনার ঠোট মিশিয়ে হারিয়ে আজানা ভালোবাসার দেশে। সেই ভালোবাসার দেশটা আমার জন্য কিছুদিন মাএ। আমি সকালে ঘুম ভাঙতে দেখি আমি ওনার বুকে উপর ঘুমিয়ে আছে।
ওনার দিকে তাকিয়ে দেখে ওনাকে আজ অসম্ভাব সুন্দর লাগছে। ওই মানুষ টাকে ছেড়ে কি করে যাবো আমি। আমি পারবো খোদা আমি পারবো না। আমি বাচতে চাই বলতে আমার চোখ দিয়ে পানি পরতে লাগলো। এর কয়েক ফোরা পানি গিয়ে ওনার মুখে পরলো। আমি তারাতারি চোখের পানি মুছে বিছানাতে থেকে উঠতে যাবো তখন ওনি আমার হাতটা ধরলেন।
পরশ: হঠ্যৎ করে মুখে উপর কিছু একটা পড়ার আমার ঘুম ভেঙে গেলো। আমি চোখ খুলে দেখি মিষ্টি বিছানা থেকে উঠে যাচ্ছে আমি মিষ্টি হাতটা চেপে ধরলাম। আর বললাম কাঁদছো কেনো
মিষ্টি: কেউ না তো।
পরশ: তাহলে আমার মুখে কয়েক ফোটা পানি কেনো।
মিষ্টি: আসলে আমার চোখে কি যেনো পড়েছিলো তাই।
পরশ: দেখি বলে আমি ওকে এক টান দিতে ও আমার উপর পড়ে গেলো। আমি ওর চোখে হাত দিতেই
মিষ্টি: এখন ঠিক হয়ে গেছে। এ যা ৭:৩০ বেজে গেছে আমি রেডি হয়ে নিচে যাই।
পরশ: না তুমি আমার কাছে থাকো।
মিষ্টি: মামনি একা একা রান্না ঘরে আছে।
পরশ: তো কি হয়েছে। আমি তেমাকে ছাড়বো না বলে ওর কপালে চুমো খেলাম।
মিষ্টি: ওনি কিছুতে আমাকে ছাড়বে না কি করি পেয়েছি (মনে মনে) মামনি তুমি বলতে ওনি আমাকে ছেড়ে দিয়ে বললেন
পরশ: কোথায় মামনি?
মিষ্টি: ওনি আমাকে ছাড়তে আমি ওঠে পড়লাম আর হাসতে লাগলাম।
পরশ: কাজটা ভালো করলে না।
মিষ্টি: বেশ করেছি বলে ওয়াশরুমে চলে গেলাম। তারপর রেডি হয়ে নিচে গেলাম। নিচে গিয়ে দেখি ডাইনিং টেবিল দিশা আর মামনি বসে আছে। আমিও গিয়ে বসলাম।
মামনি : মা পরশ কোথায়।
মিষ্টি: ফ্রেস হচ্ছে হয়তো বলতে ওনি নিচে নেমে এলেন আর আমার পাশে চেয়ারে বসলেন।
পরশ: good morning .আম্মু ব্রেক- ফাস্ট দাও।
মামনি: নিলুফা ব্রেক- ফাস্ট নিয়ে আয়। নিলুফা সবাইকে বেক- ফাস্ট দিলো। সবাই ব্রেক- ফাস্ট করছিলো হঠ্যৎ করে আমার ফোনটা বেজে ওঠলো। ফোনের দিকে তাকিয়ে দেখি আহাদ ভাইয়া ফোন।
পরশ: কে ফোন করেছে
মিষ্টি: আহাদ ভাইয়া
পরশ: রিসিভ করো কথা বলো
মিষ্টি: হ্যা বলে আমি ফোনটা নিয়ে চেয়ার থেকে একটু দুরে গিয়ে ফোন রিসিভ করলাম।
আহাদ: হ্যালো মিষ্টি। তুই ১ ঘন্টার মধ্যে দিশাকে রাস্তার মোরে আয়। আমি ওখান থেকে তোদের নিয়ে যাবো। আজকে তোর একটা ইনজেকশন দিতে হবে আর ডাক্তার সাথে কথা বলতে হবে।
মিষ্টি: ঠিক আছে ভাইয়া বলে আমি ফোন কেটে চেয়ারে গিয়ে বসলাম।
পরশ: কি বললো আহাদ ভাইয়া
মিষ্টি: আহাদ ভাইয়া একটু দেখা করতে বললো
পরশ: কেনো
মিষ্টি: জানি না। দিশা তোমার ব্রেক – ফাস্ট করার হলে তুমি রেডি হয়ে নাও।
পরশ: কোথায় যেতে বললো আমি তোমাদের পোছে দিয়েছি।
মিষ্টি: না না আমরা যেতে পারবো দিশা চলো রেডি হবে।
পরশ: আম্মু আমি আসছি বলে পরশ আফিসের জন্য চলে গেলো।
একটু পরে দিশা আর মিষ্টি রেডি হয়ে মামনি কে বলে রাস্তায় মোড়ে যেতেই দেখে আহাদ গাড়ি নিয়ে দাড়িয়ে আছে। মিষ্টিআর দিশা গাড়িতে উঠতে আহাদ গাড়ি চালাতে শুরু করলো। কিছুক্ষন পর আহাদ ওদের কে হাসপাতালে আসলো। হাসপাতালে আসতে একটা নার্স মিষ্টিকে নিয়ে একটা রুমে গেলো।
মিষ্টি: আমি রুমে যেতেই দেখি দুজন নার্স আর তিন জন ডাক্তার বসে আছে। আমি ভেতরে ঢুকতে একটা নার্স এসে আমাকে একটা কেবিনের উপরে শুয়ে দিলো। আমি নার্স কে বললাম ডাক্তার আহাদ কোথায়।
নার্স: আপনি শুয়ে থাকুন ডাক্তার আহাদ চলে আসবে বলতে আহাদ ভাইয়া কেবিনে এসে বাকি ডাক্তার দের সাথে কি যেনো বলাবলি করতে লাগলো।
আহাদ: মিষ্টি তুই চিন্তা করিস সব ঠিক হয়ে যাবে।
মিষ্টি: এরা আমার সাথে কি করবে ভাইয়া। আমার খুব ভয় করছে। একটু পর নার্স একটা ইনজেকশন দিলো। ইনজেকশন দেওয়া পর আমার মাথাটা কেমন যেনো লাগলো। তারপর কি হলো আমি জানি না। যখন জ্ঞান ফিরলো তখন আমি তাকিয়ে দেখি দিশা পাশে বসে আছে। আমি দিশা দিকে ফিরে দিশার হাতটা ধরতে যাবো তখন দেখি আমার হাতটা আমি উঠাতে পারছিনা। খুব ব্যাথা করছে। মাথাটাও ব্যাথা করছে। আমি দিশাকে বললাম দিশা আমি হাত আর মাথা নরাচড়া করতে পারছিনা।
দিশা আমার কথা কেনো উওর না দিয়ে কাঁদতে কাঁদতে চলে গেলো।
একটু পর নার্স কেবিনের ঢুকতে আমি নার্সকে বললাম। নার্স আমি আমর হাত আর মাথা নাড়াতে পারছিনা কেনো।
নার্স: আপানার হাতে অনেকগুলো ইনজেকশন ফুস করা হয়েছে আর মাথা মেশিনের সাহা্য্য ভেতরটা দেখা হয়েছে তাই।
মিষ্টি: নার্স আমি একবার ডাক্তারে দেখা করতে চাই
নার্স: ঠিক আছে আমি ডাক্তার কে ডেকে দিয়েছি।
ডাক্তার আসতে আমি ডাক্তারকে বললাম।
ডাক্তার আমার হাতে আর কয়দিন সময় আছে।
ডাক্তার: তুমি ভালো যাবে মা।
মিষ্টি: ডাক্তার অসুখটা আমার আর আমি আমার অসুখ বিষয়ে জানতে চাই। please ডাক্তার বলুন।
ডাক্তার: ৩০-৩৫ দিন তোমার
মিষ্টি: ডাক্তার কথা শেষ করার আগে আমি ডাক্তারকে বললাম। ১ মাস না। এতে হবে। হঠ্যৎ করে আমার ফোনটা বেজে ওঠলো। ফোনের দিকে তাকাতেই………..
(চলবে)