বজ্জাত বউ
লেখিকা বিলকিস
পর্ব ১৪
বিকালে বাড়ির দরজায় কলিং বেল বাজতে পরশের আম্মু দরজায় খুলেতেই
মিষ্টি: মামনি বলে জরিয়ে ধরলো
মামনি: কেমন আছিস মা।
মিষ্টি: মামনি একটা দারুন খবর আছে
মামনি: কি দারুন খবর
মিষ্টি: আগে ভিতরে চলো তারপর বলছি চলো এসে এখানে বসো
মামনি: আচ্ছা বসলাম এবার বল কি খবর
মিষ্টি: মামনি তোমার আহাদ ভাইয়া কেমন লাগে
মামনি: ভালো তো কিন্তু কেনো।
মিষ্টি: আসলে মামনি দিশা আহাদ ভাইয়া পছন্ড করে আর আহাদ ভাইয়া দিশা পছন্ড করে। আমি তোমাকে না আমার বাড়িতে এদের দুজনে কথা বলেছিলাম। বাড়ির সবাই ওদের দুজনে হাত এক করতে রাজি। কিন্তু তুমি
মামনি: আমার দিশার জন্য এর থেকে ভালো পএ আর পাবো কোথায়।
মিষ্টি: তার তুমি রাজি। আমি এখনি বাড়িতে ফোন করে বলে দিচ্ছি কালকে এই বাড়িতে আসতে।
মামনি: পরে ফোন করে বলবি। আগে আমার কাছে আয়। হে মা তুই ভালো আছিস তো।
মিষ্টি:( হঠ্যাৎ মামনি ভালো থাকায় কথা বললো কেনো) হ্যা মামনি খুব ভালো আছি। আমি ফোন করে বলি বলতে ফোন টা নিয়ে বাড়িতে ফোন দিলো।
বড় মা: হ্যালো ( ফোন রিসিভ করে)
মিষ্টি: বড় মা তোমরা কালকে আমাদের বাড়িতে আসবে বিয়ের কথা বলতে
বড় মা: কালকে
মিষ্টি: কালকে মানে কালকে আমি রাখছি বলে ফোন কেটে দিলো। মামনি আমি আমার রুমে যাচ্ছি বলে উপরে চলে গেলো।
মামনি: এই হাসি খুশি মেয়েটাকে ভালো রেখো খোদা।
রাতে সাবাই খাওয়া দাওয়া করে য়ার যার ঘরে চলে গেলো। মিষ্টির নিজের ঘরে এসে বিছানাতে বসতে হঠ্যাৎ মাথা ব্যাথা করতে লাগলো। তাই ওষুধ বের করে খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লো।
সকালে ঘুম থেকে ওঠে ফ্রেস হয়ে নিচে নেমে দেখে দিশা আর মামনি সোফায় বসে আছে।
মিষ্টি: মামনি বলে টেবিলে কাছে আসতে হঠ্যৎ নিচে পড়ে গেলো। নিচে পড়তে দিশা আর মামনি দৌড়ে মিষ্টির কাছে আসলো।
মামনি: মিষ্টি একি ওর নাক দিয়ে রক্ত কেনো। দিশা ওর নাক
দিশা: ভাবি এই ভাবি না আমি বরং ডাক্তারকে ফোন করি বলে ডাক্তার কে ফোন দিলো। ডাক্তার এসে মিষ্টিকে দেখে বললো।
ডাক্তার: ওর জ্ঞান একটু পরে ফিরে আসবে। দিশা তুমি আমার এসোতো
দিশা: হ্যা চলুন
ডাক্তার: আমার মনে হচ্ছে তোমার ভাবি বড় কেনো রোগ হয়েছে
দিশা: হ্যা আঙেল ভাবির ব্রেন ক্যান্সার হয়েছে।
ডাক্তার: আমি মনে হচ্ছিলো এমন কিছু হয়েছে। একটু রিপোটা দেখতে পারি।
দিশা: রিপোটতো ভাবির কাছে আছে। আমি বরং কাল একবার আপনানাকে দেখাবো।
ডাক্তার: ঠিক আছে আমি আসি বলে ডাক্তার চলে গেলেন। ডাক্তার চলে যাওয়াতে দিশা মিষ্টির কাছে এসে বসলো।
দিশা: আম্মু: তুমি যাও আমি ভাবির কাছে আসি।
আম্মু: আমি জানি না ওর কি হয়েছে। তবে মনে ভালো কিছু বলছে না বলতে মিষ্টির জ্ঞান ফিরতে লাগলো।
দিশা: এই তো ভাবির জ্ঞান ফিরছে।
মামনি: মিষ্টি মা আমার
মিষ্টি: মামনি আমি ঠিক আছি। তুমি যাও আয়োজন করো আজ দিশাকে দেখতে আসবো।
মামনি: না তুই মানা করে দে আজ না আসতে
মিষ্টি: না মামনি আজকে আসবে। তুমি যাও আমি একটু পর আসছি। যাও আর আমার কিছু হয়নি আমি ঠিক আছি। একটু মাথা ঘুরে পড়ে গিয়েছিলাম মাএরো
মামনি: মিষ্টি
মিষ্টি: যাও আয়োজন করো। আর দিশা তুমি ও য়াও
দিশা: কিন্তু তুমি
মিষ্টি: যাও বলছি
দিশা: ঠিক আছে বলে রুম থেকে চলে গেলো।
মিষ্টি: যতো তাড়াতাড়ি সম্ভাব এই বিয়েটা দিতে হবে। আমার হাতে বেশি সময় নেই।
সন্ধ্যায় বাড়ির কলিং বেল বাজতে মিষ্টির নিজে দরজায় খুলে দিলো
মিষ্টি: বড় মা আম্মু বাবা এসো ফেতরে এসো। মামনি দেখো কারা এসেছে
মামনি: আরে বেয়াই বিয়ান আসেন ভিতরে আসেন। নিলুফা চা মিষ্টি নিয়ে আয়
মিষ্টির আম্মু: ভালো আছেন বিয়ান।
পরশের আম্মু: আল্লাহ রহমতে আমি ভালো আছি। আপনার ভালো আছেন তো। এই দেখো দাড়িয়ে আছে বসেন নিলুফা
মিষ্টির: এতো ব্যস্তো হবেন না। আমরা বসছি বলে সবাই সোফায় বসলো
নিলুফা: ভাবি
মিষ্টি: ও আমাকে দে আমি দিচ্ছি বলে সবাই কে চা মিষ্টি দিলো। বড় মা ভাইয়া আসি নি কেনো।
বড় মা: তোর ভাইয়া বললো কি একটা কাজ আছে বলে আসি নি। দিশা কোথায় দিশা ডাক
মিষ্টি: আমি ডেকে নিয়ে আসছি। বলে দিশার রুমে চলে গেলো। দিশা কোথায় তুমি। একি তুমি এখনো রেডি হয়নি
দিশা: ভাবি তোমার এই অবস্থায় আমি বিয়ে করবো না
মিষ্টি: না দিশা এ কথা বলো না। আমার জীবনে শেষ পযায় এখন শুধু দুটো কাজ বাকি। একটা তোমার আর ভাইয়া বিয়ে আর একটা তোমার ভাইয়া জন্য। এই দেখো কতো কথা বলছি তুমি বসে আমি রেডি করে দিচ্ছি বলে দিশাকে রেডি করে নিচে নিয়ে আসলো
বড় মা: আমার কাছে এসে বসো মা।
মিষ্টি: যাও দিশা বড় মা কাছে গিয়ে বসো
দিশা: ঠিক আছে বলে দিশা মিষ্টির বড় মার কাছে গিয়ে বসলো
বড় মা : বাহ আমার আহাদের পাশে বেশ মানাবে কি বলো তোমরা
মিষ্টির আম্মু: আমারো মনে হয়।
বড় মা: দেখি মা তোমার হাত বলতে হাত নিয়ে এক জোড়া চুড়ি পড়িয়ে দিলো।
পরশের আম্মু: নিলুফা টেবিলে খাবার সাজা।
নিলুফা: আচ্ছা বলে নিলুফা চলে গেলো।
মিষ্টি: বড় বাবা আর বাবা তোমরা আজকে বিয়ে তারিখ ঠিক করো।
বাবা: আজকে
মিষ্টি: হ্যা
বড় বাবা: আমারো মনে তারাতারি বিয়েটা হয়ে গেলে ভালো। বিয়ান আমার মনে সামনে মাসে এক তারিখ হলে ভালো হবে
মিষ্টি: ( এক তারিখ তো না এতো সময় আমার কাছে নেই) না এক তারিখ না। সামনে ১৫ তারিখে বিয়ে।
মামনি: এতো তারাতারি কেনো। বিয়ে আয়োজন করতে তো সময় লাগবো। তাছাড়া পরশ বাড়িতে নেই।
মিষ্টি: নেই তো কি হয়েছে আমি তো আছি। আর আয়োজন হয়ে যাবে। আমি নিজে সব আয়োজন করবো। বিয়েটা সামনে ১৫ তারিখ তো ১৫ তারিখে
বড় বাবা: আমার মেয়ে যখন বলেছে তাহলে ১৫ তারিখে বিয়ে।
মামনি: ঠিক আছে
তারপর সবাই খাওয়া দাওয়া শেষ করে মিষ্টির বাড়ির সবাই চলে যেতেই
মিষ্টি: মামনি আমি উপরে যাচ্ছি আর তোমার ছেলেকে ফোন করে জানিয়ে দেবো বলে নিজের রুমে এসে পরশকে ফোন দিলো।
পরশ: আমার কথা মনে পড়লো তাহলে
মিষ্টি: কেনো মনে পড়বে না আপনার কথা সবসময় মনে পড়ে। ও একটা দারুন খবর দেই।
পরশ: কি
মিষ্টি: আপনার বোনের বিয়ে
পরশ: কি কার সাথে
মিষ্টি: আমার ভাইয়ে সাথে
পরশ: আহাদ
মিষ্টি: হুম আর সামনে ১৫ তারিখে কে বিয়ে
পরশ: আমাকে ছেড়ে সব ঠিক হয়ে গেলো।
মিষ্টি: হয়েছে। আপনি খেয়েছেন। আর আপনি আসবেন কবে
পরশ: আমি এখনি চাইছি তোমার কাছে ছুটে চলে যেতে। কিন্তু এখানে কাজ এখনো শেষ হয়নি। তবে চলে আসবো খুব তারাতারি। মিষ্টি
মিষ্টি: হ্
পরশ: আমি তোমায় ছাড়া থাকতে পারছিনা।
মিষ্টি: সামনে তো আপনাকে আমাকে ছাড়া থাকতে হবে
পরশ: কি বললে তোমাকে ছাড়া থাকতে হবে মানে মিষ্টি তুমি মাঝে মধ্য এমন সব কথা বলো না
মিষ্টি আমার ঘুম পাচ্ছে।
পরশ: তুমি ঘুমাবে না আমার সাথে কথা বলবে
মিষ্টি: good night বলে ফোন কেটে দিলো
পরশ: এই মেয়ে দুর আমার এখানে ঘুম আসছে না আর ওনি। বউ পেয়েছি একটা আমি। কি করার আমারি তো বউ বলে পরশ ঘুমিয়ে পড়লে।
১৪ তারিখ
মিষ্টি: মামনি কোথায় তুমি। আর এই আপনারা একটু তারাতারি হাত চালান ১২ টা মধ্য সাজানো যেনো শেষ হয়। আর নিলুফা তুই হলুদ বেটেছিস।
মামনি: আর কতো করবি। দিশা বিয়ে যেদিন থেকে ঠিক হয়েছে সেদিন থেকে আজ পযন্ত বিয়ের যা যা করার সব তো এক হাতে করলি। নিজের শরীলটা তো ভালো না তোর
মিষ্টি: কে বলেছে দেখো আমি ঠিক আছি বলতে কলিং বেল বাজতে লাগলে।
মিষ্টি: আমি দেখছি বলে বলে দরজায় কাছে গিয়ে দরজায় খুলতে আপনি
পরশ: হুম আমি। আমার বোনের বিয়ে আর আমি কাজ নিয়ে পড়ে থাকবো অস্ভাব। তাই কাজ ফেলে চলে এসেছি। আর একটা কারন আছে আসার জন্য কাউকে ছাড়া একটু থাকতে পারছিলাম।
মিষ্টি: দুর বলে চলে গেলো
পরশ: আম্মু কেমন আছো
আম্মু: ভালো তুই
পরশ: ভালো আম্মু যার বিয়ে সে কউ
আম্মু: ঘরে আছে
পরশ: আমি দেখে আসি বলে দিশার রুমে দিকে যেতেই পরশ মিষ্টির দিকে তাকাতে দেখলো………….
বজ্জাত বউ
লেখিকা বিলকিস
পর্ব ১৫
পরশ: আম্মু আমি গিয়ে দেখি আসি বলে পরশ দিশার রুমে যেতেই পরশ মিষ্টির দিকে তাকাতেই দেখে মিষ্টির নাক দিয়ে রক্ত পড়ছে।
পরশ: ওর নাক দিয়ে রক্ত পড়তে দেখে আমার বুকে ভেতর রা একটু টান দিয়ে উঠলো। আমি মিষ্টির কাছে গিয়ে মিষ্টিকে নিজের দিকে করে ওর নাকে হাত দিয়ে রক্ত মুছে হাতটা ওর সামনে ধরে বললাম তোমার নাক দিয়ে রক্ত পড়ছে কেনো
মিষ্টি: ( সর্বনাশ নাক দিয়ে রক্ত পড়ছে আমি বুঝতে পারি নি। কি বলবো আমি ওনাকে) নাক দিয়ে রক্ত। আসলে সামনে আবহাওয়া চেন্জ হচ্ছে তাই বুঝি নাক দিয়ে পড়ছে। আর পড়তে পারে
পরশ: মিষ্টি বলে আমি ওকে জরিয়ে ধরলাম। আর বললাম তোমার কিছু হলে আমি শেষ হয়ে যাবো।
মিষ্টি: আরে কি করছেন বাড়ি ভরতি মানুষ। সবাই দেখছে ছারুন।
পরশ: দেখুক আমি আমার বউকে জরিয়ে ধরেছি।
মিষ্টি: ছারুন তো বলে ওনার কাছ থেকে সেরে আসলাম। আপনার মাথা গেছে। আপনি আগে দিশার সাথে দেখা করে ফ্রেস হয়ে নিন। কতো কাজ বাকি আছে। সন্ধ্যায় আবার গায়ে হলুদ যানতো বলে আমি কাজের দিকে নজর দিলাম। ওনি কিছু না বলে দিশার রুমে গিয়ে দিশার সাথে দেখা করে নিজের রুমে গিলেন। আমি বাড়ির বাকি কাজ গুলো সারতে সারতে বিকেল পেরিয়ে গেলো। একটু পর গায়ে হলুদ শুধু হবে। আমি ফ্রেস হওয়ার জন্য নিজের রুমে গেলাম। আলমারি থেকে একটা হলুদ রঙের শাড়ি নিয়ে ওয়াশরুমে গিলাম। ওয়াশরুম থেকে শাড়িটা পড়ে আয়নার সামনে দাড়াতে ওনি পেছন থেকে আমাকে জরিয়ে ধরলেন।
পরশ: আজ তোমাকে হলুদ শাড়িতে দারুন লাগছে। বলে আমি ওর গালে একটা চুমো খেলাম।
মিষ্টি: আমি ওনার কথা শুনে হাসলাম। তারপর ড্রেসিং টেবিলের পর রাখা চুড়ি গুলো পড়তে লাগলাম। গলায় একটা মালা পড়তে যাবো তখন ওনি বললো
পরশ: আমি পড়িয়ে দিচ্ছি বলে আমি ওর গলায় মালাটা পড়িয়ে দিলাম। আর কপালে একটা ছোটো লাল টিপ পড়ালাম। তারপর ওকে নিজের দিকে করে কপালে একটা চুমো খেলাম।
মিষ্টি: কি হয়েছে আপনার বলতে ওনার দিকে তাকিয়ে দেখি (ওনি একটা হালকা হলুদ রঙের পান্জাবি পড়েছেন। ওনাকে দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে। একদম হিরো হিরো।) আপনাকে আজ অনেক সুন্দর লাগছে বলতে দরজায় ওপার থেকে নিলুফা ডাকতে লাগলো
নিলুফা: ভাবি সবাই আপনাকে নিচে ডাকছে
মিষ্টি: তুই যা আমি আসছি।
নিলুফা: আচ্ছা।
মিষ্টি: চলুন নিচে যাই
পরশ: আগে আমাকে একটা কিস তারপর যাবো।
মিষ্টি: আপনে না পারেনো বলে আমি ওনার গালে একটা চুমো খেলাম। এবার চলুন
পরশ: চলো
মিষ্টি: চলুন বলে আমরা নিচে আসলাম। নিচে এসে দিশার গায়ে হলুদ দেওয়া শুধু হলো। সবাই অনেক অান্দন করে গায়ে হলুদ মাখলো। তারপর খাওয়া দাওয়া শেষে করে আত্নীয় স্বজন যার যার মতো ঘরে গেলো। আমি সবটা দেখে নিলান ঠিক আছে কি না। দেখার পর নিজের রুমে আসলাম। এসে দেখি ওনি বিছানাতে শুয়ে আছেন। আমি ওনার পাশে গিয়ে বসতে ওনি ওনার মাথাটা আমার কোলের উপর রাখলো। হঠ্যৎ করে বৃষ্টি পড়তে লাগলো।
পরশ:এই সময় বৃষ্টি
মিষ্টি :ভালো তো চলুন না বৃষ্টি তে ভিজি।
পরশ: এই ঠান্ডার মধ্য বৃষ্টিতে ভেজলে জ্বড় আসবে।
মিষ্টি: ও আপনি ভেজবেন না। চলুন না এটা আমার আর আপনার শেষ বৃষ্টিতে ভেজা আর কখনো ভেজবো না। চলুন না চলুন বলছি
পরশ: আরে ঠিক আছে যাচ্ছি চলো। বলে আমি মিষ্টির সাথে ছাদে গেলাম বৃষ্টিতে ভেজতে।
মিষ্টি: আহ্ কি ভালো না লাগছে বৃষ্টিতে ভেজতে বলে আমি মনে অানন্দ ভিজতে লাগলাম।
পরশ: পাগলী একটা। বাচ্চা দের মতো করে বৃষ্টিতে ভেজছে। তবে ওকে আজ অন্য রকম সুন্দর লাগছে।
মিষ্টি: আসুন বলে আমি ওনার হাত ধরে ছাদের মাঝখানে নিয়ে আসলাম। তারপর ওনার চারপাশে ঘুরতে লাহলাম।
পরশ: আমি ওকে ঘুরতে দেকে জরিয়ে ধরলাম। আর কোলে তুলে নিয়ে বললাম। অনেক হয়েছে এবার রুমে চলো বলে ওকে কোলে করে রুমে নিয়ে আসলাম।
মিষ্টি: আর একটু ভেজলে কি হতো।
পরশ: ঠান্ডা লেগে যেতো। যাও পোকাশটা চেন্জ করে আসো।
মিষ্টি: দুর বলে আমি ওয়াশরুম থেকে চেন্জ করে এসে ওনার বকুের উপর মাথা রেখে শুয়ে পড়লাম।
পরশ: রাগ হয়েছে বুজি। ঠিক আছে এখনি রাগ ভেঙে দিচ্ছি বলে ওকে নিয়ে হারিয়ে গেলাম ভালোবাসার দুনিয়ার।
সকালে
মিষ্টি: এই রে অনেক বেলা হয়ে গেছে। বলে আমি ওঠে ফ্রেস হয়ে ওনাকে ডাকলাম।
পরশ: আর পাচ মিনিট পর উঠবো।
মিষ্টি: ওঠাছি পাচ মিনিট পর নিজের বোনের বিয়ে আজ আর ওনি ঘুমাচ্ছে বলে ওনার গায়ে এক জগ পানি ঢেলে দিলাম।
পরশ: কি করলে এটা।
মিষ্টি: ঠিক করেছি এবার ওঠে রেডি হয়ে নিচে আসুন বলে আমি নিচে গিয়ে কাজে লেগে পড়লাম। কিন্তু আজ আমার কাজ করতে অনেক কষ্ট হচ্ছে বলতে নিলুফা বললো
নিলুফা: ভাবি আপনার নাকে রক্ত
মিষ্টি: আমি নাকে হাত দিয়ে রক্ত মুছে বললাম তোর কাজ কর। আজ আমার এমন লাগছে কেনো। না না বলে আমি কাজ করতে লাগলাম। মামনি দিশার সাজানোর জন্য লোক এনো না আজ আমি ওকে সাজাবো
মামনি: ঠিক আছে
পরশ: আম্মু খাওয়ার আয়োজন জন্য লোক এসেগেছে আমি দেখছি
মিষ্টি: আমি বরং বাকিটা দেখছি বলে চলে গেলাম। সনধ্যায় পর দিশার রুমে গিয়ে দিশাকে সাজাতে লাগলাম। দিশা তোমাকে আজ অনেক সুন্দর লাগছে আমার ভাইয়া আজ চোখ ফেরাতে পারবে না।
দিশা: তুমি কিন্তু আজ ইনজেকশনটা
মিষ্টি: চুপ একটা কথা বলবেনা। বাহ্ দারুন লাগছে। এই আমাকে তো সাজতে হবে তুমি বসে থাকো আমি সেজে আসি বলে নিচের রুমে গিয়ে ওনার দেওয়ার লাল রঙের শাড়িটা পড়লাম। কিছু গহনা পড়লাম হালকা সাজ করলাম। কিন্তু আজ এমন লাগছে কেনো বলতে ওনি রুমে ঢুমে আমার কাছে এসে আমাকে জরিয়ে ধরে বললেন
পরশ: চলো আমরা আবার বিয়ে করি
মিষ্টি: করবো আমি সাদা শাড়ি পড়ে আর আপনি শেরোয়ানি পড়ে। আমার শেষ বিয়ে আর আপনার ২য় বিয়ে
পরশ: কি সব বলো তুমি
মিষ্টি: আমি ঠিক বলতে নিচে থেকে গাড়ির শব্দ পাওয়াতে চলুন বর এসে গেছে
পরশ: যাচ্ছি তুমি এসো বলে আমি চলে গেলাম।
মিষ্টি: একি আমার রক্ত পড়ছে। আমাকে আজ যা করার করতে হবে ডাইরিয়া কোথায় রাখবো এমন জায়গায় রাখতে যাতে আমার পর যে আসবে সে ছাড়া যেনো কেউ না পায়। আমি জানি কে তু মি হবে তবে আমার বিশ্বাস তুমি এই ডাইরিটা পড়বে। রাখবে পেয়েছি ছাদের চিলিকোঠার রুমে যাই রেখে আসি বলে আমি ডাইরি টা রেখে নিচে আসলাম। সবার সাথে দেখা করে সব ঠিক সেটা দেখলাম। কিন্তু আমার মাথা ব্যাথাটা বড়ছে কেনো নাক দিয়ে রক্ত পড়ছে। পেছন থেকে কাজি সাহেব বললো এখন বিয়ে পাড়াতে হবে বলে কাজি সাহেব বিয়ে পাড়াতে লাগলেন। ওনি আমার পাশে এসে দাড়ালেন। কিন্তু আমি সহ্য করতে পারছিনা কেনো। আঃ না আমি এখানে থাকতে পারছিনা বলে আমি ওনার পাশ থেকে সরে ছাদে চলে আসলাম। আমার খুব কাশি হচ্ছে মুখ দিয়ে রক্ত পড়ছে আঃ আঃ আল্লাহ গো
পরশ: একি মিষ্টি কোথায় গেলো। এখানে তো ছিলো। না আশ পাশে নেই তো। আম্মু তুমি মিষ্টিকে দেখেছো।
আম্মু: না তো
পরশ: আমি রুমে দেখে আসি বলে রুমে গিয়ে মিষ্টিকে ডাকতে লাগলাম। কোথায় মিষ্টি রুমে নেই তো বলতে ফোনটা হাত থেকে পড়ে গেলো। আমি ফোনটা তুলতে গিয়ে দেখি আলমারি নিচে একটা কাগজ। কিসের কাগজ বলে আলমারি নিচ থেকে বের করি। এ তো সেই যেটা দেখতে বসে মিষ্টির আমার কাছ থেকে কেড়ে নিয়েছিলো। কিন্তু এটা আলমারি নিচে কি করে গেলো। দেখিতো কি আছে ভেতরে বলতে আমি কাজটা দেখতে আমি………
(চলবে………..